নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশা রাখো পৃথিবীর যতো অসম্ভবে

দীপংকর চন্দ

হায় চিল, সোনালি ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরেতুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে উড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে!

দীপংকর চন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথম শহীদ মিনারের গল্প

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩২



গল্প শ্রবণের ক্ষেত্রে আমাদের কিছু অভ্যস্ততা আছে। সেই অভ্যস্ততা মেনেই শীতকালে শীতের গল্প শুনি আমরা, গ্রীষ্মকালে গরমের, ডিসেম্বরে শুনি বিজয়ের গল্প, মার্চে যুদ্ধের।
কিন্তু গল্প কথন রীতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। পেশাদার বক্তা বাদে বেশিরভাগ মানুষের গল্পই পরম্পরাহীন। পরিস্থিতির প্ররোচনায় স্মৃতির পাঁজর আঁকড়ে ধরে জীবনের গল্পগুলো উঠে আসে সম্পূর্ণ আকস্মিকভাবে। সময় কিংবা কালের প্রচলিত চলন উপেক্ষা করেই বর্ণিত হয় তারা । গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত, বসন্তের সীমারেখা ভেঙে যায়। ভেঙে যায় সন, তারিখের পর্যায়ক্রম মেনে চলার অভ্যস্ততার গণ্ডি। ঠিক তেমনটিই ঘটল আমাদের আলাপচারিতার ক্ষেত্রেও।
রাজশাহীর শাহ মখদুম কলেজের অধ্যক্ষ ড. তসিকুল ইসলাম ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজশাহীতে সংঘটিত ভাষা আন্দোলনের গল্প শুরু করলেন বর্ষপঞ্জীর মধ্যমাসে। গল্প শুরু হতে না হতেই গজিয়ে উঠল তার শাখা-প্রশাখা। ঘটল প্রসঙ্গান্তর। গল্পের মধ্যে অন্য গল্প উঠে এল। প্রাসঙ্গিকভাবেই জানা গেল তসিকুল ইসলামের ছোটবেলার গল্পও।



১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের গল্প বর্ণনাকারী তসিকুল ইসলামের জন্ম কিন্তু ১৯৫৩ সালের ১১ জানুয়ারি। রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার বালিয়াঘাটা গ্রামে জন্ম তাঁর। বাবা সাজ্জাদ আলী ছিলেন কৃষিজীবী। মা জায়েদা খাতুন গৃহিনী। বাবা মায়ের একমাত্র পুত্রসন্তান তসিকুল ইসলামের ছোটবেলার গল্প তাই কষ্টের মলিন কাগজে মোড়ানো। শুধুমাত্র ইচ্ছাশক্তির জোরেই কাশিমপুর ফজলুল হক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭০ সালে এস.এস.সি. পাস করলেন তিনি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ থেকে অতিক্রম করলেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার গন্ডি। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় ভর্তি হলেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি শুরু করলেন নানা ধরনের সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। সেই সব কর্মকাণ্ডের ফলশ্রুতিতে দেশ ও দশের প্রতি সৃষ্টি হল দায়িত্ববোধ।

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষে অধ্যাপনায় যোগ দেবার কিছুদিন পর ভাষা আন্দোলন বিষয়ক গবেষণাকাজ শুরু করলেন তসিকুল ইসলাম। রাজশাহীতে ভাষা আন্দোলনের একটা স্বচ্ছ চিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য প্রাণান্ত পরিশ্রম করলেন তিনি। ভাষা আন্দোলন সংক্রান্ত বিভিন্ন বই পুস্তকের সাহায্য নিলেন, পর্যালোচনা করলেন তৎকালীন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন, পরীক্ষা করলেন প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত, দলিল দস্তাবেজ। এছাড়াও রাজশাহীর বিশিষ্ট ভাষাসংগ্রামীদের সাথে পৌনঃপুনিক কথোপকথনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহীতে ভাষা আন্দোলন সংক্রান্ত বেশ কিছু অপ্রকাশিত সত্যের কাছে পৌঁছলেন তিনি।
সে সব সত্যের মধ্যে সবচাইতে উল্লেখযোগ্য কোনটি? জানতে চাইলাম গবেষক তসিকুল ইসলামের কাছে।
উত্তরে তিনি জানালেন একটি শহীদ মিনার নির্মাণের কথা। তসিকুল ইসলামের গবেষণালব্ধ তথ্যানুসারে রাজশাহী কলেজের নিউ মুসলিম হোস্টেলের প্রধান ফটক সংলগ্ন সামান্য অভ্যন্তরে নির্মিত সেই শহীদ মিনারটিই বাংলাদেশের প্রথম শহীদ মিনার!
তসিকুল ইসলামের উচ্চারিত বাক্যটি কৌতূহলের জন্ম দিল আমাদের মধ্যে। সেই কৌতূহল নিবারণের দায় নিজের কাঁধেই তুলে নিলেন তিনি। নিস্তরঙ্গ গল্পটি এবার বাঁক বদল করল। শুরু হল উত্তেজনায় ভরা নতুন গল্প!

নতুন এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র স্বাভাবিকভাবেই রাজশাহীর ভাষাসংগ্রামীরা। এ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু, এ্যাডভোকেট মহসীন প্রামাণিক, এ্যাডভোকেট সৈয়দ আমীর হোসেন স্পেন, ডাক্তার এস. এম. এ. গাফফার, সাংবাদিক সাইদউদ্দিন আহমদ, আবদুল মালেক খান, এ্যাডভোকেট মো. আব্বাস আলীসহ রাজশাহীর প্রায় সকল ভাষাসংগ্রামীদের বক্তব্য অনুসারে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ক্রোধে উন্মাতাল ছিল সংগ্রামমুখর রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গন।
ঢাকায় ছাত্র-জনতার সমাবেশে পুলিশের গুলিবর্ষণে হতাহতের খবর রাজশাহীতে এসে পৌঁছানো মাত্রই শুরু হয়েছিল খণ্ড খণ্ড মিছিল। সন্ধ্যা গাঢ় হবার পর রাজশাহী কলেজের নিউ মুসলিম হোস্টেলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল একটি ছাত্রসভা। সেই সভায় পরদিনের কর্মসূচী হিসেবে রাজশাহীতে সর্বাত্মক হরতাল পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত তো হয়ই, এছাড়াও গৃহীত হয় ভাষা শহীদদের স্মরণে একটি মিনার কিংবা স্তম্ভ নির্মাণের ত্বরিৎ সিদ্ধান্ত।
অনন্য সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তখনই কাজ শুরু করে ছাত্ররা। তাঁদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে এলাকার বেশ কিছু সাধারণ মানুষ। ২১ ফেব্রুয়ারি সারা রাত ধরে কাজ করে তাঁরা। ইট এবং কাদা দিয়ে নিউ মুসলিম হোস্টেলের প্রধান ফটকের সামনে নির্মিত হয় বাংলাদেশের প্রথম শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ।

স্মৃতির অতলে চাপা পড়া এই গল্পের ভিত্তি কি শুধুই রাজশাহীর ভাষাসংগ্রামীদের প্রদত্ত বক্তব্য কিংবা গৃহীত জবানবন্দী? খানিকটা সংশয় ভরা কণ্ঠে প্রশ্ন করি আমরা।
না, প্রশ্নের উত্তরে দৃঢ়স্বর তসিকুল ইসলামের। তিনি একটি আলোকচিত্রের প্রতি দৃষ্টি দেবার অনুরোধ জ্ঞাপন করলেন এবার। প্রয়াত ভাষাসংগ্রামী এ্যাডভোকেট মহসীন প্রামাণিকের সৌজন্যে প্রাপ্ত সেই আলোকচিত্রটি বিস্ফারিত চোখে প্রত্যক্ষ করলাম আমরা।
হ্যাঁ, একটি শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ প্রতিভাসিত সেখানে! এবং ড. তসিকুল ইসলামের গবেষণালব্ধ তথ্যানুসারে এটিই বাংলাদেশের প্রথম শহীদ মিনার!




মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৭

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন, ভালো লাগল

একুশ নিয়ে আমার এ পোস্টটা পড়ার জন্য অনুরোধ রইল,
পোস্ট লিংক

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৯

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

কৃতজ্ঞতা উপস্থিতিতে।

আপনার লেখাটি আমি পড়েছি।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: দারুন তথ্যমূলক পোস্ট। ভাষা শহীদের প্রতি ও সাথে এই সকল গুণীজনদের প্রতি রইলো অগাধ শ্রদ্ধা।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১০

দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক।

উপস্থিতিতে কৃতজ্ঞতা। অনেক।

অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।

ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।

৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৪

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন, ভালো লাগল

একুশ নিয়ে আমার এ পোস্টটা পড়ার জন্য অনুরোধ রইল,
পোস্ট লিংক

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১২

দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ পুনরায়।

লেখাটি আমি পড়েছি ভাই।

শুভকামনা এবং শুভকামনা পুনরায়।

৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৭

মাদিহা মৌ বলেছেন: লেখাটা চমৎকার। প্রথম শহীদ মিনার নিয়ে আমারও একটি লেখা রয়েছে। পড়ে দেখতে পারেন। :)

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৫

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন।

উপস্থিতিতে কৃতজ্ঞতা।

আপনার লেখাটি পড়েছি আমি।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৭

কল্লোল পথিক বলেছেন: ব্যাপারটা জানা ছিল না।
এই প্রথম জানলাম।
স্যালুট তসিকুল ইসলাম।
অভিন্দন কবি দীপংকর দাদা।ভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৬

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ কবি।

অনেক কৃতজ্ঞতা উপস্থিতিতে।

আমার শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। সবসময়।

৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভাল লাগল তথ্যটি জেনে। শুভেচ্ছা।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৫

দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রোফেসর। অনেক।

কৃতজ্ঞতা এবং কৃতজ্ঞতা।

অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।

সবসময় ভালো থাকবেন। অনেক।

৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৪২

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: তথ্যটি জানা ছিল না। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৬

দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেক।

কৃতজ্ঞতা উপস্থিতিতে।

এবং শুভকামনা। অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। সবসময়।

৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

দ্যা রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলেছেন: পোস্টটা পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম, 'জীবনে কত কিছুই যে এখনো অজানা রয়ে গেছে!' :((
চমৎকার তথ্যবহুল পোস্টে অসংখ্য ভাল লাগা রইলো প্রিয়কবি!
ভাল থাকবেন!

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৯

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন।

কৃতজ্ঞতার কথা বারবার বলেও শেষ হবেনা।

আর শুভকামনা তো থাকছেই অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪

প্রামানিক বলেছেন: পোষ্ট পড়ে অজানা কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ দীপংকর দা।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫১

দীপংকর চন্দ বলেছেন: প্রামানিক ভাই, ধন্যবাদ জানবেন। অনেক।

কৃতজ্ঞতা সেই সাথে।

শুভকামনাও। অনিঃশেষ।

অনেক ভালো থাকবেন। অনেক ভালো।

১০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
ধন্যবাদ দাদা।
বুনো একটা ভালোবাসা আছে ভাষার জন্য। এমন লেখাগুলো পড়লে বুঝতে পারি।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৪

দীপংকর চন্দ বলেছেন: বুনো ভালোবাসাই এগিয়ে নিয়ে যাবে আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভাষা বাংলাকে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ রাজপুত্র।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

সবসময় ভালো থাকবেন। অনেক ভালো।

১১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, বাংলাদেশের প্রথম শহীদ মিনার এটাই। আমি গর্বিত যে আমি এই কলেজেরই ছাত্র ছিলাম।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৯

দীপংকর চন্দ বলেছেন: শ্রদ্ধা জানবেন হেনা ভাই।

তথ্য প্রমাণ সেই কথাই বলছে।

পরম শ্রদ্ধেয় ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিকসহ কয়েকজন সর্বজনগ্রাহ্য ভাষাসংগ্রামীর সাথে কয়েক দফায় কথা হয়েছে আমার। তাঁরাও একমত এক্ষেত্রে।

'ঢাকায় নির্মিত প্রথম শহীদ মিনারের গল্প' শিরোনামে আরেকটি লেখা দিলাম। সময় তারিখ দিনক্ষণ মিলিয়ে নেবার ক্ষেত্রে পাঠকের সুবিধার জন্য।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। সবসময়।

১২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বিস্ময়কর!
অনেক ধন্যবাদ ব্যাপারটি তুলে আনার জন্য।
শহীদ মিনারটি কি আছে? নাকি ধ্বংস করা হয়েছিলো?

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৩

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আরণ্যক।

উত্তরটি দেখা যাচ্ছে হেনা ভাই দিয়েছেন ইতিমধ্যেই স্বপ্রণোদনায়।

'ঢাকায় নির্মিত প্রথম শহীদ মিনারের গল্প' শিরোনামের আরেকটি লেখা দিলাম। যেটিকে অনেকটা সম্পূরক হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন।

অনিঃশেষ শুভকামনা থাকছে ভাই।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

১৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২

সুমন কর বলেছেন: ড. তসিকুল ইসলাম সম্পর্কে জানা ছিল না। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৭

দীপংকর চন্দ বলেছেন: ড. তসিকুল ইসলাম ভীষণ রকম উদ্যমী এবং গুণী মানুষ।

মানুষের বিশেষ গুণ ভীষণভাবে অবাক করে আমাকে! মুগ্ধ করে।

কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

১৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আরন্যক রাখালকে বলছি, শহীদ মিনারটি বাইশ তারিখে পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয় প্রশাসন ভেঙ্গে দেয়। চব্বিশ ঘণ্টাও এটির স্থায়িত্ব ছিল না।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৯

দীপংকর চন্দ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা হেনা ভাই স্বপ্রণোদনায় ইতিহাস বর্ণনায় অংশ নেবার জন্য।

শুভকামনা এবং শুভকামনা। পুনরায়।

১৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪০

জেন রসি বলেছেন: কিছু ইতিহাস প্রকাশিত হয়। কিছু ইতিহাস অন্তরালেই থেকে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১২

দীপংকর চন্দ বলেছেন: ইতিহাস তার নিজের স্থান নিজেই করে নেয়। সত্যের জয় শেষঅবধি হয়-ই।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

কৃতজ্ঞতা উপস্থিতিতে।

শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

১৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৩

উল্টা দূরবীন বলেছেন: তথ্যটি এতোদিন অজানা ছিলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৩

দীপংকর চন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। অনেক। অনেক।

কৃতজ্ঞতা উপস্থিতিতে।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

সবসময় ভালো থাকবেন। অনেক ভালো।

১৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

আবু শাকিল বলেছেন: তথ্যপূর্ণ পোষ্ট ।
ফেব্রুয়ারি মাস আসলেই ভাষা শহীদ জানা হয় ।যা জানি তা আবার নতুন করে জানি।সেক্ষেত্রে আপনার পোষ্ট আলাদা।
অজানা অনেক কিছু জানা হ্ল ।
ধন্যবাদ দীপঙ্কর দা।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২১

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ শাকিল ভাই।

বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে প্রত্যেকেই চেষ্টা করছেন কোন না কোন ভাবে। ঐতিহাসিক সত্যানুসন্ধানীদের প্রত্যেকের প্রতি শ্রদ্ধা রাখছি সবিনয়ে।

মানুষের প্রতি আশা অটুট আমার।

অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।

ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। সবসময়।

১৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৫

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: চমৎকার ইতিহাস তুলে এনেছেন । অনেক ভাল লাগলো ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৩

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

কৃতজ্ঞতা উপস্থিতিতে। অনেক।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।

১৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৫৩

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: প্রথন শহীদ মিনার সম্পর্কে জানলাম।

বিষয়টা জানা ছিলনা।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৬

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ফেরদৌসা।

এমন অনেক বিষয় আছে যেটা আপনি জানেন অথচ আমার জানা হবে না এক জীবনে।

উপস্থিতিতে কৃতজ্ঞতা।

এবং শুভকামনা। অনিঃশেষ।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।

২০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৫৫

কালনী নদী বলেছেন: তসিকুল ইসলাম সাহেবের অবয়বটা অনেকটাই সাইফুর রহমান স্যারের মতন।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৭

দীপংকর চন্দ বলেছেন: হা হা হা হা

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

উপস্থিতিতে কৃতজ্ঞতা।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।

২১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো জেনে। শুভেচ্ছা।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৯

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কথাসাহিত্যিক।

কৃতজ্ঞতা এবং কৃতজ্ঞতা।

অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।

ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। সবসময়।

২২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: পোস্টটার জন্য অনেক ধন্যবাদ। একুশ উপলক্ষ্যে লেখা পোস্টগুলো থেকে অনেক কিছু জানতে পারছি এভাবে। ভালো থাকবেন।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৩

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সুলেখক।

আমরাও তো আপনার তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণে তুলে ধরা বিলেত দেখেছি এবং জেনেছি অনেক কিছু পরম মুগ্ধতায়।

কৃতজ্ঞতা উপস্থিতিতে।

অনিঃশেষ শুভকামনা থাকছে।

সবসময় ভালো থাকবেন। অনেক ভালো।

২৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২

তানজির খান বলেছেন: দাদার বাড়ী রাজশাহী?
রাজশাজশাহী আমার প্রিয় শহর। টানা নয় বছর থেকেছি ছাত্র জীবন।

আজ এই পোস্ট পড়ে বড় একটি ইতিহাস জানলাম।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৬

দীপংকর চন্দ বলেছেন: না কবি। আমার বাড়ি রাজশাহী নয়।

তবে আমার বেশ কিছু প্রিয় মানুষ এবং প্রিয় মুহূর্ত রয়েছে রাজশাহীকে ঘিরে।

টানা নয় বছরের ছাত্র জীবন মানে তো রাজশাহী আপনার নিজ শহরই।

অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন কবি।

ভালো থাকবেন। অনেক অনেক। সবসময়।

২৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে চমপপ্রদ খবর !!!

গল্প বলার ঢংয়ে সুন্দর পরিবেশনার জন্য দীপংকর দাকে ধন্যবাদ।

ভাল থাকুন। সবসময়।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

স্বজনের উপস্থিতি সবসময় সুখপ্রদ।

কৃতজ্ঞতা এবং কৃতজ্ঞতা।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

অনেক অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

২৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: দীপংকর চন্দ,




একটি প্রামানিক দলিলের স্বত্ব প্রতিষ্ঠায়, স্মৃতির পাঁজরে আঁকড়ে থাকা গল্পের পেছনের গল্পকে সময়ের সীমারেখা ভেঙে পার করে দিয়ে গেলেন আমাদের ইতিহাসের আঙিনা । এ আঙিনায় গল্পের কুশীলবেরা থাকুক জাগ্রত হয়ে ।





২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৫

দীপংকর চন্দ বলেছেন: আপনার ভালোবাসাপূর্ণ আন্তরিক মন্তব্য ভীষণ আপ্লুত করে আমাকে শ্রদ্ধেয়। সবসময়।

কৃতজ্ঞতা এবং কৃতজ্ঞতা।

ঐতিহাসিক কিছু হিসেব মিলিয়ে নেবার সুবিধার্থে আজ একটা লেখা দিলাম 'ঢাকায় নির্মিত প্রথম শহীদ মিনারের গল্প' শিরোনামে। লেখাটিকে সম্পূরক হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন শ্রদ্ধেয়।

ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। অনেক ভালো।

২৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩৫

জুন বলেছেন: ইতিহাস আমাদের গর্বের ইতিহাস জেনে ভালোলাগলো দীপংকর চন্দ ।
আমার এক আত্নীয় প্রথম শহীদ মিনারের একটি সংগৃহিত ছবি দিয়েছে ফেবুতে । এর নির্মাতারা সবাই নারী । আপনাদের জন্য শেয়ার করলুম ।


২৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জুন।

উপস্থিতিতে কৃতজ্ঞতা।

১৯৫২ সালে নির্মিত প্রথম শহীদ মিনার এবং ঢাকায় নির্মিত প্রথম শহীদ মিনার সম্পর্কে আমার বক্তব্য সুস্পষ্ট এবং সুদৃঢ়।

আপনার আত্মীয় এবং আপনার প্রতি শ্রদ্ধা থাকছে।

এবং আমি একটি আলোকচিত্রের অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি, যেটি ১ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে আমার ফেসবুকের কভার ফটো হিসেবে রয়েছে। ছবিটি প্রথম শহীদ মিনারের যেটির নির্মাতা সকলেই নারী। তবে নির্মাণ সন ১৯৫২ নয়।



আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.