![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হায় চিল, সোনালি ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরেতুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে উড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে!
২৫ মার্চ, ১৯৭১।
রাতে শাসকগোষ্ঠীর পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারেই আক্রান্ত হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর এদেশীয় দোসর আলবদর, আলশামস, রাজাকারদের সশস্ত্র সহযোগিতায় শনাক্ত করা হল বুদ্ধিজীবীদের। অসংখ্য ছাত্র-জনতার পাশাপাশি ২৫ মার্চের নির্মমতার বলি হলেন তাঁরাও।
ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি বাহিনীর রাতব্যাপী এই উন্মত্ততা যখন চলছিলো, তখন ‘খ’ অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসকের সদর দফতরে উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খানের জনসংযোগ অফিসার মেজর সিদ্দিক সালিক।
মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানি বাহিনীর এই তরুণ মেজর দেশে ফিরে ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ নামে একটি গ্রন্থ প্রনয়ণ করেন। স্মৃতিচারণমূলক সেই গ্রন্থটিতে সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা ২৫ মার্চের বিবরণ পাই, মেজর সিদ্দিক সালিকের বর্ণনায় আবিষ্কার করি বিপরীত প্রেক্ষাপটের এক ২৬ মার্চকে। কেমন ছিল সিদ্দিক সালিকের দেখা ১৯৭১ সালের মার্চের সেই ২৬তম দিনটি?
“...২৬শে মার্চের সূর্য উদিত হবার আগেই সৈনিকরা তাদের মিশন সমাপ্তির রিপোর্ট প্রদান করলো। জেনারেল টিক্কা ভোর পাঁচটায় সোফা ছেড়ে উঠলেন এবং নিজের অফিসে ঢুকলেন। কিছুক্ষণ পর রুমাল দিয়ে চশমার কাঁচ মুছতে মুছতে বেরিয়ে এলেন। ভাল করে চারদিকে দেখে নিয়ে বললেন, ‘একটা মানুষও নেই!’ আমি তখন বারন্দায় দাঁড়িয়ে। তাঁর স্বগতোক্তি শুনে নিশ্চিত হবার জন্যে বাইরে দৃষ্টি ফেললাম। একটি মাত্র বেপথো কুকুর দেখতে পেলাম। পেছনের দুপায়ের মাঝে লেজ গুটিয়ে চোরের মত শহরের দিকে যাচ্ছে।
বেলা বাড়তেই ভুট্টোকে তাঁর হোটেল কক্ষ থেকে বের করে আনা হল এবং সেনাবাহিনীর প্রহরায় বিমান বন্দরে নিয়ে যাওয়া হল। ভুট্টো প্লেনে ওঠার আগে গত রাতে সেনাবাহিনীর কাজের প্রশংসা করে একটি সাধারণ মন্তব্য করলেন। সশস্ত্র প্রহরীদের প্রধান ব্রিগেডিয়ার আরবাবকে বলেন, ‘আল্লাহকে অশেষ ধন্যবাদ, পাকিস্তানকে রক্ষা করা গেছে।’ করাচী পৌঁছে তিনি এই উক্তির পুনরাবৃত্তি করেন।
যখন ভুট্টো এই আশাব্যঞ্জক মন্তব্য করেন তখন আমি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার গণকবরগুলো দেখছিলাম। পাঁচ থেকে পনের ব্যাসার্ধের তিনটি গর্ত দেখতে পেলাম। সেগুলো সদ্য তোলা মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। কোন অফিসারই মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করতে চাইলো না। ইকবাল হল ও জগন্নাথ হলের চারপাশ দিয়ে আমি হাঁটতে শুরু করলাম। দূর থেকে মনে হয়েছিল, হামলার ফলে দুটি ভবনই মাটির সাথে মিশে গেছে। আপাতঃদৃষ্টিতে মনে হল, ইকবাল হলে মাত্র দুটি এবং জগন্নাথ হলে চারটি রকেট আঘাত হেনেছে। কক্ষগুলো বেশিরভাগই পুড়ে কয়লায় পরিণত হয়েছে কিন্তু দেয়াল অক্ষত আছে। কয়েক ডজন অর্ধদগ্ধ রাইফেল ও কিছু ছড়ানো ছিটনো কাগজ তখনো ধিকি ধিকি জ্বলছিল। ক্ষতির পরিমাণ ছিল নিদারুণ।
...বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে বেরিয়ে আমি ঢাকা নগরীর প্রধান প্রধান রাজপথ দিয়ে গাড়ি চালিয়ে ঘুরে বেড়ালাম। নজরে এলো বিসদৃশ্য মৃতদেহসমূহ পড়ে আছে ফুটপাতের ওপর কিংবা কুণ্ডলী পাকানো অবস্থায় রাস্তার কোণে।
...শহর ঘুরে ফিরে দেখার পর আমি ধানমন্ডিতে মুজিবের বাড়িতে গেলাম। বাড়িটি সম্পূর্ণভাবে পরিত্যক্ত, জনহীন। জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকাতে মনে হল- তন্ন তন্ন করে বাড়িতে অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উল্টে রাখা প্রমাণ সাইজের একটি প্রতিকৃতি ছাড়া তেমন স্মরণযোগ্য কিছুই আমার চোখে পড়লো না। প্রতিকৃতির ফ্রেমটি জায়গায় জায়গায় ফেটে গেছে। কিন্তু ভাবমুর্তি রয়েছে অবিকল।
বাড়ির বাইরে গেটের মূল্যবান ডেকোরেশন নষ্ট হয়ে গেছে। মুজিবের শাসনের সময় আওয়ামী লীগাররা পিতলের প্লেটের উপর ছয় দফার প্রতিরূপ ছয়টি তারকাবিশিষ্ট প্লেট গেটে বসিয়ে দেয়। কিন্তু এখন গেটের কালো রডগুলো আছে মাত্র। রড সন্নিবেশের গর্তগুলোও দৃষ্টিগোচর হল। যে দ্রততার সাথে গৌরবোজ্জ্বল দীপ্তির বিকিরণ ঘটেছিল তত দ্রুততার সাথে সেটা মিলিয়ে গেল।
দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্যে আমি তাড়াতাড়ি ক্যান্টনম্যান্টে ফিরে এলাম। এখানকার পরিবেশ সম্পূর্ণ ভিন্নতর দেখলাম। শহরের হৃদয়-বিদারক ঘটনা সামরিক বাহিনীর লোকজন এবং তাদের ওপর নির্ভরশীলদের স্নায়ুবিক অবস্থাকে স্বাভাবিক করে তুলেছে। তাদের অনুভূতি এই রকম- দীর্ঘদিন পর ঝড় থেমেছে এবং দিগন্তকে নির্মল করে অবশেষে বয়ে গেছে। স্বস্তির সাথে গা এলিয়ে দিয়ে অফিসার মেসে অফিসাররা বসে গল্প করছে। কমলা লেবুর খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে ক্যাপ্টেন চৌধুরী বললেন, বাঙালিদের ভাল করে এবং ঠিকমত বাছাই করা হয়েছে, অন্তত একটি বংশধরের জন্যে তো বটেই। মেজর মালিক তার সঙ্গে যোগ দিয়ে বললেন, হ্যাঁ, ওরা শুধু শক্তির ভাষাকেই চেনে। ওদের ইতিহাসই এ কথা বলে।...”
সিদ্দিক সালিকের ভাষ্যানুযায়ী ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মধ্যাহ্নে মেজর মালিকের ধৃষ্টতাপূর্ণ উচ্চারণ অসারতায় পর্যবসিত হয় দ্রুতই। মার্চ থেকে ডিসেম্বর, মাত্র নয় মাসের ইতিহাসে প্রমাণিত হয় যে, অন্যায়ভাবে শক্তি প্রয়োগ করা হলে মুখ বুজে মেনে নেয়া তো নয়ই, বরং তার প্রত্যুত্তর বাঙালি বেশ ভালভাবেই দিতে সক্ষম।
কৃতজ্ঞতা: নিয়াজীর আত্মসমর্পণের দলিল, মাসুদুল হক
ছবি: সংগৃহীত
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৫০
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ অর্বাচীন পথিক।
আমি খুবই দুঃখিত যে, আপনার নতুন উপন্যাসের পর্বগুলো এখনও পড়তে পারিনি সময় স্বল্পতায়।
ক্ষমাপ্রার্থণা।
আশাকরি কিছুদিনের মধ্যেই লেখাগুলো একসাথে পড়তে পারবো আমি।
আমার শুভকামনা থাকছে। অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:১৭
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উল্টে রাখা প্রমাণ সাইজের একটি প্রতিকৃতি ছাড়া তেমন স্মরণযোগ্য কিছুই আমার চোখে পড়লো না। প্রতিকৃতির ফ্রেমটি জায়গায় জায়গায় ফেটে গেছে। কিন্তু ভাবমুর্তি রয়েছে অবিকল।"'
নিজের অজান্তেই সিদ্দিক এক অসাধারণ কথা লিখে ফেলেছে
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৫৮
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক অনেক সাদী ফেরদৌস।
সুন্দর একটি বিষয়ে দৃষ্টিপাত করেছেন আপনি।
মুগ্ধতা!
এবং কৃতজ্ঞতা। অনিঃশেষ।
যদিও মনে করার অবকাশ নেই যে, মেজর সালিক অত্যন্ত উদারমনা এবং সত্যনিষ্ঠ মানুষ ছিলেন, তবু আমরা যে কয়েকজন পাকিস্তানি বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার লেখা পাঠের সুযোগ পাচ্ছি, তাদের মধ্যে সালিক অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য কথা লিখেছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপক্ষে অবস্থানকারী স্বজন হন্তারক চক্রের সদস্যদের মধ্যে সিদ্দিক সালিকও যে অন্যতম, সে বিষয়টি ভুলে যাওয়া চলবে না আমাদের।
এই নিবন্ধের উদ্দেশ্য শুধু ভিন্ন একটি পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের দিকে চকিত দৃষ্টি নিক্ষেপ করা।
শুভকামনা পুনরায়।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৪১
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ দীপঙ্কর দা
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০২
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ উপস্থিতিতে প্রামনিক ভাই।
কৃতজ্ঞতা।
এবং ক্ষমাপ্রার্থণা আপনার নতুন উপন্যাস অনেকগুলো পর্বে বিস্তৃত হয়ে যাবার পরও আমি তাতে চোখ রাখতে না পারায়।
আশা করছি খুব দ্রুত সময় স্বল্পতা কাটিয়ে উঠে আপনার উপন্যাসের সাথে থাকতে পারবো আমি।
আমার শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।
৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১৪
সুখেন্দু বিশ্বাস বলেছেন: " মাত্র নয় মাসের ইতিহাসে
প্রমাণিত হয় যে, অন্যায়ভাবে শক্তি
প্রয়োগ করা হলে মুখ বুজে মেনে নেয়া
তো নয়ই, বরং তার প্রত্যুত্তর বাঙালি
বেশ ভালভাবেই দিতে সক্ষম"
অনেক তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট দীপ দা। পড়ে অনেক কিছু জানা হল।
শুভেচ্ছা রইলো।
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০৭
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক অনেক সুখেন্দু দা।
১৯৭১ সালে আমাদের প্রায় নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারা প্রমাণ করে দিয়েছেন ইচ্ছাশক্তি অদম্য থাকলে একটি সর্বাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত বর্বর রাষ্টের বিরুদ্ধেও জয়ী হওয়া যায় মাত্র নয় মাসে!
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উল্টে রাখা প্রমাণ সাইজের একটি প্রতিকৃতি ছাড়া তেমন স্মরণযোগ্য কিছুই আমার চোখে পড়লো না। প্রতিকৃতির ফ্রেমটি জায়গায় জায়গায় ফেটে গেছে। কিন্তু ভাবমুর্তি রয়েছে অবিকল।//
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১৫
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মইনুল ভাই।
পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা তাদের যুদ্ধ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন পুস্তকে, তাদের প্রায় প্রত্যেকের প্রবনতা আমরা লক্ষ্য করি অত্যন্ত বিনয়ী সাধুপুরুষ হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করার চেষ্টার পাশাপাশি নিজেদের মানবতাবিরোধী জঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের পক্ষে বানোয়াট যুক্তি দাঁঁড় করানোর অপপ্রয়াসকে।
সিদ্দিক সালিকও ব্যতিক্রম নয় তেমন। তার সম্পর্কে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। তবে আলোচ্য পুস্তকে তার প্রদেয় তথ্য তুলনামূলক গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়েছে আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায়।
উপস্থিতিতে কৃতজ্ঞতা।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫২
কলমের কালি শেষ বলেছেন: অসাধারণ অজানা শেয়ার ।
অনিঃশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।
ভাল থাকুন ।
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:২২
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক অনেক ভাই।
কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিবন্ধের অভিলক্ষ্য ভিন্ন একটি দৃষ্টিকোণ থেকে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চকে দেখা।
২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর এদেশীয় দোসর আলবদর, আলশামস, রাজাকারদের সশস্ত্র সহযোগিতা এবং বিহারীদের একটি বড়ো অংশের সম্পৃক্ততার বিষয়ে অনেক উল্লেখযোগ্য এবং সচিত্র প্রমাণ রয়েছে।
নিবন্ধের অভিলক্ষ্য যেহেতু ভিন্ন, তাই সেই সম্পৃক্ততার বিষয়টি তোলা রইলো অন্য কোন সময়ের জন্য।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০১
জেন রসি বলেছেন: পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর এদেশীয় দোসর আলবদর, আলশামস, রাজাকারদের সশস্ত্র সহযোগিতায় শনাক্ত করা হল বুদ্ধিজীবীদের। অসংখ্য ছাত্র-জনতার পাশাপাশি ২৫ মার্চের নির্মমতার বলি হলেন তাঁরাও।
পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর এদেশীয় দোসর আলবদর, আলশামস, রাজাকারদের বিচার প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে আছে।
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩১
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক অনেক ভাই।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন।
বিষয়টি আমাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের একটি দুঃখজনক উদাহরণ।
আমাদের রাজনীতির হীন স্বার্থ সিদ্ধির কারণে বারবার প্রতারিত হয় এদেশের সাধারণ মানুষ, রক্ত দেয়, জীবন দেয় বারবার, তবু জীবনের দুঃখ কষ্ট ঘোচে না তাদের!
তবু আশাবাদে বসবাস হোক আমাদের।
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।
৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২৪
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন:
রাতে শাসকগোষ্ঠীর পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারেই আক্রান্ত হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর এদেশীয় দোসর আলবদর, আলশামস, রাজাকারদের সশস্ত্র সহযোগিতায় শনাক্ত করা হল বুদ্ধিজীবীদের। অসংখ্য ছাত্র-জনতার পাশাপাশি ২৫ মার্চের নির্মমতার বলি হলেন তাঁরাও।
উপরের এই লাইনগুলো পুরো ঠিকনা ২৫শে মার্চের জন্য। আলবদর, আলশামস, রাজাকার এগুলো তো ২৫শে মার্চের সময় সঙ্গঠিত ছিলনা। এরপরে এরা এদের রুপ দেখিয়েছিলো। অপারেশন সার্চলাইট কঠোর গোপনীয়তায় প্লান করা হয়েছিলো। কিছু একটা হবে অনেকেই আঁচ করতে পারলেও পাকিস্তানীদের এদেশীয় সমর্থকেরাও ২৫শে মার্চের ক্রাকডাউন এমন ভয়াবহ হবে কল্পনাও করতে পারেনি হয়তো।
ধন্যবাদ পোস্টের জন্য। এসব বইগুলোর বাংলা অনুবাদ অবশ্যই পড়া উচিত। সম্পুর্ন ভিন্ন দৃস্টিভঙ্গীতে সেইসব সময়ের ধারনা পাওয়া যায়।
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ২:০৯
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড হয়েছিলো আশাকরি এটি আপনি জানেন।
কারা শনাক্ত করতে সাহায্য করেছিলো তাঁদের?
আলবদর আলশামস রাজাকার শব্দের ব্যবহার যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিকী অনেকটাই।
তারা বিষয়গুলোর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলো।
সুনির্দিশ্ট সাংগঠনিক কাঠামো ছিলো না তখন।
নেতৃত্বস্থানীয়রা সহযোগি প্রত্যক্ষ সহযোগি হিসেবে ক্রিয়াশীল ছিলো দেশভাগের পর থেকেই।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সাংগঠনিক রূপ পেতে থাকে বাহিনীগুলো। এবং বিস্তৃত হয় তৃণমূল পর্যায়ে।
তথ্য খুজেঁ পাওয়া তেমন কঠিন কাজ নয়।
আপনার আগ্রহ আপনাকে নিয়ে যাবে তথ্যের কাছে।
ভালো থাকবেন। অনেক।
৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩৫
রামন বলেছেন:
প্লাস।
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৬
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রামন।
অসংখ্য ভুল তথ্যের মাধ্যমে বিভ্রান্তির ছড়ানোর অপচেষ্টার মধ্যেই অনুসন্ধান করতে হবে ইতিহাসের অন্তর্নিহিত সত্যকে।
অজস্র উপাদান, সচিত্র উদাহরণ ছড়িয়ে আছে আমাদের চারপাশে।
নিশ্চিত থাকেন, সাময়িকভাবে ধুম্রাচ্ছন্ন রাখা গেলেও সত্য কখনোই অপ্রকাশিত থাকে না।
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন ভাই।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
১০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৫৮
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অসধারন একটি পোস্ট। প্রিয়তে নিলাম
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৪২
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক অনেক আরণ্যক রাখাল।
কৃতজ্ঞতা জানবেন।
বিষয়গুলো উপস্থাপন করা ছাড়া আর কোন কৃতিত্ব আসলে নেই আমার।
আমাদের পূর্বসূরীরা অনেক উল্লেখযোগ্য কাজ করে রেখেছেন। উত্তরসূরীদের দায়িত্ব সেগুলোকে আরো শানিত করে তোলা নতুন নতুন আঙ্গিকে, নতুন নতুন বিশ্লেষণে।
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন ভাই।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
১১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:২০
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: @শতদ্রু একটি নদী
আপনার মন্তব্যে বলেছেন, উপরের এই লাইনগুলো পুরো ঠিকনা ২৫শে মার্চের জন্য। আলবদর, আলশামস, রাজাকার এগুলো তো ২৫শে মার্চের সময় সঙ্গঠিত ছিলনা। এরপরে এরা এদের রুপ দেখিয়েছিলো।
আপনার কথাটাও পুরোপুরি ঠিক না। কারণ ওদের স্বরূপ হয়তো পরে দেখিয়েছিল কিন্তু ওদের জঘন্য কার্যক্রম শুরু করেছিল তখন থেকেই। যেমন বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষণা করে ২৬শে মার্চ আর তা অর্জন করে ১৬ই ডিসেম্বর। অথচ দুটো একই সুতোয় বাঁধা।
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৪২
দীপংকর চন্দ বলেছেন: শুভকামনা শ্রদ্ধেয়।
কথাটা যে একেবারেই ঠিক নয়, এ ব্যাপারে সংশয়ের কোন অবকাশ নেই। রাজনৈতিক ইতিহাসের ধারাবাহিক বিশ্লেষণ বিষয়টিকে পরিষ্কার করে তোলে।
মুসলিম লীগ, নেজামে ইসলামীসহ নানা দল, নানা ব্যক্তির অবস্থান কার্যক্রম বহুমুখি তথ্য প্রদান করবে আপনাকে।
যে বিষয়গুলো সম্পর্কে দ্বিধা নিরশন সম্ভব, তা নিয়ে অনর্থক তর্ক সময় নষ্টের নামান্তর।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
১২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৩০
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: একটি মাত্র বেপথো কুকুর দেখতে পেলাম। পেছনের দুপায়ের মাঝে লেজ গুটিয়ে চোরের মত শহরের দিকে যাচ্ছে।
হত্যাযজ্ঞের ভয়াবহতা প্রমাণের জন্য উল্লিখিত লাইন দুটোই যথেষ্ট ছিল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উল্টে রাখা প্রমাণ সাইজের একটি প্রতিকৃতি ছাড়া তেমন স্মরণযোগ্য কিছুই আমার চোখে পড়লো না। প্রতিকৃতির ফ্রেমটি জায়গায় জায়গায় ফেটে গেছে। কিন্তু ভাবমুর্তি রয়েছে অবিকল।
বাঙালির দৃঢ়তার প্রমাণ মিলল এখানে।
মেজর মালিকের দাম্ভিক উচ্চারণ মাত্র নয় মাসে বাঙালি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। বাঙালির এই মনোবলের কথা যদি ওরা আগে টের পেতো, তবে হয় ভিন্ন চিন্তা করতো। পরাজয়ের পর নিশ্চয়ই ওদের আফসোস হয়েছে অনেক।
দারুণ একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দীপংকর। পরাজিতদের মুখে আমাদের দৃঢ়তার কথা, আমাদের মনোবলের কথা শুনে ভালো লাগলো। অমানুষের ভিড়েও মানুষের পদচারণ থাকে। অনেক শুভেচ্ছা জানবেন প্রিয়।
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১৪
দীপংকর চন্দ বলেছেন: // পরাজিতদের মুখে আমাদের দৃঢ়তার কথা, আমাদের মনোবলের কথা শুনে ভালো লাগলো।//
ধন্যবাদ অনেক অনেক শ্রদ্ধেয়।
প্রায় প্রতিটি উল্লেখযোগ্য সূত্র আপনাকে জানিয়ে দিচ্ছে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে রাজাকার আলবদর আলশামস এবং বিহারীদের বড়ো একটি অংশের সরাসরি সশস্ত্র সম্পৃক্ততার কথা।
ইতিহাস পর্যালোচনা করতে হয় বিভিন্ন প্রেক্ষাপটকে বিবেচনায় নিয়ে, বিভিন্ন ঘটনাবলীর কথা মাথায় রেখে।
ইতিহাস একটি দীর্ঘ সময়ব্যাপী সংঘটন প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে দানা বাঁধে।
১৯৪৭ থেকে '৫২, '৫৪, '৫৬, '৬৬. '৬৮. '৬৯ প্রতিটি অধ্যায়ই গুরুত্বপূর্ণ।
১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ ভোটবিজয়ের পর পাকিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতা যাতে বাঙালিদের হাতে না যায়, সে ব্যাপারে দফায় দফায় আলোচনা হতে থাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর।
ভুট্টোর পিপলস পার্টির প্রকাশ্য বিরোধীতার কথা তো অজানা নয় কারো!
আমাদের এই ভূখণ্ডে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা বঞ্চিত রাখতে বহুবার সামরিক শাসকের সাথে গোপন বৈঠকে বসে কূটবুদ্ধিতে আচ্ছন্ন রাজনৈতিক দলগুলো, যারা সবসময় বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিলো।
এই বৈঠকগুলোর খবর শেষঅবধি গোপন থাকেনি।
এই সব কূচক্রি দলগুলো সামরিক শাসকদের আশ্বস্ত করে পুর্নাঙ্গ সহযোগিতার।
মার্চের প্রথম তিন সপ্তাহে এই সব বৈঠকের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পায়।
সকলেই জানেন, অপারেশন সার্চলাইট ছিলো অনেক বিপুলাকার একটি পরিকল্পনা।
পাকিস্তানের শান্তি বজায় রাখার পক্ষের এদেশীয় শক্তির সশস্ত্র সহযোগিতা শুরু হয় ২৫ মার্চ থেকে। এবিষয়ে অনেক গ্রহণযোগ্য দালিলিক প্রমাণ, সচিত্র প্রতিবেদন আছে।
এপ্রিলে অপারেশনের ব্যাপকতা কমে আসার পর শান্তির স্বপক্ষে অবস্থান গ্রহণকারী বাহিনীগুলোর সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করা। গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে বাহিনীগুলোকে সহযোগি বাহিনী হিসেবে সরাসরি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অধীনে নিয়ে আসা, শান্তি বাহিনীর কর্মকান্ড- এগুলো সম্পর্কে তথ্যের কোন অভাব নেই।
এইসব আলোচনা এই নিবন্ধের অভিলক্ষ্য নয় শ্রদ্ধেয়।
আমি বারবার বলছি নিবন্ধের অভিলক্ষ্য ভিন্ন একটি দৃষ্টিকোণ থেকে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চকে দেখা।
তথ্য সম্পর্কে বিভ্রান্ত হবেন না।
সত্য চিরকাল সত্যই থাকে।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।
১৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৩৪
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: বিদ্রোহী ভাই, কথাটা মানতে পারলামনা।
আমার জানায় ভুল থাকতে পারে, কিন্তু যতটুকু পড়ছি, ২৫ মার্চ তো রাজাকার, আলবদর এদের সশস্ত্র সদস্যরা অপারেশন সার্চলাইটে অংশ নিছিলো এইটা পড়িনাই। এদেশীয় দীসরদের এইসব শাখা পরেই হইছিলো, বিহারীরাও ওদের রুপ দেখাইছিলো এরপরেই সুযোগ পাইয়া। কিন্তু ২৫ মার্চ তো কমপ্লিট মিলিটারী ক্রাকডাউন ছিলো বইলাই জানি।
পোস্টদাতার কাছেও কিছু রেফারেন্স চাই যদি জানা থাকে। এমন যদি হইয়াই থাকে এইটাও আমার জন্য নতুন কইরা কিছু জানা হবে।
ধন্যবাদ
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৫৬
দীপংকর চন্দ বলেছেন: আপনি না পড়লেও, না জানলেও সত্যিটা সবসময় সত্যিই থাকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গেই আসি কথার সূত্রে।
আপনি আশাকরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪ নম্বর শিক্ষকনিবাসের ঘটনাবলী জানেন।
জানেন নিশ্চয়ই হল কেন্দ্রিক নানা ইতিহাসও।
আশাকরি জানেন যুদ্ধ শুরুর অনেক পূর্ব থেকেই শিক্ষকদের বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত আভ্যন্তরিন অর্ন্তদ্বন্দ্ব, মেরুকরণ সম্পর্কে।
শুধু বইয়ের লেখায় যদি ভরসা রাখেন, তাহলে বিভিন্ন বই পুস্তকে, বিভিন্ন স্মৃতিচারণে, বিভিন্ন পত্রিকার সংরক্ষিত কলামে আপনি খুঁজে পাবেন আপনার আরাধ্য উত্তর।
কমপ্লিট মিলিটারী ক্র্যাকডাউন কখনও কোথায় আজ অবধি হয়নি।
সিভিলিয়ান ফাউন্ডেশন ছাড়া মিলিটারী এককভাবে বিরাট কিছু করার ক্ষমতা রাখে না একটি রাষ্ট্রস্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হিসেবে।
পৃথিবীর প্রতি প্রান্তের সামরিক হস্তক্ষেপের ইতিহাসের দিকে লক্ষ্য করুন ভালো করে।
মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি পর্যায় সম্পূর্ণ রাজনৈতিক।
সামরিক বাহিনীর কার্যক্রম রাজনৈতিক কূটপ্রক্রিয়ার অংশমাত্র।
২৫ মার্চ গণহত্যার এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক কিছু প্রকাশনার দিকে দৃষ্টি দিতে পারেন।
কথা বলতে পারেন ব্যক্তিগত ভাবে বিভিন্ন সংগঠন এবং নির্মমতার শিকার বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যদের সাথে।
আর নিজস্ব যুক্তি বুদ্ধি তো আছেই।
এবং শতদ্রু একটি নদী। আপনাকে বলছি। আপনার যদি সুনির্দিষ্ট কোন গ্রহণযোগ্য প্রশ্ন থাকে, আগামীকালের মধ্যে করবেন আশাকরি। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করবো প্রশ্নের উত্তর দিতে।
এবং আপনার মন্তব্যের অপ্রাসঙ্গিকতা পাঠককে প্রসঙ্গ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারে বিধায় আপনার সাথে মন্তব্য বিনিময়ের অংশটুকু সরিয়ে দেবো আমি।
শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
১৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৪৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পোস্টের জন্য ...
স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা ...
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১৮
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক অনেক মনিরা সুলতানা।
কৃতজ্ঞতা।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।
১৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ২:১৮
অক্টোপাস পল বলেছেন: ++++
স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১৯
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
কৃতজ্ঞতা অনেক উপস্থিতিতে।
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।
১৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:৩১
বিলোয় বলেছেন: "আমাকে গ্রেফতার করুন অন্যথায় চরমপন্থিরা স্বাধীনতা ঘোষনা করতে পারে"।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে এ অনুরোধ করেছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ট দলের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭১ সালে ঢাকায় সামরিক শাসক টিক্কা খানের গনসংযোগ কর্মকর্তা মেজর সিদ্দিক সালিক তার লিখিত উইটনেস টু সারেন্ডার পুস্তকে এ দাবি করেছেন।
২৫ তারিখের ক্রাক ডাউনের খবর শেখ মুজিব আগাম জেনে যান বিভিন্ন মাধ্যমে। মুজিব তার দলীয় নেতা কর্মী ও পরিবারের লোকদের আত্মগোপনে পাঠিয়ে নিজে সস্ত্রীক রয়ে গেলেন বাসভবনে এবং মধ্যরাতে তার গুছিয়ে রাখা হোল্ড-অলটি নিয়ে পাকবাহীনীর কাছে আত্মসমর্থন করেন (বেগম মুজিবের সাহ্মাত্কার ১৯৭৩)।
এ প্রসঙ্গে পশ্চিম বাংলার বিশিষ্ট সাংবাদিক জ্যোতি সেন গুপ্ত লিখেছেন, ২৪ তারিখে গোয়েন্দা সূত্র পাক বাহিনীর আক্রমনের আগাম সংবাদ জানিয়ে দেয় আ'লীগকে। কর্নেল ওসমানী ঐ দিনই মুজিবের সাথে দেখা করে তাকে অবহিত করেন। শেষ রাত পর্যন্ত নেতারা করনীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন। সিদ্ধান্ত হয়, তারা আত্মগোপন করবেন এবং পালিয়ে ভারতে চলে যাবেন। কিন্তু ২৫ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তাজউদ্দিন এসে দেখেন মুজিব তার বিছানাপত্র গুছিয়ে তৈরি হয়ে আছেন।
(সূত্র:মাসুদুল হক,দৈনিক ইনকিলাব,২৬ মার্চ ২০০৫)
কার্টেসি : বিখ্যাত বাঙ্গালী।
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৪৬
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ বিলোয়।
আপনার দীর্ঘ মন্তব্যের প্রাসঙ্গিকতা খুঁজে পেতে ব্যর্থ হলাম আমি।
ক্ষমাপ্রার্থণা রইলো।
উত্তর নিষ্প্রয়োজন যদিও, তবু আপনার মন্তব্যে মনে হলো আপনি বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি এবং বিভিন্ন বিখ্যাত মানুষের সৌজন্যে সিদ্দিক সালিকের ''উইটনেস টু সারেন্ডার'' গ্রন্থের কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
আপনার এই শ্রমসাধ্য কাজের চেয়ে অনায়াস কাজ হচ্ছে ''উইটনেস টু সারেন্ডার'' পড়ে ফেলা।
তাহলে যে সত্যে উপণীত হতে আপনি ইচ্ছুক, "উইটনেস টু সারেন্ডার" কতটুকু সাহায্য করে আপনাকে সে ব্যাপারে, তা সরাসরি বুঝতে সুবিধা হবে হয়তো।
// "আমাকে গ্রেফতার করুন অন্যথায় চরমপন্থিরা স্বাধীনতা ঘোষনা করতে পারে"।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে এ অনুরোধ করেছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ট দলের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭১ সালে ঢাকায় সামরিক শাসক টিক্কা খানের গনসংযোগ কর্মকর্তা মেজর সিদ্দিক সালিক তার লিখিত উইটনেস টু সারেন্ডার পুস্তকে এ দাবি করেছেন।//
আপনার মন্তব্যে উল্লেখিত কথাগুলো সন্নিবেশিত আলোচ্য পুস্তকের কোন অংশে, তার সাথে একটা প্রত্যক্ষ সংযোগ এবং অভিজ্ঞতার সুযোগ সৃষ্টি হবে তাহলে সহজেই!
আমার শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
১৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:৩০
জাফরুল মবীন বলেছেন: উপযুক্ত দিনে চমৎকার শেয়ার।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২৩
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক অনেক মবীন ভাই।
আপনাদের আন্তরিকতায় আমি আপ্লুত হই বারবার।
কৃতজ্ঞতা জানবেন। অনেক।
প্রার্থণা করবেন, পরমশক্তির আশীর্বাদ যেন সবসময় সাথে থাকে আমার।
এবং সাথে থাকে যেন আপনাদের ভালোবাসা।
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।
ভালো থাকবেন ভাই। সবসময়।
১৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৫০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার শেয়ারে কৃতজ্ঞতা । এগুলিই স্বাধিনতা যুদ্ধের অকাট্য দলিল । বিকৃত ইতিহাস পরিহার করে সঠিক ইতিহাস জানতে হলে সিদ্দিক সালিকদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা জানা বাঞ্চনীয়।
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২৬
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ কবি।
আপনার কথাসাহিত্যের প্রতিও অনুরক্ত হচ্ছি আমি দিন দিন।
কৃতজ্ঞতা উপস্থিতিতে।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। সবসময়।
১৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৮
অরুণ কুমার মজুমদার বলেছেন: নতুন তথ্য জানানোয় কৃতজ্ঞতা। চালিয়ে যান।
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২৯
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ অরুণ।
আমার তেমন কোন কৃতিত্ব নেই এখানে।
আমাদের সকলের জানা তথ্যগুলোই আরেকবার আলোচনায় তুলে আনা কেবল।
আমার শুভকামনা জানবেন ভাই।
ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। সবসময়।
২০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৩৪
মেশকাত মাহমুদ বলেছেন: চমতকার তথ্যবহুল পোস্ট। আমি যতদূর জানি শালিক গণহত্যার অন্যতম নায়ক। নিজের লেখনিতে কেউ নিজেকে ভিলেন হিসেবে উপস্থাপন করেনা। শুভকামনা রইল। ভবিস্যতে আরো সুন্দর তথ্যবহুল পোস্ট আশা করছি।
২৮ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৫৭
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আপনার বক্তব্যের সাথে পুরোপুরি একমত পোষণ করছি।
সালিকের ভা্ষ্য সাবধানতার সাথে বিবেচনায় নেয়ার জন্য সহব্লগাদের পূর্ববর্তী প্রতিমন্তব্যে কিছু কথা উল্লেখ করেছি আমি।
সুপ্রিয় সাদী ফেরদৌসের মন্তব্যের উত্তরে আমি বলেছি, //যদিও মনে করার অবকাশ নেই যে, মেজর সালিক অত্যন্ত উদারমনা এবং সত্যনিষ্ঠ মানুষ ছিলেন, তবু আমরা যে কয়েকজন পাকিস্তানি বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার লেখা পাঠের সুযোগ পাচ্ছি, তাদের মধ্যে সালিক অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য কথা লিখেছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপক্ষে অবস্থানকারী স্বজন হন্তারক চক্রের সদস্যদের মধ্যে সিদ্দিক সালিকও যে অন্যতম, সে বিষয়টি ভুলে যাওয়া চলবে না আমাদের।//
এবং শ্রদ্ধেয় মাঈনুদ্দিন মইনুল ভাইয়ের মন্তব্যের উত্তরে উল্লেখ করেছি, //পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা তাদের যুদ্ধ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন পুস্তকে, তাদের প্রায় প্রত্যেকের প্রবনতা আমরা লক্ষ্য করি অত্যন্ত বিনয়ী সাধুপুরুষ হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করার চেষ্টার পাশাপাশি নিজেদের মানবতাবিরোধী জঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের পক্ষে বানোয়াট যুক্তি দাঁঁড় করানোর অপপ্রয়াসকে।
সিদ্দিক সালিকও ব্যতিক্রম নয় তেমন। তার সম্পর্কে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। তবে আলোচ্য পুস্তকে তার প্রদেয় তথ্য তুলনামূলক গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়েছে আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায়।//
আপনার মন্তব্য বিষয়টির প্রতি সতর্ক থাকার পুনঃসংকেত হিসেবে প্রতীয়মান হোক আমাদের কাছে।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন ভাই।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।
২১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৩
রানার ব্লগ বলেছেন: বই টার বাংলা সংস্করন কি পাওয়া যাবে, গেলে কথায় পাবো জানাবেন। আর পোস্ট এর ব্যাপারে একটাই কথা বলবো, চমৎকার ।
২৮ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:১০
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক অনেক ভাই।
আমার জানামতে বর্তমানে বইটির ইংরেজী সংস্করণ মজুদ থাকা সাপেক্ষে আপনি সম্ভবত পেতে পারেন 'দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডে'।
বাংলা সংস্করণ নভেল পাবলিশার্স নামে এক প্রতিষ্ঠানের কাছে ছিলো। বর্তমানে তারা প্রকাশনা শিল্পের সাথে জড়িত কিনা, নিশ্চিত নই আমি।
আপনি ইউপিএল-এ একটু কথা বলুন, দেখুন, তারা কোন সাহায্য করতে পারেন কিনা এ বিষয়ে।
আপনি নিজে একটু চেষ্টা করুন ভাই। আমিও খোঁজ নেবার চেষ্টা করবো আপনাকে জানাবার জন্য।
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন ভাই।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
২২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯
এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।
২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:১৯
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক অনেক এহসান ভাই।
কৃতজ্ঞতা উপস্থিতিতে অনেক।
অনিঃশেষ শুভকামনা সবসময় আপনার প্রতি।
ভালো থাকবেন ভাই। অনেক ভালো। অনেক।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৫৭
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: অনেক নতুন কিছু জানলাম এই পোস্ট টা থেকে।
অনেক ভাললাগা রইল।