![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার নাম বিদগ্ধ। সত্যের দাহে বিশেষভাবে দগ্ধ। আমি একজন বাংলাদেশী। ঢাকায় থাকি। নিজের অভিমত প্রকাশ করার জন্য ব্লগিং করতে চাই।
বিশ্ব নারী দিবসে বাংলাদেশের অনেক অহংকারের বিষয় আছে। নারীর জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কর্মসংস্থানে উন্নয়নকামী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় অগ্রগতি অর্জন করেন।
পাবলিক পরীক্ষায় বিগত কয়েক বছর ধরে ছেলেদের চেযে মেয়েরা ভালো ফলাফল করে আসছে আর ছেলেরা ভেরেণ্ডা ভেজে যাচ্ছে। ভেরেণ্ডা ভাজায় মজা আছে, ভবিষ্যত নেই। এদের সাথে আমাদের নেতাদের একটা মিল আছে, পরে বলছি। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষায় মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে আছে। পারম্পরিক সরকারগুলো নারী শিক্ষার জন্য নগদ আর্থিক সাহায্যসহ যাকিছু করণীয় তা-ই করেছে। ফলাফল হলো প্রাথমিক শিক্ষায় ভর্তির হার মেয়েদের ৯৮.১%, কিন্তু ছেলেদের ৯৫.৪%, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার মেয়েদের ৬৩.৬%, কিন্তু ছেলেদের ৫১.৬%। মোট নারী সংখ্যার ৫৭% অর্থনেতিকভাবে সক্রিয় হয়ে আয় করছেন। এতে উন্নত দেশসহ প্রতিবেশি দেশগুলো আমাদেরকে সমীহ করা শুরু করেছে। তারা আমাদের নীতিমালা থেকে শিক্ষা নিতে চায়। কিন্তু আমাদের সমাজের ছেলেদের মতো রাজনৈতিক নেতারাও ভেরেণ্ডা ভেজে যাচ্ছেন।
সবই হচ্ছে সরকারি, বেসরকারি এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগের সমন্বিত ফল হিসেবে। তবে আমাদের রাজনৈতিক নৈতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ অবদান এখানে অস্বীকার করা যায় না।
অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আর দেশ অচল করে দেবার মারমুখী মনোভাবের কারণে তারা যোগ্য স্বীকৃতিটুকু এবার হারাতে বসেছেন। ক্ষমতামুখী রাজনৈতিক নীতিমালার কারণে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব আজ নতুন প্রজন্মের চোখে অগ্রহণযোগ্য পর্যায়ে চলে গেছে। নিজ নিজ প্রতিপক্ষের প্রতি তাদের আচরণ দেখে তাদের রুচিবোধ নিয়ে প্রশ্ন জাগে।
গতকাল ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে ভাষণ দিতে গিয়ে একজন খ্যাতিমান নারী নেত্রী অন্য একজন খ্যাতিমান নারীকে তার সন্তানদেরকে কেন্দ্র করে অকথ্য ভাষায় গালি দেন। এসব বলতেও লজ্জা লাগে। আজ নারী দিবসের পত্রিকার প্রথম পাতায় সেসব গালি প্রচারিত হচ্ছে। অথচ, তারা উভয়েই সমাজের কাছে অনেক সম্মানের। যে দেশে নারীর প্রতি অপর নারীদের এরকম মনোভাব, সে দেশ যতই এগিয়ে চলুক না কেন, সেটি প্রশ্নের মুখে পড়বে।
---------------
উল্লেখিত সংখ্যা (জরিপ)সমূহ ৮ মার্চের ডেইলি স্টার থেকে উদ্ধৃত।
০৯ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫
বিদগ্ধ বলেছেন:
=অনেক ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষদের চাইতে বেশী বৈষম্যের শিকার হয় নারী কর্তৃক।=
খাঁটি কথা বলেছেন। ধন্যবাদ।
২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় কোথাও না কোথাও ঘাপলা আছে, চোখে যা পড়তেছে, তা না। অন্যকিছু।
নারী, পুরুষ সবই সেম, দুই টাইপই তো আসলে মানুষই।
আপনারেও শেষ প্যারায় ভালোলাগা দিলাম। ইদানিং দেখি সব পোস্টের শেষে ভালোলাগা খুইজা পাই।
০৯ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭
বিদগ্ধ বলেছেন:
ঘাপলা তো আছেই, এবং এটি সবদেশেই কিছু-না-কিছু আছে। সকল ঘাপলা নিয়েও সার্বিক অগ্রগতি ভালো। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নিন।
‘ভালো লাগা’ দেযার জন্য আবারও ধন্যবাদ।
৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম
০৯ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭
বিদগ্ধ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯
রোদেলা বলেছেন: যে দেশে নারীর প্রতি অপর নারীদের এরকম মনোভাব, সে দেশ যতই এগিয়ে চলুক না কেন, সেটি প্রশ্নের মুখে পড়বে।
এদের শেখার আছে অনেক কিছু,কিন্তু কপাল এদের শেখাবেটা কে?
০৯ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮
বিদগ্ধ বলেছেন: -সেটাই তো ভাবনার বিষয়। আপনাকে ধন্যবাদ।
৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ২:২৮
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ
১০ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯
বিদগ্ধ বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকেও।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ শুধু পুরুষরাই করে না। বরং অনেক ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষদের চাইতে বেশী বৈষম্যের শিকার হয় নারী কর্তৃক। প্রমাণ হিসাবে আপনারও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।