নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশা রাখো পৃথিবীর যতো অসম্ভবে

দীপংকর চন্দ

হায় চিল, সোনালি ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরেতুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে উড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে!

দীপংকর চন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমাদের যা বলার ছিলো বলছে কি তা বাংলাদেশ

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪



ভীষণ দীনতা যেন যাপিত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে! নিরাপত্তাহীনতা! অসহিষ্ণুতা! অসম্প্রীতি! অনিশ্চিতি!
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বমুখি প্রবণতার কথাই বা বাকি থাকে কেন!! কথা, কথা আর কথা! অর্থহীন এক অর্থে!
এবং মতিঝিল থেকে চেপে বসা বাসের একেবারে পেছনের সিটে শরীর এলিয়ে অর্থহীন অজস্র কথা মনে হচ্ছিলো বারবার!
আচ্ছা! আমাদের কথাগুলো সব অর্থহীন হয় কেন?
আমাদের ব্যক্তিক-সামষ্টিক-সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক স্তরগুলো মেধাশূন্যতায় জর্জরিত বলেই কি?

ভাবতে ভাবতে ধানমন্ডি পনেরো নম্বর বাসস্ট্যান্ড পেছনে ফেলে শংকর নামলাম। নেমে যথারীতি রিকশা নিলাম। জাফরাবাদ, পুলপাড় বাজার পার হয়ে নানা ধরনের অপরিকল্পিত আবাস, প্রান্তনিবাস, দোকানপাট অতিক্রম করতে না করতেই দৃষ্টিসীমা স্পর্শ করলো শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের নান্দনিক কাঠামো- যে কাঠামোর প্রতিটি ইটে প্রোথিত বেদনার মহাকাব্য- আমাদের উপলব্ধ অর্থহীনতা, মেধাশূন্যতা কিংবা অন্তসারশূন্য যাপিত জীবনের নেপথ্যসত্য।

১৯৭১। রাজনৈতিকভাবে পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী যুদ্ধের প্রথম প্রহর থেকেই শুরু করে বাঙালি নিধনযজ্ঞ নির্বিচারে। সামরিক পরাজয়ও যখন নিশ্চিত তাদের, তখন তারা জন্ম সুনিশ্চিত হওয়া বাংলাদেশের অগ্রগতির ভবিষ্যত পথগুলো রুদ্ধ করে দেবার লক্ষ্যে পরিকল্পনামাফিক শুরু করে বুদ্ধিজীবী নিধনও। কারণ, তারা জানতো, একটি দেশকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পঙ্গু করার অন্যতম উপায় মেধাশূন্যতা সৃষ্টি। এই হীন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সাহায্যের সশস্ত্র হাত প্রসারিত করে রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনী। তাদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে দেশপ্রেমিক মানুষদের পাশাপাশি একে একে চিহ্নিত হতে থাকে বুদ্ধিজীবীরা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী এই অপশক্তি তাঁদের ধরে নিয়ে যায় বধ্যভূমিতে এবং হত্যা করে পাশবিকভাবে, আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হত্যার পর লাশগুলো ফেলে রাখে বধ্যভূমিতেই।

পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের অব্যবহিত পূর্ব দিনগুলোতে, বিশেষত ১৪ ডিসেম্বর স্বাধীনতা বিরোধীদের সেই বর্বর, নৃশংস হত্যাযজ্ঞ পরিগ্রহ করে ভয়াবহ রূপ। ঢাকা শহরের বধ্যভূমিগুলোর অন্যতম মোহম্মদপুর বেড়িবাঁধসংলগ্ন রায়েরবাজারের এই চিহ্নিত স্থানটি যুদ্ধকালীন সেই ভয়াবহ, শোকার্ত সময়ের নির্বাক সাক্ষী!

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিবিজড়িত এই বধ্যভূমিটি দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে পড়েছিলো অযত্নে, অবহেলায়। ১৯৯১ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রজন্ম ৭১ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিরক্ষার দাবীতে একটি স্মৃতিফলক স্থাপন করে এখানে। পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় সদিচ্ছায় গণপূর্ত অধিদপ্তর সুনির্দিষ্ট এই স্থানে সৌধ নির্মাণের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে নকশা আহবান করার পরিপ্রেক্ষিতে জমা পড়ে বিভিন্ন স্থপতির মোট ২২টি নকশা। নকশাগুলোর মধ্যে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হওয়া অনন্যসাধারণ নকশাটির প্রণেতা যৌথভাবে স্থপতি ফরিদ উদ্দীন আহমেদ এবং জামী আল-সাফী।

১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯- এই তিন বছরে তিলে তিলে গড়ে ওঠা স্থাপনাটি রায়েরবাজারের পুরোনো ইটখোলাসংলগ্ন একটি বিধ্বস্ত ঘরের প্রতীকী প্রকাশ- যে ঘরের ছাদসহ সমস্ত দেয়ালই মানবতা ভূলুণ্ঠিত করা ভয়ংকর আঘাতে গুড়িয়ে গেলেও প্রায় বৃত্তচাপ আকারের একটি দেয়াল অপরাজেয় অহংকারে অটল, অক্ষত, অবিচল।
৩ ফুট পুরু এবং ৩৮০ ফুট দীর্ঘ সেই দেয়ালের দক্ষিণ এবং উত্তর প্রান্ত ক্ষয়ে মিশে গেছে মাটিতে কিন্তু মাঝখানের বেশ খানিকটা অংশ যেন মাটি ভেদ করে হঠাৎই উঠে এসেছে ৫৮ ফুট উচ্চতায়। স্থাপনার উচ্চতর সেই স্থানে ২০ ফুট বর্গাকার একটি জানালা, যে জানালা দিয়ে দেখা যায় বাংলাদেশের স্বাধীন সার্বভৌম আকাশ।

রিকশা ছেড়ে হাঁটতে হাঁটতে এসে দাঁড়ালাম সৌধের কাছে। দেয়ালাকৃতির অনিন্দ্যসুন্দর সৌধটির সামনেই টলটলে জল, আর সেই জলের ভেতর কালো রংয়ের একটি শোকস্তম্ভ- নতমুখ, নয়নাভিরাম।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের গণপূর্ত অধিদপ্তরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধটির রক্ষণাবেক্ষণের যাবতীয় কাজ পরিচালিত হলেও প্রকল্পের অর্থযোগানদাতা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়। স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনের উত্তর-পূর্ব কোণে প্রকল্পের অফিস। অফিসের পাশেই নিরাপত্তা রক্ষীদের থাকার ব্যবস্থা। কথা হলো কয়েকজন নিরাপত্তা রক্ষীর সাথে। কথা হলো কয়েকজন দর্শনার্থীর সাথেও। তারা জানালেন, প্রকল্প অভ্যন্তরে বিরাজমান বেশ কিছু অসংগতির কথা। জানালেন সৌধপ্রাঙ্গণে বিরাজমান বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম বিশৃঙ্খলার কথা। জানালেন যতি-ব্যতিরিকে নানা রকম অভিযোগের কথা। কথা, কথা আর কথা! অর্থহীন এক অর্থে!

তবু সেই অর্থহীন কথাগুলো শুনতে শুনতে হৃদয়ভারাক্রান্ত ভাবনা ভিড় করে অবচেতনে, মনে হয়, কেবলই মনে হয় স্বাধীনতা অর্জনের প্রাক্কালে জাতিকে মেধাশূন্যতায় নিমজ্জিত করার নিদারুণ পরিকল্পনার বিষয়টি- অনিয়ম বিশৃঙ্খলায় এদেশের প্রতিটি ক্ষেত্র আক্রান্ত হবার যে বীজ রোপন করেছিলো স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা বুদ্ধিজীবী হত্যার মাধ্যমে, সেই বিষবৃক্ষের ফলই কি আজ ভোগ করতে হচ্ছে আমাদের?


মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বুদ্ধিজীবী হত্যার প্রতিফলই যে সব তা মানতে রাজি নই। তবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মাধ্যমে আমাদের মুক্তচিন্তনশক্তিকে পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল। তবে দিনে দিনে আশা বাড়ছে। কমছে না।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৬

দীপংকর চন্দ বলেছেন: আশাতেই বসবাস আমাদের!

আশা বাড়ুক।

শুভকামনা অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন। সবসময়।

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৮

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: বহুদিন আগে আমি একটা বই পড়েছিলাম,সেখানে লেখাছিল, কোন দেশকে যুদ্ধহীন ভাবে ধ্বংস করতে হলে সেদেশের বুদ্ধিজীবিদের ধ্বংস কর । আমার মনে হয় পাকিস্থান পন্থিরা হাড়ের প্রতিশোধটা এইভাবেই নিতে চেয়েছিল ।:D:D:D

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫০

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অদ্ভুত মেধা এবং নৈতিক গুণাবলীতে সমৃদ্ধ অনেক বুদ্ধিজীবী হারিয়েছি আমরা।

বুদ্ধিজীবী হারানোর ক্ষতি পূরণীয় নয় কোন দেশে কোন কালেই।

শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৪৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: কথা গুলো খুব প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছেঃ

//তবু সেই অর্থহীন কথাগুলো শুনতে শুনতে হৃদয়ভারাক্রান্ত ভাবনা ভিড় করে অবচেতনে, মনে হয়, কেবলই মনে হয় স্বাধীনতা অর্জনের প্রাক্কালে জাতিকে মেধাশূন্যতায় নিমজ্জিত করার নিদারুণ পরিকল্পনার বিষয়টি- অনিয়ম বিশৃঙ্খলায় এদেশের প্রতিটি ক্ষেত্র আক্রান্ত হবার যে বীজ রোপন করেছিলো স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা বুদ্ধিজীবী হত্যার মাধ্যমে, সেই বিষবৃক্ষের ফলই কি আজ ভোগ করতে হচ্ছে আমাদের?//

বুদ্ধিজীবী হত্যার মাধ্যমে বুদ্ধিবৃত্তির একটা চর্চা ব্যাহত হয়েছিল এবং বিরুদ্ধ একটা স্রোত ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে ক্রমেই গ্রাস করেছে শুভবুদ্ধিকে-তারই নির্মম প্রকাশ সমাজ ও রাষ্ট্রে। এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে চাই আরও একটি বিপ্লব-বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ গুলোর এককাতারে শামিল হওয়া, যা জাতিকে বিভ্রান্তি থেকে মুক্তি দেবে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫২

দীপংকর চন্দ বলেছেন: //বুদ্ধিজীবী হত্যার মাধ্যমে বুদ্ধিবৃত্তির একটা চর্চা ব্যাহত হয়েছিল এবং বিরুদ্ধ একটা স্রোত ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে ক্রমেই গ্রাস করেছে শুভবুদ্ধিকে-তারই নির্মম প্রকাশ সমাজ ও রাষ্ট্রে।//

অনেক অনেক শ্রদ্ধা সুচিন্তিত মন্তব্যে।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন ভাই।

ভালো থাকবেন। সবসময়।

৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০২

কালনী নদী বলেছেন: পাকিস্তান পরিকল্পনামাফিক সফলতা পেলো, তখন কি কেউ তা অবগত ছিলেন না? নাকি এ ব্যাপারে সময়মত সঠিক সিদ্বান্তে পেীছাতে পারেন নি? সব মেনে নিলে অতিথ মূল্যায়নের প্রয়োজন নেই তবে যদি ঘটনাটা চিন্তা করেন তাহলে বর্তমানের অবস্থাটা আর তাদের পরিকল্পনাটা খাপ খায়। যুদ্ধের পরের নেতৃত্ব নিয়ে গাফেলতি আর ইতিহাস বিকৃতি। আজকাল ইন্টারনেটে বাংলাতে লিখেন বা সামুতে ব্লগ লিখেন কথাটা জানতে পারলে পাশেরজন কি ভাববে তাই চিন্তার বিষয়। আরেকদিকে দেখেন নাস্তিকরা ঠিকই ভালো আছে, কিন্তুু তাদের শিষ্য বাঁদরদের গুটা কয়েকের মুসলমান নামের আরেকদল কুলাঙ্গারদের কাছে শাহাদাত বরন করা। দুঃখ একটাই সময় থাকলে ওরাও হয়তো মুমিন হইতো। ভুলটা দড়তে পারাই সামনে এগিয়ে যাওয়া, মনে হয় তাই গুরুজন বলেন ভুল থেকে শিক্ষা নিতে। যাই হোক আপনার লিখনীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধকে যেন চাক্ষুস চরখ করলাম। সুন্দর লেখন অব্যাহত রাখেন। এই কামনায়।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৬

দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক।

কৃতজ্ঞতা উপস্থিতিতে।

শুভকামনা আপনার জন্য। অনিঃশেষ।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২৬

লালূ বলেছেন: বুদধিজীবি সমৃতি সৌধটি স্বাধীনতার ১২ বছরেও তৈরী করা হয় নি !~ ওটি তৈরি করেন ৮২ সালে ক্ষমতায় এসে এ রশাদ !
কি মিথ্যা বললাম ?

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৩

দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক।

ইতিহাসের সত্য নির্ধারণ করার জন্য দালিলিক এবং প্রামাণিক অনেক তথ্য উপাত্তই খুঁজে পাওয়া কষ্টকর নয় খুব একটা।

কৃতজ্ঞতা উপস্থিতিতে।

অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৩

কালনী নদী বলেছেন: ইতিহাস গাঠান, দাবা খেলতে মানা করছে কে? মন্ত্রি ঘোড়া আপনার হাতে। কে করে চেক মেট?

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৫

দীপংকর চন্দ বলেছেন: পুনরায় উপস্থিতিতে শুভকামনা পুনরায়।

ভালো থাকবেন। সবসময়।

৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪২

আবু শাকিল বলেছেন: পড়ায় অনেক ভাল পেলাম।
ধন্যবাদ দাদা।
মাফ করবেন-
আমি একটি অপ্রাসঙ্গিক কথা বলি এখানে-
বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ জন অফিসার মারা গেছে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১০

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ শাকিল ভাই।

উপস্থিতিতে কৃতজ্ঞতা।

হোক প্রাসঙ্গিক কিংবা অপ্রাসঙ্গিক, বক্তব্য প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে আমার অবস্থান।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩

ফা হিম বলেছেন: আসলে বুদ্ধিজীবীদের কোন দেশ নেই। সেই বুদ্ধিজীবীরা বেচে থাকলে আজ কি পরিস্থিতি অন্য রকম হতে পারত? আমার তা মনে হয় না। শাসক শ্রেণী কোনদিনও বুদ্ধিজীবীদের কথা শুনবে না। এখনকার ব্লগার, মুক্তমনাদের কথাও কেউ আমল দেয় না। তাদের হত্যাকান্ডেও সরকারের কিছু যায় আসে না। যখন প্রয়োজন হবে, তাদের দাবার ঘূটি বানানো হবে, তারপর ছুড়ে ফেলে দিবে। এটাই বাস্তবতা।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২২

দীপংকর চন্দ বলেছেন: সত্যের প্রতি একনিষ্ট থাকার পথ চিরকালই বন্ধুর।

ইতিহাস বলে, সত্যবক্তার সাথে শাসক গোষ্টির সম্পর্ক বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাংঘর্ষিক।

বিবেক মানুষকে সত্যের পথে পরিচালিত করে, কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠিস্বার্থ নয়।

অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

৯| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫২

সুমন কর বলেছেন: ভিন্ন রকম একটি লেখা উপহার দেবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৪

দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। অনেক। অনেক।

উপস্থিতিতে কৃতজ্ঞতা।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

সবসময় ভালো থাকবেন। অনেক ভালো।

১০| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২১

কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপনে সমৃদ্ধ ইতিহাস পঠন ।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৬

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

কৃতজ্ঞতা জানবেন।

জানবেন শুভকামনা। অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। সবসময়।

১১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৫

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: দারুণ লিখেছেন । শেষের প্রশ্নটাই বাস্তব ।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সুলেখক।

কৃতজ্ঞতা উপস্থিতিতে।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

ক্ষমাপ্রার্থণা উত্তরের বিলম্বের জন্য।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

১২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১০

কিরমানী লিটন বলেছেন: শামছুল ইসলাম বলেছেন: কথা গুলো খুব প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছেঃ

//তবু সেই অর্থহীন কথাগুলো শুনতে শুনতে হৃদয়ভারাক্রান্ত ভাবনা ভিড় করে অবচেতনে, মনে হয়, কেবলই মনে হয় স্বাধীনতা অর্জনের প্রাক্কালে জাতিকে মেধাশূন্যতায় নিমজ্জিত করার নিদারুণ পরিকল্পনার বিষয়টি- অনিয়ম বিশৃঙ্খলায় এদেশের প্রতিটি ক্ষেত্র আক্রান্ত হবার যে বীজ রোপন করেছিলো স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা বুদ্ধিজীবী হত্যার মাধ্যমে, সেই বিষবৃক্ষের ফলই কি আজ ভোগ করতে হচ্ছে আমাদের?//

ভিন্নমাত্রার চমৎকার পোষ্টের জন্য অনেক অভিবাদন প্রিয় দীপংকর চন্দ দাদাভাই ,সতত শুভকামনা ...

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৭

দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ কবি। অনেক। অনেক।

কৃতজ্ঞতা জানবেন উপস্থিতিতে।

জানবেন শুভকামনা। অনিঃশেষ।

উত্তরের বিলম্ব ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

১৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩

এহসান সাবির বলেছেন: ভালো পোস্ট।

ধন্যবাদ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

দীপংকর চন্দ বলেছেন: আন্তরিক উপস্থিতিতে আপ্লুত এহসান ভাই।

কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভকামনাও। অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

১৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০

লেখোয়াড়. বলেছেন:
বলবে বলবে...... আর কটা দিন সবুর করো।

পোস্টে ++++++++++++

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

দীপংকর চন্দ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা অনেক। অনেক কৃতজ্ঞতা।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন ভাই।

ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.