![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিন রাত্রি পার হয়ে, জন্ম মরণ পার হয়ে, মাস, বর্ষ, মন্বন্তর, মহাযুগ পার হয়ে চ'লে যায়, ... তোমাদের মর্মর জীবন-স্বপ্ন শেওলা-ছাতার দলে ভ'রে আসে, পথ আমার তখনও ফুরায় না... চলে... চলে... চলে... এগিয়ে চলে... অনির্বাণ তার বীণ শোনে শুধু অনন্ত কাল আর অনন্ত আকাশ... সে পথের বিচিত্র আনন্দ-যাত্রার অদৃশ্য তিলক তোমার ললাটে পরিয়েই তো তোমায় ঘরছাড়া করে এনেছি!... চল এগিয়ে যাই।
ছবিতে দেখুন কিভাবে বাবার বয়সী, শিক্ষক তুল্য ডাক্তারকে পিটিয়ে আসার উল্লাস প্রকাশ করা হয়েছে। অথচ বারডেম হাসপাতালে মারা যাওয়া সেই রুগীর পরিবার কি নির্লজ্জ মিথ্যাচারটাই না করেছে সাংবাদিক সম্মেলনে! বলা হয়েছে, “অভিযোগ থেকে বাঁচতে বারডেম চিকিৎসকদের নাটক”। হায়, হলুদ সাংবাদিকরা সেটা আবার শিরোনামও করেছে। সাংবাদিক সম্মেলনের লিঙ্ক।
ফেসবুকে এই পোস্ট ছড়িয়ে পড়ার কিছু সময় পর স্টাটাস দাতা তার পোস্টটি সরিয়ে ফেলেন এবং আইডি ডিএক্টিভেট করেন।
এখন আসুন একজন প্রত্যক্ষদর্শীর কাছে থেকে জেনে নিই সেই জঘন্য মিথ্যাচারের বয়ান, পয়েন্ট বাই পয়েন্ট। নিরাপত্তার খাতিরে লেখকের নাম আপাতত গোপন রাখা হল। আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখবেন, এই যুদ্ধে আমরা (ডাক্তাররা) খুব একা। প্রশাসন, মিডিয়া, বিএমএ, সুশীল সমাজ, এমন কি আমাদের সিনিয়র ডাক্তাররাও আমাদের পাশে এসে দাঁড়াবেন না। উল্টো পদে পদে আমাদের থামাতে চেষ্টা করবেন, বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন। মাইন্ড ইট। তাই সর্বোচ্চ শেয়ার করুন। চিকিৎসক সমাচার এই ইস্যুতে বারডেমের আন্দোলনরত ডাক্তারদের পাশে সব সময় থাকবে। অফলাইন এবং অনলাইনে। আন্দোলনরতদের প্রতি অনুরোধ, আমাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। অন্যান্য পেইজ এবং গ্রুপগুলোর প্রতি আবেদন, অন্তত এই ইস্যুতে এক হন।
“হাসপাতাল এ দায়িত্ব পালন রত অবস্থায় কোন রোগীর মৃত্যু হলে তা খানিকটা হলেও একজন চিকিৎসক কে মানসিকভাবে আক্রান্ত করে। কিন্তু পেশাটাই এমন যে আপনি চাইলেও মন খারাপ করে বসে থাকতে পারবেন না। চিকিৎসক হিসেবে মৃত্যু কে আমরা খুব কাছ থেকে দেখি। বিগত ১৩/০৪/২০১৪ তারিখে বারডেম হাসপাতাল এর ১৩ তালায় এক রুগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যে তাণ্ডব ও অত্যাচার কর্তব্যরত চিকিৎসক এর উপর হয়েছে তার চাক্ষুষ সাক্ষী আমি। ঘটনা কি হয়েছিল সেটা আমাদের মিডিয়া এর কল্যাণে সবাই জেনে গেছেন। রোগী'র পরিবার আজ জাতীয় প্রেস ক্লাব এ আজ সংবাদ সম্মেলন ও করেছেন। এই সম্মেলনে নিজেদের ভুল ঢাকার জন্য অসংলগ্ন কোন তথ্য দিতে তারা দ্বিধা বোধ করেননি।
১। "আমার বাবা ভর্তি ছিলেন ১৩ তলায়। অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, আমরা ৫ম তলায় ভাংচুর করেছি এবং চিকিৎসকদের লাঞ্ছিত করেছি। "
- আজ সকাল এই বারডেম থেকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। ওইখানে কোথাও ৫ম তলা'র কোথা বলা হয় নাই। উনি এই তথ্য কোথা থেকে পেয়েছেন সেটা বোধগম্য নয়। এক দিক দিয়ে চিন্তা করলে ঠিক ই আছে। উনারা তো ৫ম তলায় ভাংচুর করেন নাই, করেছেন ১৩ তালায়। উনি জানেন ই ভুল। তাই দিয়েছেন ভুল তথ্য।
২। "ভুল চিকিৎসায় আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে- এটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বীকার
করে কোনো টাকা না নিয়েই আমার বাবার লাশ দিয়ে দিয়েছে।"
- ৫০ জন সন্ত্রাসী ও পুলিশ নিয়ে যে অত্যাচার চালিয়েছেন ওই মুহূর্তে আপনাদের
কাছে টাকা চাওয়ার ভুল বারডেম কেন, পৃথিবীর অন্য কোন হাসপাতাল করবে কিনা সন্দেহ আছে।
৩। "হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসকদের লাঞ্ছিত করা বা ভাংচুরের কোনো তথ্য-
প্রমাণ দিতে পারবে না বলেও দাবি করেন তিনি"
- সি সি টিভি ফুটেজ দেখলে নিজেরাই লজ্জা পাবেন। বাধ্য করলে শাহবাগ মোড়ে এল সি ডি স্ক্রীন এ দেখানোর ব্যবস্থা করা হবে।
৪। "১৩ এপ্রিল বিকেল চারটার দিকে হঠাৎ আমার বাবার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এ সময় তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে চিকিৎসকরা অক্সিজেন নল দিয়ে চলে যান।"
- শ্বাস কষ্ট হলে অক্সিজেন দিতেই হয়। ভুল কিছু তো করে নাই। অক্সিজেন দেওয়া রোগীর মৃত্যুর কোন কারণ না।
৫। "মৃত্যুর পর আইসিইউ-এর চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, অক্সিজেন নল দেওয়ার
সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি করা জরুরি ছিল। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক এ বিষয়ে কিছু বলেননি।"
- ডাহা মিথ্যা কথা। আই সি ইউতে ভর্তির উপদেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বারডেম এর আই সি ইউ তে কোন বিছানা খালি না থাকায় বাইরের কোন আই সি ইউতে নিয়ে যাওয়ার উপদেশ বিকেল বেলাতেই দেওয়া হয়।
৬। "ইসিজি মেশিন নষ্ট ছিল এমন অভিযোগ করে নাসরিন বলেন, দায়িত্বরত চিকিৎসক সোয়া আটটা ও নয়টায় দু’টি ইসিজি করেন। রিপোর্ট দু’টির মধ্যে কোনো মিল ছিল না।"
- খুব স্বাভাবিক ।
রোগী মারা যাওয়ার ঠিক পর মুহূর্তে করা ইসিজি আর ১ ঘণ্টা পর করা ইসিজি কখনই এক হবে না।
উলটা পালটা তথ্য দিয়ে নিজেদের ভুল ডাকার আগে অন্তত ইসিজি নিয়ে পড়াশোনা করে আসা দরকার ছিল। এই তথ্য দিলে কোর্টেও মামলা টিকবে না।
৮। "এ সময় চিকিৎসার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন আনোয়ার হোসেন ও কল্যাণ দেবনাথ। এ দু’জনই ছাত্র বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।"
- অসম্পূর্ণ তথ্য। তারা ছাত্র তবে এম,ডী কোর্সের ছাত্র। আরও একজন মহিলা মেডিকেল অফিসার ও দায়িত্বে ছিলেন যাকে আপনার স্বজন রা বাথরুম থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে অপদস্থ করেছেন। তার কথা ভুলে গেলেন কিভাবে?”
(ফেসবুকের চিকিৎসক সমাচার পেজের পোস্ট থেকে সংগৃহিত এবং সম্পাদিত)
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০৪
ক্যাপটেন জ্যাক স্প্যারো বলেছেন: ১৮৫৭ সালে "You furnish the pictures and I’ll furnish the war." এই কথা বলে আমেরিকা আর স্প্যানিশদের মাঝে যুদ্ধ বাধান William Randolph Hearst।
আর বর্তমানে সংবাদিকরা,"তোমরা আমাকে হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর সংবাদ এনে দাও, আমি মিডিয়ার কাটতি হাজার গুণ বাড়িয়ে দেব এবং ডাক্তারদের নিচ দিয়ে চিকিৎসা বিদ্যা ভরে দেব।" এই ফর্মুলাতে কাজ করছে।
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:২৪
রিফাত ২০১০ বলেছেন: রাজীব দে সরকার বলেছেন খুব কি কঠিন দোষীদের শাস্তি দেয়া?
ছবি নাম ঠিকানা সবই তো আছে।
আর সাহস কতো বড়, সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা কথা বলে
আর শু*** বাচ্চা সাংবাদিক গুলা তো আছেই।
এই সাংবাদিক গুলো সবচেয়ে বেশি বদমাশ । কোন কিছু হতে না হতেই রিপোর্ট করে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু। এই এসব নিউজ পড়ে সাধারণ মানুষের মনে ধারণার জন্ম নেয় ডাক্তার ইচ্ছা করেই রোগী মেরে ফেলছে।
এই সাংবাদিক গুলোর যোগ্যতা কি? একজন সাংবাদিক যদি কোন রকম ইনভেস্টিগেশন ছাড়া জেনে যায় ডাক্তার রোগী মেরে ফেলেছে তাহলে তাদের সাংবাদিক হওয়ার দরকার কি? ডাক্তারি করলেই তো পারে। শালারা সব জায়গায় হলুদের গন্ধ খুঁজে।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১১
ক্যাপটেন জ্যাক স্প্যারো বলেছেন: এই টাইপের সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করার চেয়ে সংবাদ তৈরীতে ওস্তাদ। অনলাইনে প্রকাশের জন্য একটা সাইট বানাইলাম, আর ঘরে বসে সংবাদ বানাইয়া বিক্রি করলাম। অত্যন্ত লাভ জনক ব্যবসা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:০৬
রাজীব দে সরকার বলেছেন:
খুব কি কঠিন দোষীদের শাস্তি দেয়া?
ছবি নাম ঠিকানা সবই তো আছে
আর সাহস কতো বড়, সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা কথা বলে
আর শুয়ারের বাচ্চা সাংবাদিক গুলা তো আছেই