নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের সকল কথাগুলো যদি আরও গুছিয়ে লেখতে পারতাম...

মাকার মাহিতা

কবি হবো...

মাকার মাহিতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকায় যান চলাচলে বিশৃঙ্খলা,প্রয়োজন চালক ও পথচারীর সচেতনতা ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সততা

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৪



ঢাকার বড় রাস্তা গুলো আগের মতন ভাঙ্গাচোরা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। রাস্তায় সাদা দাগ, পথচারী পারাপার, লেন বিভাজক, দিক নির্দেশক সহ আর বেশকিছু সাইন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বিস্তর বিশৃঙ্খলা অবলোকন করছি, যা নিম্নরুপঃ-

১। পথচারী পারাপার দাগ বা জেব্রাক্রসিং আছে কিন্তু পথচারী বা চালক কেউ জানে না এর সঠিক ব্যবহার কি? আমি বেশ কয়দিন সেটা দিয়ে রাস্তা পার হলাম, দেখি রাইদা সেই তেড়ে আসছে, আমি দৌড়ে বাঁচি।
২। দেখলাম স্কাউট সদস্যরা রাস্তায় বেরিকেড দিছে, পথচারী যারা রাস্তার মাঝ দিয়ে দৌড় দেয় তাদের আটকায়ে ফুটওভার ব্রিজদিয়ে পার হতে বাধ্য করছে। এটা ভাল উদ্যেগ, নিয়ম না মানা জাতিকে নিয়ম মানতে বাধ্য করা ছাড়া আর কোন পথ নাই।
৩। রাইদা,তুরাগ,৬ নম্বর, আকিক, জাবালে নূর, জাবালে রহমত, আনাবিল,আবাবিল, চাকা-ঢাকা, নূর-এ-মক্কা, রহমত-এ-মাদানী, বলাকা, বিমান সহ আরও যে সকল বাস আছে তাদের চালকদের বাস চালানো দেখলে মনে হয় এসকেলেটরে জোরে চাপ মারতে পারলেই তাদের মনে বেশ মজা লাগে। যে জোরে তারা বাস চালায় তাদের তো কোন রোড ম্যানার জানা নাই তো নাই আর কিছু বলতে তো তেড়ে আসে। তাই তাদের কিছু বলে না। কারন যা বাস আছে সবগুলোর মালিক তো ক্ষমতাসীন দলীয়নেতা। তাই তাদের কিছু বলতে মানা। এদের নিয়মের আওতায় আনা দরকার।
৪। ট্রাফিক পুলিশ যারা আছে তাদের ভারতের সেই জোকার ট্রাফিক পুলিশের কাছে ধর্ণাদিয়ে শিক্ষা নিতে হবে কেমনে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কারণ অনেক ট্রাফিক পুলিশ আছে তারা নিয়ম-কানুন ঠিক মতো জানে না। তাদের সঠিক শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন।
৫। গ্রামের কৃষকশ্রেনীর লোকেরা এই ব্যস্তশহরে রিকশা চালাতে এসে যদি তারা ট্রাফিক নিয়ম না মানে তালে তো তাদের দোষ দেওয়া যাবে না। কারন গ্রামে তো কোন যানজট নাই। সেজন্য তারা ঢাকার রাস্তার কোন নিয়ম জানে না জানবেও না। পেছন থেকে জোরে একটা প্রাইভেটকার আসছে সামনে থেকে ডানে দেলো ঢুকায়া, পরে কি হবে গতি কমে গেল, এরপর শুরু হল যানজট।
৬। ইউটার্ণ-এ দেকলাম দাগ দেওয়া আছে, মানে এখানে গাড়ি থামতে হবে। ড্রাইভাররা কোন জায়গায় তা মানে কোথাও তা মানে না। তাদের মানাতে হবে।
৭। লাল,নীল,সবুজ বাতি দেখলাম কোথাও নাই। এগুলোর ব্যবহার ও সঠিক পরিচালনা করা দরকার।
৮। গতিসীমা,সামনে স্কুল,পথচারী পারাপার, লেনবিভাজন, ইত্যাদি সাইন থাকা প্রয়োজন।

সর্বপরি, সবার সহযোগিতা, সরকারের চেষ্টা ও মানুষের নিয়ম মানার মানসিকতা ইত্যাদির আপগ্রেড হলে হয়তো ঢাকার এই যানজট কমলে কমতেও পারে। সেটা দেখার বিষয়...


বিঃদ্রঃ যত্রতত্র রাস্তা পারাপার আইনত দন্ডনীয়

পোশাক পড়ে নিয়ম ভঙ্গ করি।

বিশৃঙ্খল রিকশা ওয়ালা

পথচারী পারাপারে যানবাহন ও পথচারী একসাথে চলে। নিয়ম মানাতে হবে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২১

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ নিয়ম মানতে চায় না।
জন্মের পর থেকে তাদের কেউ শিখায় নাই। নিয়ম মানার কথা।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭

মাকার মাহিতা বলেছেন: আরব আমিরাতের প্লেন এমিরেটস এয়ারলাইনস গন্তব্য দুবাই। বাঙ্গালী পরিবার ৪ বছরের বাচ্চা নিয়ে অনবোর্ড। বাবা-মা অলরেডি ফাসেন্ট সিট বেল্ট বিপত্তি ঐ বাচ্চাকে নিয়ে,সে সিট বেল্ট বাঁধবে না। ওরে সে কি কান্না, ভয়ানক অবস্থা।
বেচারী এয়ার হোস্টেস মে বি ইউরিপিয়ান কোন কান্টির হবে, তার তো সেই বেবি কে নিয়ে নাকানি চুবানি একেবারে গলদঘর্ম। পরে সে বেশ জোর করেই বাচ্চাকে সিট বেল্ট বাধিয়ে দিল, মুখে কি যেন বিরবির করে বলছিল। আমার মনে হল ঢাকা-দুবাই ফ্লাইটের এমন অভিজ্ঞতা তার নতুন নয়। সেই সুন্দরী এয়ারহোস্টেস মনে মনে বলেছিল বাঙ্গালীকে এভাবেই সোজা কারতে হয়।

এই উদাহরট দিলাম, কারণ আমরা মনে হয় নিয়ম না মানা কে অভ্যাস করে নিয়েছি। তাই আমাদের কে লাইনে আনতে সময় লাগবেই, এই নিয়ে তাড়াহুড়োর কোন কারন নাই।

আমরা বাঙ্গালী, আমাদের নিয়ম মানতে সময় লাগবে।

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৯

প্রথমকথা বলেছেন: ছবি খুব সুন্দর ফুটেছে, আইন প্রয়োগ সংস্থার পাশাপাশি চালক এবং পথচারীরা আরো সতর্কে চলাচল করার পরামর্শ জন্য অনুরোধ করছি। ভাল পোষ্ট।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২

মাকার মাহিতা বলেছেন: ধন্যবাদ।

আমার মনেহয়, আগের মতো কাউন্টার সার্ভিস করা দরকার, ঐ ২০০৬/০৭ সালের দিকে যেমন নিদিষ্ট কাউন্টারে বাস থামতো।
মানুষও ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করত।

এখন কেমন জানি আওরাকওরা...

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সিগন্যাল লাইট আর সিএনজি মিটার ঢাকা শহরের দুটি অব্যবহৃত জিনিস!

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

মাকার মাহিতা বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
তবে, এগুলো প্রতিস্থাপন,ব্যবহার ও সঠিক নিয়ন্ত্রন করা প্রয়োজন।
যদিও, বেশিরভাগ চৌরাস্তা মোড়ে নাই সিগনাল লাইট, সিএনজি অটোরিক্সায় নাই মিটার থাকলেও কন্টাকে চলে।
সবমিলিয়ে এক হযবরল অবস্থা।

এঅবস্থার উন্নতি প্রয়োজন।

সরকারের সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাকার মাহিতা ,




ঢাকা শহরে যারা থাকে ( বিশেষ করে পথচারী ) তারা ট্রাফিক আইন জানেনা সেটা ঠিক নয় । ট্রাফিক আইন না মানা তাদের "খাচাঁল" এর দোষ ।
খেয়াল করলে দেখবেন এই নিয়ম না মানা লোকেরা সিংহভাগই সার্ট-প্যান্ট পড়া শিক্ষিত (?) ভদ্দরলোক । এদের দেখাদেখি ঢাকাতে নতুন আসা লোকজনও তাদেরকে অনুসরণ করে একই ভাবে আইন ভাঙছে। যে স্কাউটদের কথা বললেন , ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন করতে গিয়ে তাদের বাস্তব দেখে শেখা বক্তব্যটি (পত্রিকান্তরে প্রকাশিত ) এই ছিলো ---" লোকজন ট্রাফিক আইন মানতে চায়না । অনুরোধ করার পরেও তারা শোনেনা ..। "
আর বাস টেম্পুর চালক ? এরা কি আমাদের মতো শিক্ষিত? এদেরকে সোজা করতে পারে ট্রাফিক পুলিশের সহযোগীতায় পরিবহনের যাত্রীরাই । চালককে উদ্দেশ্য করে কোনও একজন যাত্রীকে কখনও বলতে শুনেছেন , "ড্রাইভার সাহেব ! সামনে জেব্রা ক্রসিং ধীরে ধীরে যান , লোকজন পারাপার হচ্ছে ।" ? অথবা " এভাবে "কেউচ্চা"র মতো মোড়ামুড়ি দিয়ে বাস চালাচ্ছেন কেন?" কিম্বা "রাস্তার মাঝখানে থেমে যাত্রী নামালেন বা উঠালেন কেন ? " শোনেন নি । শুনলেও কালেভদ্রে এক আধবার শুনেছেন । হয়তো একজন যাত্রীই বলেছেন বাকী চল্লিশজন নির্বিকার ।

সরকারের তথা ট্রাফিক পুলিশের সদিচ্ছা আর চেষ্টার কোনও দাম নেই যতোক্ষন পর্যন্ত না আমরা ট্রাফিক আইন মেনে চলি ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৩

মাকার মাহিতা বলেছেন: আইন মানতে অভ্যস্ত হতে হবে।

ধীরে ধীরে সেটা করা যায় কিনা দেখতে হবে।

৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: রোড ডিভাইডারের উচ্চতার কি কোনো নির্দিষ্ট মাপ আছে ?
যদি না থাকে তাহলে বাংলাদেশের মানুষ যাতে টপকাতে না পারে সেই উচ্চতায় ডিভাইডার বসাতে হবে।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

মাকার মাহিতা বলেছেন: মানবিক বোধের উন্নতি না হলে যত বড়ই রোড ডিভাইডার দেন না কেন কোন লাভ হবে না।
নিয়ম না মানা জাতিকে কে নিয়মের আওতায় আনবে।
এই তো গতকাল, দুজন ফিরিঙ্গি দেখলাম ঢাকর গলিতে হাটতে, তাদের বিপরীত থেকে প্রাইভেটকার দ্রুত আসছিল ছোটগলি এত দ্রুত চলার কোন নিয়ম নাই, পরে দেখলাম ওরাই প্রাইভেটকার কে যেতে দিল নিরাপদ দুরুত্বে দাড়িয়ে। ওরা নিয়ম জানে, ওরা ছাড় দিতে জানে। আমরা জানি না।
আজ আমি পথচারী পারাপার দিয়ে পার হচ্ছিলাম, ওমা একটা মটরসাইকেল যে দ্রুত আসছিল মনে হয় আমি ঐ জায়গা দিয়ে পার হয়ে অপরাধ করেছি।

তাই মানবিক বোধের উন্নতির বিকল্প নাই।

৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: এমনিতেই মানেনা তারপর যদি আরো সুযোগ করে দেয়া হয় !

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৩

মাকার মাহিতা বলেছেন: সুযোগ দেওয়া ঠিক হবে না।

৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: হুম ... সেই জন্যই ডিভাইডারের কথা বলতে ছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৯

মাকার মাহিতা বলেছেন: ডিভাইডারেরও প্রয়োজন আছে, কিন্তু নৈতিকতা যদি না থাকে তবে যত শক্ত ডিভাইডার-ই দেন না কেন তা ভাঙ্গবে,চুরিকরবে, শেষমেষ তা ভাঙ্গারীতে বেচবে।

৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

জাহিদ হাসান বলেছেন: এই দেশের মানুষকে ট্রাফিক আইন শিখাতে আরও একশ বছর লাগবে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৭

মাকার মাহিতা বলেছেন: আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না।
সরকার যদি চায় তবে তা পারবে ২০ বছরের মধ্যেই। এটা সম্ভব।
প্রয়োজনঃ-
# সরকারের সদিচ্ছা।
# বি,আর,টি,এ কে ঢেলে সাজানো।
# ড্রাইভারদের সঠিক প্রশিক্ষণ প্রদান।
# পথচারীদের কে বিভিন্ন ভাবে সচেতন করা। যেমনঃ টিভি/বিলবোর্ড/প্রত্রিকা/সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইত্যাদি।
# ডি এম পি র চৌকস দল ঢেলে সাজানো।
# সড়ক এর সঠিক ব্যবস্থাপনা।

আশাকরা যায় ২০ বছরেই সম্ভব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.