নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোরহান উদ্দিন রুবেল

বোরহান উদ্দিন রুবেল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র

বোরহান উদ্দিন রুবেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

হায়রে বুদ্ধিজীবীরা ! হায়রে রাজনীতিবিদরা !

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:২১

হায়রে বুদ্ধিজীবীরা ! হায়রে রাজনীতিবিদরা !
বোরহান উদ্দিন রুবেল

এই লেখাটি লেখা মূলত বাংলাদেশের থার্ড এঙ্গেলের বুদ্ধিজীবী আর বি এন পি ( BNP ) মার্কা রাজনীতিবিদদের নিয়ে । তাঁদের সম্পর্কে বলার আগে হিটলারের সময়ের একজন ক্যাপ্টেন ও ধর্মযাজক মার্টিন নায়েমোলার এর কিছু কথা বলে নেই । জার্মান যখন ১ম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তখন তাঁদের যে দুর্ধর্ষ ইউবোট ( সাবমেরিন ) বহর ছিল তিনি তার ডাকসাইটের ক্যাপ্টেন ছিলেন । জার্মান জাতির মধ্যে তাকে নিয়ে অনেক কল্পকাহিনীর প্রচার আছে । মূলত জার্মান জাতির মনোবল বৃদ্ধি করার জন্য এই কাহিনীগুলো প্রচার হতো । তিনি যুদ্ধ শেষে নৌবাহিনী ছেড়ে যাজকবৃত্তি গ্রহন করেন । প্রথম দিকে তিনি হিটলারের রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন । নাৎসি বাহিনীর অত্যাচার দেখে তিনি ১৯৩৩ সালের প্রথম দিকে নাৎসিদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করে । ১৯৩৪ সালে যাজকদের রক্ষার জন্য ‘ সিনোড’ বা যাজক সমিতি গঠন করেন । তৎকালীন সময়ে হিটলারের বিরুদ্ধে কথা বলার প্রতীক হয়ে দাঁড়ায় এই যাজক সমিতি । ১৯৩৩-৩৭ পর্যন্ত বহু সভা , সেমিনার ও প্রবন্ধে হিটলারের অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে । ১৯৩৮ সালে হিটলার তাকে গ্রেপ্তার করে ‘ কসেনট্রেশন ক্যাম্প ’বা বন্দি শিবিরে পাঠায় । ২য় বিশ্বযুদ্ধে জার্মান পরাজয়ের পর ১৯৪৫ সালে তাকে মুক্তি দেয়া হয় । মুক্তি পাওয়ার পর ১ম বিশ্বযুদ্ধ থেকে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত তার অবস্থান সম্পর্কে একটি সারমর্ম দেন ............ এভাবে
প্রথমে ওরা কমিউনিস্টদের ধরতে এলো / আমি প্রতিবাদ করিনি , কারন আমি কমিউনিস্ট ছিলাম না ।
তারপর তারা এলো ট্রেডউনিস্টদের পাকড়াও করতে / আমি কিছু বলেনি , কারন আমি ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম না ।
তারপর তারা এলো ইহুদীদের গ্রেপ্তার করেতে / আমি কিছু বলিনি , কারন আমি ইহুদি ছিলাম না ।
তারপর তারা ধরতে এলো ক্যাথলিকদের / আমি প্রতিবাদ করিনি , কারন আমি ছিলাম প্রোটেস্ট্যান্ট।
সবশেষে তারা এলো আমকে ধরতে কিন্তু ততদিনে আমার হয়ে প্রতিবাদ করার কেউ অবশিষ্ট ছিল না।
( সিরাজুল ইসলাম স্যারের লেখা থেকে নেয়া )

এই কথাগুলো এই জন্য বললাম বর্তমানে বাংলাদেশে এমন একটি অবস্থা বিরাজ করছে । একটি দলের উপর অত্যাচার চালানো হলে অন্য দল বা তাঁদের টাইপের বুদ্ধিজীবীরা প্রতিবাদ করেনি কারন তারা ভাবে আমাদের উপর তো আর অত্যাচার করা হচ্ছে না । বর্তমান সময়ে যদি বলা হয় বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী অত্যাচারিত বা নিপীড়িত দল কোনটি , তাহলে যে কেউ বলবে তা হল জামায়াত ইসলামী । তাঁদের এই অত্যাচারে তারা ছাড়া কার্যত বাংলাদেশের অন্য কোন দল বা কোন বুদ্ধিজীবীরাও প্রতিবাদ করেনি । এমনকি তাঁদের জোট অর্থাৎ ২০ দলীয় জোট থেকেও কার্যত কোন প্রতিবাদ করা হয় নি । বি এন পি হয়তো ভাবছে তাঁদের কোন নেতাকে তো ফাঁসি দেয়া হচ্ছে না , তাঁদের কাউকে তো গুলি করে হত্যা করা হচ্ছেনা , তাঁদের কারো তো ঘর-বাড়ী বুলডোজার দিয়ে ঘুরয়ে দিচ্ছে না । সুতরাং তারা কন প্রতিবাদ করবে ? এই কারনে প্রতিবাদ তো দূরের কথা কোন নিন্দা পর্যন্ত জানায় নি । কিন্তু তাঁদের এই প্রতিবাদ না করায় তাঁদের নেতা কর্মীদের হত্যা করা শুরু হয়েছে , ঘর-বাড়ী ভাঙ্গা শুরু হয়েছে ও গ্রেপ্তার বাণিজ্য শুরু করেছে । এখন শুধু বাকী আছে ফাঁসি দেয়া । তারা যদি এটার প্রতিবাদ না করে তখন তাঁদের নেতা কর্মীদের ফাঁসি দেয়া হবে । তখন প্রতিবাদ করার কেউ থাকবে না । আপাত দৃষ্টিতে হয়তো যুবদলের সভাপতিকে ছেড়ে দিয়েছে , ঢাকা মহানগরীর আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে গ্রেপ্তার করেনি , দলীয় প্রধানকে সম্মানের সহিত বাড়িতে ফিরতে দিয়েছে কিন্তু এমন সময় তাঁদের পাকড়াও করা হবে। তখন হয়তো তাঁদের কারাগারে দেখতে যাওয়ার লোকও থাকবে না । আর থার্ড এঙ্গেলের যারা বুদ্ধিজীবী আছেন তারা যদি এই অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে কথা না বলে তাহলে তারা (সরকার) অনেক মান্নাকেই গ্রেপ্তার করে অস্বীকার করবে । তাকে তো পরে আদালতে উঠানো হয়েছে এখন যাদের ধরবে তাঁদের আদালতে উঠানোই হবে না । তাই সময়ের দাবি হল যথা সময়ে প্রতিবাদ করতে হবে । তা নাহলে ভিন্ন মতের বা পথের বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদদের অচিরেই অস্তিত্ব সংকটে পরবে আর গনতন্ত্র নামক শক্তিটির কবর রচিত হবে ।

শিক্ষার্থী : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:

ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে গরুও ভর্তি হচ্ছে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.