![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হায় চিল, সোনালি ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরেতুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে উড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে!
মুক্তাগাছা জমিদারীর প্রতিষ্ঠাতা শ্রীকৃষ্ণ আচার্য চৌধুরীর তৃতীয় উত্তরপুরুষ রঘুনন্দন আচার্য চৌধুরী নিঃসন্তান ছিলেন। অথচ পিতৃতান্ত্রিক সমাজের সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী সম্পত্তি সংরক্ষণে সক্ষম একটি পুত্র সন্তান ভীষণভাবে প্রয়োজন!
কি করা যায়? জীবনের জটিল অংক কষতে কষতে দত্তক পুত্র গ্রহণের সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন তিনি।
হ্যাঁ, গৌরীকান্ত আচার্য চৌধুরীকে দত্তক নিলেন রঘুনন্দন। সময়ের এক বিশেষ লগ্নে দত্তক পুত্রের হাতে জমিদারীর ভার অর্পণ করে কিছুদিনের মধ্যেই তিনি পাড়ি জমালেন পরপারে!
জমিদার গৌরীকান্ত আচার্য চৌধুরীর প্রতিও সদয় ছিল না নিয়তি! সন্তানহীন অবস্থায় অকাল প্রয়ান ঘটল তাঁরও! গৌরীকান্তের বিধবা পত্নী বিমলা দেবী দত্তক নিলেন কাশীকান্তকে।
কাশীকান্তের কপালও মন্দ ছিল ভীষণ! দীর্ঘ রোগযন্ত্রনায় ভুগে সন্তানহীন অবস্থায় পরলোক গমন করলেন তিনিও! তাঁর বিধবা পত্নী লক্ষ্মী দেবী আচার্য চৌধুরানী পূর্বসুরীদের পথ অনুসরণ করে দত্তক নিলেন চন্দ্রকান্তকে!
ভাগ্যের বিরুদ্ধাচারণে চন্দ্রকান্তও অতিদ্রুত ত্যাগ করলেন পৃথিবীর মায়া। তবে হাল ছাড়লেন না লক্ষ্মী দেবী। পুনরায় দত্তক নিলেন তিনি। দ্বিতীয় দত্তক পুত্রের পূর্বনাম পূর্ণচন্দ্র মজুমদার। কূলগুরুর সামনে মহাসমারোহে লক্ষ্মী দেবী নতুন নাম রাখলেন পুত্রের -সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী!
সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরীর শাসনামলে ব্রহ্মপুত্র তীরবর্তী জনপদে যুক্ত হল সোনালি মাত্রা। প্রায় একচল্লিশ বছর জমিদারী পরিচালনার প্রশস্ত প্রেক্ষাপটে বহু জনহিতকর কাজ করলেন তিনি।
ময়মনসিংহে স্থাপন করলেন একাধিক নান্দনিক স্থাপনা। উনবিংশ শতকের শেষপাদে ময়মনসিংহ শহরের কেন্দ্রস্থলে ৯ একর ভূমির উপর একটি অসাধারণ দ্বিতল ভবন নির্মাণ করলেন সূর্যকান্ত।
নিঃসন্তান সূর্যকান্তের দত্তকপুত্র শশীকান্ত আচার্য চৌধুরীর নামে এই ভবনের নাম রাখা হল শশী লজ।
বিখ্যাত এই ভবনটি ১৮৯৭ সালের ১২ জুন গ্রেট ইন্ডিয়ান ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হলে অত্যন্ত ব্যথিত হন সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী। ১৯০৫ সালে ঠিক একই স্থানে নতুনভাবে শশী লজ নির্মাণ করেন পরবর্তী জমিদার শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী। ১৯১১ সালে শশী লজের সৌন্দর্যবর্ধণে তিনি সম্পন্ন করেন আরো কিছু সংস্কারকাজ। নবীন জমিদারের প্রাণান্ত প্রয়াসে শশী লজ হয়ে ওঠে অনিন্দ্যসুন্দর, অপরূপ।
শতবর্ষী এই ভবনের রূপ-সৌন্দর্য কি অটুট আছে আজও?
অকৃত্রিম কৌতূহলে জানতে চাইলাম রানার কাছে। চলন্ত রিকশায় পথ চলতে চলতে নেতিবাচক উত্তর দিলেন তিনি। জানালেন, ভবনের রূপ-সৌন্দর্য অটুট নেই স্বাভাবিকভাবেই! কালের করাল গ্রাসে শশী লজ খুব বেশী ক্ষতিগ্রস্থ না হলেও ঐতিহাসিক স্থাপনা সংরক্ষণে রাষ্ট্রযন্ত্রের ঔদাসীণ্য ভীষণভাবে বিনষ্ট করেছে ভবনটির ভৌত কাঠামোকে। ১৯৫২ সাল থেকে শশী লজ ব্যবহৃত হচ্ছে মহিলা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে। সুতরাং অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক পরিবর্তনের ক্ষত নিয়ে এখন দাঁড়িয়ে আছে ভবনটি।
বিষণ্ন এই বাক্যসমষ্টি বিহ্বলতার মুখোমুখি করে আমাদের। তবে জীবন থেমে থাকে না। রিকশাও এগিয়ে যায় যথানিয়মে। অসংখ্য পথের স্মৃতি পেছনে ফেলে দৃষ্টিপ্রত্যক্ষে উদ্ভাসিত হয় উঁচু দেয়ালঘেরা শশী লজের প্রবেশদ্বার।
রিকশা থেকে নেমে ভেতরে প্রবেশ করলাম আমরা। শান বাঁধানো প্রবেশপথের সামনেই শশী লজের সাজানো বাগান। বিচিত্র প্রজাতির ফুল শোভিত সেই বাগানের মধ্যভাগে বৃত্তাকার জলফোয়ারা। ফোয়ারার কেন্দ্রস্থলে অনুচ্চ বেদীর উপর দণ্ডায়মান গ্রীক স্থাপত্য রীতিতে নির্মিত স্বল্পবসনা নারীর মর্মর মূর্তি। বাগানের ঠিক পেছনেই লালচে ইট আর হলুদ দেয়ালে নির্মিত শশী লজ।
সুপ্রাচীন এই ভবনের পূর্বপ্রান্তের ঘরটি বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষের কার্যালয় হিসেবে। মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষের সহযোগিতায় আমরা প্রবেশ করলাম শশী লজের অন্দরে।
গাড়ি বারান্দা অতিক্রম করে কয়েক ধাপ সিঁড়ি পেরোলেই রঙ্গালয়। সুদৃশ্য সেই রঙ্গালয়ের একপ্রান্তে বিশ্রামঘর। বিশ্রামঘরের পর কাঠের মেঝেযুক্ত হলঘর। হলঘরের পাশেই বর্ণিল মার্বেল পাথরে নির্মিত আরেকটি জলফোয়ারা। জলফোয়ারার ঠিক উপরের ছাত থেকে নীচে ঝোলানো স্ফটিকস্বচ্ছ কাঁচের ঝাড়বাতি।
এছাড়াও আরো কয়েকটি কক্ষের সাথে পরিচয় হল আমাদের। পরিচর্যাহীন, ধুলোমলিন সেই কক্ষগুলোর কোনটি তালাবদ্ধ, কোনটি নানা রকম অপ্রীতিকর আসবাবপত্রে ঠাসা। ভবনটির পেছনে একচিলতে উঠান। সবুজ ঘাসের আঁচল পাতা সেই উঠান পেরোলে একটি অপরিসর জলাশয়। জলাশয়ের পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে দুটি জরাজীর্ণ ঘাট থাকলেও দক্ষিণপ্রান্তে অবস্থিত দ্বিতল স্নানঘাটটির সৌন্দর্য সত্যিকারঅর্থেই অসাধারণ!
এলাকার প্রবীণ মানুষদের ভাষ্যে, বিশাল জায়গা জুড়ে অবস্থিত শশী লজের চারদিকে নিকট অতীতেই ফুল বাগান ছিল, ছিল বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষবীথি। কিন্তু মহিলা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ব্যবহারিক উপযোগযুক্ত নানা স্থাপনা নির্মাণের ফলে ঐতিহাসিক এই ভবন ও তার পরিপাশের ফুল-বৃক্ষবীথির সৌন্দর্য আজ বিলুপ্তপ্রায়!
সৌন্দর্য বিলোপের পরবর্তী ধাপ কি? প্রৌঢ়ত্ব? তারপর? বার্ধক্য? তারপর? মৃত্যু?
আমাদের নিয়তি আসলে কি? প্রতিটি অতীত স্মৃতির নীরব মৃত্যু প্রত্যক্ষ করা?
যদি তাই হয়, তাহলে কোন ভিত্তিমূলে পা রেখে গড়ে উঠবে আমাদের ভবিষ্যত? কোন ঐতিহ্যের সাথে বসবাস করে সমৃদ্ধশালী হবে পরবর্তী প্রজন্ম?
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক অনেক।
ইচ্ছে থেকেই একদিন সৃষ্টি হবে যাওয়ার সুযোগ।
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন শায়মা।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৩
জুন বলেছেন: তাহলে কোন ভিত্তিমূলে পা রেখে গড়ে উঠবে আমাদের ভবিষ্যত? কোন ঐতিহ্যের সাথে বসবাস করে সমৃদ্ধশালী হবে পরবর্তী প্রজন্ম?
আমি স্বচক্ষে দেখে এসেছি সরকারী অফিসে পরিনত হওয়া ভবনটির করুন দশা দীপংকর চন্দ
+
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০১
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জুন।
ঐতিহ্য সংরক্ষণে কেন যে এতো উদাসীনতা আমাদের!
আমাদের ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো ঠিকভাবে সংরক্ষণের পাশাপাশি সুন্দর নিরাপদ পর্যটন অবকাঠামো গড়ে তুললে দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি সুদৃঢ় হবার একটা দুয়ার উন্মোচন হতে পারতো হয়তো!
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৬
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: ছবি দেখে মনে হচ্ছে সংস্কার করলে এখন অনেক সুন্দর লাগবে ।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৭
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
সঠিক সংরক্ষণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়া জরুরী।
এখনও অনেক সুন্দর শশী লজ।
বিশেষত দ্বিতল স্নান ঘাট আছে একটি সেখানে।
ভীষণ মুগ্ধ আমি এমন রুচিশীল স্নানঘাট দেখে!
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৬
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আপনার পোস্টের শেষ দিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে যেয়ে বিমর্ষ হয়ে পড়লাম। যদি এভাবে আমাদের প্রতিটা স্থাপত্য শিল্প নষ্ট হয়ে যায়, তবেতো আসলেই এক সময় আমাদের অতীতও হারিয়ে যাবে। তাহলে আগামী প্রজন্ম গর্ব করবে কী নিয়ে?
শশী লজের পূর্ব ইতিহাস দেখা যায় খুবই মর্মান্তিক। এভাবে সবার অকাল প্রয়াণ হয়েছিল কোন অভিশাপে যে জানে।
শশী লজে যাওয়া হয় নাই কখনো। দেশে আসলে যেতে হবে অবশ্যই। এসবের জন্য অবশ্যই সরকার দায়ী। সরকারের উদাসীনতা আর আমাদের অসচেতন মনই পুরনো কীর্তিগুলো দিন দিন বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা যেন নিজেই নিজেদের ভিত্তিকে উপড়ে ফেলার চেষ্টা করছি। কিন্তু আমরা একটা বারও উপলব্ধি করি না, অতীত বিনষ্ট করলে নিজেরাও যে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দ্বারা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবো।
অনেক ভালো লাগা একটা পোস্ট পড়লাম দীপঙ্কর। আপনার লেখার যাদুতে আরও বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। আরও কিছু ছবি দিতে পারলে খুব ভালো হতো। অনেক ধন্যবাদ দীপঙ্কর।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২৯
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক শ্রদ্ধেয়।
'আপনার পোস্টের শেষ দিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে যেয়ে বিমর্ষ হয়ে পড়লাম।'
যদিও আশাহীনতার কথা বলতে আমার ভালো লাগে না একেবারেই, তবু নিদারুণ সত্যি হচ্ছে আমাদের প্রত্নসম্পদ সংরক্ষণ-চিত্র ভয়াবহ!
'শশী লজের পূর্ব ইতিহাস দেখা যায় খুবই মর্মান্তিক। এভাবে সবার অকাল প্রয়াণ হয়েছিল কোন অভিশাপে যে জানে।'
লেখার সামান্য চেষ্টার এই অংশটুকু বেশ জটিল ছিলো! খুব কষ্ট করে মেলাতে হয়েছে বংশতালিকা। ঐতিহাসিক যে তথ্যগুলো পাওয়া যাচ্ছে শেষপর্যন্ত, সেটা মর্মান্তিক নিঃসন্দেহে।
'অভিশাপ' কথাটিকে আমরা ব্যবহার করি সচরাচর যখন আমাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ এবং যুক্তি থাকে না কোন বিষয়ের, সম্ভবত তখন!
ময়মনসিংহ অঞ্চলে কাজ করতে গিয়ে এ ধরনের মর্মান্তিক পারিবারিক বিপর্যয়ের বেশ কিছু সম্ভাব্য কারণ নিয়ে ভেবেছি আমি!
কখনও সময় সুযোগ হলে আলোচনা করবো আমরা সেসব আশাকরি।
'আরও কিছু ছবি দিতে পারলে খুব ভালো হতো।'
দেয়া যেতো শ্রদ্ধেয়।
তবে লেখার এই সামান্য চেষ্টাটিকে 'ভ্রমণ' বলা যায় কিনা, সে বিষয়ে নিঃসংশয় নই আমি!
ছবির বাহুল্য নেই সে কারণেই!
একটু লক্ষ্য করুন, লেখার ধরনে আমি বিনীতভাবে উল্লেখ করেছি 'হয় কিংবা নয় ভ্রমণ'
সুতরাং লেখার ধরন নির্বাচনে পূর্ণ স্বাধীনতা ন্যস্ত সম্মানিত পাঠকের ওপর।
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৪
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: চমৎকার পোস্ট
শশীলজ দেখার ইচ্ছে রইল।
শুভকামনা নিরন্তর
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩২
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক অনেক।
আশা করি ইচ্ছেটা জীবন্ত হয়ে উঠবে একদিন।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
ভালো থাকবেন ভাই। সবসময়।
৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২৫
জাফরুল মবীন বলেছেন: আপনার লেখনি ‘শশীলজ’কে এতটাই মোহনীয় করে তুলেছে যে সেই মোহ নির্মোচনে শশীলজে যাওয়াটা এখন সময়ের ব্যাপারমাত্র।
অনেক অনেক শুভকামনা জানবেন ভাই।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪০
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা মবীন ভাই উপস্থিতিতে।
যতো বেশি মানুষের সহৃদয় দৃষ্টি পড়বে আমাদের প্রত্নসম্পদগুলোর ওপর, ততোই বৃদ্ধি পাবে স্থাপনাগুলোর জীবনীশক্তি।
অতীতের প্রতি আস্থাশীল না হলে সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন অস্বচ্ছ হবার আশংকা থাকে সম্ভবত!
অনিঃশেষ শুভকামনা।
ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।
৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫
এহসান সাবির বলেছেন: ভালো লাগা রেখে গেলাম।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪৩
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এহসান ভাই।
এবং কৃতজ্ঞতা।
এবং শুভকামনা। অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৭
মহান অতন্দ্র বলেছেন: চমৎকার ইতিহাস। ভাল লাগা।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪৪
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক অনেক সুলেখক।
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।
ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।
৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯
এনামুল রেজা বলেছেন: শশীলজ আর তার ইতিহাস বর্তমান নিয়ে খুব গুছিয়ে লিখেছেন। গল্পের মত।
ভাললাগা।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪৭
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এনামুল ভাই।
এবং কৃতজ্ঞতা উপস্থিতিতে।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
১০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২৬
হামিদ আহসান বলেছেন: প্রত্নতাত্মিক এই নিদর্শনটি যথাযথ সংরক্ষণে কর্তৃপক্ষের উদাসিনতা সত্যি দু:খজনক ....
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৭
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক অনেক হামিদ ভাই।
শুধু এই নিদর্শনটিই নয়, আমাদের প্রায় প্রতিটি প্রত্নসম্পদের সংরক্ষণে উদাসীনতা লক্ষ্য করবেন আপনি।
এবং শুধু কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাই নয়, এ ব্যাপারে আমাদের অসচেতনতাও কিন্তু দায়ী অনেকাংশেই।
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন ভাই।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
১১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩২
শাহরীয়ার সুজন বলেছেন: কাছেই থাকি কিন্তু সময়ের অভাবে যাওয়া হয়নি কখনো। আপনার লেখা পড়ে এখন খুবউ দেখতে ইচ্ছে করছে লজটা।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৭
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ইচ্ছে যখন দৃঢ় হয়, দেখাটা হয়ে দাঁড়ায় সময়ের ব্যাপার।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
১২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯
তুষার কাব্য বলেছেন: আমার সৌভাগ্য হয়েছিল ওখানে যাওয়ার...
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৪
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আমাদের প্রত্নসম্পদগুলোর সুষ্ঠু সংরক্ষণ হলে এবং পর্যটনবান্ধব অবকাঠামো তৈরি হলে অনেকাংশেই বদলে যেতো দেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট সম্ভবত!
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
১৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২০
আলোরিকা বলেছেন: জানিনা কেন ছেলেবেলা থেকেই প্রাচীন সবকিছু আমাকে প্রবলভাবে টানে...হোকনা সেটা ব্যক্তি কিংবা বৃক্ষ আর সাহিত্য,স্হাপত্য বা সভ্যতা হলেতো কথাই নেই....এ পোড়ার দেশে আছে কি কোন মূল্য এসবের?! নিঃসন্তান ছয় প্রজন্মের লালিত স্বপ্ন এ স্হাপত্যের এবার সত্যিকার অর্থে নিঃবংশ হওয়ার সময় এসেছে...আর শুধু শশী লজই নয় ঢাকা এবং এর পা্র্শ্বব্র্তী ও দেশের গুটিকয়েক স্হাপনা ছাড়া বাকি সবগুলোর একি অবস্হা ...নেই সংরক্ষণের কোন সুব্যবস্হা...
....'আমাদের নিয়তি আসলে কি? প্রতিটি অতীত স্মৃতির নীরব মৃত্যু প্রত্যক্ষ করা?
যদি তাই হয়, তাহলে কোন ভিত্তিমূলে পা রেখে গড়ে উঠবে আমাদের ভবিষ্যত? কোন ঐতিহ্যের সাথে বসবাস করে সমৃদ্ধশালী হবে পরবর্তী প্রজন্ম?'...এ প্রশ্ন আমাদের সবার...আমাদের সুমতি হোক ঐতিহ্য রক্ষার...
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৬
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আলোরিকা।
চিন্তাশীল মন্তব্যের প্রতি শ্রদ্ধা রইলো অনেক।
যে কোন মূল্যে আশাবাদ জীবন্ত রাখুন।
নেতিবাচক প্রশ্নের মুখে নিজেকে দাঁড় করানোর উদ্দেশ্য নিজের ভেতর সচেতনতা তৈরির ভিত্তি সুদৃঢ় করা।
আমরা বারবার যাবো অতীতস্মৃতির কাছে। আমাদের মমতার স্পর্শে নিশ্চিত সংরক্ষিত হবে অতীত একদিন।
ভবিষ্যত অবশ্যই সমৃদ্ধ হবে আমাদের।
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
১৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:২৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: খারাপ লাগলো। এভাবেই অবহেলায় হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের সব অহংকারগুলো।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগা উপস্থিতিতে।
কাকতালীয়ভাবে গতরাতে ভেবেছিলাম, অনেকদিন আপনার লেখা পড়াই হচ্ছে না!
অনিয়মিত উপস্থিতি আবার অন্তর্জাল অনভিজ্ঞতা রয়েছে। মাঝখানে কেন যেন ব্লগে ঢুকতে পারিনি বেশ কয়েকদিন।
ক্ষমাপ্রার্থণা।
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।
ভালো থাকবেন। অনেক।
১৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে শশীলজ কে ভালোবেসে ফেললাম
দেখার তৃষ্ণা বেড়ে গেল ...।
আমাদের নিয়তি আসলে কি? প্রতিটি অতীত স্মৃতির নীরব মৃত্যু প্রত্যক্ষ করা?
যদি তাই হয়, তাহলে কোন ভিত্তিমূলে পা রেখে গড়ে উঠবে আমাদের ভবিষ্যত? কোন ঐতিহ্যের সাথে বসবাস করে সমৃদ্ধশালী হবে পরবর্তী প্রজন্ম?
নিদারুন সত্ত্যি বলেছেন ।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৬
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা।
দেশের প্রত্নসম্পদের প্রতি আপনাদের ভালোবাসা আশাকরি সংরক্ষণ প্রক্রিয়াকে সজীব করবে।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১৫
শায়মা বলেছেন: শশীলজের কথা আগেও শুনেছি অনেক। কিন্তু তোমার লেখাটা পড়ে এখুনি সেখানে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে ভাইয়া।