নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চাষা হাবিব। কবি, গবেষক ও শিক্ষক। প্রকাশিত ও প্রকাশিতব্য গ্রন্থ; কবিতা-১৩, গবেষণা-১৩, প্রবন্ধ-২, গল্প গ্রন্থ-২, বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধ-৬০ এবং গান রচনা-৩০; নাটক-২ । করেছেন মুক্তিযুদ্ধ এবং গণহত্যা নিয়ে একাধিক গবেষণা।

চাষা হাবিব

কবি, গবেষক ও উন্নয়নকর্মী

চাষা হাবিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে জন ইতিহাসের প্রাণপুরুষ ড. মুনতাসীর মামুন স্যারের আজ ৭০তম জন্মদিন

২৪ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:৩৪

বাংলাদেশে জন ইতিহাসের প্রাণপুরুষ ড. মুনতাসীর মামুন স্যারের আজ ৭০তম জন্মদিন

ইতিহাস মানেই কেবল রাজায় রাজায় যুদ্ধ, দেশ দখল, জয়-পরাজয় আর রক্তপাতের বয়ান নয়; একটি জাতির আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক জীবনের নানা অনুষঙ্গও ইতিহাস। সেসবের নানামাত্রিক অনুসন্ধান মুনতাসীর মামুন করেছেন। ইতিহাসবিদ হিসেবে তাঁর বিশেষত্ব হলো -নিজে যেমন বিচিত্র বিষয়ে বিপুল কাজ করেছেন, তেমনি গড়ে তুলেছেন ইতিহাস চর্চার শক্তিশালী টিম; সর্বোপরি ইতিহাসকে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন সাধারণ পাঠকের দোরগোড়ায়।

তিনি ঢাকা নগর জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর, খুলনাস্থ গণহত্যা জাদুঘর ও আরকাইভস প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যুক্ত । বাংলাদেশে ইতিহাস চর্চাকে জনকেন্দ্রিকও অসাম্প্রদায়িক করা এবং তা তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী’। তাঁর চেষ্টায় ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস’ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ইউজিসির মাধ্যমে দেশের সকল পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান ও পাশ কোর্সের সকল ডিসিপ্লিনে বাধ্যতামূলক করা সম্ভব হয়েছে।

প্রফেসর মুনতাসীর মামুনের রচিত গ্রন্থ সংখ্যা তিনশ’র বেশি। তাছাড়া আছে ৫০টি সম্পাদিত গ্রন্থ। ইংরেজি ভাষায় গ্রন্থ সংখ্যা ৩০টি। তাঁর গবেষণার বিষয়, পরিধি ও সময়কাল ব্যাপক ও বিস্তৃত। তাঁর গবেষণার বিষয়বস্তু পূর্ববঙ্গ, ঢাকা শহর, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, উনিশ শতকের সংবাদ ও সাময়িক পত্র, মুদ্রণ ও প্রকাশনা, পল্লী বাংলা, রবীন্দ্রনাথ ইত্যাদি। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক তাঁর রচিত গ্রন্থ সংখ্যা ৮০ টিরও অধিক। বঙ্গবন্ধুকে নিয়েই লিখেছেন ২৩টি গ্রন্থ।

তিনি শিল্প সংগ্রাহক। তাঁর সংগৃহীত চিত্রকলার সংখ্যা প্রায় আড়াইশ। তাঁর গ্রন্থাগারে দুষ্প্রাপ্য বইয়ের সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। এর মধ্যে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথামূলক বই প্রায় ৫ হাজার। ভ্রমণ বিলাসী এই মানুষটি ইতিমধ্যে প্রায় ৫০টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা তাঁর নখদর্পণে।

মামুন স্যার ও তাঁর স্ত্রী মিলে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘মুনতাসীর মামুন-ফাতেমা ট্রাস্ট’। এই ট্রাস্ট থেকে দরিদ্র ছাত্র ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে নিয়মিত সাহায্য করা হয়।

তাঁর বড় কৃতিত্ব তিনি সারাদেশে অসংখ্য লেখক সৃষ্টি করেছেন। তিনি লিখতে উদ্বুদ্ধ করেন, লেখা সংশোধন করে দেন এবং তা’ প্রকাশ করতেও সাহায্য করেন। তরুণ লেখকদের তিনি আবার পুরষ্কৃতও করেন।

মামুন স্যারের কর্মজীবনের যেন শেষ নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে ৪৪ বছর শিক্ষকতা শেষে অবসর গ্রহণ করার পর একই বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’বছর দায়িত্ব পালন করেন ‘বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক’ হিসেবে। এখন তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক’। তিনি পাশাপাশি খুলনায় গড়ে তুলেছেন দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম গণহত্যা জাদুঘর ও আরকাইভস। তাঁর লেখালেখি থেমে নেই। এই একুশ সালেই লিখেছেন, সংকলন ও সম্পাদনা করেছেন প্রায় ৫০টি গ্রন্থ।

৭০ তম জন্মদিনে তাঁর দীর্ঘ, সুস্থ ও সক্রিয় জীবন কামনা করছি।
বাংলাদেশে জন ইতিহাসের প্রাণপুরুষ ড. মুনতাসীর মামুন স্যারের আজ ৭০তম জন্মদিন

ইতিহাস মানেই কেবল রাজায় রাজায় যুদ্ধ, দেশ দখল, জয়-পরাজয় আর রক্তপাতের বয়ান নয়; একটি জাতির আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক জীবনের নানা অনুষঙ্গও ইতিহাস। সেসবের নানামাত্রিক অনুসন্ধান মুনতাসীর মামুন করেছেন। ইতিহাসবিদ হিসেবে তাঁর বিশেষত্ব হলো -নিজে যেমন বিচিত্র বিষয়ে বিপুল কাজ করেছেন, তেমনি গড়ে তুলেছেন ইতিহাস চর্চার শক্তিশালী টিম; সর্বোপরি ইতিহাসকে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন সাধারণ পাঠকের দোরগোড়ায়।

তিনি ঢাকা নগর জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর, খুলনাস্থ গণহত্যা জাদুঘর ও আরকাইভস প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যুক্ত । বাংলাদেশে ইতিহাস চর্চাকে জনকেন্দ্রিকও অসাম্প্রদায়িক করা এবং তা তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী’। তাঁর চেষ্টায় ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস’ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ইউজিসির মাধ্যমে দেশের সকল পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান ও পাশ কোর্সের সকল ডিসিপ্লিনে বাধ্যতামূলক করা সম্ভব হয়েছে।

প্রফেসর মুনতাসীর মামুনের রচিত গ্রন্থ সংখ্যা তিনশ’র বেশি। তাছাড়া আছে ৫০টি সম্পাদিত গ্রন্থ। ইংরেজি ভাষায় গ্রন্থ সংখ্যা ৩০টি। তাঁর গবেষণার বিষয়, পরিধি ও সময়কাল ব্যাপক ও বিস্তৃত। তাঁর গবেষণার বিষয়বস্তু পূর্ববঙ্গ, ঢাকা শহর, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, উনিশ শতকের সংবাদ ও সাময়িক পত্র, মুদ্রণ ও প্রকাশনা, পল্লী বাংলা, রবীন্দ্রনাথ ইত্যাদি। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক তাঁর রচিত গ্রন্থ সংখ্যা ৮০ টিরও অধিক। বঙ্গবন্ধুকে নিয়েই লিখেছেন ২৩টি গ্রন্থ।

তিনি শিল্প সংগ্রাহক। তাঁর সংগৃহীত চিত্রকলার সংখ্যা প্রায় আড়াইশ। তাঁর গ্রন্থাগারে দুষ্প্রাপ্য বইয়ের সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। এর মধ্যে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথামূলক বই প্রায় ৫ হাজার। ভ্রমণ বিলাসী এই মানুষটি ইতিমধ্যে প্রায় ৫০টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা তাঁর নখদর্পণে।

মামুন স্যার ও তাঁর স্ত্রী মিলে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘মুনতাসীর মামুন-ফাতেমা ট্রাস্ট’। এই ট্রাস্ট থেকে দরিদ্র ছাত্র ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে নিয়মিত সাহায্য করা হয়।

তাঁর বড় কৃতিত্ব তিনি সারাদেশে অসংখ্য লেখক সৃষ্টি করেছেন। তিনি লিখতে উদ্বুদ্ধ করেন, লেখা সংশোধন করে দেন এবং তা’ প্রকাশ করতেও সাহায্য করেন। তরুণ লেখকদের তিনি আবার পুরষ্কৃতও করেন।

মামুন স্যারের কর্মজীবনের যেন শেষ নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে ৪৪ বছর শিক্ষকতা শেষে অবসর গ্রহণ করার পর একই বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’বছর দায়িত্ব পালন করেন ‘বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক’ হিসেবে। এখন তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক’। তিনি পাশাপাশি খুলনায় গড়ে তুলেছেন দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম গণহত্যা জাদুঘর ও আরকাইভস। তাঁর লেখালেখি থেমে নেই। এই একুশ সালেই লিখেছেন, সংকলন ও সম্পাদনা করেছেন প্রায় ৫০টি গ্রন্থ।

৭০ তম জন্মদিনে তাঁর দীর্ঘ, সুস্থ ও সক্রিয় জীবন কামনা করছি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.