![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হায় চিল, সোনালি ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরেতুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে উড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে!
সুপরিকল্পিত এক বিকেলের সূচনালগ্ন।
মতিঝিলের কর্মক্লান্ত জনস্রোত, যন্ত্রযানের দীর্ঘমিছিল পেছনে ফেলে ইত্তেফাক ভবনের দিকে এগোলাম আমরা। অভিসার সিনেমা হলের চিত্তাকর্ষক ব্যানারের হাতছানি এড়িয়ে পৌঁছলাম হাটখোলায় রাজধানী সুপার মার্কেটের উল্টোদিকে আর্ট হ্যাভেন নামের একটি ছোট্ট দোকানের সামনে। দোকানের স্বত্বাধিকারী ইকরাম হোসেন অতি সাধারন একজন মানুষ। কিন্তু নিয়তির বিচিত্র খেয়ালে কখনও কখনও অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে পৃথিবীতে! ইকরাম হোসেনের মতো আপাতঃঅপাঙক্তেয়, অতি সাধারন মানুষের হাতেও লেখা হয় সময়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা- স্বৈরাচার নীপাত যাক॥ গনতন্ত্র মুক্তি পাক॥
আর্ট হ্যাভেনের স্বল্পায়তন পরিসরে প্রবেশ করলাম আমরা। কথা হল একহারা গড়নের ইকরাম হোসেনের সাথে।
শুরুতেই ব্যাক্তিজীবনের বর্ণনা। ১৯৬৮ সালে মহানগরী ঢাকায় জন্ম তার। অল্পবয়সে পিতৃবিয়োগের কারণে ইকরাম হোসেনের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগ্রহণ পরিপূর্ণভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। বেঁচে থাকার তাগিদে বিভিন্ন কাজ করার চেষ্টা করেন তিনি। লেদ মেশিন কারখানায় কাজ করেন কিছুদিন, করেন গ্যাস ওয়েল্ডিং, ইঞ্জিন ডেন্টিংয়ের কাজ। তারপর মতিঝিল শাপলা চত্বরের কাছে আশরাফ মটরস নামের একটি গাড়ি মেরামত কারখানায় করেন শ্রম-প্রদান। আশরাফ মটরসেই অঙ্কনশিল্পী বাদশা মিয়ার সাথে পরিচয়। এই বাদশা মিয়ার হাত ধরেই মূলত পেশা বদল ঘটে ইকরাম হোসেনের। এরপর বছর চারেক অতিক্রান্ত হয়।
দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকায় বিসিআইসি ভবনের উল্টোদিকে ফাঁকা জায়গায় তখন সুউচ্চ ভবন ছিল না; ছিল গাড়ি মেরামত কারখানাসহ বিভিন্ন ধরনের অতি ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য স্বল্প ব্যয়ে নির্মিত প্রান্তনিবাস এবং কিছু ছোট দোকান।
এখানেই পপুলার পাবলিসিটি নামে একটি বাণিজ্যিক চিত্রাঙ্কন প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করলেন ইকরাম হোসেন। পপুলার পাবলিসিটির কাছেই ছিল ক্যাফে চায়নার গলি।
পুরোনো ঢাকার বনগ্রাম থেকে এসে সেখানে আড্ডায় মিলিত হতেন নূর হোসেন।
মতিঝিল-দিলকুশার বিভিন্ন অফিসে পুরোনো কাগজ, পরিত্যক্ত যন্ত্রাংশ ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত জলিল ভাইয়ের সাথে ভীষণ সখ্য ছিল ঝাঁকড়া চুলের এই যুবকটির।
নূর হোসেনের সাথে মাঝে মাঝেই দেখা হত ইকরাম হোসেনের, সৌজন্যমূলক বাক্য বিনিময়ও হত, তবে তার চাইতে বেশি ঘনিষ্ঠতার সুযোগ হয়নি কখনও কর্মব্যস্ততার কারণেই। ইকরাম হোসেন জানতেন, নূর হোসেন আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী। রাজনৈতিক যে কোন কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন তিনি সবসময়।
১৯৮৭ সাল। রাষ্ট্রক্ষমতায় অগণতান্ত্রিকভাবে অধিষ্ঠিত সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ দেশের সমস্ত রাজনৈতিক জোট। প্রজাতন্ত্রের নিয়ন্ত্রাশক্তির স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ জনসাধারণ। বিক্ষোভ-আন্দোলনে প্রায় প্রতিদিনই উত্তাল রাজপথ। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের জীবনহানির সংখ্যা বাড়ছে আশঙ্কাজনকভাবে। পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে বিরোধী দলগুলো ১০ নভেম্বর ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিল। শুরু হল কর্মসূচি সফল করার প্রস্তুতি।
৮ নভেম্বর।
সকালে দোকানে কাজ করছিলেন ইকরাম হোসেন। এমন সময় কয়েকজন বন্ধুসহ সেখানে হঠাৎ উপস্থিত হলেন নূর হোসেন। একটা কাজ করে দেবার কথা বললেন ইকরাম হোসেনকে। সে সময় ব্যস্ত ছিলেন ইকরাম হোসেন। তাই তিনি পরদিন বিকেলে নূর হোসেনকে দোকানে আসতে বললেন।
৯ নভেম্বর।
শীতের পড়ন্ত বিকেলে নূর হোসেন এলেন পপুলার পাবলিসিটিতে। ঘণ্টাখানেক বসলেন। তারপর সন্ধ্যার ঠিক পূর্বমুহূর্তে ইকরাম হোসেনকে নিয়ে চললেন ক্যাফে চায়নার গলির পাশের প্রান্তনিবাসের একটি অংশে। সেখানে জামা খুলে উর্ধ্বাঙ্গ সম্পূর্ণ অনাবৃত করে দাঁড়ালেন নূর হোসেন। ইকরাম হোসেনকে বললেন, আজ আপনি এমন এক জায়গায় কিছু কথা লিখবেন, যা আপনি আপনার জীবনে কোনদিন লেখেননি।
নূর হোসেনের কথায় খানিকটা বিভ্রান্ত হলেন ইকরাম হোসেন! দ্বিধাগ্রস্ত হলেন! নূর হোসেনের অনাবৃত উর্ধ্বাঙ্গে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে নিশ্চিত হতে চাইলেন লেখার স্থান সম্পর্কে!
হ্যাঁ, নিশ্চিত করলেন নূর হোসেন, জানালেন, লিখতে হবে এই শরীরেই। কাছের একটা দেয়ালে স্বৈরাচার নীপাত যাক॥ গনতন্ত্র মুক্তি পাক॥ কথাগুলো লিখলেন। তারপর এই কথাগুলোই লিখে দিতে বললেন তাঁর বুকে-পিঠে। কারণ, আগামীকালের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিতে এভাবেই অংশ নিতে চান তিনি!
কিন্তু এই কাণ্ড যে নূর হোসেন নামের প্রাণোচ্ছল যুবকটির মৃত্যুর কারণ হতে পারে!
না! না! এ কাজ কিছুতেই করতে পারেন না ইকরাম হোসেন! তিনি ফিরে যেতে উদ্যত হতেই তার হাত চেপে ধরলেন নূর হোসেন, দৃঢ় কণ্ঠে বললেন, গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য তাঁর মতো শত প্রাণের বলিদান ভীষণ প্রয়োজন আজ!
নূর হোসেনের এ কথায় আকস্মিকভাবে দ্বিধামুক্তি ঘটল যেন ইকরাম হোসেনের! আপত্তির প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে কম্পিত হাতে তিনি তুলি তুলে নিলেন, সাদা এনামেল পেইন্টের কৌটার মুখ খুললেন, তারপর মিনিট বিশেকের মধ্যে লিখে ফেললেন সময়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা!
১০ নভেম্বর।
সকাল থেকেই ঢাকায় জারী ছিল ১৪৪ ধারা। কিন্তু সেই ধারাকে অগ্রাহ্য করে পথে নামলেন নূর হোসেন। স্বৈরাচার নিপাতের লক্ষ্যে, গণতন্ত্র মুক্তির দাবীতে মুষ্টিবদ্ধ হাত উর্ধ্বে তুলে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করলেন দশদিগন্ত। অবধারিতভাবে পুলিশ গুলি চালাল। সেই গুলিতে নূর হোসেনের নিষ্প্রাণ দেহ মাটিতে লুটাল ঠিকই, কিন্তু সময়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা শরীরে ধারণ করে নূর হোসেন পৌঁছে গেলেন অমরাবতীর অনিন্দ্যসুন্দর উপকূলে।
ছবি: সংগৃহীত
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৯
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ফেরদৌসা।
কৃতজ্ঞতা জানবেন।
এবং শুভকামনা। অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এক দারুন ইতিহাসের অজানা অনেক বিষয় আজ ক্লিয়ার হলো।
কিন্তু দু:খ সেই নূর হোসেনের রক্তের সাতৈ বেঈমানী করে সেই স্বৈরাচারের সাথেই আজ দহরম মহরম!!! আর নিজেরাও সেই স্বৈরাচারিতায় যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে জীবন দিল ণূর হোসেন।
হায়! রাজণীতি!
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৩
দীপংকর চন্দ বলেছেন: আমাদের এই গাঙ্গেয় ভূখণ্ডে শুধু রাজনীতিই নয়, প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে নীতিহীনতা বড়ো বেশি প্রকট!!!
কৃতজ্ঞতা থাকছে।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। সবসময়।
৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১০
গেম চেঞ্জার বলেছেন: নূর হোসেন কি এই খ্যাতি ভোগ করছে? নূর হোসেনের ফসল কারা ভোগ করছে? জনগণ?
কখনোই নয়। ফসলের সিকিভাগ পাচ্ছে কিনা সন্দেহ আছে। জনগণ হয়ে গেছে এখন সরকারের গোলাম। আর গণতন্ত্র হয়ে গেছে বুর্জোয়াদের শোষণের জন্য ব্যবহৃত ফ্যাক্টরি।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৬
দীপংকর চন্দ বলেছেন: মন্তব্যে শ্রদ্ধা থাকছে।
উপস্থিতিতে কৃতজ্ঞতা।
শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।
সবসময় ভালো থাকবেন। অনেক। অনেক ভালো।
৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৮
প্রামানিক বলেছেন: নূর হোসেন সম্পর্কে অনেক অজানা বিষয় জানা হলো। ধন্যবাদ দীপংকর দা।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৮
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন আপনিও। অনেক।
এবং শুভকামনাও। অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন ভাই। অনেক ভালো। সবসময়।
৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৪
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: জ্যোৎস্নামাখা ঊর্ণাজালের মত স্মৃতি, তোমার স্মৃতি
হৃদয় জুড়ে কেমন হুহু বিষাদ গীতি|
শামসুর রাহমান|
গনতন্ত্র মুক্তি পাক|
আপনার লেখাটা চমৎকার
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩২
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক ভালো লাগা মন্তব্যে।
শ্রদ্ধা জানবেন।
কৃতজ্ঞতাও।
অনিঃশেষ শুভকামনা ভাই।
ভালো থাকবেন সবসময়। অনেক ভালো।
৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৩
রোকসানা লেইস বলেছেন: সে এক সময় ছিল প্রকৃত মুক্তি পাওয়ার কিন্তু বাংলার মানুষ ভুল করল। সে ভুলের মাশুল চলছে এখনও। নূর হোসেনোর ঐতিহাসিক লেখার সাথে জড়িত ইতিহাস জানানোর জন্য ধন্যবাদ
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৬
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ভুল কি বাংলার মানুষের অধিপতি প্রবণতা???
কতো ভুল!!! বারবার ভুল!!! এখনো ভুল!!!
আশাবাদ থাক তবু।
কৃতজ্ঞতা।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
সবসময় ভালো থাকবেন। অনেক।
৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: নূর হোসেনকে নিয়ে অনেক লেখাই পড়েছি, কিন্তু এরকম পড়ি নি। ভালো লাগলো দেহে অঙ্কিত শ্লোগানের পূর্ব ঘটনাক্রম জেনে।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৭
দীপংকর চন্দ বলেছেন: শ্রদ্ধা প্রিয় কথাসাহিত্যিকের প্রতি। অনেক।
কৃতজ্ঞতা থাকছে।
শুভকামনাও।
প্রার্থণা, ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।
৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৩
আমিনুর রহমান বলেছেন:
শরীররে প্রতিটি লোম দাঁড়িয়ে গেছে শেষ অংশটুকু পড়ার সময়। আগে কখনোই শুনিনি লেখার এই ইতিহাসটুকু।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪০
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন ভাই।
আশাকরি শরীর ভালো আছে আপনার!
কৃতজ্ঞতা উপস্থিতিতে।
আমার শুভকামনা থাকছে। অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। অনেক। সবসময়।
৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৩৩
কিরমানী লিটন বলেছেন: ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: পড়তে গিয়ে চোখে পানি চলে এল।
তখন আমি একেবারেই ছোট। বড় হয়ে জানতে পেরেছিলাম নূর হোসেনের নাম।আর আপনার লেখায় আরো বিস্তারিত জানলাম।
গেম চেঞ্জার বলেছেন: নূর হোসেন কি এই খ্যাতি ভোগ করছে? নূর হোসেনের ফসল কারা ভোগ করছে? জনগণ?
কখনোই নয়। ফসলের সিকিভাগ পাচ্ছে কিনা সন্দেহ আছে। জনগণ হয়ে গেছে এখন সরকারের গোলাম। আর গণতন্ত্র হয়ে গেছে বুর্জোয়াদের শোষণের জন্য ব্যবহৃত ফ্যাক্টরি।
অনেক শুভকামনা প্রিয় দীপংকর চন্দ , বিপ্লবী অভিবাদন ...
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৭
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক শ্রদ্ধা ভাই সুন্দর মন্তব্যে।
সম্ভবত আমাদের চারিত্রিক গঠন যেমন, তেমন তন্ত্রেই বসবাস আমাদের!!!
তবু আশা থাক, ভালোবাসাও, মানুষের প্রতি!
আমার শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
১০| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য তাঁর মতো শত প্রাণের বলিদান ভীষণ প্রয়োজন আজ!
স্যালুট নুর হোসেন ।
আফসোস !! নুর হোসেনের খুনি আজ নুর হোসেনের আদর্শের সাথে আঁতাত করে নুর হোসেন দিবস পালন করে !!!
বছরের শ্রেষ্ঠ অনুসন্ধানী পোস্ট , যার নিউজ ভ্যালু অপরিসীম ।
অভিনন্দন দীপংকর চন্দ ।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫০
দীপংকর চন্দ বলেছেন: কি যে বলেন ভাই!!
লেখার চেষ্টাই তো সামান্য!!
আপনাদের ভালোবাসা আর আশীর্বাদে আপ্লুত আমি ভীষণভাবে!
কৃতজ্ঞতা।
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।
১১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫
শামছুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।
ইতিহাসটাকে এমন ভাবে চোখের সামনে নিয়ে আসলেন, সত্যি অনবদ্যঃ
// ইকরাম হোসেনকে বললেন, আজ আপনি এমন এক জায়গায় কিছু কথা লিখবেন, যা আপনি আপনার জীবনে কোনদিন লেখেননি। //
অকুতোভয় নূর হোসেনকে শত সালামঃ
//হ্যাঁ, নিশ্চিত করলেন নূর হোসেন, জানালেন, লিখতে হবে এই শরীরেই। কাছের একটা দেয়ালে স্বৈরাচার নীপাত যাক॥ গনতন্ত্র মুক্তি পাক॥ কথাগুলো লিখলেন। তারপর এই কথাগুলোই লিখে দিতে বললেন তাঁর বুকে-পিঠে। কারণ, আগামীকালের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিতে এভাবেই অংশ নিতে চান তিনি!//
শ্রেষ্ঠ কবিতাটা লিখলেন খুব সাধারণ খেটে খাওয়া দু'জন মানু্ষঃ
//কম্পিত হাতে তিনি তুলি তুলে নিলেন, সাদা এনামেল পেইন্টের কৌটার মুখ খুললেন, তারপর মিনিট বিশেকের মধ্যে লিখে ফেললেন সময়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা!//
শেষের লাইনে কবি দীপংক দা কে খুঁজে পেলাম, তিনি তার কথার শেষ আঁচড়ে নূর হোসেনকে মহিমান্বিত করলেনঃ
//সেই গুলিতে নূর হোসেনের নিষ্প্রাণ দেহ মাটিতে লুটাল ঠিকই, কিন্তু সময়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা শরীরে ধারণ করে নূর হোসেন পৌঁছে গেলেন অমরাবতীর অনিন্দ্যসুন্দর উপকূলে।//
নূর হোসেনের আত্মত্যাগের ছোট্ট ইতিহাসটা মনে গভীর দাগ কেঁটেছে।
ভাল থাকুন। সবসময়।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৭
দীপংকর চন্দ বলেছেন: //শ্রেষ্ঠ কবিতাটা লিখলেন খুব সাধারণ খেটে খাওয়া দু'জন মানু্ষ//
অসাধারণ বলেছেন!!!
তা-ই হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সম্ভবত!!! সাধারণ মানুষের অসাধারণ ঘটনাগুলো উপেক্ষার চাদরে ঢেকে অসাধারণ মানুষের সাধারণ ঘটনা নিয়ে দ্বন্দ্ব-কলহে মত্ত হই আমরা!!!
অত্যন্ত মনোযোগী পাঠে মুগ্ধতা থাকছে ভাই।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
অনেক ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। সবসময়।
১২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: দীপংকর চন্দ ,
আপাতঃ অপাঙক্তেয়, অতি সাধারন মানুষের হাতেও যেমন লেখা হয় সময়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা, তেমনি যে কলমের হাত কিছু লেখার জন্যে আকন্ঠ তৃষ্ণায় ছটফট করে ; তেমন হাতেই এমন করে বিস্মৃতির অতলান্ত গহ্বর থেকে কিছু না জানা ইতিহাসের কালো রঙে সময়ের শ্রেষ্ঠ লেখাটি লেখা হয়ে যায় ।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০১
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা শ্রদ্ধেয়।
আপনার অকৃত্রিম ভালোবাসা আর আশীর্বাদের উত্তাপ আমাকে আবেগাপ্লুত করে ভীষণভাবে!
প্রার্থণা করবেন, আমার মাথা যেন নত থাকে কৃতজ্ঞতায়। সবসময়।
আমার শুভকামনা জানবেন শ্রদ্ধেয়। অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন। অনেক। অনেক ভালো।
১৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
শিহরণ জাগানো লেখা, কবি!
শিহরিত হলাম।
//গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য তাঁর মতো শত প্রাণের বলিদান ভীষণ প্রয়োজন আজ!//
এখনও স্বদেশ 'গণতন্ত্রায়মান'
গণতন্ত্রের সমস্যা, গণতন্ত্রই দিতে পারে সমাধান...
কিন্তু নূর হোসেনেরা সব ক্লান্ত
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৬
দীপংকর চন্দ বলেছেন: কিন্তু আমি আশাবাদী সবসময়।
সমস্যার উল্টোপিঠেই সমাধান সম্ভবত! অভাব হয়তো আন্তরিক প্রয়াসের!
সব ক্লান্তিই প্রভু ক্ষমা করেন।
অনিঃশেষ শুভকামনা থাকছে।
ভালো থাকবেন ভাই। অনেক। সবসময়।
১৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০০
আলোরিকা বলেছেন: ' সেই গুলিতে নূর হোসেনের নিষ্প্রাণ দেহ মাটিতে লুটাল ঠিকই, কিন্তু সময়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা শরীরে ধারণ করে নূর হোসেন পৌঁছে গেলেন অমরাবতীর অনিন্দ্যসুন্দর উপকূলে।'+++++
- স্বৈর শাসকের কাছে একটি প্রাণ হয়তো অতি তুচ্ছ , নগণ্য ! কিন্তু সে প্রাণ যে অমোঘ বাণী অন্যদের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছিল , তা কি রুখতে পেরছিল না পারবে । আমরা ভুলে যাই , ভুলে থাকতে ভালবাসি । সে পরাক্রমশালী তো এখনও আমাদের চোখের সামনে জীবন্ত উদাহরণ । আফসোস আমরা দেখেও শিক্ষা নিই না
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১০
দীপংকর চন্দ বলেছেন: //আমরা ভুলে যাই , ভুলে থাকতে ভালবাসি ।//
অত্যন্ত জীবন্ত মন্তব্যে শ্রদ্ধা থাকছে আলোরিকা।
আশাবাদ থাক তবু।
আমার শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।
১৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩০
জেন রসি বলেছেন: স্বৈরাচার নীপাত যাক॥ গনতন্ত্র মুক্তি পাক॥
যতবার গনতন্ত্রকে গলা টিপে ধরা হবে, ততবার নূর হোসেনদের জন্ম হবে!
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৫
দীপংকর চন্দ বলেছেন: //যতবার গনতন্ত্রকে গলা টিপে ধরা হবে, ততবার নূর হোসেনদের জন্ম হবে!//
আশাবাদ চিরজাগ্রত থাক সবসময়।
মন্তব্যে শ্রদ্ধা অনেক ভাই।
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।
সবসময় ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। অনেক।
১৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫
সুমন কর বলেছেন: অনেক কিছুই জানা ছিল না। চমৎকার শেয়ার।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৬
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। অনেক। অনেক।
কৃতজ্ঞতা।
এবং শুভকামনা। অনিঃশেষ।
অনেক ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
১৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শহীদ নূর হোসেন দিবসের প্রত্যাশাঃ বিকশিত হোক মুক্ত গণতন্ত্রের চর্চা
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৭
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন ভাই। অনেক।
অনিঃশেষ শুভকামনা।
সৈয়দ আমিনুল হুদা টিটো-র এমন আত্মত্যাগ কোন লেখার পাদদেশে নয়, থাকা উচিত অনন্যশীর্ষে।
পাদদেশের সংযুক্তিটি অপসারণের জন্য ক্ষমাপ্রার্থণা থাকছে।
ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। সবসময়।
১৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০
এহসান সাবির বলেছেন: সেরা পোস্ট।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০১
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এহসান ভাই।
বরাবরের মতো সামান্য চেষ্টা।
ভালোবাসা পাবার ভাগ্য সত্যি ইর্ষণীয় আমার!
আপনাদের ভালোবাসায় আমার লেখার সামান্য চেষ্টাগুলো সিক্ত হয় সবসময়।
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।
ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন উত্তরের দীর্ঘ বিলম্ব।
এবং ভালো থাকবেন। অনেক।
১৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১২
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ভাল লাগল
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০২
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেক। অনেক।
কৃতজ্ঞতার কথা বলি বারবার।
অনিঃশেষ শুভকামনা কথাও বলি ক্লান্তিহীন।
ভালো থাকবেন ভাই। অনেক ভালো। সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: পড়তে গিয়ে চোখে পানি চলে এল।
তখন আমি একেবারেই ছোট। বড় হয়ে জানতে পেরেছিলাম নূর হোসেনের নাম।আর আপনার লেখায় আরো বিস্তারিত জানলাম।