![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাবা-মা মাদকাসক্ত হলে সন্তানও ঝুঁকে মাদকের দিকে। মনস্তাত্ত্বিক কারণেই মাদকের প্রতি তার আগ্রহ বাড়ে। আর মাদকাসক্ত মায়ের গর্ভের সন্তানও জš§গ্রহন করে মাদকাসক্তি নিয়ে। অর্থাৎ মাদকাসক্তদের সন্তানও মাদকের প্রভাবমুক্ত নয়।
কোমলমতি শিশুদের মধ্যে সব সময় বিরাজ করে কৌতূহলি প্রবণতা। শিশু অনুসরণ করে তার বাবা-মাকে। তাদের আচরণ, চলন ও বলন অনুসরণ করেই শিশু শেখে তার পথচলা। অর্থাৎ একটি শিশুর বেড়ে ওঠা সম্পূর্ণ নির্ভর করে তার বাবা-মায়ের ওপর। বাবা-মায়ের আচার-আচরণের একটা বিরাট প্রভাব পড়ে শিশুর জীবনে। কোনো শিশুর বাবা-মা যদি মাদকাসক্ত হয়, তবে এর একটা বিরাট প্রভাব পড়ে শিশুটির জীবনে। অতি কৌতূহলি শিশু মন তখন বাবা-মাকে অনুসরণ করে আগ্রহ বাড়ায় মাদকের দিকে। এমনটাই ওঠে এসেছে সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষণায়। বলা হয়েছে, বাবা-মা মাদকাসক্ত হলে তাদের দেখাদেখি শিশু সন্তানও মাদকের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে।
বিষয়টি বাংলাদেশের জন্যও উদ্বেগের। কারণ দেশে মাদকাসক্তি দিন দিন ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাদকাসক্তের সংখ্যা। মাদক ও মাদকাসক্তি দেশের জন্য একটি জাতীয় সমস্যায় রূপ নিয়েছে। দেশের মাদকসেবীদের অধিকাংশই কিশোর-তরুণ-তরুণী। পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নারীরাও দিন দিন মাদকের নেশায় ডুবছে। বাদ থাকছেন না বিভিন্ন বয়সী নারীও। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই মাদকাসক্ত, এমন দম্পতির সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। এ অবস্থায় যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে মাদকাসক্তের সংখ্যা। শিশুদের মধ্যেও বাড়ছে মাদকের ঝুঁকি। মাদক শিশুদের জন্য বেশি ক্ষতিকর। বাবা-মায়ের দেখাদেখি সন্তানও উৎসাহী হয়ে ওঠে মাদক সেবনে।
মাদকাসক্তদের সন্তানের মাদকঝুঁকি বহুগুণ বেশি
©somewhere in net ltd.