নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশা রাখো পৃথিবীর যতো অসম্ভবে

দীপংকর চন্দ

হায় চিল, সোনালি ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরেতুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে উড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে!

দীপংকর চন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

লঘু হও নির্বিরোধে থাকো নির্বিকার

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৫৬



ভাবি আনমনে, রাষ্ট্রধর্ম বিষয়টি কি খুবই গুরুত্বপূর্ণ?
হয়তো!
তবে গুরুত্বপূর্ণ হলেও সেটা সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠীর কাছে যতোটা, ঠিক ততোটা নয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর কাছে সম্ভবত!

ভারত ভাগের পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্টি হওয়া পাকিস্তান রাষ্ট্রটির চালিকাশক্তির অধিপতি প্রবণতা ছিলো ধর্ম। ধর্ম মানে স্বাভাবিকভাবেই সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর ধর্ম। সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর জীবন কেমন ছিলো তখন? ঐতিহাসিক তথ্য উপাত্তের উপরিতলিক বিশ্লেষণেই দেখা যায় রাজদণ্ড মোটেই মানবিক আচরণ প্রদর্শন করেনি সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতি। এবং করার কথাও নয় অবশ্য।

১৯৭১। অখণ্ড পাকিস্তান পর্বের অবসান! নতুন দেশ হলো। ১৯৭২ সালে প্রণীত হলো সংবিধান। ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দটি যোজিত হলো নতুন সংবিধানে। কিন্তু সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর জীবনাচারে কী ধরনের পরিবর্তন সাধিত হলো ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে? সংখ্যালঘুদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ার পরিসংখ্যান তো তেমন কোন ইতিবাচকতার দিকে ইঙ্গিত করে না!

১৯৮৮। সংবিধানে রদবদলের প্রয়োজন হলো। ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিস্থাপিত হলো। ধর্ম অন্তর্ভূক্ত হলো রাষ্ট্রকাঠামোয় প্রজাসাধারণের কল্যাণের জন্য। এবং সেই কল্যাণ স্বাভাবিকভাবেই অদৃশ্যমান রইলো সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর কাছে। থাকার কথাও তাই অবশ্য।

১৯৮৮ থেকে ২০১৫। রাষ্ট্রধর্ম সমুন্নত থাকা সাংবিধানিক চর্চায় সংখ্যালঘুদের সংখ্যা কমতে কমতে এসে দাঁড়ালো মোটামুটি শঙ্কাজনক অবস্থায়। শতাংশ হিসেবে মোট জনসংখ্যার পাদপ্রান্তে দুই অংকের একটি ক্ষীণকায় সংখ্যা থেকে তাদের ক্রমাবনতি হলো এক অংকের একটি অতিক্ষীণ সংখ্যায়। জীবনমানে আরও বেশি লঘুত্বকে বরণ করলো সংখ্যালঘুরা। তেমনটিই হবার কথা অবশ্য।

২০১৬। রাষ্ট্রধর্ম আবার অবতীর্ণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে।
গুরুত্বপূর্ণ অবশ্যই, তবে বরাবরের মতোই সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠীর কাছে যতোটা, ঠিক ততোটা নয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর কাছে সম্ভবত!
সংবিধানে ধর্ম যোজন, ধর্ম বিয়োজন কিংবা ধর্মের নিরপেক্ষ আচরণ বিশেষ কোন বদলই তো আনে না সংখ্যালঘুদের জীবনে! আনে জীবনমানে ক্ষতি! আনে অবলুপ্তির পরিসংখ্যানে ক্রমান্বয়ে সাংখ্যশূন্যে অবনমনের দুর্গতি!


ছবি: সংগৃহীত


মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:০৬

শায়মা বলেছেন: সবাই মিলে সুখে ও শান্তিতে থাকতে চাই !:(

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:১৪

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনিঃশেষ শুভকামনা শায়মা।

ভালো থাকুন। অনেক ভালো। সবসময়।

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩৮

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আসলে এই দেশ সবার সবাই থাকবো সংখ্যালুগু আর গরিষ্ট কি ভাই। তবে আপনার পরিসংখ্যান ও হতবাক করে মানুষের মন । কিন্তু একটা পরির্তনের জন্য আরেকটা পরিবর্দন ই দায়ী ।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২৫

দীপংকর চন্দ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা কবি। উপস্থিতিতে।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

বিজন রয় বলেছেন: আর কয়েক বছর পরে বাংলাদেশে অন্য ধর্মের লোক আরো কমে আসবে। আমরা যারা আছি তারা কোনমতে মৃত্যু পর্যন্ত হয়তো থাকবো।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩৭

দীপংকর চন্দ বলেছেন: শুভকামনা থাকছে। অনেক।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:০৯

কালনী নদী বলেছেন: ইসলাম ধর্ম আসলেই ধর্মনিরেপক্ষ কিন্তু আসল ইসলাম এই দেশে কোথা থেকে পাব!
আর সংবিধানে এই নাম মাত্র রাষ্ট্রধর্ম থাকায় কখনো কারো ক্ষতি হয় নি এটাও ঠিক, ভাইয়ার প্রতি শোভ কামনা রইল-
বিজন রয় ভাই এক তরফা কথাটা বলছেন।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

দীপংকর চন্দ বলেছেন: শুভকামনা আপনার প্রতিও। এবং সকলের প্রতি আপনার মাধ্যমে।

ভালো থাকবেন ভাই। অনেক ভালো। সবসময়।

৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০১

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
সহনশীল হওয়া কাম্য।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪১

দীপংকর চন্দ বলেছেন: না হারুক মানুষ, মানুষ বাড়ুক পৃথিবীতে।

অনিঃশেষ শুভকামনা।

অনেক ভালো থাকবেন কবি। সবসময়।

৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৩

মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: আমার কাছে আগে মানুষ, তারপর ধর্ম। এর বেশি কিছু বুঝিনা।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪৩

দীপংকর চন্দ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা কবি। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

শুভকামনা অনিঃশেষ সকল মানুষের প্রতি।

কামনা করি, ভালো থাকুক সকলে। সবসময়।

৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনি সত্যটাকেই তুলে ধরেছেন।

"সকলেই রাষ্ট্রের নাগরিক" আমি এভাবেই ভাবি, আগামীতেও ভাববো ; সংবিধানের ভারী ভারী কথা না হয় নাই ভাবলাম।
বিভাজনটা দূরত্বই বাড়ায়।

ভাল থাকুন।সবসময়।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২১

দীপংকর চন্দ বলেছেন: শুভকামনা। অনিঃশেষ শুভকামনা।

এবং কৃতজ্ঞতা।

অনেক ভালো থাকবেন ভাই। সবসময়।

৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫

জেন রসি বলেছেন: সংবিধানে ধর্ম যোজন, ধর্ম বিয়োজন কিংবা ধর্মের নিরপেক্ষ আচরণ বিশেষ কোন বদলই তো আনে না সংখ্যালঘুদের জীবনে! আনে জীবনমানে ক্ষতি! আনে অবলুপ্তির পরিসংখ্যানে ক্রমান্বয়ে সাংখ্যশূন্যে অবনমনের দুর্গতি!

কিন্তু যাইহোক নির্যাতন কিন্তু চলছেই। আর ধর্মান্ধ মানসিকতায় পাল্টা আঘাত করতে না পারলে চলতেই থাকবে।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৩

দীপংকর চন্দ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা অনেক সুলেখকের উপস্থিতিতে।

শুভকামনা এবং শুভকামনা।

শুভ হোক মানুষের।

৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭

নীলপরি বলেছেন: এই সংবেদনশীল বিষয়টি খুব মনোগ্রাহীভাবে উপস্থাপন করেছেন।
ভালো লাগলো।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৬

দীপংকর চন্দ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা। এবং কৃতজ্ঞতা অনেক কবি।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।

১০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০৮

জুন বলেছেন: কোন কিছুই যেন আমাদের মাঝে দেয়াল তৈরি করতে না পারে সেটাই কাম্য হওয়া উচিত দীপংকর চন্দ।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৮

দীপংকর চন্দ বলেছেন: উপস্থিতির আন্তরিকতাটুকু মনপ্রাণ জুড়ে থাক।

অনেক কৃতজ্ঞতা।

অনেক শুভকামনা।

অনেক অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

১১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: রাষ্ট্রকে মুসলমানি দেয়া হয়েছে। অপটু হাজামের নোংরা ক্ষুরের আঘাতে ক্ষত সৃষ্টি না হলেই হয়। এইটুকুই চাওয়া।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩০

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অক্ষত থাকবে মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক।

মানুষের উপস্থিতিতে কৃতজ্ঞতা অনেক।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.