নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশা রাখো পৃথিবীর যতো অসম্ভবে

দীপংকর চন্দ

হায় চিল, সোনালি ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরেতুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে উড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে!

দীপংকর চন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার একটা নদী ছিল

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৬



একেবারেই ছোট যখন, প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় যখন যুক্ত হয়নি কোন নদী, মোটামুটি তখনকার কথা!
বয়োজ্যেষ্ঠদের গল্পের নানা সূত্রে এবং বহু ধরনের শিশুতোষ বইয়ের অক্ষর ছুঁয়ে একটা নদী জন্ম নিল আমার বুকের ভেতর! কাকচক্ষু জলের নিস্তরঙ্গ সেই নদীর বাঁকে বাঁকে সরলতা! দৈর্ঘে-প্রস্থে-রূপে-সৌন্দর্যে অনন্য সেই নদীর দুকূল জুড়ে প্রণিধানযোগ্য পরিচ্ছন্নতা!
নদীটির একটা নাম দেয়া দরকার! নামহীন কোন কিছুর সাথে আত্মীয়তা যেন ঠিক জমে না!
কি নাম দেয়া যায় নদীটির? সমবয়সীদের কাছে জিজ্ঞেস করলাম প্রথমে।
তারা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল আমার দিকে! অনোন্যপায় হয়ে বড়দের দ্বারস্থ হলাম!
আমার কথা তাঁরা ভাল করে শুনলোই না। বরং স্বভাবসুলভ গাম্ভীর্যে এসব উদ্ভট চিন্তা মন থেকে ঝেড়ে ফেলার আদেশ দিল আমাকে।
কিন্তু আমার তখন শয়নে স্বপনে নদী! নদীর নাম আমার অবশ্যই চাই! আমি নিজেই তখন নদীর নাম খোঁজার চেষ্টা করলাম! একটা ভীষণ সুন্দর নদীকে নামহীন রাখার অপরাধ কাঁধে নেয়া যায় না কিছুতেই!

কয়েকদিন কয়েকরাত চেষ্টার পর একটা নাম শিশিরস্নাত শিউলির মতো ঝরে পড়লো ভাবনার সবুজ আঁচলে! 'মালঞ্চ'। চেতন কিংবা অবচেতনের কোন স্তর থেকে, কোন আধিভৌতিক অভিজ্ঞতার আদ্যকেন্দ্র থেকে এই নামের জন্ম কে জানে, তবে মালঞ্চ নামটা বেশ মানিয়ে গেল আমার বুকের গহীনে বাসা বাঁধা নদীটির সাথে!

নদীর নাম দেবার ব্যাপারে কারো কোন আগ্রহ কিংবা উৎসাহ না থাকলেও নদীর নাম শুনে এবার কিন্তু নড়েচড়ে উঠল সকলে। শুরু হল নানাজনের নানামুখী আলোচনা, সমালোচনা, মন্তব্য!
দূর! নদীর নাম আবার মালঞ্চ হয় নাকি!
এমন কথা শুনে আমার শিশুমুখটা ম্লান হল স্বাভাবিকভাবেই। পাশাপাশি আবোধ্য একটা জেদও তৈরী হল ভেতরে। যে যাই বলুক, আমার নদীর নাম মালঞ্চ-ই! মালঞ্চ নামের নদী অবশ্যই হয়! বড় হয়ে মালঞ্চ নামের নদী খুঁজে বের করে আমি দেখিয়ে দেব সবাইকে!

এই জেদ আমার অটুট রইল পরবর্তী জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে।
বিভিন্নমুখী কাজ কিংবা অকাজের পাশাপাশি শুরু হল একটা নদী খোঁজার খেলা।
শৈশবের শেষপর্যায়ে বাস্তবিকঅর্থে প্রথম নদী দেখলাম আমি। আমাদের নিম্নমধ্যবিত্ত মহল্লার পাশেই ছিল ধোপাপাড়া। ধোপাপাড়ার মানুষগুলো ছিল জলের আত্মীয়। বিভিন্ন জলাশয়ের সাথে ঘনিষ্ট পরিচয় ছিল তাদের। শুধু বড়রাই নয়, ধোপাপাড়ার ছোট ছোট অসীম সাহসী শিশুরাও নিকটবর্তী জলাশয়গুলোর খোঁজখবর রাখতো বেশ ভালভাবেই। অভিভাবকদের নিষেধ মানার দেয়াল টপকে একদিন ধোপাপাড়ার শিশুদের সাথে বেরিয়ে পড়লাম আমি। চেনা পৃথিবী পেছনে ফেলে মালঞ্চ নদী খুঁজতে গিয়ে পরিচয় হল বাস্তব জীবনের প্রথম নদী শীতলক্ষ্যার সাথে ।
তারপর অতিবাহিত হয়েছে অনেক সময়। বুকের ভেতরে থাকা নদীর বাস্তব অস্তিত্ব অনুসন্ধান করতে করতে কত নদ-নদীর বাঁকে ঘুরেছি আমি! পদ্মা-মেঘনা-যমুনা! গঙ্গা-বুড়িগঙ্গা-নবগঙ্গা! ব্রহ্মপুত্র-আঁড়িয়াল খাঁ-কপোতাক্ষ! মাতামুহুরি-হালদা-কর্ণফুলি! কুমার-নারদ-ভৈরব! পুর্নভবা-করতোয়া-মহানন্দা! সোমেশ্বরী-ধলেশ্বরী-ফুলেশ্বরী! সন্ধ্যা-সুগন্ধা-কীর্তনখোলা! ইছামতি-শঙ্খ-বিষখালি!
নানা নদীর বাঁকে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ খুঁজে পেলাম ময়ূর নামের একটি নদীকে। খুলনা মহানগরীর প্রান্ত ছুঁয়ে প্রবাহিত হয়ে রূপসা নদীর সাথে মিলিত হওয়া এই নদীটি আশা বাড়িয়ে দিল আমার। কেন জানি মনে হল মালঞ্চ নদী খুঁজে পাওয়া মূলত সময়ের ব্যাপার!

ঘুরে বেড়ানোর আগ্রহ থেকে সাতক্ষীরার জেলার কালিগঞ্জ উপজেলায় গেলাম। কাকশিয়ালি নামের একটা খরস্রোতা নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে লোকালয়। বাসস্ট্যাণ্ডের পাশেই মাছের আড়ত। প্রখর বিষয়বুদ্ধিসম্পন্ন আড়তদার মো.আফসারের সাথে পরিচয় হল। তিনি বললেন সুন্দরবনের কথা।
কালিগঞ্জ থেকে খুব বেশী দূরে নয় সুন্দরবন! একবার ঘুরে গেলে মন্দ হয় না! ভাবনার সূত্র ধরেই চেপে বসলাম বাসে। কালিগঞ্জ পেছনে ফেলে শ্যামনগর। শ্যামনগর পেছনে ফেলে মুন্সিগঞ্জ।
মুন্সিগঞ্জ পৌঁছে থেমে গেল বাস। আমাদের নামতে হবে এখানেই। এরপর হাঁটতে হবে আবার।
কিন্তু সুন্দরবন কোথায়? সামনে দাঁড়ানো একজন ডাববিক্রেতার কাছে জানতে চাইলাম।
তিনি আঙ্গুল তুলে নিস্পৃহ স্বরে বললেন, এইতো!
কৌতুহলী দৃষ্টিতে আমি তাকালাম তার আঙ্গুল নির্দেশিত দিকপ্রান্তে। একি! এ যে সত্যি! সত্যিই তো সুন্দরবন আমার দৃষ্টিপ্রত্যক্ষে! কী ভীষণ অপার্থিব ঔদাসীন্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে অনিন্দ্যসুন্দর বনটি!
বর্ণনাতীত সৌন্দর্যের একটা স্বর্গীয় নদীও আছে সামনে!
সুন্দরবনের সাথে লোকালয়ের বিভাজন রেখা টেনে কি মৌনমুখরভাবে নদীটি বয়ে চলেছে অমরাবতীর দিকে! আবেগের আতিশয্যে প্রায় বাকরুদ্ধ আমি অস্ফুটস্বরে জানতে চাইলাম, কি নাম এই নদীর?
কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরের কোন এক অচেনা গ্রহ থেকে যেন উত্তর ভেসে এল, 'মালঞ্চ'!
অভূতপূর্ব আনন্দে অবগাহন করতে করতে আমি আবিষ্কার করলাম, আমার বুকের ভেতর বসবাস করা মালঞ্চ নদীর চেয়ে বাস্তবের মালঞ্চ নদী অনেক বেশী রূপবতী, অনেক বেশী নান্দনিক, অনেক বেশী ঐশ্বর্যশালী!


মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০২

জুন বলেছেন: দীপংকর চন্দ আপনার লেখাটি পড়া শুরু করেই মালঞ্চ নাম দেয়ায় ভাবছিলাম কি বলছে ? এমন নামেতো সাতক্ষীরার মুন্সীগঞ্জে একটি নদী আছে যেটায় চড়া আমরা ঘুরেছি সুন্দরবনের খালে খালে । নীল ডুমুর গিয়েছি ।
তারপর দেখি আপনিও উল্লেখ করেছেন তার ঠিকানা । আমার কাছেও অনেক ভালোলেগেছিল সেই শান্ত শিষ্ট মালঞ্চ নদীকে ।
মনের কথাটি তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ । তবে আরেকটা নদী শুধুমাত্র তার নামের জন্য আমার মনে আজ বহু বছর ধরে জায়গা করে আছে , তা হলো "ঈরাবতী "
+

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৭

দীপংকর চন্দ বলেছেন: শ্রদ্ধা বাড়ছে জুন।

কৃতজ্ঞতাও।

আমাদের দেশে সুন্দর নামের অনেক নদী এখনও আছে, যাদের নাম শুনলেই ভালোবাসা জন্ম নেয়!!!

ইরাবতী ভালোবাসার মতো একটি নদীর নাম অবশ্যই!

'বাগান' নিয়ে লেখায় আপনি স্যান্ড পেইটিংস এর কথা বলেছিলেন না!! যে ছবি আঁকা হয় সাদা কাপড়ে আঠা লাগিয়ে ইরাবতী নদীর বালি মিশিয়ে!!!

অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন তীক্ষ্ণদৃষ্টির পর্যটক।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০২

কলমের কালি শেষ বলেছেন: বুকের মধ্যে নদী এবং বাস্তব নদী দর্শনের ইতিবৃত্য বেশ লাগলো ।

ভাল থাকুন অশেষ । :)

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪০

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

আমার প্রথমবার সুন্দরবন দেখাও সেই প্রথম মালঞ্চের সাথে!!

শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৩

অন্ধবিন্দু বলেছেন: মিষ্টি জলের প্রাকৃতিক জলধারার কথা মিষ্টি শব্দ-বাক্যে তরঙ্গিনী আকুলতায় বিনুনি দিয়ে গেলো আমার নাগরিক দৃশ্যে। গোত্রহীন এক পাঠকের অনেক ভালোলাগা জানুন জনাব দীপংকর।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

দীপংকর চন্দ বলেছেন: //মিষ্টি জলের প্রাকৃতিক জলধারার কথা মিষ্টি শব্দ-বাক্যে তরঙ্গিনী আকুলতায় বিনুনি দিয়ে গেলো আমার নাগরিক দৃশ্যে।//

অনিন্দ্য শব্দবিন্যাস!! কবিতার মতো!!

গোত্রহীন তো আপনি নন কোন প্রকারেই শ্রদ্ধেয়, বরং আমিই গোত্রহীন, অন্ত্যজ, প্রান্তিক। এলোমেলো লেখার চেষ্টা নিয়ে উপস্থিত হই আপনাদের সামনে। বলতে দ্বিধা নেই, আপনাদের মতো বড়ো মনের মানুষের ভালোবাসা ভীষণ আপ্লুত করে আমাকে!

প্রার্থণা করবেন, আমার মাথা যেন নত থাকে কৃতজ্ঞতায়। সবসময়।

অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন শ্রদ্ধেয়।

ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। অনেক।

৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪

দীপান্বিতা বলেছেন: ভাল লাগল .....

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫১

দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক সুলেখক।

কৃতজ্ঞতা উপস্থিতিতে।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: দীপংকর চন্দ ,




কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরের কোন এক অচেনা গ্রহ থেকে নেমে এসে কথার ছন্দে - নৃত্যে ভেসে ভেসে কেউ একজন যেন বলে গেলো - আমার ও একটা নদী ছিল

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়।

আমার সামান্য লেখার চেষ্টায় আপনাদের মতো মানুষের উপস্থিতি আশীর্বাদের মতো!

সুতরাং কৃতজ্ঞতার কথা বারবার বলি।

এবং শুভকামনার কথাও।

অনেক ভালো থাকবেন শ্রদ্ধেয়। অনেক ভালো। সবসময়।

৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

দীপংকর চন্দ বলেছেন: প্রিয় কথাসাহিত্যিকের প্রতি শ্রদ্ধা থাকছে।

শুভকামনাও। অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।

৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ভাল লাগল :) :)

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০০

দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। অনেক।

কৃতজ্ঞতা।

এবং শুভকামনা। অনিঃশেষ।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।

৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৮

শায়মা বলেছেন: অমরাবতী নদী নাকি ভাইয়া? আমি ভেবেছিলাম অমরাবতীর কোনো স্বর্গীয় পুস্প!

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১০

দীপংকর চন্দ বলেছেন: আভিধানিক অর্থে যাওয়া ধৃষ্টতা হয়ে যায়!!!

আলোচ্য লেখায় প্রয়োগের কথা বলি বরং!!

অমরাবতী এখানে [বি.] ইন্দ্রপুরী, দেবগণের বাসস্হান কিংবা স্বর্গ- এধরনের একটা অর্থ বহন করছে!! অথবা সুন্দর, নিষ্কলুষ স্থান অর্থে!!!

সকলের জানা কথাগুলো বলতে কেমন যেন একটা সংকোচ কাজ করে!

সুতরাং ক্ষমাপ্রার্থণা থাকছে।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

সবসময় ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। অনেক।

৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫১

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১১

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন শহীদ ভাই।

কৃতজ্ঞতা থাকছে।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

১০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হয় নদীর নাম মালঞ্চ হতে পারে । মালঞ্চ নদী ভাল লাগলো । আমার একটা নদী ছিলা জানলো না তো কেউ গানটার কথা মনে পড়ে গেল শিরোনাম পড়ে ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৫

দীপংকর চন্দ বলেছেন: কবির প্রতি শ্রদ্ধা অনেক।

কৃতজ্ঞতা অনেক উপস্থিতিতে।

এবং শুভকামনা। অনিঃশেষ।

সবসময় ভালো থাকবেন। অনেক। অনেক ভালো।

১১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর বার বার পড়ার মত একটা পোষ্ট, প্রিয়তে নিলাম।
শুরুটা আমাকে শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেছেঃ
একেবারেই ছোট যখন, প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় যখন যুক্ত হয়নি কোন নদী, মোটামুটি তখনকার কথা!
বয়োজ্যেষ্ঠদের গল্পের নানা সূত্রে এবং বহু ধরনের শিশুতোষ বইয়ের অক্ষর ছুঁয়ে একটা নদী জন্ম নিল আমার বুকের ভেতর! কাকচক্ষু জলের নিস্তরঙ্গ সেই নদীর বাঁকে বাঁকে সরলতা! দৈর্ঘে-প্রস্থে-রূপে-সৌন্দর্যে অনন্য সেই নদীর দুকূল জুড়ে প্রণিধানযোগ্য পরিচ্ছন্নতা!
নদীটির একটা নাম দেয়া দরকার! নামহীন কোন কিছুর সাথে আত্মীয়তা যেন ঠিক জমে না!

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। অনেক । অনেক।

কৃতজ্ঞতার কথা বলি।

বলি অনিঃশেষ শুভকামনার কথাও।

অনেক ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। সবসময়।

১২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২২

এহসান সাবির বলেছেন: বাড়ির পাশে হলেও আপনাদের ওদিকে তেমন ঘোরা ফেরা করা হয়নি। দেখি যাব দেখতে একদিন'মালঞ্চ'...

শুভ কামনা।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৪

দীপংকর চন্দ বলেছেন: যেদিক দিয়ে লোকজনের যাতায়াত কম, সেদিক থেকে দেখলে মালঞ্চ কিংবা সুন্দরবন ভিন্নরকম লাগে!! একটু ঝুঁকি থাকে যদিও!!

মুন্সিগঞ্জ অবশ্য এখন বেশ জনবহুল, তবু ভালো লাগবে হয়তো!!

অনেক অনেক ভালো থাকবেন ভাই।

অনিঃশেষ শুভকামনা। সবসময়।

১৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮

আলোরিকা বলেছেন: নদীর নাম মালঞ্চ ! নদীর নাম নিয়ে একটি ছোট্ট মজার ঘটনা বলছি , আমার এক সহকর্মীর স্ত্রীর নাম 'রাইন' । তো উনি একদিন কথা প্রসঙ্গে বলছিলেন, ওনার স্ত্রী যখন জন্ম গ্রহণ করেন তখন ওনার নানী শাশুড়ি জার্মানির রাইন নদীর তীরে হাঁটছিলেন সেখান থেকে নাতনির নাম হয়ে গেল রাইন । একথা শুনে অন্য আরেক সহকর্মী মন্তব্য করলেন ভাগ্যিস ভাবীর নানী সেসময় বহ্মপুত্রের পাশে হাঁটছিলেন না ! :)

বর্ণনা সুন্দর !

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৯

দীপংকর চন্দ বলেছেন: হা হা হা হা

অথবা হতে পারতো চুয়াডাঙার মাথাভাঙা নদীর তীরে হাঁটছিলেন তিনি!!! অথবা নীলফামারির খড়খড়িয়া!!!

হয়নি ভাগ্যিস!!!

হা হা হা হা

আমার শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.