নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবিকা অর্জনে সময় দেওয়া, মাঝে মাঝে অসহ্য লাগে,
কি করব, পেটের দায়ে তা করতেই হয়...
মাঝে মাঝে মনে হয়, দুরে কোথাও চলে যাই
যেখানে থাকবে নির্মল বাতাস আর সবুজ ঘাসের চাঁদর,
দূর্বাঘাসের শিশির ভেজা জমিনে নগ্ন পায়ে হাঁটব
বুক ভরে নেব নিঃশ্বাস,একগাঁদা অক্সিজেন...!
মাঝে মাঝে মনে হয়, চলে যাই ভাদুন গ্রামে,
গ্রাম থেকে অন্য গ্রাম, দুপাশে সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্য
আর মনোরম মায়াভরা গ্রাম,ঝিলপাড় ইত্যাদি,
আমি মাঝে মাঝে সময় পেলেই ওদিকে চলে যাই,
ঢাকার পাশে একটু সবুজের মায়া খুঁজতে,
ঐ সবুজ আমাকে কেন জানি ডাকে,
তার ডাকে আমাকে সাড়া দিতেই হয়
আমি বসে থাকতে পারি না...!
শহুরে ঘ্যাচ-ঘ্যাচ পরিবেশে, আমার জীবন অতিষ্ট,
মনে হয় একটা ছনের ঘর বানাই,
দুরের গ্রামে চলে যাই, একটা বিলের ধারে ঘর তুলি,
বিলের পানির কল-কল ধ্বনিতে, আমার হৃদয় মন দুলে উঠবে,
তাঁকে বলব, আজ সারাদিন আমরা বিল-আলো সঙ্গম দেখব,
দুরে কোথাও যাবে না কো...!
ছনের ঘরের জানালার ফাঁক দিয়ে ঠান্ডা বাতাস আসবে
জড়িয়ে থাকবো দুজন দুজনা-কে, হারিয়ে যাব কল্পনায়...!
আহা কি মিষ্টি মধুর হতো,যদি থাকতে পারতাম সে জায়গায়
প্রাকৃতিক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ, যেখানে নেই কোন যন্ত্রনা
রয়েছে শুধু নির্মল বাতাস,সবুজ ছায়া আর পাখপাখালির ডাক।
চলো না আমরা চলে যাই সেই গ্রামে
যেখানে আমার মা আমাকে ডাকছে,
বলছে...আয় সোনা আয় আমার বুকে আয়...!
___________________________
গুয়াংজু,চীন
১৮ সেপ্টেম্বর'২০১৭
পূর্বাহ্ন।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:৫৯
মাকার মাহিতা বলেছেন: ধন্যবাদ @ বিদ্রোহী ভৃগু।
আমি ভাদুনের না। বাংলাদেশের ভেতরে যে কোন একটা গ্রামে আমার বসবাস। বর্তমানে ঢাকায় থাকি। ভাদুন গ্রাম! এই নাম টা প্রথম আমি দেখি মোস্তাফা সরয়ার ফারুকীর কোন এক নাটকের শুটিং স্পট হিসেবে, নাটকের শেষ ট্রলে। সেই থেকে ভাদুন গ্রামের প্রতি আমার একটা দুর্বলতা। প্রায় ৫-৭ বার আমি সেখানে গিয়েছি। একা একা হেটেছি। এত চমৎকার গ্রাম, আমি আগে কখনো দেখিনি।
ভাদুন স্কুলেও ঘুরতে গিয়েছিলাম।
২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২২
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার হয়েছে।
ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:০০
মাকার মাহিতা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে...দেশ প্রেমিক বাঙালী! ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন।
৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: বিলের পানির কল-কল ধ্বনিতে, আমার হৃদয় মন দুলে উঠবে -- আমার দাদাবাড়ীর ভিটার উত্তর দিক ঘেঁষে বিন্যাগাড়ীর বিল প্রবাহিত ছিল, দুঃখজনকভাবে এখন সেটা জনবসতিতে পরিণত হয়েছে। ছোট বেলায় স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে কয়েক বছর পরপর দাদাবাড়ীতে বেড়াতে যেতাম। আপনার কবিতার এ চরণটি পড়ে আমি যেন আমাদের শোয়ার ঘর থেকে শোনা সেই বিন্যাগাড়ীর বিল এর কল-কল ধ্বনি শুনতে পেলাম।
কবিতায় ভাল লাগা + +
@বিদ্রোহী ভৃগু,
আপনার জন্ম বড় হওয়া পূবাইলে? ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তেজগাঁওয়ের তেজকুনিপাড়ায় থাকতাম। ০৩ ডিসেম্বরে তেজগাঁও এ অবস্থিত গভঃ ইন্টারমিডিয়েট টেকনিকাল কলেজের পাশে একটি এতিমখানার উপর বোমা বর্ষণের পর আশে পাশের সবাই ঢাকা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেই। আব্বার এক কলিগের গ্রামের বাড়ী পূবাইলে সবাই মিলে আশ্রয় নিয়েছিলাম। কমলাপুরের মুগদাপাড়া থেকে নৌকোয় উঠেছিলাম, সারাদিন নৌকোয়পথ পাড়ি দিয়ে সন্ধ্যার ঠিক আগে আগে পূবাইলের সেই বাড়ীটিতে উঠেছিলাম। পথ ঘাট এখন আর কিছুই মনে নেই। এর আগে ঐ অঞ্চলটি আমার মোটেই পরিচিত ছিলনা। কিন্তু তখন থেকে পূবাইল, হারবাইদ, নাগরী, উলুখোলা, এমন কয়েকটি নাম আমার মনে গেঁথে আছে। এর পরে আর কোনদিন পূবাইলে যাইনি, কিন্তু নামটা শুনলেই পূবাইলের লোকজনের প্রতি অন্তরে একটা আনুকুল্য ও কৃতজ্ঞতাবোধ অনুভব করি। আপনিও এখন থেকে তার ভাগীদার হলেন।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:০৬
মাকার মাহিতা বলেছেন: @ খায়রুল আহসান,
আমার অনুভুতি টি আপনাকে অতীত স্মরন করে ছিয়েছে জেনে আমি খুব আনন্দিত। সত্যিকার অর্থে এই কবিতাটি মর্ম আমি আমার হৃদয় থেকে আমি অনুভব করতেছিলাম। যার কারনেরই এই লেখনীর অবতারনা। আহা...সত্যিই এমন যদি হতো!
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ৪২০ নাটকে,ভাদুন,উলুখোলা,নাগরী এই গ্রাম গুলোর নাম উল্লেখ আছে। নাম গুলো শ্রুতিমধুর তাই না?
৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩২
ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ভালো লাগল।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:০৮
মাকার মাহিতা বলেছেন: ধন্যবাদ...ব্লগ মাস্টার।
আপনি কি ব্লগারের মাস্টার,নাকি ব্লগের মাস্টার?
৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫
এফ.কে আশিক বলেছেন: দারুণ লিখেছেন...
শুভ কামনা সব সময়.....
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:০৯
মাকার মাহিতা বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রাদার...!
৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শেষ জীবনে এরকম একটা কুঁড়ে ঘরে থাকার খুব ইচ্ছা হয়।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:১০
মাকার মাহিতা বলেছেন: আমার ও খুব ইচ্ছে হয়।
৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৫
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
সকল নাগরিক সন্ধ্যা ছেড়ে চলে যান সুসৌভিত প্রকৃতির মাঝে । হয়তো ব্যাস্ততা দেয় না ছুটি, কিন্তু মন পড়ে থাকে এসব শিহরণে । এ এক অদ্ভুত মায়া ।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:১৩
মাকার মাহিতা বলেছেন: হুম...কবে যেন দেখবেন আমি আর শহরে নাই।
চলে যাব দুর গ্রামে, যেখানে থাকবে শুধু সবুজ আর সবুজ
নীল আকাশে মুক্ত ডানা মেলা পাখি দেখব
বুক ভরে নেব বিশুদ্ধ বাতাস!
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন...
নষ্টালিজক কাব্য!
আপনি ভাদুনের? আমার জন্ম বড় হওয়া পূবাইেল
আব্বা ভাদুন স্কুলে শিক্ষকতাও করেছিলেন
+++