![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হায় চিল, সোনালি ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরেতুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে উড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে!
নিষ্প্রভ বর্তমানে দাঁড়িয়ে ১৯৭১ সালের বেশির ভাগ ঘটনার বর্ণোজ্জ্বল বুননকে গল্পই তো বলব আমরা! বাস্তবের নির্ধারিত বিস্তারকে হার মানিয়ে গড়ে ওঠা অসংখ্য গল্প নিয়েই রচিত হয়েছে আমাদের মহাকাব্যিক সময়। সেই মহাকাব্যিক সময়ের কিছু কিছু অধ্যায়ের কথা সংক্ষিপ্ত পরিসরে তুলে আনতে ইচ্ছে হয় আমাদের। ইচ্ছে হয় পূর্বপুরুষের বিশেষ কীর্তিগুলোর কিয়দংশ নিয়ে মাঝেমধ্যেই ভাবতে।
২৫ মার্চ মধ্যরাতের পর থেকে ২৭ মার্চ সন্ধ্যার ভেতর বেতার মাধ্যমে বেশ কয়েক দফায় স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করার মধ্য দিয়ে বাঙালির আনুষ্ঠানিক প্রতিরোধযুদ্ধ শুরু হলো। সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে সব যুদ্ধ-প্রয়াসই ছিল বিক্ষিপ্ত, বিচ্ছিন্ন, সমন্বয়হীন এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবিবর্জিত। বিঘোষিত স্বাধীনতা বাস্তবায়নে প্রজ্ঞাসমৃদ্ধ রাজনৈতিক পরিকল্পনার অভাবে সব সমরক্ষেত্র ছিল দ্বিধাগ্রস্ত। এই দ্বিধাগ্রস্ত পরিস্থিতিতে ঢাকা ত্যাগ করলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা তাজউদ্দীন আহমদ। ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ভারতীয় সীমান্তবর্তী জেলা মেহেরপুর পৌঁছালেন তিনি। ২৯ মার্চ রাতে মেহেরপুরের মহকুমা প্রশাসক তৌফিক এলাহী চৌধুরীর সহযোগিতায় সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করলেন তাজউদ্দীন আহমদ ও আমীর-উল ইসলাম। তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত প্রসারিত করলেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের মহাপরিদর্শক (আইজি) গোলোক মজুমদার। গোলোক মজুমদারের কাছে সংবাদ পেয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান কে এফ রুস্তামজি পথশ্রমে ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত তাজউদ্দীন আহমদ ও আমীর-উল ইসলামের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করলেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তারপর দ্রুত তাঁদের দিল্লি পাঠানোর ব্যবস্থা করলেন তিনি।
দিল্লি পৌঁছানোর পর ভারত সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা হলো তাজউদ্দীন আহমদের। আলোচনা হলো ইতিমধ্যেই ভারতে আসা দলীয় নেতাদের সঙ্গে। ৪ এপ্রিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ হলো তাঁর। পরিকল্পনামাফিক বৈঠকে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উপস্থাপন করলেন তাজউদ্দীন আহমদ। বৈঠকের সূচনাতেই তিনি ইন্দিরা গান্ধীকে জানালেন, বাঙালির ন্যায্য অধিকার প্রদানে অনিচ্ছুক পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী সেনা আক্রমণ শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশকে স্বাধীন ঘোষণা করা হয়েছে এবং গঠন করা হয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড হিসেবে পরিচিত প্রতিনিধিত্বকারী নির্বাচিত প্রবীণ সদস্যরাই মন্ত্রিসভার সদস্য। বৈঠকে ইন্দিরা গান্ধীর কাছে বাংলাদেশের সশস্ত্র স্বাধীনতার লড়াইয়ে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলেন তাজউদ্দীন আহমদ। তাজউদ্দীন আহমদের এই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সদ্য স্বাধীনতা ঘোষণাকারী দেশটিকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন ইন্দিরা গান্ধী।
ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক শেষে ভারতে উপস্থিত আওয়ামী লীগের এমএনএ এবং এমপিএদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার আলোচনা সভায় মিলিত হলেন তাজউদ্দীন আহমদ। ১০ এপ্রিল শিলিগুড়ির অনিয়মিত এক বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে দেওয়া বেতার ভাষণে তাজউদ্দীন আহমদ সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করলেন। পরদিন ১১ এপ্রিল স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ও আকাশবাণীতে এই বেতার ভাষণ একাধিকবার প্রচারিত হলো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন। সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপরাষ্ট্রপতি (তিনি পরে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন), তাজউদ্দীন আহমদ সরকারের প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, খন্দকার মোশতাক আহমদ এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান।
১৭ এপ্রিল। বাংলাদেশের মাটিতে স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সেদিন কুষ্টিয়ার মেহেরপুরের সীমান্তসংলগ্ন গ্রাম বৈদ্যনাথতলার এক আমবাগানে আয়োজিত হলো মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। সকাল নয়টা থেকেই সেখানে শুরু হলো আমন্ত্রিত অতিথিদের আগমন। দেশি-বিদেশি শতাধিক সাংবাদিকও উপস্থিত হলেন অনুষ্ঠানে। বেলা ১১টায় শুরু হলো অনুষ্ঠান। পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হলো শুরুতেই। তারপর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতিকে মাগুরার মহকুমা পুলিশ কর্মকর্তা মাহাবুব উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একদল ইপিআর, পুলিশ ও আনসার গার্ড অব অনার প্রদান করল।
ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ও তাঁর তিন সহকর্মীকে পরিচয় করিয়ে দিলেন সর্বসমক্ষে। অনুষ্ঠিত হলো শপথ গ্রহণ। নতুন রাষ্ট্রের প্রধান সেনাপতি হিসেবে কর্নেল এম এ জি ওসমানীর নাম ঘোষণা করা হলো। আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ পাঠ করলেন অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী। এরপর বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ‘আইনের ধারাবাহিকতা বলবৎকরণ আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করলেন। অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিলেন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পরিসমাপ্ত হলো বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানস্থল বৈদ্যনাথতলার নাম মুজিবনগরে পরিবর্তিত হলো সেদিন থেকেই। সম্পন্ন হলো একটি প্রজ্ঞাসমৃদ্ধ রাজনৈতিক পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন।
ছবি: সংগৃহীত
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০৭
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।
উপস্থিতিতে কৃতজ্ঞতা।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:১৩
শামছুল ইসলাম বলেছেন: এমন একটা শুরুর পর কিছুক্ষণ বিষাদ ও আনন্দের একটা অনুভূতি আমাকে ছেঁয়ে গেল। বিষাদ এই জন্য যে আপনি বর্তমানকে বিশেষিত করেছেন নিষ্প্রভ বলে, আর আনন্দ এই জন্য, এখনো কেউ কেউ ১৯৭১-এর উজ্জল ঘটনাগুলোকে গল্পের মত করে পাঠকের জন্য উপস্থাপন করছে-শৈল্পিক লেখনী দিয়ে।
//নিষ্প্রভ বর্তমানে দাঁড়িয়ে ১৯৭১ সালের বেশির ভাগ ঘটনার বর্ণোজ্জ্বল বুননকে গল্পই তো বলব আমরা! বাস্তবের নির্ধারিত বিস্তারকে হার মানিয়ে গড়ে ওঠা অসংখ্য গল্প নিয়েই রচিত হয়েছে আমাদের মহাকাব্যিক সময়। সেই মহাকাব্যিক সময়ের কিছু কিছু অধ্যায়ের কথা সংক্ষিপ্ত পরিসরে তুলে আনতে ইচ্ছে হয় আমাদের। ইচ্ছে হয় পূর্বপুরুষের বিশেষ কীর্তিগুলোর কিয়দংশ নিয়ে মাঝেমধ্যেই ভাবতে।//
গল্পের আমেজেই পুরো লেখাটা শেষ করলাম।
ইতিহাস (বিশেষ করে ১৯৭১-এর) আমার খুব প্রিয়। কিন্তু গতানুগতিক সাল, তারিখ দিয়ে লেখা ইতিহাস পড়ে আনন্দ পাই না।
আপনার এই গল্পে গল্পে ইতিহাস আমার খুবই ভাল লাগে।
ভাল থাকুন। সবসময়।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১৩
দীপংকর চন্দ বলেছেন: এতো বেশি আন্তরিক আপনার মনোযোগী পঠন, আমার লেখার সামান্য প্রয়াস নত থাকে সবিনয় কৃতজ্ঞতায়!!
গল্পের মতো আমাদের মুক্তিসংগ্রামের প্রতিটি অধ্যায়। ভীষনভাবে কামনা করি প্রতিটি গল্প বসবাস করুক মানুষের মনের গভীরে।
মন্তব্যে শ্রদ্ধা।
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন ভাই।
ভালো থাকবেন। অনেক অনেক ভালো। সবসময়।
৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:০২
নীলপরি বলেছেন: তথ্যপূর্ণ লেখা । আপনার লেখনশৈলীর জন্য
পড়তে ভালো লাগলো।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১৭
দীপংকর চন্দ বলেছেন: কবিরা যখন ইতিহাসের পাশে দাঁঁড়ায়, ভীষণ ভালোলাগায় ভরে যায় মন!
ইতিহাস বলে, যে কোন সামাজিক পরিবর্তনে কবিরা পালন করেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
প্রার্থণা করি, অনেক বড়ো কবি হয়ে উঠুন ক্রমান্বয়ে।
অনিঃশেষ শুভকামনা।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫২
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
১৯৭১ সালের বেশির ভাগ ঘটনার বর্ণোজ্জ্বল বুননকে গল্পই তো বলব আমরা! সহমত।
সেই গল্পের গুরুত্বপূর্ন অংশ সুন্দর লেখনীতে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাল থাকুন নিরন্তর।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২২
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন।
আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতার কথা বারবার বলাতে কোন ক্লান্তি লাগে না আমার।
ক্লান্তি লাগে না শুভকামনা জানাতেও। আশাকরি শুভ-শুভ করতে করতে একদিন শুভ হয়ে যাবে আমাদের ধূসর চারপাশ!!
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।
৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬
শাহ আজিজ বলেছেন: দিল্লিতে যাওয়া একজন প্রত্যক্ষদর্শীর কাছে শোনা । ২৫/৩০ জনের আওয়ামি শীর্ষ নেতা এবং কিছু মধ্যম সারিরও ছিলেন কারন অনেকেই পৌছাতে পারেননি। তারা প্রধানমন্ত্রীর দফতরে গেলেন এবং সাদরেই প্রবেশ করলেন। প্রায় সাথে সাথেই ডাক এলো একজনের , সবাই তাজুদ্দিনকে বললেন তুমিই যাও। অপ্রস্তুত তাজুদ্দিন ঢুকলেন এবং হাসিমাখা ইন্দিরার মুখ দেখে আশ্বস্ত হলেন। তিনি এর আগে কখনই ইন্দিরা গান্ধির মুখোমুখী হননি তাই জড়তা ছিল ভীষণ । প্রথম প্রশ্ন কই আপনাদের প্রবাসী সরকারের লিস্ট? লিস্ট তো দুরের কথা নামই ঠিক হয়নি । মিথ্যা বললেন তাজ - ওটা রেডি , পাঠিয়ে দেই? হ্যা তাই করুন এবং জলদি করে। মুগ্ধ তাজ বেরিয়ে এসে বাগানের ছায়ায় বসা সবাইকে বললেন জলদি করে প্রবাসী সরকারের তালিকা বানাও । কাগজ কলম নিয়ে শুরু হল তালিকা। ওখানে সবাই রাজি হলেন তালিকার মান দেখে। ঘণ্টার মধ্যেই ঢুকে গেলেন আবার । বাংলাদেশের বা তখন পূর্ব পাকিস্তানের জনা ৩০ মানুষ সর্ব প্রটোকল ভেঙ্গে বাগানে বসে রইলেন। সবাই খুব খেয়াল রাখছিলেন এই বাংলার মানুষদের। যেহেতু আজকের মিটিং তালিকাভুক্ত নয় তাই এদের বাগানের ঘাস হল স্থান। আবার ইন্দিরা গান্ধী তালিকা দেখে বললেন শপথ নিয়ে কাজকাম শুরু করতে। কিন্তু কোথায় হবে তা। হাসিমুখ ইন্দিরা বললেন এসব আপনাদের ভুমিতেই হতে হবে , ভাবুন এবং আমাকে জানান , নিরাপত্তার দায়িত্ব আমার। মুগ্ধ তাজ বেরিয়ে এলেন। সাথিদের বললেন একজন অতি পারদর্শী মহীয়সীর দেখা পেলাম আজ , কি দুর্ধর্ষ বাবারে। তারা মেহেরপুরকেই বেছে নিলেন কারন রাস্তা যোগাযোগ ওখানে ভাল। শপথ অনুষ্ঠানের সময় ভারতীয় বিমান বাহিনি পূর্ণ নিরাপত্তা দিয়েছিলেন।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫৮
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়।
মুজিবনগর সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা ছিলো অপরিসীম। বিশ্বদরবারে এই অস্থায়ী সরকারই নির্ধারণ করে দেয় বাঙালির মু্ক্তিসংগ্রামের রাজনৈতিক স্বরূপ। সগৌরবে ঘোষণা করে এই সংগ্রাম কতিপয় স্বার্থন্বেষী মহলের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নয়।
মূলত ২৫ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল- এই সময়টুকু ভীষণভাবে ঘটনাবহুল এবং সমরকৌশল নির্ধারণে অসীম গুরুত্বপূর্ণ।
নানা ধরনের প্রতিকূলতার ভেতর কাজ করতে হয় প্রবাসী সরকারকে। বিভিন্ন ধরনের মনস্তাত্ত্বিক লড়াই করতে হয় প্রজ্ঞাবান নেতা তাজউদ্দীন আহমদকে।
একদিকে চলছে সরকার কাঠামো নির্মাণ ভাবনা, অন্যদিকে চলছে গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের অনুসন্ধান। মুজিবনগর সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের সন্ধান মেলে ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ১১ এপ্রিল। সৈয়দ নজরুল ইসলামের সাথে ছিলেন হুইপ আবদুল মান্নান। তিনি টাঙ্গাইল থেকে হেঁটে এসেছিলেন ময়মনসিংহ ২৫ মার্চের পর।
কত প্রতিকূলতা অতিক্রম যে করতে হয়েছে তাজউদ্দীন আহমদকে, অবশ্যই আপনি অনেক ভালো জানেন ঘটনাবলী। এমন সুদক্ষ নেতা আমাদের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে বিরল।
এবং অবশ্যই অন্য যাঁঁরা ছিলেন মুক্তিসংগ্রামের সহযোদ্ধা, প্রত্যেকেই প্রত্যেকের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন বলেই অর্জিত হয়েছে আমাদের অনন্য স্বাধীনতা।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা উপস্থিতিতে।
অামার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০০
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কথাসাহিত্যিক।
কৃতজ্ঞতা জানবেন উপস্থিতিতে।
জানবেন অনিঃশেষ শুভকামনা।
ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।
৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩
বিজন রয় বলেছেন: ঐতিহাসিক তথ্য।
এসব নিয়ে বেশি বেশি লেখা দরকার।
++++
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৩
দীপংকর চন্দ বলেছেন: আমাদের মুক্তিসংগ্রামের ভীষণভাবে স্মরণীয় একটি অধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবার সামান্য প্রয়াস।
অনেক অনেক ধন্যবাদ কবি।
আমার শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।
৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৬
পুলহ বলেছেন: ইতিহাসকে আবার নতুন চোখে দেখলাম, বলার অপেক্ষা রাখে না- সেটা আপনার লেখনীর গুণেই।
১৭ এপ্রিল নিয়ে পোস্ট দেয়ায় আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আরেকটা ছোট্ট সাজেশন দাদা- এ ধরণের লেখার সাথে রেফারেন্স -অত 'প্রিসাইসড' না হলেও অন্ততঃ মোটা দাগে - যোগ করে দিলে বোধহয় পাঠকের আরো সুবিধা হোত।
ভালো থাকবেন!
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২৭
দীপংকর চন্দ বলেছেন: আপাতত তথ্যসূত্র প্রদান করছি না ভাই। কার্যপদ্ধতি এবং সুনির্দিষ্ট কিছু অভিলক্ষ্য ক্রিয়াশীল এর নেপথ্যে। ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আমার এই আপাত অক্ষমতা। ক্ষমাপ্রার্থণা পাঠকের কিছুটা অসুবিধার জন্য। গল্প-কথায় আপাতত উঠে আসুক আমাদের জাতির কিছু উজ্জ্বল সময়, আলোকিত মুহূর্ত।
জানবেন, তথ্যসূত্র অনেক। এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ে সেইসব সূত্র উল্লেখ করা হবে নিশ্চিত থাকুন।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
সবসময় ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। অনেক।
৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বিজন রয়ের সাথে একমত। এসব নিয়ে আরও বেশি বেশি বস্তুনিষ্ঠ লেখা ব্লগে আসা উচিৎ।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩৩
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ হেনা ভাই।
কৃতজ্ঞতা জানবেন উপস্থিতিতে।
গৌরবোজ্জ্বল অতীতের ওপর ভিত্তি করেই তো দাঁঁড়াবে আমাদের পরিচ্ছন্ন ভবিষ্যত। আমাদের সর্বোত্তম অতীতকে আমরা ভুলবো না কখনও।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।
১০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:১০
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ। এগুলোই সামুর সম্পদ।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৯
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
মুক্তিসংগ্রামের প্রতিটি দিন তারিখ ক্ষণের বিবরণ প্রতিটি আঙ্গিকেই আমাদের সম্পদ, ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা।
কৃতজ্ঞতা উপস্থিতিতে। অনেক।
অনিঃশেষ শুভকামনা।
ভালো থাকবেন। সবসময়। সবসময়।
১১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪১
জুন বলেছেন: বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন একটি পোষ্ট দীপংকর চন্দ ।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২২
দীপংকর চন্দ বলেছেন: সংবেদনশীল পর্যটকের উপস্থিতিতে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।
আমার শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।
অনেক অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।
১২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ছোট্ট পরিসরে দেশের অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়ের পোস্টে +++
ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি পাঠকদের উপহার দেয়ার জন্য। ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা রইল।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩০
দীপংকর চন্দ বলেছেন: //দেশের অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়//
সহমত।
১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন আমাদের মুক্তিসংগ্রামকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে নিয়ে যাবার প্রধানতম ভিত্তি হিসেবে অভিহিত করা অত্যুক্তি হবে না আশাকরি।
উপস্থিতিতে কৃতজ্ঞতা ভাই। অনেক।
অনেক অনেক শুভকামনা।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।
১৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬
মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট। পড়তে ভালো লাগলো, অনেক অজানা কিছুও জানলাম।
ধন্যবাদ ভাই...
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩২
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সুলেখক।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা উপস্থিতিতে।
আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।
সবসময় ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। অনেক।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:৪৪
কালনী নদী বলেছেন: আপনার হাতের লেখা সংগ্রহে রাখার মতন।