![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার নাম বিদগ্ধ। সত্যের দাহে বিশেষভাবে দগ্ধ। আমি একজন বাংলাদেশী। ঢাকায় থাকি। নিজের অভিমত প্রকাশ করার জন্য ব্লগিং করতে চাই।
যাদের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থাকবে, তারা পাবেন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির অধিকার বা ভিআইপি'র মর্যাদা। 'ভিআইপি মর্যাদার' সোজা ব্যাখাটি হলো, তিনি থাকা-খাওয়া যাতায়াত চিকিৎসা ইত্যাদি মৌলিক অধিকার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। আমাদের দেশে এর দৃষ্টান্ত হতে পারে, ব্যস্ত রাস্তায় হাজার হাজার মানুষকে যানজটে রেখে 'রং সাইড' দিয়ে হনহনিয়ে গাড়ি চালিয়ে চলে যাওয়া। অথবা বিদ্যালয়গামী শিশুদেকে তপ্তরোদের নিচে রাস্তায় আটকে রেখে কোন মন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানো। এরকম আরও অনেক ধরণের অগ্রাধিকার আছে, যা দিয়ে প্রমাণিত হবে যে, তারা মানব নন, অতিমানব।
জনগণের ভোটে, জনগণের টাকায় ক্ষমতারোহনের পর নেতারা হয়ে যাবেন অতিমানব। তাদেরকে আর সাধারণের মাঝে দেখা যাবে না, অথবা সাধারণেরা তাদের 'সাধারণ আবদারগুলো' জানাবার জন্য তাদের নেতাদের আর কাছে পাবে না। প্রকৃতঅর্থে, জনতার নিকট থেকে তাদের নেতার বিচ্ছিন্নতার শুরু ওখান থেকেই, ওই মুহূর্ত থেকেই। অন্যদিক দিয়ে, নেতাও মন্ত্রী বা সংসদসদস্য হবার পর, ভিআইপি ক্যামেফ্লাজে থাকার কারণে, তিনি আর জনবান্ধব হবার সুযোগ পান না, বা সুযোগ নেননা। এন্টি-ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর, বা ক্ষমতাসীনদের জনপ্রিয়তা হারানোর প্রক্রিয়াটি ওখান থেকেই শুরু।
যা হোক, এই ভিআইপি কালচারকে সমূলে উৎপাটন করার কথা দিয়েছেন দিল্পীর নতুন অভিষিক্ত মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ভারতের কোন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে দেশবিদেশের সংবাদ মাধ্যম এত খবর দেয় নি এর আগে। বিগত ৪৯ দিনের মেয়াদেও তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, তিনি সরকারি বাসভবন নেবেন না। "সাধারণ মানুষ যদি লাইনে দাঁড়িয়ে বাসে ওঠতে পারে, তবে একজন মন্ত্রী (সাধারণ মানুষের সেবক) তা কেন পারবেন না?" কেজরিওয়ালের প্রশ্ন।
এমন প্রশ্ন আমাদেরও। ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে, সামাজিক ন্যায়বিচার যেখানে শতবছরের ঐতিহ্য নিয়ে আছে, সেখানে মন্ত্রীরা এত ওপরে বাস করেন না। গণ যানবাহনে করে অফিসে যাতায়াতের ছবিও দেখতে পাওয়া যায়। হাটেবাজারেও তাদেরকে দেখতে পাওয়া যায়। গরিব দেশে যেমন পর্বত-সমান ধনী থাকেন, তেমনি থাকেন হিমালয়-সমান ভিআইপি।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৬
বিদগ্ধ বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই দিশেহারা রাজপুত্র। সে সাথে শুভেচ্ছা।
২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: যে সব দেশে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বেশী হওয়ার ইতিহাস আছে, সে সব দেশে বাধ্য হয়েই যারা ভিআইপি মর্যাদা পেয়ে থাকেন, তারা সেটা নিয়েও থাকেন।
কেজরিওয়ালা নিঃসন্দেহে একটা সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন। সব নেতাদের মধ্যে সেই সাহস নেই, কারণ সবাই কেজরিওয়ালের মতো সৎ রাজনীতি করে না। যারা করে, তারা এই সাহস দেখাতে পারে বট।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৭
বিদগ্ধ বলেছেন: আপনি লেখার প্রানকে্ন্দ্রে দৃষ্টি দিয়েছেন। এমন পাঠক পাওয়া আনন্দের বিষয়।
৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৩৮
স্পাইক্র্যাফট বলেছেন: এধরনের বিষয়গুলা মানুষ অনেকটা হিংসার বশবর্তি হয়েই লিখে।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩৬
বিদগ্ধ বলেছেন: না পড়ে এবং না বুঝে মন্তব্য করবেন না।
৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমাদেরও এখন আম আদমী পার্টি দরকার
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩
বিদগ্ধ বলেছেন: আমাদের জাতীয় ফল যেহেতু কাঁঠাল... সেক্ষেত্রে কাঁঠালআদমী পার্টি হলেও মানা করতাম না। একটা রসিক নেতা পাইলাম না, আফসোস হয়!
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৩
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
+++