![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হায় চিল, সোনালি ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরেতুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে উড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে!
অন্ধকারে নিপতিত শিশিরবিন্দু আলোর স্পর্শে সাধারণত মরে যায়। নিঃশব্দে।
নিশ্চুপ জন্ম, নিঃশব্দ প্রস্থান।
মহাপ্রস্থান।
একটা দীর্ঘশ্বাস নেমে আসে বৃন্দাবন দাসের বুক চিড়ে।
তবু মন্দ কি! উদাস মনে ভাবে সে। কেউ বুঝলো না, কেউ চিনলো না, মনের খবর রাখলো না কেউ, এভাবে যদি একদিন সে পাড়ি জমাতে পারে পরপারে, কতো ভালোই না হয়!
কিন্তু অমন ভাগ্য করে কি পৃথিবীতে এসেছে বৃন্দাবন দাস!
মনে হয় না! পদ্মকচুর সদ্য জন্মানো পাতার দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ দীনহীন মানুষটির! এতো বেলা হলো, অথচ কী বিস্ময়করভাবে পদ্মকচুর সবুজ সতেজ পাতায় একটা শিশিরবিন্দু জীবন্ত তখনও!
পদ্মকচুর সবুজাভ আভা আর সূর্যের তির্যক আলো মিলে পান্নার মতো দেখাচ্ছে শিশিরবিন্দুটিকে!
বৃন্দাবন দাসের পরিবার কয়েক পুরুষ আগে জমিদার ছিলো। দাদুর মুখে ছোটবেলায় সে শুনেছে পান্না নাকি সবুজ হয় দেখতে!
বৃন্দাবন দাস নিচু হয়ে বসে। পদ্মকচুর পাতার কাছাকাছি আনে মুখ। ফিসফিস করে জানতে চায় সবুজ শিশিরবিন্দুর কাছে, কী গো সুন্দরী, আছো কেমন? মনের খবরাখবর কী গো তোমার?
শিশিরবিন্দু তার অবিচল নৈশব্দ্য অটুট রাখে, বজায় রাখে অভেদ্য গাম্ভীর্য নিরুত্তর প্রহরে।
তাতে বৃন্দাবন দাস কিছু মনে করে না। পৃথিবীর প্রচলিত নিয়মে সে ভালোভাবেই বুঝেছে সব প্রশ্নের উত্তর প্রত্যাশা করতে নেই!
তবে প্রশ্ন করতে কি কোন নিষেধ আছে?
না, নেই তো!!!
স্বপ্রণোদনায় গান শোনাতেও কোন নিষেধ নেই নিশ্চয়ই!!!
তাই সে সহাস্যে শিশিরবিন্দুকে বলে, গান শুনবা সুন্দরী? শোনো, বলেই দোতারায় শব্দ তোলে বৃন্দাবন দাস, টুং-টাং শব্দের সাথে যোজন করে গত রাতে সদ্য সাজানো কথামাথা-
"-যতো খুঁজিলাম তোমারে
এতো খোঁজাখুজির পরে
জানি আমি যথাযথ মিলিতো ঈশ্বর
মিলিলো না তবু তোমার মনেরই খবর-”
গান, যেন গান নয়! অভিমানের কথা, প্রাণের ব্যথা বৃন্দাবন দাসের।
“-যেনতেন বাউলা গানে
আঁখিজল অভিমানে
সহিলাম সকল ব্যাথা সকল অনাদর
মিলিলো না তবু তোমার মনেরই খবর-”
গাইতে গাইতে মাঠ পাড়ি দেয় বৃন্দাবন দাস। মাঠ। মাঠের পর ঘাট। ঘাট পেরিয়ে পায়ে চলার পথ। পথ পথ আর পথ! কোথায় যে পথের শেষ, কে জানে!
“-দোতারার সরল তারে
বাঁধিলাম জীবনটারে
খালি পায়ে দিলাম পাড়ি অচিন তেপান্তর
মিলিলো না তবু তোমার মনেরই খবর-”
দীর্ঘশ্বাসের মিছিল বুকে। এতো দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকা দায় ধুলোধূসর সময়ে! তবু বাঁচে মানুষ! তবু বাঁচতে হয়! হায় জীবন! জীবন আর মৃত্যু হাত ধরাধরি করে এগিয়ে যায় মায়ামাখা দিকরেখায়!
“-পায়ে পায়ে জড়ায় ধুলা
কাটায় দিলাম প্রহরগুলা
মেঘে মেঘে হইলো বেলা, রাত্রি অতঃপর
মিলিলো না তবু তোমার মনেরই খবর-”
মাঠের ওপার থেকে বৃন্দাবন দাসের গান ভেসে আসে মাতবর বাড়ির উঠানের পশ্চিমকোণে রান্নাঘরে। মাতবরের বড় মেয়ে রাহিমার মন চঞ্চল হয়। কেঁপে ওঠে চোখের পাতা। সজাগ হয় নিমেশে তার শ্রবণেন্দ্রিয়-
নতুন গান!! নতুন গান বান্ধছে বৃন্দাবন দা!
রাহিমার মা সুফিয়া খাতুন ডালে পাঁচফোরণ দিতে দিতে আড়চোখে লক্ষ্য করেন মেয়ের মুখের বদলে যাওয়া রঙ, চাপা চাঞ্চল্য। এই মেয়েটাকে নিয়ে বড়ো চিন্তা হয় তার। জ্যেষ্ঠ সন্তানের প্রতি আলাদা মমতা তো থাকেই প্রতিটি বাবা মায়ের, কিন্তু তার চেয়েও কিছুটা বেশি মায়া এই মেয়ের প্রতি সুফিয়া খাতুনের।
আম্মা। বৃন্দাবন দা নতুন গান বান্ধছে মনে হয়?
হইবো হয়তো! ডালের ঘুটনি খুঁজতে পাশ ফেরেন সুফিয়া খাতুন।
বৃন্দাবন দা গান কিন্তু ভালো বান্ধে!
বান্ধলে বান্ধে! হেইডা দিয়া আমাগো কী?
নাহ! আমাগো আবার কী! ভালো গান ভালো লাগনের কথা কইলাম। মাথা নিচু করে মায়ের প্রশ্নের উত্তর দেয় রাহিমা।
তয়, বৃন্দাবন পোলাডা সাদাসিধা! গেরামের কোন আপেলাপে নাই! আজইর্যা ক্যাচালে প্যাঁচালে নাই।
বৃন্দাবন দা আমাগো বাড়িত আসে না আম্মা?
আসে না মেলাদিন!
শেষ কবে আইছিলো?
বৃন্দাবনরে নিয়া গপসপ করনের সময় আমার নাই, সুফিয়া খাতুন বিরক্ত হন মেয়ের ওপর।
একটু মনে করো না আম্মা! সুফিয়া খাতুনের গলা জড়িয়ে ধরে আবদারের সুরে আবার জানতে চায় রাহিমা।
ছাড় ছাড় গলা ছাড়। আমার দম বন্ধ হইয়া আসতেছে।
ছাড়ুম, আগে কও তুমি!
অতো কি আর খিয়াল রাখছি আমি। মনে লয়, তুই শহরে যাওনের পর আর আসে নাই আমাগো বাড়িত।
মায়ের গলা ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় রাহিমা। কোন এক অচেনা আলোয় যেন ঝলমলে তার মুখ।
কি রে উঠলি ক্যান? সুফিয়া খাতুনের জিজ্ঞাসা।
ঘরে চিড়ার মোয়া আছে না আম্মা?
আছে তো!
মুড়ি?
আছে
বড়ো ঐ কাসার বাটিখান দ্যাও তো!
ক্যান? কি করবি? বাটি এগিয়ে দিতে দিতে জানতে চান সুফিয়া খাতুন।
বৃন্দাবন দা’রে দু’গা মোয়া মুড়ি দেই!
বৃন্দাবন! হেরে তুই কই পাইলি?
আইজ বৃন্দাবন দা মাতবর বাড়িত আসবেন।
কেমনে জানস তুই? তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে মেয়ের মুখের দিকে তাকান সুফিয়া বেগম। কেমন একটা সন্দেহের কুয়াশা জন্ম নিচ্ছে যেন তার মনে!
এমনে এমনেই জানি।
কার কাছে আসবো বৃন্দাবন?
মাতবর সাবের কাছে!
তর আব্বার লগে কী কাম অর?
কাম কী, হেইডা জানিনা, তয় আব্বার খোঁজে যে আসবে হেইডা জানি। বলতে বলতে মোয়া মুড়ি আনতে ঘরে যায় রাহিমা। মেয়ের গমন পথের দিকে চিন্তিত চোখে তাকিয়ে থাকেন সুফিয়া খাতুন।
“-যতো খুঁজিলাম তোমারে
এতো খোঁজাখুঁজির পরে
জানি আমি যথাযথ মিলিতো ঈশ্বর
মিলিলো না তবু তোমার মনেরই খবর-”
গান গাইতে গাইতে মাতবর বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ে বৃন্দাবন।
মাতবর সাব! ও মাতবর সাব। বাড়িত আছেন নি? মাতবর সাব-
বৃন্দাবন দাসকে হকচকিয়ে দিয়ে ডাকের অসমাপন্তে হুট করে খুলে যায় মাতবর বাড়ির দরজা!
না, নাই। মাতবর সাব বাড়িত নাই। মাতবর সাবের মাইয়া আছেন বাড়িত। তারে দিয়া চলবো আফনের কাম? হাসিমুখে জানতে চায় রাহিমা!
আরে রাহিমা যে! কাইল রাইতে শুনলাম বাড়িত আসছো-
হ, কাইল রাইতে আসছি। আর আফনে আইলেন আইজ বেলা দুই প্রহর পার কইরা। অবশ্য আমার খবর নিতে তো আসেন নাই, আসছেন মাতবর সাবের খোঁজে। বলেন, কী নালিশ! আব্বায় গঞ্জে গেছে। গঞ্জ থিকা ফিরলে আমি আপনের হইয়া সমস্ত কথা সবিনয়ে জানায় দিবানে- রাহিমার একটানা কথায় খেই হারায় বৃন্দাবন, কি থেকে কি বলবে ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। আমতা আমতা করে বলে, না- না, আসলে কোন নালিশ না- এই পথ দিয়া যাইতেছিলাম- ভাবলাম মাতবর সাবের একডা খবর নিয়া যাই-
অ- তাই কন! কিন্তু আব্বায় যে বাড়িত নাই! খবর আফনেরে দিবো কেডা?
ঠিক আছে! তোমার আব্বার খবর পরে নিবানে! তোমার খবর কও- কত কেলাস পাশ দিলা জানি?
আস্তে ধীরে বলি! একটু বসেন দাওয়ায়। নাকি তাড়া আছে?
কি যে কও!! আমার আবার তাড়া!
ক্যান? হুনলাম নয়া নয়া গান বান্ধতাছেন। টাউনের বড়ো বড়ো মানুষজনে নাকি গেরামে আসতেছে আপনের খবর নিতে!
ঐ আর কি!! কাইজ কাম না থাকলে মাইনষ্যের যা হয়! হুদাই লোকগুলান এতো কষ্ট কইরা সময় নষ্ট করে! লজ্জায় মাথা নিচু করে বৃন্দাবন। বলে, আমি গান বান্ধি মনের খিয়ালে- আউলা গান সব- মাথা নাই মু-ু নাই-
একটু আগে শুনলাম একখান নয়া গান গাইতেছেন-
হ, নয়া বান্ধিছি কাইল রাইতে- মিলিলো না তবু তোমার মনেরই খবর- তোমার বেরেন তো জব্বর গো কইন্যা!
তা সত্য। তয় কার মনের খবর খোঁজেন আফনে, কন দেহি?
হতভম্ভ বৃন্দাবনের হঠাৎ কাশি শুরু হয় প্রবল বেগে!
বালাই ষাট! বালাই ষাট! কিডা জানি আফনের স্মরণ নিতেছে। এই নেন পানি খান! ধরেন গিলাস-
হাত বাড়িয়ে দ্রুত গ্লাসটা নেয় বৃন্দাবন। একদমে পুরো পানিটুকু ঢেলে দেয় গলায়। তারপর কিছুটা অবাক দৃষ্টিতে গ্লাসটা নামিয়ে রাখতে রাখতে বলে, পানি কি হাতের নাগালেই আছিলো?
হ, আমি তো গণা জানি। জানতাম আফনের কাশি উঠবে, হেই কারণে আগেই পানির বন্দোবস্ত। চিড়ার মোয়া আর মুড়িও রাখছি লগে। এই লন। কাসার বাটি এগিয়ে দেয় রাহিমা।
এইসব আবার ক্যান গো কইন্যা!
সকালে নাস্তা করছেন?
মানে, ইয়ে-
ইয়ে মানে কিয়ে? আফনের প্যাঁচাইনা বাংলা বুঝিনা আমি। সিধা বাংলায় কন, করলে হ, নাইলে না!!
তোমার কি মনে হয়?
আমার মনে হয়, না, মানে নাস্তা করেন নাই!
যদি কই, তোমার মনে হওয়া বেঠিক!
আমার মাথা ছুঁইয়া কন- দ্রুত মাথা এগিয়ে দেয় রাহিমা বৃন্দাবনের দিকে।
বৃন্দাবন আঁতকে উঠে সরে বসে দূরে, আরে! আরে! করো কি!
না, আফনে আমার মাথা ছুঁইয়া বলেন!
কিন্তু আমি যে তোমার মাথা ছুঁইতে পারুম না কইন্যা!
ক্যান? ক্যান পারবেন না? ডর লাগে ছুঁইতে?
আমি ছুঁইলেই হারায় যায় মানুষ। ছোড থাকতে বাবারে ছুঁইছি, মায়েরে ছুঁইছি- ছুঁইতে না ছুঁইতেই হারায় গেছে তাঁরা- আরো যাগো ছুঁইছি, হারাইছে বেবাকতে-
আমারে ছোঁন, আমিও হারাইতে চাই!!
নাহ! তোমারে নিয়া তো ভারি মুশকিল! দেখি, দেখি তো তোমার বাটিখান। সকাল থিকা কিছুই খাই নাই আসলে! বৃন্দাবন বাটি তুলে নেয় হাতে। খেতে থাকে মাথা নিচু করে। এতো নিচু, যার চেয়ে নিচু হওয়া যায় না আর!
রাহিমার চোখ পানিতে ভরে আসে। পানি লুকাতে চট করে ভেতর বাড়িতে ঢুকে পড়ে সে। ওড়না দিয়ে চাপা দেয় চোখ।
সুফিয়া খাতুনের নজর এড়ায় না বিষয়টি। চুলায় রান্না ফেলে তিনি এগিয়ে আসেন মেয়ের কাছে। মেয়ের মাথায় হাত রাখেন বিশুদ্ধ মমতায়! হৃদয়ের গহীনে জন্ম নেয়া নিরুপায় শত শত শব্দের মৃত্যুদৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন তিনি শব্দের জন্মলগ্নেই!
বৃন্দাবন দাস বড়ো ছটফট করে সারারাত। বন্ধ হয় না তার চোখের পাতা। শব্দের পর শব্দ জোড়া দেয় সে। দোতারায় ঝড় তোলে। তুমুল ঝড়। ভোর তখন।
আশ্চর্য এক ভোরে নির্ঘুম চোখ নিয়ে বারান্দায় বসে থাকা রাহিমা নির্জনতায় কান পেতে শুনতে পায় বৃন্দাবন দাসের নতুন গান, আশার গান, ভালোবাসার গান-
"-কাশফুলের মালা পরামু তোমার গ’লে
সাজামু তোমায় আমি সাদা পরীর রঙে
কথা দাও বন্ধু আমার যাইবা না ছাড়িয়া-”(গীতিকবিতার কথা: সংগৃহীত)
ছবি: সংগৃহীত
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩১
দীপংকর চন্দ বলেছেন: কি যে বলেন!!
সকলের জানা সহজ সরল কিছু কথাই তো!
আপনাদের আন্তরিক ভালোবাসার ঋণ শোধ দেবার সামর্থ্য আমার একজীবনে হবে না ভাই।
প্রার্থণা করবেন, আমার মাথা যেন চিরকাল নত থাকে কৃতজ্ঞতায়।
আপনি অনেক ভালো লেখেন। অনেক গভীরতা আপনার লেখায়।
কামনা করি, আপনাদের হাত ধরে বাংলা সাহিত্য পাড়ি দেবে অনেক বৈচিত্র্যপূর্ণ পথ।
অামার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন সুলেখক।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়। অনেক ভালো।
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫২
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
আম্মা। বৃন্দাবন দা নতুন গান বান্ধছে মনে হয়?
হইবো হয়তো! ডালের ঘুটনি খুঁজতে পাশ ফেরেন সুফিয়া খাতুন।
দারুণ লেগেছে কথামালা।
ভালো আছেন আশা করি এ বেফাঁস সময়ে। +++
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৫
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ স্বপ্নচারী।
কৃতজ্ঞতা এবং কৃতজ্ঞতা উপস্থিতিতে।
ভালো থাকার চেষ্টাই তো করি! বেশিরভাগ সময় ব্যর্থ হলেও কখনও হয়তো পারি কিছুটা!
হা হা হা হা
অামার শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫২
কল্লোল পথিক বলেছেন: আপনি যে এত সুন্দর গল্প লিখতে জানেন জানা ছিল না।
চমৎকার রোমান্টিক গল্প।
শুভ কামনা জানবেন কবি।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৭
দীপংকর চন্দ বলেছেন: আরে না! গল্প কই!! অসংলগ্ন কিছু কথা!! হয়তো কখনো মনে হয় গল্পের মতো! আসলে গল্প না!! এই তো!!
উপস্থিতিতে কৃতজ্ঞতা কবি।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
সবসময় ভালো থাকবেন। অনেক ভালো।
৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৩
তার আর পর নেই… বলেছেন: আজ সারাদিনে পড়া সবচেয়ে ভাল লেখা …… পড়তে পড়তে আমি নিজেই আর্দ্র হয়ে যাচ্ছিলাম ………
একটা দীর্ঘনিঃশ্বাসও ফেললাম. ……
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪১
দীপংকর চন্দ বলেছেন: যত্নে থাকুক দীর্ঘনিঃশ্বাসটি!
আমি নিজেও আদ্র হয়ে যাই আপনাদের আন্তরিকতার স্পর্শে।
কৃতজ্ঞতা জানবেন। অনেক।
এবং শুভকামনা। অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: দীপংকর চন্দ ,
অব্যক্ত প্রেম ।
তেপান্তরের পথ পাড়ি দিয়েও যে প্রেম মেলেনা শতদল । যে প্রেম বোঝেনা আরেক মনের খবর । ছুঁইয়ে দিলেই যা হারিয়ে যায় দোতারার সুরের মতো ইথারে ইথারে ।
দারুন আবেগী আর মোলায়েম লেখায় দুটি মনের অব্যক্ত কথা বলে গেছেন বাহাদুরী ঢংয়ে । যেন-
দুজনে কেহ কারে বুঝিতে নাহি পারে
বুঝাতে নারে আপনায়....................
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২২
দীপংকর চন্দ বলেছেন: আরে না না!! বাহাদুরীর কোন ব্যাপার নেই!
জটিল যান্ত্রিক জীবনে এতো বেশি অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি আমরা, তাই সম্ভবত সহজ সরল সাদামাটা কথাগুলো হঠাৎ একটু অন্যরকম মনে হয়!
আপনার মন্তব্য বরং অনেক বেশি আবেগজর্জর, কাব্যিক, গভীর দ্যোতনা সমৃদ্ধ।
মন্তব্যে মুগ্ধতা স্বাভাবিকভাবেই।
এবং শ্রদ্ধা। অনেক।
অনেক কৃতজ্ঞতা। অনেক শুভকামনা।
ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। সবসময়।
৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৬
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: পড়লাম এবং বৃন্দাবন আর রাহিমার অব্যক্ত কথাগুলি বুঝার চেষ্টা করলাম।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৭
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অব্যক্ত কথা!!
আরে না না, অব্যক্ত কিছু নাই!! সবই ব্যক্ত!
পানির মতো সরল সব! চেষ্টা না করেও বোঝা যায় সম্ভবত!!
হা হা হা হা
উপস্থিতিতে কৃতজ্ঞতা। অনেক।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
সবসময় ভালো থাকবেন। অনেক ভালো।
৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৮
শামছুল ইসলাম বলেছেন: কাব্যের ছোঁয়া যখন গল্পে পড়ে, তখন সেটা শুধু গল্পই থাকে না, হয়ে যায় - গল্প-কাব্য। সেই 'গল্প-কাব্য'-র রেশ পাঠের সময় পেরিয়ে কাজের মাঝেও উঁকি দিয়ে যায়।
//আমি ছুঁইলেই হারায় যায় মানুষ। ছোড থাকতে বাবারে ছুঁইছি, মায়েরে ছুঁইছি- ছুঁইতে না ছুঁইতেই হারায় গেছে তাঁরা- আরো যাগো ছুঁইছি, হারাইছে বেবাকতে-
আমারে ছোঁন, আমিও হারাইতে চাই!!
নাহ! তোমারে নিয়া তো ভারি মুশকিল! দেখি, দেখি তো তোমার বাটিখান। সকাল থিকা কিছুই খাই নাই আসলে! বৃন্দাবন বাটি তুলে নেয় হাতে। খেতে থাকে মাথা নিচু করে। এতো নিচু, যার চেয়েু নিচু হওয়া যায় না আর!//
--পরম সুন্দর এই মুহুর্তের ছবি, রহিমা-সুফিয়া খাতুন হয়ে শামছুল ইসলামকেও আবেগ ভারাক্রান্ত করে।
বৃন্দাবনের নতুন বান্ধা গানটা, মনে বাজতে থাকেঃ
//"-কাশফুলের মালা পরামু তোমার গ’লে
সাজামু তোমায় আমি সাদা পরীর রঙে
কথা দাও বন্ধু আমার যাইবা না ছাড়িয়া-”//
ভাল থাকুন। সবসময়।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪
দীপংকর চন্দ বলেছেন: মন্তব্যও যে কতোটা মনোযোগী পাঠে সমৃদ্ধ, আন্তরিকতায় ঋদ্ধ হতে পারে, তার প্রমাণ আপনার প্রতিটি মন্তব্য।
এমন সুন্দর মন্তব্যের যোগ্য লেখা জানি কখনও লেখা হবেনা আমার।
কৃতজ্ঞতায় নত হতে হবে শুধু।
শ্রদ্ধা জানবেন ভাই।
শুভকামনাও অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬
সুমন কর বলেছেন: বর্ণনা অসাধারণ লাগল। আঞ্চলিক ভাষার কারণেই পড়তে বেশ লাগল।
বৃন্দাবন দাসের গল্পে ভালো লাগা রইলো।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। অনেক।
আমি কিছুটা অস্থির সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। অন্তর্জালে সময় যতটা দেয়া উচিত এবং যেভাবে দেয়া উচিত, সেভাবে দিতে পারছি না। আপনাদের অনেক অনেক সমৃদ্ধ লেখা পাঠ বঞ্চিত রেখে নিজের লেখা একের পর এক লিখে যাওয়া শোভন নয় জেনেও লিখে ফেলছি। সেজন্য আপনার মাধ্যমে ক্ষমাপ্রার্থণা করছি সকলের কাছে।
দুঃখিত, দুঃখিত।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন ভাই।
সবসময় ভালো থাকবেন। অনেক ভালো।
৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২০
আলোরিকা বলেছেন: “-পায়ে পায়ে জড়ায় ধুলা
কাটায় দিলাম প্রহরগুলা
মেঘে মেঘে হইলো বেলা, রাত্রি অতঃপর
মিলিলো না তবু তোমার মনেরই খবর-” -খুবই বিষণ্ণ আর হৃদয়স্পর্শী হয়েছে দাদাভাইয়া । বরাবরের মতই খুব ভাল
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন।
কৃতজ্ঞতা আপনাদের আন্তরিকতার প্রতি। অনেক।
এবং শুভকামনা। অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।
১০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: মেঠোপথের ধুলোয় ধূসর নয়, সবুজ গ্রামের আউলা-বাউলা প্রেম। ভালো লাগলো।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক প্রিয় কথাসাহিত্যিক।
আপনার প্রকাশিত গ্রন্থের অসম্ভব পাঠকপ্রিয়তা কামনা করছি।
কৃতজ্ঞতা থাকছে।
শুভকামনাও। অনেক।
ভালো থাকবেন সবসময়। অনেক।
১১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬
বিজন রয় বলেছেন: আপনার লেখায় একটি আলাদা সেন্ট আছে।
মোহনীয়।+++++
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ সুলেখক।
অন্তর্জালের এই সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে আপনার বিচরণ আকর্ষণীয় লাগছে শুরু থেকেই।
আশাকরি দীর্ঘদিন ঔজ্জ্বল্য ছড়াবেন আপনি।
কৃতজ্ঞতা উপস্থিতিতে।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
১২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯
মাটিরময়না বলেছেন: এখানে লাইব্রেরী থেকে আপনার একটা বই এনেছি। চলতি পথে। চমতকার লিখেছেন দাদা। অফ টপিকের জন্য দুঃখিত।
এই লিখাটার কথা কিছু বলার নেই। আপনি সব সময়ের মতোই অন্য একটা স্বাদ এনে দেন লিখার ভিতর।
শুভেচ্ছা। +++++
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০
দীপংকর চন্দ বলেছেন: এখানে মানে কোনখানে??
আপনি তো আমারে চমকাইয়া দিলেন!!
চলতি পথের ভূমিকা কিন্তু পড়বেন না। খবরদার। অতিরঞ্জন আছে।
এবং অফ টপিকের জন্য লজ্জা লাগছে কিছুটা।
পড়তে গিয়ে সময় যেন আবার নষ্ট না হয় খেয়াল রাখবেন।
হা হা হা হা
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন সুলেখক।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
১৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬
দ্যা রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলেছেন: চমৎকার লেখনি আপনার! মন্ত্রমুগ্ধের মত খালি পড়েই গেলাম।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৬
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেক। অনেক।
কৃতজ্ঞতা উপস্থিতিতে।
আমার শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।
১৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: "-কাশফুলের মালা পরামু তোমার গ’লে
সাজামু তোমায় আমি সাদা পরীর রঙে
কথা দাও বন্ধু আমার যাইবা না ছাড়িয়া- শ্যাষমেশ বাউলেরেও ঘরের টান দিলেন
+++++++++++++++++++++
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৯
দীপংকর চন্দ বলেছেন: হা হা হা হা
টানই তো দিলাম, ঘরে তো আর ঢুকাই নাই!!
হা হা হা হা
সুন্দর মন্তব্যে ভালো লাগা অনেক।
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন ভাই।
সবসময় ভালো থাকবেন। অনেক। অনেক ভালো।
১৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৮
গেম চেঞ্জার বলেছেন: কেমন যেন মাটির গন্ধ পেলাম। মাটির টান সবাইকে টানে না। মন প্রাণ উজার করে পড়লাম ভ্রাতা!! তবে কিছু কথা বলতে চাই এই দুটি শ্রেণি নিয়ে।
সেই সংষ্কৃতি'র সাথে একালের সংষ্কৃতির মিল কমে যাচ্ছে। শ্রেণিবৈষম্য আর মনের আকাঙ্খার অমিলের গল্পগুলো ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে তবে এর বিপরীতে যেটা হচ্ছে, আমাদের জাতিগত সত্বাও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এর সাথে শ্রেণিবৈষম্যের ধরণ বদলে গেছে। তবে আগের চেয়ে কম নিষ্টুরতা, বর্বরতা, অন্যায়ের পরিমাণে।
বাউলেরা যে সমাজের মেধাবী কেউ ছিলেন, সেটা সেকালের লোকেরা অবজ্ঞার সুরে স্বীকার করতো এবং হয়তো এখনও। সেই মেধা প্রতিপালনে কোন সামাজিক অবকাঠামো গঠিত হয়নি বলেই তার স্বকীয়তা দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে।
ব্যাপারটা নিয়ে গঠনমূলক কিছু চিন্তা করা উচিত।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
সুচিন্তিত এবং সংবেদনশীল মন্তব্যের প্রতি শ্রদ্ধা থাকছে। অনেক।
এককথায় বলতে গেলে মুক্তচিন্তার মানুষ কোন কালেই চিন্তামুক্ত ছিলো না! থাকার কথাও নয়!
ব্যাপারটা নিয়ে গঠনমূলক চিন্তা অবশ্যই করা উচিত আমাদের এবং নিশ্চিত থাকতে পারেন বিরাজমান সমাজ কাঠামোর প্রতিরোধের প্রাবল্য হবে ভীষণ!
তবু আশাবাদেই তো বসত করে মানুষ।
প্রার্থণা করি, মুক্তচিন্তা চিন্তামুক্ত হোক।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।
১৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: সোঁদা গন্ধ। শেকড় মনে করিয়ে দেয়। এইজন্য আপনি প্রিয়। আলাদা। লেখায় অনুভূতি প্রবল হয়। লেখার প্রতি ভালোবাসা জন্মে আপনাকে পড়লে।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫
দীপংকর চন্দ বলেছেন: না রে ভাই!!
আলাদা করতে চাইলেই কি মনে করেছেন আলাদা হবো নাকি!!
আমি আপনাদেই লোক। স্বগোত্রীয়।
কৃতজ্ঞতা এবং কৃতজ্ঞতা রাজপুত্র।
অনিঃশেষ শুভকামনা থাকছেই বরাবরের মতো।
অনেক ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। সবসময়।
১৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮
জেন রসি বলেছেন: “-পায়ে পায়ে জড়ায় ধুলা
কাটায় দিলাম প্রহরগুলা
মেঘে মেঘে হইলো বেলা, রাত্রি অতঃপর
মিলিলো না তবু তোমার মনেরই খবর-”
মুগ্ধ হলাম দাদা।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। অনেক। অনেক।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা উপস্থিতিতে।
এবং শুভকামনা। অনিঃশেষ।
অনেক অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।
১৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪০
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: Click This Link
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। অনেক।
উপস্থিতিতে কৃতজ্ঞতা।
প্রার্থণা করি, সর্বাঙ্গসুন্দর হোক নালক উবাচ।
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
১৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫২
আবু শাকিল বলেছেন: দীপংকর দা- আপনার অন্যান্য লেখা আমি পড়েছি।এইবারের লেখাটা একেভারেই ভিন্ন।একদম আলাদা স্বাদ।
স্কুলের পাঠ্য বইয়ে হাজার বছর ধরে পড়ছিলাম।সেখানেই আঞ্চলিক ভাষার ব্যাপক ব্যবহার মুগ্ধ করেছিল।বহুকাল বাদের সেই স্বাদ পেলাম।
ধন্যবাদ দাদা।
"
আমার মাথা ছুঁইয়া কন- দ্রুত মাথা এগিয়ে দেয় রাহিমা বৃন্দাবনের দিকে।
বৃন্দাবন আঁতকে উঠে সরে বসে দূরে, আরে! আরে! করো কি!
না, আফনে আমার মাথা ছুঁইয়া বলেন!
কিন্তু আমি যে তোমার মাথা ছুঁইতে পারুম না কইন্যা!
ক্যান? ক্যান পারবেন না? ডর লাগে ছুঁইতে?
আমি ছুঁইলেই হারায় যায় মানুষ। ছোড থাকতে বাবারে ছুঁইছি, মায়েরে ছুঁইছি- ছুঁইতে না ছুঁইতেই হারায় গেছে তাঁরা- আরো যাগো ছুঁইছি, হারাইছে বেবাকতে-
আমারে ছোঁন, আমিও হারাইতে চাই!! "
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ শাকিল ভাই।
জহির রায়হান আমাদের গর্ব। ভিন্ন পথের পথিক। কি সাহিত্যে, কি চলচ্চিত্রে!! অসীম সাহসী এক সাংস্কৃতিক যোদ্ধা। অকুতোভয় মুক্তিসংগ্রামী।
অনেক অনেক শ্রদ্ধা তাঁঁর প্রতি।
আপনার সহৃদয় আন্তরিক মন্তব্যসমৃদ্ধ উপস্থিতিতে কৃতজ্ঞতা। অনেক।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
অনেক অনেক ভালো থাকবেন ভাই। সবসময়। অনেক ভালো।
২০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: পদ্য ঢঙে লেখা গদ্য কথামালা নাকি গদ্য ঢঙে লেখা পদ্য কথামালা বলবো বুঝতেছিনা তবে অসাধারণ লেগেছে।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০১
দীপংকর চন্দ বলেছেন: হা হা হা হা
আপনার বুদ্ধিদীপ্ত প্রাণবন্ত আন্তরিক মন্তব্য আমাকে মুগ্ধ করলো ক্যাপ্টেন!
আমার সশ্রদ্ধ অভিবাদন গ্রহণ করুন।
কৃতজ্ঞতা এবং কৃতজ্ঞতা।
এবং শুভকামনা অনিঃশেষ।
সবসময় ভালো থাকবেন। অনেক।
আনন্দে থাকবেন। সর্বদা।
২১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৬
যুগল শব্দ বলেছেন:
রাহিমার মা সুফিয়া খাতুন ডালে পাঁচফোরণ দিতে দিতে আড়চোখে লক্ষ্য করেন মেয়ের মুখের বদলে যাওয়া রঙ, চাপা চাঞ্চল্য। এই মেয়েটাকে নিয়ে বড়ো চিন্তা হয় তার। জ্যেষ্ঠ সন্তানের প্রতি আলাদা মমতা তো থাকেই প্রতিটি বাবা মায়ের, কিন্তু তার চেয়েও কিছুটা বেশি মায়া এই মেয়ের প্রতি সুফিয়া খাতুনের।
লেখা একই সাথে সরল অথচ দারুণ গভীরতর টান সেখানে, মুগ্ধ হলাম ++
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩০
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ যুগল শব্দ।
কৃতজ্ঞতা জানবেন। অনেক। উপস্থিতিতে।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। সবসময়।
২২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৩
প্রামানিক বলেছেন: দীপংকর দা অসম্ভব ভাল একটা পোষ্ট দিয়েছেন। একটানে পুরোটা পড়লাম। খুব ভাল লাগল। শুভ্চেছা রইল।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩২
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। অনেক। অনেক।
অনেক কৃতজ্ঞতা।
এবং শুভকামনা। অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়। অনেক ভালো।
২৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১২
নীলপরি বলেছেন: ভোরের শিশিরের মতো স্নিগ্ধ লাগলো লেখাটা। +
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৮
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ নীলপরি।
প্রার্থণা করি, ভোরের শিশিরের মতো নির্মল হোক জীবন।
কৃতজ্ঞতা জানবেন। অনেক।
এবং শুভকামনাও। অনিঃশেষ।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।
২৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১১
এহসান সাবির বলেছেন: আপনার লেখা মানেই ভিন্ন রকম কিছু।
দারুন।
শুভেচ্ছা রইল।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫৯
দীপংকর চন্দ বলেছেন: আপনার উপস্থিতি মানেই ভিন্ন রকম অনুপ্রেরণা, ঠিক প্রথম দিনের মতো!
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।
অনেক অনেক শুভকামনা।
সবসময় ভালো থাকবেন এহসান ভাই। অনেক ভালো।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫০
পুলহ বলেছেন: আপনার লেখা সবসময় মুগ্ধ হয়ে পড়ি, এটাও পড়লাম

ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা থেকে আমার কাছে মনে হয়েছে- আপনার বেশিরভাগ লেখা, বেশিরভাগ সৃষ্টি- মমতায় মাখামাখি হয়ে থাকে। কোমলতার এক পবিত্র ছোয়া থাকে তাতে! এই লেখাটিও তার ব্যতিক্রম না!
অনেক ভালো থাকবেন দাদা! বৃন্দাবন যেমন এক নিঃশ্বাসে পানি খেয়ে শেষ করে ফেলেছিলো, আমিও তেমনি একটানে আপনার লেখাটা পড়ে শেষ করলাম। অল্প পরিসরে অনুভূতির কি উথাল-পাথাল ব্যাঞ্জনাই না ফুটিয়ে তুলেছেন!
শুভকামনা এবং শুভকামনা