![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার নাম বিদগ্ধ। সত্যের দাহে বিশেষভাবে দগ্ধ। আমি একজন বাংলাদেশী। ঢাকায় থাকি। নিজের অভিমত প্রকাশ করার জন্য ব্লগিং করতে চাই।
অফিসের সময় খেলা দেখা যায় না, শুধুই স্ট্যাটাস দেখে হা-হুতাশ করা যায়। তারমধ্যে যদি নিজ দেশ ভালো খেলতে শুরু করে তবে তো অস্থিরতার অন্ত নেই। কিন্তু গতকালের খেলা ছিল উত্থান আর পতনের খেলা। অবশেষে বাংলাদেশের বহুল প্রত্যাশিত মূল্যবান বিজয়ের প্রেক্ষাপটে কিছু মজার ঘটনার মুখোমখি হয়েছি, গতকাল এবং আজ।
খেলা সম্পর্কে বাসা থেকে এসএমএস দিয়ে নিয়মিত আপডেট জানাচ্ছে আমার পরিবারের এক সদস্য। ইন্টারনেটে স্ট্যাটাস দেখে শান্তি নেই, ৫ মিনিট দেরিতে খবর আসে। খবর পেতে পেতে অনেক খবর আগেই হয়ে যায়। গতকালও তাই হয়েছে। ইংল্যান্ডের উইকেট পড়ছেই না। হঠাৎ দেখি ১৭৫ রানে ৬ উইকেট! বাসায় রাগ করে ফোন দিলাম, কেন খবর দিতে দেরি করলো! বাসা থেকে জানালো, বাংলাদেশের পরিস্থিতি খারাপ দেখে তারা কার্টুন দেখতে শুরু করেছিল। বুঝুন, কেমন দায়িত্বশীল দর্শক!
যা হোক, বিকাল ঠিক পাঁচটায় অফিস থেকে বের হলাম একটি আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক সভায় যোগ দিতে। গন্তব্য গুলশান থেকে কারওয়ান বাজার। গাড়ির রেডিওতে খেলার ধারাভাষ্য শোনার সুযোগ পেয়ে নিশ্চিন্তে হেলান দিয়ে বসলাম। ইংল্যান্ড ২১৫, উইকেট আর পড়ে নি। খেলা পুরোপুরি ইংল্যান্ডের হেফাজতে। কমপক্ষে দু'টি উইকেট এখনই না পড়লে বাংলাদেশের বিজয় অনিশ্চিত। ভাষ্যকারের কণ্ঠে হতাশা। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাংলাদেশ দু'টি উইকেট পেলেও পুরাতন জুটির একজন রয়েই গেছে। ফলে অনিশ্চয়তা কাটছে না ৭ উইকেট পাবার পরও। ইংল্যান্ড ২৩০ এর ওপরে। এদিকে 'হরতাল আর খেলার' কারণে রাস্তা প্রায় খালি। পৌঁছে গেলাম নির্ধারিত সময়ের ২০ মিনিট আগে! পড়লাম বিপদে। গাড়ি থেকে নামলেই খেলা থেকে বিচ্ছিন্ন। অতএব ড্রাইভারকে বললাম নিরাপদ স্থানে পার্ক করতে, যেন গাড়ি থেকে না নামতে হয়। ভাষ্যকার জাফরুল্লাহ শারাফত, ওদিকে বোলার হলেন রুবেল। রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতিতে শেষ দু'টি উইকেটের পতনে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হলো। গাড়ি থেকে বের হলাম। চারদিকে হইহই রব। ড্রাইভার, যাত্রী, ফেরিওয়ালা, দারোয়ান - সমস্বরে হর্ষধ্বনি। বিভিন্ন দিক থেকে ঢোল-ঢক্কি ও বিজয় মিছিলের শব্দ পাচ্ছি।
এর সাথে একটি মজার ঘটনা না বললেই নয়। সভাকক্ষে এসে দেখি ৮জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি অনুপস্থিত। প্রায় ১৫মিনিট দেরিতে এসে তিনি জানালেন যে, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অভাবনীয় বিজয়ে খুশি হয়ে তার অফিসের সহকর্মীরা বায়ান্ন হাজার টাকা ওঠিয়েছে কেবল মিষ্টি খাওয়া বাবদ। 'যা কী খাবি কিনে খা' বলে সহকর্মীরা খুশি হয়ে যে টাকা ছুড়ে দেয়, তা হিসাব করলে মোট দাঁড়ায় বায়ান্ন হাজার টাকায়। এসব নিয়ে মজা করতে করতে তার দেরি হয়ে গেলো। এই সংবাদে সভা স্থগিত করে দিয়ে, সকলে আবারও বাংলাদেশের বিজয়ে নিজ নিজ অনুভূতি প্রকাশ করার সুযোগ পায়।
ঘটনার পরের ঘটনা। বিজয় মিছিল করার জন্য আন্দোলনকারীরা ১২ঘণ্টার জন্য হরতাল প্রত্যাহার করেছে। আজ সকালে অফিসে এসে সহকর্মীদেরকে সেই বায়ান্ন হাজার টাকার খবর দিয়ে পড়লাম নতুন ফ্যাসাদে। তারা তৎক্ষণাৎ টাকা সংগ্রহ করতে শুরু করলো। প্রায় সকলেই নিজ নিজ পকেট থেকে একশ' টাকা, দু'শ টাকা, পাঁচশ' টাকা বের করতে শুরু করেন। আনন্দ কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে, তা দেখে মজা পেলাম। জয় হোক বাঙালির, জয় হোক বাংলাদেশের।
১০ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০০
বিদগ্ধ বলেছেন: আহা প্রাণের বাংলাদেশ। বিজয়ে/পরাজয়ে বুঝি তোমায় কত ভালোবাসি!
২| ১০ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০৩
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: আমার অফিসেও একই অবস্থা, খেলা দেখতে পারি নি শুধু ধারাভাষ্য শুনেছি, তবে বসায় গিয়ে দারুন ভা্বে উৎযাপন করেছি বাংলাদেশের বিজয়।
১০ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০১
বিদগ্ধ বলেছেন: বাঙালি সুখের দিন। আহা এমন দিন যদি প্রতিদিন হতো!
৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯
অবিবাহিত ছেলে বলেছেন: এই খুশিতে আমাদের অফিসে ভুনা খিচুরী আর গরুর মাংসের ভুনার আয়োজন করা হয়েছে । সবাইকে দাওয়াত ।
১০ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০২
বিদগ্ধ বলেছেন: দাওয়া দিতে পারলাম না, তাতে আরও লোকসানের সম্ভাবনা
৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: কী একটা দিন গেলো গতকাল!
১০ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০৩
বিদগ্ধ বলেছেন: বাঙালি হিসেবে এক হবার দিন। বিশ্বকাপের আনন্দ বাঙালি পেয়ে গেছে
৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
কিক্রেটের বড় একটা দিন গেল কাল।
১১ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯
বিদগ্ধ বলেছেন: বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য গৌরবোজ্জ্বল দিন। ধন্যবাদ।
৬| ১০ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রতিটি বলের মেধা ও গুণাগুন যাচাই করে শুধু বিজয় দেখেছি ।
ভয় লেগেছে মনোবল হারাইনি মোটেও ।
সত্যি উদযাপনের দিন ।
১১ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০
বিদগ্ধ বলেছেন: “ভয় লেগেছে মনোবল হারাইনি মোটেও।"
-হাহাহা! খুবই ভালো। অভিনন্দন!
৭| ১০ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮
যুগল শব্দ বলেছেন:
খেলার শেষ অংশটুকু অফিসেই দেখেছি।
কলিগ আর বসেরা মিলে আনন্দ করেছি!
মিষ্টি খাইতাম চাই, :!>
১১ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১
বিদগ্ধ বলেছেন: সেদিন রাস্তায় নামলেও অনেক মিষ্টি খেতে পারতেন। এখন সেমিফাইনালের অপেক্ষায় থাকুন।
৮| ১০ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:১৬
প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার বিজয় মিষ্টি খাওয়ার কহিনী। ধন্যবাদ
১১ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩
বিদগ্ধ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ১১ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৫০
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: কাফফারা কত দিলেন সেটা কিন্তু বলেন নাই।
তবে এমন কাফফারা বাংলাদেশের সব কয়টা খেলাতে দিতে পারলে আরও ভালো লাগবে। আপনি একজন উচ্চশ্রেণীর দর্শক অথচ আপনার বাসায় কিনা .................। বুইঝা লন।
১১ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭
বিদগ্ধ বলেছেন: কাফ্ফারার পরিমাণটাই বড় হলো?
শুনুন, আত্মপ্রচার হবার ভয়ে পরিমাণ বলি নি।
আমাকে উচ্চশ্রেণীর দর্শক বলার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, কারণ আমি বাংলাদেশ ভালো না খেললে খেলায় মনোযোগ দেই না। অতএব আপনার বাকিসব ধারণা ঠিক!
আপনি অনেক মনযোগী পাঠক, তা বোধহয় আগেই বলেছি কোথাও।
১০| ১১ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:০৩
জাফরুল মবীন বলেছেন: জাতির ইতিহাসে আরেকটি অর্জন ও আনন্দের দিন যোগ হলো।
১১ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮
বিদগ্ধ বলেছেন: সত্যিই তাই। আনন্দের দিনগুলো সংখ্যায় কম হওয়ায়, মনে থাকবে বেশি। ধন্যবাদ।
১১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আবার আসছে। ১৯ তারিখ। কাঁপিয়ে দেব বিশ্ব
১৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪
বিদগ্ধ বলেছেন: অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
সকল শুভ কামনা একসাথে জড়ো করলাম বাংলাদেশ টিমের জন্য
১২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭
ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: অফিসের গুগল ম্যাপ দেন, ১৯ তারিখের কাফফারায় সামল হব.
১৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬
বিদগ্ধ বলেছেন: আপনার মুখে ফুলচন্দন পড়ুক - আসুক সেই উপলক্ষ!
আমার কর্মস্থলে অনেকেই মানত করতে শুরু করে দিয়েছে
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহাহা
কার্টুন দেখা শুরু করেছে ...
হাহাহাহা আমি এই কাজ টা করি চাপ নিতে পারি না ...
কিন্তু আমার হাসবেন্ড একদম তীর্থের কাক বিজ্ঞাপন বিরতি ও নরে না যদি কিছু মিস হয়ে যায় ...
আহা বাংলাদেশ প্রানের বাংলাদেশ