![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি শেষ ডিগ্রি অজন করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিক্টিমোলজি এন্ড রেষ্টরেটিভ জাসটিস থেকে। আমি সচেতন হওয়ার চেষ্টা করছি এবং অন্যদেরকেও সচেতন হবার জন্য উদ্বত করার চেষ্টা চালিয়ে যাবো
৯৬ বছর বয়সী মোমেনা বৃদ্ধ হওয়ার অপেক্ষায় আছে শুনেছি বৃদ্ধ হলে নাকি ভাতা দেওয়া হয়। কিন্তু হতদরিদ্র এ বৃদ্ধার আর কবে বৃদ্ধা হবে তিনি নিজেই জানেন না কারন এই বয়সেও তিনি ভাতা পান না।
মজার বিষয় হলো বৃদ্ধার ছেলে সুরুজ মিয়া বলেন, আমার বয়স প্রায় ৭০ বছর। আমি নিজেও অসুখে ভুগছি। আগে অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতাম। এখন অসুখের কারণে তাও করতে পারি না।
শেরপুরের শ্রীবরদীর তাতিহাটির ভটপুর গ্রামের হতদরিদ্র বৃদ্ধা মোছাম্মৎ মোমেনা বেগমের স্বামীর নাম মজিবর আলী, তাদের ৭০ বছরের ছেলেটিও দীর্ঘদিন যাবত অসুখে ভুগছে। মোমেনা থাকেন ছেলের সঙ্গে একটি ঝুপড়ি ঘরে। তাও অন্যের জমিতে।
মোমেনা আশপাশের বাড়িতে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এখন আর হাটা চলা করতে পারেন না। এজন্য ছোট্ট ঝুপরি ঘরে পড়ে থাকেন। কেউ খাবার দিলে খান। খাবার না পেলে না খেয়েই থাকেন।
দৈনিক অধিকার এর সংবাদের মাধ্যমে জানা যায়, স্থানীয় ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান বলেন, তারা আমার কাছে এসেছিলেন। তাদের দুরাবস্থা দেখে আমি তার নাম তালিকা করে উপজেলা সমাজ সেবা অধিদফতরে জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু পরে জানলাম তালিকায় তার নাম নেই।
উপজেলা সমাজ সেবা অধিদফতরের কর্মকর্তা সরকার নাছিমা আকতার বলেন, আমি তার নাম লিখে নিলাম। তার নাম কার্ডের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।
আমরা আশা করবো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই বিষয়টি দেখবেন এবং শুধু এই পরিবারই না সার্বিকভাবে বিবেচনা করবেন যেন কিছু করে জীবিকা অর্জন করতে পারে প্রতিটি ফ্যামিলি যেন বৃদ্ধ মাতাপিতা ভাতার জন্য হাত পাত্তে না হয়।
©somewhere in net ltd.