![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার নাম বিদগ্ধ। সত্যের দাহে বিশেষভাবে দগ্ধ। আমি একজন বাংলাদেশী। ঢাকায় থাকি। নিজের অভিমত প্রকাশ করার জন্য ব্লগিং করতে চাই।
কয়েকটি দিন গেলো বাকরুদ্ধ অবস্থায়। কী বললে মনের ক্ষোভকে পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ করা যাবে, তা ভেবে পাচ্ছি না কিছুদিন যাবত। বারবার শুধুই মনে হচ্ছে, আমরা যতই লেখি তা পর্যাপ্ত হচ্ছে না এবং লক্ষ্যবস্তুকে স্পর্শ করতে পারছে না। মনে হচ্ছে, হয় ভালোভাবে লেখে যাবো, না হয় লেখালেখি বন্ধ করে দেবো।
ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি আসে উৎসবের বার্তা নিয়ে। একুশের শোকের মধ্যেও আমরা একাত্মতা প্রকাশের আনন্দে মেতে ওঠি। একই মাসে আসে বাঙালির বসন্ত উৎসব। লেখক পাঠক প্রকাশ, পুস্তক ব্যবসায়ী আর তরুণ প্রজন্মের জন্য আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে একুশের গ্রন্থমেরা। এসব উৎসব আমাদেরকে একত্রিত করবে এই হচ্ছে স্বাভাবিক প্রত্যাশা। কিন্তু নোংরা রাজনীতির কবলে পড়ে উৎসবই আমাদের জন্য দুঃখকষ্ট আর স্বজন-হারানোর উপলক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একটি সুষ্টু ও সুশৃঙ্খল সমাজ ব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো মত প্রকাশের সুযোগ এবং স্বাধীনতা। পরমত সহিষ্ণুতা হলো একটি সভ্য সমাজের প্রধান পরিচয়। মতের সাথে মতান্তর হবে, তার জন্য আছে বিতর্ক, আছে উপযুক্ত মাধ্যম। লেখা উত্তর আসবে লেখা দিয়ে। যুক্তির উত্তর আসবে যুক্তি দিয়ে
আজ পহেলা মার্চ, আমাদের স্বাধীনতার মাস। কিন্তু বাঙালির প্রথম স্বাধীনতার মাস হলো ফেব্রুয়ারি মাস, কারণ স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছে একুশের চেতনা থেকে। স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য যতগুলো হত্যাকাণ্ড, সবই ঘটেছে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে! বাঙালির স্বাধীন সত্ত্বা নিয়ে এ কী নির্মম পরিহাস! ভাষার মাস এলেই যেন ভাষা প্রকাশের জন্য জীবন দেওয়া রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশটিতে! মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা এবং মুক্তমনা ব্লগার অভিজিৎ রায়ের মৃত্যু আমাদেরকে অপরাধী করে। ফেস্টুন হাতে নিয়ে একবার প্রতিবাদ করেই আমরা শান্ত। যেন এটুকুই আমাদের দায়! হুমায়ুন আজাদ হত্যা বা রাজীব হত্যার পর যদি বিদগ্ধ লেখক-পাঠক সুধী সমাজ সোচ্চার হতে পারতো, আজ হয়তো অভিজিৎ হত্যা আমাদেরকে দেখতে হতো না।
০৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:০৮
বিদগ্ধ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে!
২| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ ভোর ৪:১৪
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আমরা আসলে কোন শোককেই শক্তিতে রূপান্তরিত করে প্রতিবাদী হয়ে উঠতে পারি নাই। আবেগের বশবর্তী হয়ে কিছু দিন আমাদের কিছুটা সোচ্চার দেখা গেলেও কয়েকদিন পরই নেতিয়ে পড়ে আগের জায়গায় ফিরে আসি। ফলে হুমায়ূন আজাদ এবং রাজীব এর মৃত্যুও আমাদের বেশী দূর তাড়িত করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলাফল অভিজিৎ হত্যা। এটাও ভুলে যাবো। আবার হয়তো আমাদের চেতনা জেগে উঠবে অন্য কারো খুনে। কয়টা খুন হলে আমাদের মানবতাবোধ, আমাদের চেতনা সম্পূর্ণ জেগে উঠবে বলতে পারেন?
০৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:১১
বিদগ্ধ বলেছেন:
==হুমায়ূন আজাদ এবং রাজীব এর মৃত্যুও আমাদের বেশী দূর তাড়িত করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলাফল অভিজিৎ হত্যা। এটাও ভুলে যাবো। ==
একদম ঠিক কথা বলেছেন! ধন্যবাদ।
৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০১
শায়মা বলেছেন:
০৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:১১
বিদগ্ধ বলেছেন: ধন্যবাদ, শায়মাজি!
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৪৫
মহান অতন্দ্র বলেছেন: বারবার শুধুই মনে হচ্ছে, আমরা যতই লেখি তা পর্যাপ্ত হচ্ছে না এবং লক্ষ্যবস্তুকে স্পর্শ করতে পারছে না ভাল লাগলো ।