![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাগর দ্বীপ মহেশখালী, সীমান্ত শহর টেকনাফ ও কক্সবাজার সদরে বেড়াতে আসা হাজারো পর্যটকের নজর কাড়ে রাখাইনদের তৈরী পোষাক। ঐতিহ্যবাহী বেডসিট, শাল এবং ফতুয়ার চাহিদা বেশি পর্যটকদের কাছে। মহেশখালী পৌর এলাকার গোরকঘাটা বাজারের পাশে রাখাইন পাড়ায় রাখাইনদের তৈরি কাপড়ের সম্ভার নিয়ে গড়ে উঠেছে ২৫/৩০টি দোকান। কক্সবাজার সদরে রয়েছে ১৫টি বার্মিজ মার্কেটে ২ শতাধিক দোকান। রাখাইন পাড়ায় গড়ে উঠা দোকানে রয়েছে রাখাইন তরুণীদের হাতে বুনা শাড়ি, শাল, থ্রি পিস, ফতুয়া, নকশী কাঁথা, বেডশীট এবং বিভিন্ন প্রকার ব্যাগ। এসবের ক্রেতা দেশী বিদেশী পর্যটক। যদিও আগের হারে এখন বিক্রি অনেকটা কম। কাপড়ের আনুষঙ্গিক খরচ বাড়লেও সেই তুলনায় দাম পাচ্ছেন না রাখাইনরা। রাখাইন পাড়া ও বার্মিজ মার্কেট এর দোকানগুলোতে মূলত ক্রেতা হচ্ছেন মহিলা পর্যটকরা। দোকানগুলোতে নারী সেলসম্যানের সংখ্যাও বেশি। ওসব দোকান ও রাখাইন পল্লীতে বিক্রেতা বেশির ভাগ রাখাইন তরুণী। রাখাইন নারীরা জানান, ঈদ, আদিনাথ মেলা, পূজার সময় ও শীতকালীন মৌসুমে বিক্রিটা ভাল হয়। মানসম্মত রাখাইন চাদরের মূল্য ২৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা, থ্রি পিস ৩৫০ টাকা থেকে ১১শ’ টাকা, নকশী কাঁথা ৮শ’ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা, ফতুয়া ১৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, বেড শীট ৫৫০ থেকে ১২শ’ টাকা মূল্যে বিক্রি হয়। মহেশখালী উপজেলার ন্যায় পাড়া বা মহল্লায় এত দোকান কক্সবাজার জেলার অন্য কোন স্থানে নেই। বিভিন্ন জায়গা থেকে মহেশখালীর দর্শনীয় স্থান আদিনাথ মন্দির, বৌদ্ধদের রাখাইন মন্দির, লবণ মাঠ, চিংড়ি ঘের, পান বরজ, সমুদ্র সৈকত দেখতে আসা মানুষরাই ওসব দোকানে ভিড় জমায়। রাখাইন সম্প্রদায়ের দাবি, যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের কাপড়ের ব্যবসার প্রতি সুদৃষ্টি দেন, তাহলে আবারও ঐতিহ্য ফিরে আনার ব্যাপারে আশাবাদী তারা। রাখাইন সমপ্রদায়ের বুড্ডিষ্ট ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উক্যাথিং জানান, সরকারের সদ্দিচ্ছার অভাবে রাখাইন পরিবারের মেয়েরা তাঁতী কাজে আগ্রহ হারাচ্ছে। সরকার ব্যাংক ঋণ বা কাপড় তৈরির সরঞ্জামাদি সংগ্রহে আর্থিক সুবিধা প্রদান করলে রাখাইন নারীরা চকরিয়ার হারবাং, টেকনাফের চৌধুরী পাড়া ও মহেশখালীতে বিভিন্ন জাতের মানসম্মত কাপড় তৈরিতে সফল হবে।রাখাইনদের তৈরি কাপড় পর্যটকদের প্রিয়
©somewhere in net ltd.