নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ম্যায়াও একটি নিস্পাপ শব্দ

ম্যাঅ্যাও. একটি নিষ্পাপ শব্দ

ক্যাটম্যান

আমি ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি চিন্তিত। ঐ বিষয়ে লেখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে সত্যকে সত্য বলার একটা চেষ্টাও করি। কারো ভাল না লাগলে কিছু করার নাই।

ক্যাটম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বজুড়ে নিউক্লিয়ার ক্ষেপ্রনাস্র

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২০



আমেরিকা, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পারমাণবিক শক্তিধারী দাবি করে যে তাদের কাছে যে পরিমান ক্ষেপ্রনাস্র আছে তা প্রকাশ্য। অবশ্য তা কতটা বিশ্বাস যোগ্য তা বলা মুশকিল। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর থেকে কিছু দেশ বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত তাদের সামরিক শক্তি বাড়াতে শুরু করে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল পারমাণবিক বোমা। কেননা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান এই পারমাণবিক ক্ষমতার কারনে নতি স্বীকার করে, যা হিরোশিমা ও নাগাসাকির মত শহরকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল প্রায়।



এখন এটা বলা বাহুল্য যে একটা দেশ যখন পারমাণবিক ক্ষমতার অধিকারি হবে তা তাদের সকল দিক দিয়ে উপরে তুলে রাখবে। তা ছাড়া প্রযুক্তির প্রসার বিশেষ করে স্যাটেলাইট স্থাপন, চাঁদে যাওয়ার ব্যপারটা সোভিয়েত আর আমেরকা অনেকটা প্রতিযোগিতার মত করেছে। তবে কিছু তথ্য জানা যায় যে মার্কিন, সোভিয়েত আরও কিছু দেশ যারা পারমাণবিক ক্ষমতার প্রসার করেছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই মেসাইলের সংখ্যা নাকি কমানো হয়েছে। সকল দেশের পক্ষ থেকেই । আমরা জানি না বিশ্বের এই শক্তিধর দেশগুল কতটা সত্য কথা বলছে আমাদের। তবে কিছু দাবি করা তথ্য দেখে দেয়া যাক ঃ



মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রঃ



১৯৪৫ সালে তাদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ক্ষেপ্রনাস্র ছিল ২১৫০ টি। এখন তাদের সংরক্ষিত ক্ষেপ্রনাস্রের সংখ্যা ৫৫০০



সোভিয়েত ইউনিয়ন ( বর্তমান রাশিয়া) ঃ



১৯৪৯ সালে তাদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ক্ষেপ্রনাস্র ছিল ১৮০০ টি। এখন তাদের সংরক্ষিত ক্ষেপ্রনাস্রের সংখ্যা ৬৭০০।



ফ্রান্সঃ



১৯৬০ সালে তাদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ক্ষেপ্রনাস্র ছিল ২৯০ টি। এখন তাদের সংরক্ষিত ক্ষেপ্রনাস্রের সংখ্যা ১০টি। (লুল)



ব্রিটেনঃ



১৯৫২ সালে তাদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ক্ষেপ্রনাস্র ছিল ১৬০ টি। এখন তাদের সংরক্ষিত ক্ষেপ্রনাস্রের সংখ্যা ৬৫টি।



চীনঃ

১৯৬৪ সালে তাদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ক্ষেপ্রনাস্র ছিল ২৫০টি।



পাকিস্তানঃ



ভারতের পারমাণবিক শক্তিবর্ধনের পর পাকিস্তান সরকার তাদের শক্তি বাড়ানোর দিকে মনযোগ দেয়। ১৯৯৪ সালে তাদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ক্ষেপ্রনাস্র ছিল ১০০-১২০ টি।



ভারতঃ



১৯৭৪ সালে তাদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ক্ষেপ্রনাস্র ছিল ৯০-১২০ টি।



ইস্রাইলঃ



বর্তমানে তাদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ক্ষেপ্রনাস্র আছে ৮০ টি।



উত্তর কোরিয়া ঃ

এখন তাদের সংরক্ষিত ক্ষেপ্রনাস্রের সংখ্যা ৬-৮ টি।



রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৯১ সালে পৃথিবীতে প্রায় ৬০,০০০ পারমাণবিক ক্ষেপ্রনাস্র ছিল। যা বর্তমানে, ১৭২৭০ ( জানুয়ারী ২০১৩)



উল্লেখ যে এটা শুধু মাত্র Stockholm International Peace Research Institute (SIPRI) এর রিপোর্ট থেকে পাওয়া তথ্য। আমরা সবাই জানি এর সত্যতা কতটা।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ৮:০৪

রিওমারে বলেছেন: ৩ জুন (রেডিও তেহরান): বিশ্বের তিন পরমাণু শক্তিধর দেশ চীন, পাকিস্তান ও ভারতের নিজ নিজ পরমাণু বোমার মজুদ গত এক বছরে বাড়িয়েছে। এ ছাড়া, বাকি পাঁচ পরমাণু শক্তিধর দেশ তাদের বোমার মজুদ স্থিতিশীল রেখেছে বা কমিয়েছে।

আজ (সোমবার) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট (এসআইপিআরআই)।

২০১২ সালে চীনের পরমাণু বোমার সংখ্যা ২৪০টি থেকে বেড়ে আড়াইশ' হয়েছে; পাকিস্তান গত এক বছরে পরমাণু বোমার ভাণ্ডারে আরো ১০টি বোমা যোগ করেছে এবং দেশটির হাতে বর্তমানে ১০০ থেকে ১২০টি বোমা রয়েছে। একই সময়ে ভারতের পরমাণু বোমার সংখ্যা বেড়েছে ১০টি এবং বর্তমানের দেশটির পরমাণু বোমার সংখ্যা ৯০ থেকে ১১০ বলে এসআইপিআরআই-এর বাতসরিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে, বিশ্বের পুরনো পরমাণু শক্তিধর দেশ রাশিয়া ও আমেরিকার পরমাণু বোমার সংখ্যা কমে গেছে বলে এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার কাছে আগে ১০,০০০ পরমাণু বোমা থাকলেও সে সংখ্যা কমে বর্তমানে ৮,৫০০ হয়েছে। অন্যদিকে আমেরিকাও পরমাণু বোমার সংখ্যা কমিয়েছে। দেশটি গত এক বছরে পরমাণু বোমার সংখ্যা ৮,০০০ থেকে কমিয়ে ৭,৭০০ করেছে।

ফ্রান্সের নিয়ন্ত্রণে আগের মতই ৩০০টি পরমাণু বোমা রয়েছে। অন্যদিকে ব্রিটেনের কাছেও পরমাণু বোমার সংখ্যা ২২৫টি অপরিবর্তিত রয়েছে।

এ প্রতিবেদনে দেয়া বিশ্বের পরমাণু বোমার সংখ্যা যে মোটামুটি আনুমানিক তা স্বীকার করেছে এসআইপিআরআই। পরমাণু বোমা নিয়ে পরমাণু শক্তিধর দেশগুলোর স্বচ্ছ নীতির অভাবেই অনুমানের আশ্রয় নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

এসআইপিআরআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরে বিশ্বের মোট পরমাণু সংখ্যা কমে গেলেও সে কারণে পরমাণু বোমার হুমকি কমেনি।

এ ছাড়া, পরমাণু বোমাকে এখনও বিশ্বে মর্যাদা ও শক্তির প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয় বলে এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ছাড়া, আগে দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমেরিকা ও রাশিয়া গত বছর তাদের সব রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করেনি বলে উল্লেখ করেছে এসআইপিআরআই। বিশ্বের রাসায়নিক ও জৈব অস্ত্রভাণ্ডার খুবই ধীরে ধীরে কমানো হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। এ সংস্থা অনেক বছর ধরে বিশ্বের গণবিধ্বংসী অস্ত্র ধ্বংসের পক্ষে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে, অস্ত্র রফতানির ক্ষেত্রে ব্রিটেনকে অতিক্রম করে পঞ্চম স্থান দখল করে নিয়েছে চীন। অস্ত্র রফতানির ক্ষেত্রে বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে আমেরিকা, তারপর যথাক্রমে রাশিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্সের অবস্থান বলে এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।#

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

ক্যাটম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। তথ্যগুলো দেবার জন্য। আসলে যারা দাবি করে রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করেছে তারা কতটা করেছে তা ভাবার বিষয়। কেউ কোটি কোটি ডলারের প্রোজেক্ট এমনেই পানিতে দিতে চায় না।

২| ০৫ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৬:১৭

বাংলার হাসান বলেছেন: তথ্য বহুল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.