![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
"সুপার টুইসডে" হচ্ছে, আমেরিকান প্রাইমারী নির্বাচনের একটি মংগলবার, যেদিন একযোগে আমেরিকার ১৬ রাজ্যে প্রাইমারী ভোট হয়ে থাকে, এবং ১৩৫৭ জন ডেলিগেইট নির্বাচিত হয়। এই বছর, সুপার টুইসডে নির্বাচন হবে মার্চ মাসের ৩ তারিখ; সেইদিনের নির্বাচনে অনেকটা পরিস্কার হয়ে যায়, আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কে কে ফাইন্যাল প্রার্থী হতে যাচ্ছেন।
আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে (নভেম্বর, ২০২০) ডেমোক্রেটদের পক্ষ থেকে প্রার্থী নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রাইমারী(ফেব্রুয়ারী, ৩ - জুন, ৩) নির্বাচন শুরু হয়েছে। প্রাইমারী ভোট হয় দলের সদস্যদের সরাসরি ভোটে ফাইন্যাল প্রার্থী নির্বাচন করার জন্য। ইতিমধ্যে, ২ রাজ্যে প্রাইমারী হয়ে গেছে, মে মাসের মাঝে বাকী ৪৮ রাজ্যে প্রাইমারী শেষ হবে।
আমেরিকান প্রাইমারী নির্বাচনও বেশ কমপ্লিকেইড; মানুষ প্রার্থীকে ভোট দিয়ে, আসলে প্রার্থীকে নির্বাচিত করে না, প্রার্থীর পক্ষে প্রতি রাজ্যে "ডেলিগেইট" নির্বাচন করেন; এসব ডেলিগেইটরা, পার্টির কনভেনশনে ভোট দিয়ে অবশেষে প্রার্থী নির্বাচন করেন। ডেমোক্রেটদের মোট ডেলিগেইটের সংখ্যা হচ্ছে, ৪০৫১ জন।
ইতিমধ্যাে অনুষ্ঠিত ২ রাজ্যের (আইওয়া, নিউ হ্যামশায়ার) ভোটে প্রার্থীদের 'ডেলিগেইট' অর্জনের পরিসংখ্যন: বুটিজেগ: ২৩, সেন্ডার্স: ২১, ওয়ারেণ:৮, ক্লোবুচার: ৭, বাইডেন: ৬ , ষ্টইয়ের: ০, ব্লুমবার্গ:০ ।
ডেমোক্রেটদের আশা ছিলো, তাদের ফাইন্যাল প্রার্থী হবে ওবামার ভাইস-প্রেসিডেন্ট, জো বাইডেন; কিন্তু বাইডেন প্রথম ২ রাজ্যের ভোটে ভয়ংকরভাবে খারাপ করেছে; এখন সে আশা করছে, সাউথ ক্যারেলিনা ও নেভেদায় ভালো করবে, এবং সুপার টুইসডে'তে সে বিজয়ী হয়ে, অবশেষে ডেমোক্রেটদের প্রার্থী হবে; কিন্তু, শুরুটা ভালো কিছু বলছে না।
ডেমোক্রেরা এবার ২২ জন প্রার্থী নিয়ে শুরু করেছিলো; কয়েকটি ডিবেইটের ও ২টি প্রাইমারীর পর, এদের সংখ্যা কমে ৭ জনে এসে দাঁড়ায়েছে( পিট বুটিজেগ, বার্ণি সেন্ডার্স, এলিজাবেথ ওয়ারেণ, জো বাইডেন, এমি ক্লোবুচার, টম ষ্টইয়ের, ব্লুমবার্গ)। এবার ডেমোক্রেটদের প্রার্থীরা অত ভালো নয়; এবং ট্রাম্পের সাথে টিকবে কিনা সন্দেহ আছে।
এবার কমপরিচিত একজন ভালো প্রার্থী আছেন, নাম হচ্ছে এ্যামি ক্লোবুচার; উনি আমরিকার সমস্যাগুলো বুঝেন বলে মনে হচ্ছে, এবং বেশ হাসিখুশী মানুষ; তিনি বর্তমানে মিনোসেটা রাজ্যের সিনেটর; খবই সহজ সরল মহিলা; কিন্তু স্বল্প পরিচিত। আইওয়াতে তিনি ৫ম হয়েছেন, নিউ হ্যামশায়ারে ৩য়। তিনি ট্রাম্পের সাথে কিছুটা পাল্লা দিতে পারতেন সহজেই।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
ট্রাম্পের কারণে আমেরিকার সন্মান কমেছে কিছুটা; কিন্তু ডেমোক্রেটরা ওকে ইমপিচ করতে গিয়ে নিজেদের পায়ে কউড়াল মেরেছে, মনে হচ্ছে
২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আগামীতে ট্রাম্পই হবে ।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
ট্রাম্প তো হবে, মনে হচ্ছে; প্রাইমারী ট্রাইমারী বুঝেন টুঝেন তো?
৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ওস্তাদ প্রাইমারী বলতে আমি কিন্তু প্রাথমিক টাইপ মানে প্রথম ধাপ বলে কিছু মনে করি । এখন আপনি কোন প্রাইমারী,র
কথা বলছেন ?
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
সঠিক, প্রাইমারী মানেই ১ম ধাপ; তবে, ইহা আমেরিকায় "প্রার্থী নির্বাচনের" ভোট; এখানে শেখ হাসিনা, বেগম জিয়ারা প্রারথী দেয় না, দলের সদস্যরা প্রার্থী নির্বাচন করে।
৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ট্রাম থাকুক
কিংবা না থাকুক
তাতে বাংলাদেশের কিছু
আসবে যাবে বলে মনে হয়না।
আমরা এখন করোনা ভাইরাসে
আক্রান্ত অর্থনীতি নিয়ে বিপাকে আছি।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
চীনাদের বন্ধু হলে, করোনায় মরতে হবে; আমেরিকার বন্ধু হলে, কাপড় বিক্রয় করা যাবে।
৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৬
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে আপনার এই ধারাবাহিক লেখা বেশ ভাল হচ্ছে এতে মোটামুটি আমরা সবাই ভাল ধারণা পাবো, সারাবছর আমেরিকা আমেরিকা বলে আমরা চিল্লাইয়া মাতম তুলি, তাদের নির্বাচন বিষয় একটু জানা-শোনা উচিত।
আমি খুব বেশি বুঝি সে রকম না, তবে বারাক ওবামার সময় নেট থেকে কিছু জেনে ছিলাম, প্রার্থী নির্বাচন পদদ্ধি, কলিজিয়েট ভোট ইত্যাদি ইত্যাদি।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশে গণতন্ত্র না থাকায়, নির্বাচন সহজ ও প্রতারণাপুর্ণ; ব্লগারেরা আমেরিকান নির্বাচন বুঝলে, তাঁরা বাংলাদেশী নির্বাচনের ভুলগুলো বুঝতে পারবেন।
৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২
ঢাবিয়ান বলেছেন: আমেরিকানরা কি তবে পার্মানেন্টলি রেসিস্ট জাতি হয়ে গেল? পরপর দুইবার ট্রাম্পকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করাটা আমেরিকানদের ভাবমুর্তি প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমেরিকানরা বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী জাতি; ট্রাম্প নিজে কিছুটা রেসিষ্ট; তবে, আমেরিকানরা সেজন্য ওকে প্রেসিডেন্ট বানায়নি; আমেরিকানরা রাজনীতিবিদদের শায়েস্তা করছে।
৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: ট্রাম্প নাকই ২/৩ দিনের জন্য ভারতে আসবে?
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
সঠিক।
৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪০
শের শায়রী বলেছেন: মুরুব্বী এই "সুপার টুইসডে" কি সোমবারের পরের দিন আর বুধ বারের আগের দিন? নাকি আমেরিকায় সপ্তাহ আটদিনে? টুইসডে পর সুপার টুইসডে এই টাইপের কিছু?
ভোট কি ইভিএম না ব্যালট পেপারে হয়? ও জায়গায় তো মাইক চালানো নিষেধ, কিন্তু পোষ্টার কি লাগানো যায় দেয়ালে দেয়ালে?
মিছিল টিছিল কেমন চলছে? ভদ্দরলোকের দেশ মারামারি নিশ্চয়ই হয় না, তাই না?
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪২
চাঁদগাজী বলেছেন:
পোষ্টারিং ও মিটিচং হয় ( হলে, বাহিরে নয়); সুপার টুইসডেটা আসলেই টুইসডে, শুধুমাত্র প্রতি ৪ বছর পর, মার্চের পহেলা সপ্তাহে।
এরা এভিমই ব্যবহার করে; এভিএম আবার "পেপার ব্যাকআপ" করে।
ব্লগারদের এসব বুঝতে হবে, কতদিন আর কাটবে ভুতপ্রেত আর জ্বীন নিয়ে?
৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:২০
সোহানী বলেছেন: কানাডার জন্য অশনী সংকেত ট্রাম্প জিতলে। এখনো নাফটা সমাধান হয়নি, ঝুলে আছে এরকম অনেক চুক্তি.............
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
নাফটা নিয়ে কিছুটা সমস্যা হতে পারে; তবে, কানাডা ও আমেরিকা একই সংস্কৃতির জাতি; ফলে, ভয়ংকর কিছু হবে না।
১০| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
যেই নির্বাচিত হোক তাতে কোন সমস্যা নাই যদি তার নির্বাচিত হওয়ার ফলে ভীতির চেয়ে আশা শক্তিশালি হয়, অন্ধকারের
চেয়ে আলো বড় হয় এবং মিথ্যার চেয়ে সত্য বড় হয় । আর যুক্তরাস্ট্রের সর্বনিম্ন বেতন এমন নির্ধারণ করতে পারেন যা
দিয়ে একজন মা কিংবা বাবা তার সন্তানদেরকে দারিদ্র মুক্ত রেখে গ্যাপ ইয়ার ছাড়াই শিক্ষা জীবন সম্পন্ন করাতে সমর্থ হন।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
ট্রাম্প বিলিওনিয়ার, অন্যেরা মালটি মিলিওনিয়ার; ওরা মিলিয়ন, বিলিয়ন ডলারের লোকদের জন্য কাজ করে।
১১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৭
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: এলিজাবেথ আর বার্ণি আমার পছন্দের। তবে এলিজাবেথ থেকে সরে এসেছি। যদিও আমি রেজিষ্টার্ড ডেমোক্র্যাট নই তবুও বার্ণিকেই ভালো লাগ। তার কিছু নীতি অবশ্য আমার পছন্দ নয়। প্রাইমারী নিয়ে মাথা ততটা ঘামাইনা। কারন, আমার কিছু করার নেই। নীতিগতভাবে আমাকে রিপাবলিকান বললেও ভুল হবে না। আবার ট্রাম্পকেও আর ভালো লাগছে না। গতবার অবশ্য বার্নির জন্য সফট কর্নার ছিলো আর এবারও আছে। তবে গতবার ট্রাম্প হিলারীকে হারানোতে অনেক খুশী হয়েছিলাম। বিরাট দ্বিধায় আছি। অনেকটা জগাখিচুড়ী অবস্থা আর কি।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি যদি নিউইয়র্কে থাকেন, এবং আপনি যদি রিপাবলিকান প্রার্থীকে ( প্রেসিডেন্ট ) ভোট দেন, আপনার ভোট ফল দিচ্ছে না। এলিজাবেথের সমস্যা হলো, উনার নিজের কথাগুলো উনি কাজে লাগাতে পারবেন না; বার্ণির বড় সমস্যা হলো, উনি টাকা-পয়সা ও বাজেটের হিসেব মিলিয়ে পুরো প্লান সামনে আনেনি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪
অজ্ঞ বালক বলেছেন: ট্রাম্প যত খারাপই হোক, আমেরিকানদের একটা স্বভাব আছে ওরা তাদের উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো যাতে শক্তিশালী হয় সে কারণে যে কোন প্রেসিডেন্টকে পর পর দুই মেয়াদে নির্বাচিত করে। কাজেই এইবার ডেমোক্র্যাটদের কোন আশা নাই।