![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার নাম বিদগ্ধ। সত্যের দাহে বিশেষভাবে দগ্ধ। আমি একজন বাংলাদেশী। ঢাকায় থাকি। নিজের অভিমত প্রকাশ করার জন্য ব্লগিং করতে চাই।
আমার বিগত পোস্টে যুক্তিবাদীদেরকে নিশ্চুপ থেকে খেলা দেখার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। অনেকে একে যুক্তি-বিবর্জিত মনে করতে পারেন। ক্রিকেট দক্ষতার খেলা, নৈপুণ্যের খেলা - একই সাথে এটি আবেগ এবং মনস্তাত্ত্বিক খেলা। এটি পরিসংখ্যান সৃষ্টির খেলা, পূর্বের পরিসংখ্যানকে সত্য প্রমাণ করার খেলা নয়। রেকর্ড সৃষ্টি হবে, রেকর্ড ভাঙ্গা হবে। ক্রিকেট গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা - অর্থাৎ ক্রিকেট যুক্তিখণ্ডনের খেলা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে যুক্তি নয়, পরিসংখ্যান নয়, কুযুক্তিরই জয় হলো। বাংলাদেশ হারলো কুযুক্তি আর বোধহীন বাণিজ্যিকীকরণের কাছে। ক্রিকেট একটি খেলা, একে খেলা হিসেবে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। একটি ভয়ংকর প্রবণতা আমরা দেখতে পাচ্ছি। পরিণতি হাতেনাতে দেখতে পাচ্ছি: বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি নিরুত্তাপ ফাইনাল আমরা আজ পেলাম।
এউপলক্ষ্যে দু'দেশের সমর্থকদের মধ্যে একটি স্নায়ূ যুদ্ধ হয়ে গেলো। একজন ভারতীয় শিল্পী, রূপম ইসলাম, যার শিল্পী সত্ত্বার জন্ম হয়েছিল বাংলাদেশি শিল্পীর (আইয়ুব বাচ্চু, ম্যাক/মাকসুদ প্রমুখ) হাতে এবং যার খ্যাতির সৃষ্টি এদেশে, সেও এযুদ্ধে অংশ নেয় অবশেষে। একজন চিত্রনায়ক, প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি, বাংলাদেশেও যার খ্যাতি আছে, টাইগারকে বেড়াল ভেবে বসলেন। অবশেষে দু'জনই ক্ষমাপ্রার্থী হয়েছেন।
ক্রিকেট হয়ে গেছে বাণিজ্যিক পণ্য, যার আছে ক্রেতা-বিক্রেতা সত্তা। ভারতীয় দর্শক খেলা না দেখলে কেন ভারতীয় বাণিজ্যিক সংস্থাগুলো আইসিসিকে আর্থিক সহায়তা দেবে? এটা একটা ব্যবসায়িক যুক্তি বটে। কমপক্ষে সেমিফাইনাল পর্যন্ত ভারতকে জিইয়ে না রাখলে ভারতীয় দর্শকেরা খেলা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। ফলে তাদের বিজ্ঞাপনগুলো দর্শক হারাবে। অতএব, যেকোন মূল্যে ভারতকে সেমিফাইনালে রাখার জন্য ভেনু বদলাও, রিশেডিউল করো, আমপায়ার বদলাও, প্রয়োজনে ম্যানিউপুলেট করো। এসব দেশে বাংলাদেশ শুরু থেকেই পড়ে যায় মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বে। আমপায়ারের প্রতিটি সিদ্ধান্ত চলে যায় বাংলাদেশের বিপক্ষে। কোণঠাসা হয়ে পরে টাইগাররা।
পরিণতি খুবই খারাপ হলো। টাইগাররা ইতোমধ্যেই কনসিস্ট্যান্টলি খেলতে শুরু করেছিল। স্কটল্যান্ড অথবা ইংল্যান্ড অথবা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলে তারা যে নৈপুণ্য ও আত্মবিশ্বাস এবং সামর্থ্য দেখিয়েছে, ততটুকু শক্তিমত্তা তারা ভারতের বিপক্ষে দেখাতে ব্যর্থ হয়। কারণ খেলার পূর্বেই ভারতকে জয়ী করে দেওয়া হয়েছিল। সঙ্গতকারণেই বাংলাদেশ তার শ্রেষ্ঠ খেলা দিতে পারে নি।
এই অবিচারের জবাব দিতে হবে মাঠেই। ট্রল ছবি, আর নোংরা কাঁদা ছুঁড়াছুঁড়ি করলে খেলার আগেই খেলা সাঙ্গ হবে। আমাদের খেলোয়াড় এবং ক্রিকেট কর্তৃপক্ষের যদি সামান্যতম দেশপ্রেম থাকে, তবে এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে ক্রিড়া ব্যবস্থাপনাকে ঢেলে সাজাতে হবে। অনিয়ম ও অবহেলাকে ঝেড়ে ফেলে নতুন উদ্যমে খেলোয়াড়দেরকে শারীরিক খসরত করতে হবে। কোয়ার্টার ফাইনালের বেদনাময় স্মৃতিকে প্রেরণা হিসেবে নিতে হবে। চার বছর আগে থেকেই পরবর্তি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে হবে। আগামি বিশ্বকাপে আমরা এর সুফল দেখতে চাই।
৩১ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
বিদগ্ধ বলেছেন:
ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯
সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন।