![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার নাম বিদগ্ধ। সত্যের দাহে বিশেষভাবে দগ্ধ। আমি একজন বাংলাদেশী। ঢাকায় থাকি। নিজের অভিমত প্রকাশ করার জন্য ব্লগিং করতে চাই।
আজ সন্ধায় কাঁচাবাজার করতে গিয়ে বরাবরের মতো বাসা থেকে হেঁটে গেলাম; বরাবরের মতো রিক্সায় ফিরবো বলে। কিন্তু রাস্তাঘাট গাড়িতে ঠেসে গেছে। পাশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভাষা দিবসের প্রস্তুতি চলছে। ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের আনাগোনায় ব্যস্ত হয়ে গেলো আবাসিক এলাকাটি। কিছুদিন হলো তারা একটি শহীদ মিনারও উত্তোলন করেছে। বেশ ভালো লাগলো। ছেলেমেয়েদের হুইহুল্লার মধ্যে অমর একুশের শিহরণ-জাগানো গানটি শোনা যাচ্ছে। শহীদ দিবসের আবহ পুরোমাত্রায় পরিবেশকে গম্ভীর করে তোলেছে। কিন্তু ব্যস্ত গাড়িগুলোর অন্তহীন হুইসেল বাজানো চলতেই আছে। সামনে একটি জ্যান্ত গাড়ি এবং যানজট দেখেও এরা সামনে যাবার জন্য হুইসেল দিচ্ছে আর পথচারিকে শব্দদূষণে আক্রান্ত করে যাচ্ছে। কাণ্ডজ্ঞান এদের কবেই বা ছিল! এদেশে কবে যে, শব্দদূষণ প্রতিরোধে কার্যকর কিছু হবে!
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মমতা-জাগানো কবিতা আবৃত্তি ও বক্তৃতা তখনও কানে লেগেছে। কয়েক বছর আগে শুধুমাত্র মমতার বিরোধীতার কারণে যখন ‘তিস্তা চুক্তি’ ভেস্তে গেলো, তখন তার নাম হয়েছিল ‘মমতাহীন মমতা বন্দোপাধ্যায়’। বাংলাদেশীরা বিষয়টিতে খুবই হতাশ ও আহত হয়েছিল সেবার। এবার বাংলাদেশীদের একটিই দাবি, “কবিতা নয়, তিস্তার পানি চাই দিদি”। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটিই ভেসে ওঠছে নিউজফিডে। মমতা হয়তো এদেশের মানুষের মনের চাওয়াটুকু ভালোভাবেই আঁচ করতে পেরেছেন। ‘বৈঠকি বাংলা’ নামের সাংস্কৃতিক আলোচনা সভায়, তিনি বললেন, ‘তিস্তা নিয়ে আস্থা রাখতে’ তার ওপর। আর নাকি চিন্তা করতে হবে না! অবশ্য এযাবৎ আস্থার মতো কিছুই করেননি তিনি। তবু আশা রাখতেই হয়, কারণ এবার তিনি বাংলাদেশের মাটিতে এসে দেশের মানুষের সামনে বসে কথাগুলো বলে যাচ্ছেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশের ভাষাদিবসের আয়োজনে অংশ নিয়ে মমতা আগামিকালই নিজদেশে ফিরে গিয়ে একটি ভাষাস্তম্ভ উদ্বোধন করবেন।
একুশ নিয়ে ছাত্রজীবনের স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। একবার ফুল যোগাড় না হওয়ায় (ফুল চুরি করতে না পারায়), সারারাত জেগে রঙিন কাগজের ফুল দিয়ে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি করলাম পুষ্পস্তবক! সারারাত নির্দয় মশাদের কামড় আর ঘুমহীন কান্তি দূর হয়ে হয়ে গেলো আকাশে সকালের আভা দেখা দিতেই। নিজের বানানো পুষ্পার্ঘ্য নিয়ে যোগ দিলাম একুশে ফেব্রুয়ারির প্রভাতফেরিতে! কত আবেগ ও উত্তেজনায় টগবগ করতে করতে এগিয়ে যাই! বন্ধুরা এবং শিক্ষকদের প্রশংসায় নিজের শ্রমের কথা ভুলে যাই। আমার কাগজের ফুলকে কেউ এতটুকু গুরুত্বহীন মনে করে নি। সজীব ফুলের সাথেই অর্পন করেছিলাম আমার হাতে-বানানো কাগুজে ফুল। বারবার তাকিয়ে দেখছিলাম নিজের পরিশ্রমে তৈরি ফুলের তোড়াটি। নবম-দশম শ্রেণীর কথা। স্কুল জীবনে জাতীয় দিবস পালনের স্মৃতিগুলোই আমার স্বদেশ প্রেমের গাঁথুনি। আমার ধারণা অনেকের ক্ষেত্রেই একই কথা প্রযোজ্য হবে।
একুশের শোকাবহ উৎসবের আনন্দকে ম্লান করে দিয়ে ফের ৭২ঘণ্টার ব্রেকিং নিউজ আসলো। মঙ্গলবার পর্যন্ত আবারও হরতাল! প্রায় দু’মাস হতে চললো হরতাল আর অবরোধের। প্রতিটি সপ্তাহান্তে ভাবি, এবার হয়তো হরতাল আর আসছে না। হয়তো তারা জনদুর্ভোগ না ঘটিয়ে অন্য কোন উপায় বের করে থাকবে। অথবা হয়তো সরকার থেকে কোন বিশেষ উদ্যোগের কারণে হরতালের নতুন ঘোষণা আর আসবে না। এবার ঘোষণা আসতে একটু দেরি হওয়ায়, আমার প্রত্যাশাটি আরও শক্ত হয়। কিন্তু আবার তা মিথ্যা প্রমাণিত হলো।
অনেকে বলে রাত্রি যত অন্ধকার হয়, সকাল তত কাছে আসে। আর কত অন্ধকার হলে বলা যায়, রাতের শেষ?
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৬
বিদগ্ধ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অমর একুশে সফল হোক ।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪৮
বিদগ্ধ বলেছেন: ধন্যবাদ, কবি!
৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৩
শায়মা বলেছেন: খুব সুন্দর ভাইয়া।
একুশের স্মৃতি।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৮
বিদগ্ধ বলেছেন: হাহাহা.... স্মৃতি পড়েছেন, এজন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা।
৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৪
কলমের কালি শেষ বলেছেন: সুন্দর লেখনী । শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি ।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৮
বিদগ্ধ বলেছেন:
কলমের কালি শেষ:
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেকে বলে রাত্রি যত অন্ধকার হয়, সকাল তত কাছে আসে। আর কত অন্ধকার হলে বলা যায়, রাতের শেষ?
এইটেই মনে হয় বারবার।
শুভেচ্ছা।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫
বিদগ্ধ বলেছেন: সকালের অপেক্ষায় সমগ্র জাতি। অনেক ধন্যবাদ, প্রফেসর শঙ্কু।
৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪২
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: অমর একুশে সফল হোক ।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫
বিদগ্ধ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০৯
আবু শাকিল বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
ভাষা শহীদদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা ।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১০
বিদগ্ধ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৬
সুমন কর বলেছেন: লেখাটি ভাল লাগল।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১২
বিদগ্ধ বলেছেন: ভালো লাগায় আমিও খুশি।
৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৩
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: ভাষা শহীদদের প্রতি রইলো গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
দিনপঞ্জি ভালো লাগলো বিদগ্ধ। দেশপ্রেম, রাজনীতি, শব্দদূষণ, স্মৃতিচারণ অনেক কিছুই উঠে এসেছে লেখায়।
দিদির মমতা মাখানো বুলিতে স্বস্তি পাই না। প্রমাণ চাই।
হরতাল আর অবরোধের ফের বাঙালির আজন্ম সঙ্গী হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। রাজনীতিবিদদের বোধোদয় হোক। অমর একুশের শুভেচ্ছা রইলো।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৪
বিদগ্ধ বলেছেন: আপনি একজন মনযোগী পাঠক এবং লেখকের অন্তরে দৃষ্টি রাখেন। মন্তব্যে পুরো লেখার সারমর্ম দিতে চেষ্টা করেন। একজন লেখকের আর কী চাই!
ধন্যবাদ। দৈনিক কত ঘটনা পুঞ্জিভূত হয় মস্তিষ্কে... প্রতিদিন সবই লেখতে পারি না। আপনারা সঙ্গ দিলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
১০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৭
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: মহান একুশের শুভেচ্ছা।
বেশ ভালো লাগল।
ভালো থাকবেন।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৭
বিদগ্ধ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ.... আপনাকেও মহান একুশের শুভেচ্ছা!
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩২
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা।