নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের সকল কথাগুলো যদি আরও গুছিয়ে লেখতে পারতাম...

মাকার মাহিতা

কবি হবো...

মাকার মাহিতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

গফরগাঁও টু কিশোরগঞ্জ ট্রেন লাইন প্রসঙ্গে

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬

ময়মনসিংহ বিভাগের যোগাযোগ ব্যবস্থা এমনিতেই নাজুক। এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যমুনা, বহ্মপুত্র, তিস্তা, অগ্নিবীনা এই ট্রেনসমুহ একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম। যদিও এনা আছে এই রুটে। তবে গফরগাঁও এর অবস্থা আরও খারাপ। যারা গফরগাঁও/ নান্দাইল সংলগ্ন এলাকার তারা কমবেশি সবাই ঢাকায় থাকে। বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। ঐ এলাকায় যাবার জন্য নাই কোন ডাইরেক্ট বাস সার্ভিস। ট্রেন-ই একমাত্র ভরসা তাদের।

গুগল ম্যাপ-এ কি জন্য যেন ময়মনসিংহ এলাকায় ব্রাউজিং করছিলাম। জুম ইন করতেই চোখে পড়ল, গফরগাঁও। এই নাম শুনলে একটা আতঙ্ক কাজ করে। শুনা কথা গফরগাঁও এর লোকজন নাকি বেশ ডেঞ্জারাস। বিশেষ করে তারা ট্রেনের সিট দখল নিয়ে বেশ এক্সপার্ট। এই নিয়ে জনমুখে অনেক বাজে কথা প্রচলিত আছে। কিছু সত্য বৈ কি। না হলে যা রাটে তাহা বটে এই কথাটা থাকতো না।

এখন আসি মূল আলোচনায়। গফরগাঁও ব্রাইজিং করছিলাম, পাশে বহ্মপুত্র নদী, তার পাশেই নান্দাইল থানা। হবে হয়তো কয়েক কিলোমিটার। আর একটি আশ্চর্য বিষয় লক্ষ্য করলাম! দেখলাম কিশোরগঞ্জ মাত্র ২৯ কিলোমিটার। বিশ্বাস না হলে নিচের ম্যাপে দেখুন। স্ক্রিন সট নিয়ে নিলাম।

এই ম্যাপে যা দেখলাম, গফরগাঁও এ যেহেতু রেললাইন আছে সেই ব্রিটিশ আমল থেকে, কিশোরগঞ্জ-এও তাই হবে হয়তো। কিন্তু কি কারনে এই রুটে মাত্র ত্রিশ কিলোমিটার রেললাইন হলো না? তা আমার মাথায় ক্যাচ করলো না! নিচে আর একটি ছবি দেখুন।

এই লাল দাগ টা আমি টেনেছি, আমার প্রস্তাবিত রেললাইন যদি এমন হয় তবে সর্টকাটে কিশোরগঞ্জ-এর লোকজন তাদের গন্তব্যে পৌছতে পারবে। তাদের আর ভৈরব ঘুরে যেতে হবে না। নিচের ছবি টা দেখুন...
লালদাগ টা বর্তমানের কিশোরগঞ্জ যাবার রেললাইন। নীল দাগ আমার দেওয়া, গফরগাঁও পর্যন্ত তো লাইল বিদ্যমান। শুধুমাত্র ৩০ কিমি অথবা তার কম কিলোমিটার রেললাইন যদি তৈরি করা যায় তবে, ঢাকা থেকে কিশোগঞ্জ-এ যেতে মাত্র ৩ ঘন্ট লাগবে। এখন যেখানে লাগে ৬-৭ ঘন্টা।

অন্যদিকে গফরগাঁও এর লোকজনদের জন্য সুবিধা হবে। তারা আরও বেশকিছু ট্রেন পাবে। তাই তারা আর গাদাগাদি করে সিট দখলের চিন্তা করবে না। তাতে যমুনা, বহ্মপুত্র, তিস্তা ও অগ্নিবীনা'র যাত্রীদের দুর্ভোগ কমবে। তাই আমি মাননীয় রেল মন্ত্রী জনাব মুজিবুল হককে এই বিষয় টি চিন্তা ভাবনা করার জন্য অনুরোধ করছি।

বিঃ দ্রঃ এটা আমার একান্তই ব্যাক্তিগত অভিমত। কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আইডিয়াটা সুন্দর। কিন্তু এসব বাস্তবায়ন করবে কে?

রেলমন্ত্রীরা বৃটিশ আমলের রেলপথগুলোকেই সচল করতে পারলো না। দিনরাত বয়ান করে বুলেট ট্রেন, পাতাল রেল....। এদিকে রেলখাত প্রতিবছর লোকসান গুণে। কই থেকে এরা যে পড়াশোনা করেছে??X(

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১১

মাকার মাহিতা বলেছেন: এরকম আরও অনেক আইডিয়া আমার মনের মধ্যে ঘুরপাক খায়। মাঝে মাঝে মনে হয় আমি পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তাফা কামালের কাছে যেয়ে আমার সকল আইডিয়ার একটা পান্ডুলিপি তার হাতে তুলে দিই! কিন্তু আমার সে আশা গুড়ে বালি। তবে হা, আমার জীবদ্দশায় আমি সমগ্র বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের সামগ্রিক আইডিয়ার পান্ডুলিপি করে যাব, সেটা বাস্তবায়ন হলেও খুশি না হলেও আমি পরপারে যেয়ে যেন দেখতে পারি যে আমার আইডিয়া গুলো বাস্তবায়িত হয়েছে!আমার সেকল আইডিয়ার ফিরিস্তি একটার পর একটা এই ব্লগে উপস্থাপনের আশা রয়েছে!!!

অন্যদিকে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এসকল বাস্তবায়ন করা সত্যিই অনেক কঠিন। তবে, দিনে দিনে হয়তো হয়ে যাবে সার্বিক উন্নয়ন। যে যাত্রা এখন শুরু হয়েছে আশা করি সামনের দিনগুলোতেও চলতে থাকবে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতারা যে অশিক্ষিত সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এটা সবাই জানে।

পোষ্টে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনারা স্থানীয় এমপির কাছে চিঠি দেন। অথবা সরাসরি রেলমন্ত্রীর কাছে যান। তাকে বুঝিয়ে বলুন। রেলমন্ত্রী ভালো মানুষ। বুঝিয়ে বললে কাজ হবে।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১২

মাকার মাহিতা বলেছেন: আপনার কথায় বেশ যুক্তি আছে।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আইডিয়াটা সুন্দর। কিন্তু এসব বাস্তবায়ন করবে কে? রেলমন্ত্রীরা বৃটিশ আমলের রেলপথগুলোকেই সচল করতে পারলো না। দিনরাত বয়ান করে বুলেট ট্রেন, পাতাল রেল....। এদিকে রেলখাত প্রতিবছর লোকসান গুণে। কই থেকে এরা যে পড়াশোনা করেছে??X( একদম ঠিক কথা।

বেসরকারিখাতের বাসের বিপরীতে আমাদের রেলের উন্নয়নে যদি সরকার(বিএনপি/আওয়ামীলীগ/জাতীয়পার্টি) সত্যিকারার্থে আন্তরিক হতো, তবে দেশের যাতায়াত সমস্যা শতভাগ কমে যেতো। এত ছোট্ট একটা দেশ, চাইলে যশোর বা চিটাগাং থেকে এসেও মানুষ ঢাকায় অফিস করে চলে যেতে পারতো। কিন্তু সরকারগুলো রাজনৈতিক দস্যুদের সুবিধা দিতে রেলের কোনো উন্নয়ন করে না। আজব ব্যাপার হলো, ট্রেনে উঠলে ভীড়ের চোটে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম হয়, অথচ রেল নাকি প্রতিবছর লোকসান দেয়, ক্যাম্নে কি কে জানে!

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩২

মাকার মাহিতা বলেছেন: সত্যিকথা বলতে কি, বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার এমন দশা প্রায় সব জায়গায়। গ্রাম,ইউনিয়ন,থানা,জেলা,বিভাগ ও রাজধানী সহ সকল জায়গায় অপরিকল্পিত গ্রামায়ন ও নগরায়ন। প্রতিটি রাস্তা কোন সুনিদিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়াই তৈরি করা হয়েছে। অথচ কেউ একটু ছাড় দিলেই হয়তো রাস্তাট সোজা হইতো, যানবাহন সহজে চলাচল করতে পারতো, জনদুর্ভোগ কমতো। কিন্তু তা না করে ব্যক্তি স্বার্থে যে যার মতো করে রাস্তা নির্মান করে রেখেছে।

আপনি যথার্থই বালেছেন “বেসরকারিখাতের বাসের বিপরীতে আমাদের রেলের উন্নয়নে যদি সরকার(বিএনপি/আওয়ামীলীগ/জাতীয়পার্টি) সত্যিকারার্থে আন্তরিক হতো, তবে দেশের যাতায়াত সমস্যা শতভাগ কমে যেতো। এত ছোট্ট একটা দেশ, চাইলে যশোর বা চিটাগাং থেকে এসেও মানুষ ঢাকায় অফিস করে চলে যেতে পারতো। কিন্তু সরকারগুলো রাজনৈতিক দস্যুদের সুবিধা দিতে রেলের কোনো উন্নয়ন করে না। আজব ব্যাপার হলো, ট্রেনে উঠলে ভীড়ের চোটে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম হয়, অথচ রেল নাকি প্রতিবছর লোকসান দেয়, ক্যাম্নে কি কে জানে!”

আপনার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমি বলতে চাই, প্রথমত- নেতারা তাদের পকেট ভারি করতে সদা তৎপর। তারা যদি ন্যায়পরায়ন না হয় তবে এসমস্যা থেকেই যাবে। দ্বিতীয়ত- হ্যাঁ, তারা যদি চায়, এই ছোট্ট দেশে সুষম উন্নয়ন করতে মাত্র ৬ মাস থেকে এক বছর সময় লাগবে। তৃতীয়ত- ট্রেনের টিকিটিং ও যাত্রী সেবা সম্পর্কে আর কি বলবো, গত ঈদে গ্রামের বাড়ি যেতে আমার জীবন যায় যায় অবস্থা। একটা ট্রেন মিস করার পর দ্বিতীয় ট্রেনে আমাকে উঠতেই হবে কেননা পরে আর কোন ট্রেন নাই, খুক কষ্ট করে গাদাগাদি করে ট্রেনে উঠলাম, ২ ঘন্টা একপায়ের উপর দাড়িয়ে ছিলাম, এই দুই ঘন্টা আমার জীবন ঘন্টা বেজে যাবার উপক্রম। অথচ একটা সুষ্ট ব্যবস্থাপনার মাধ্যেমে এই সমস্যা খুব দ্রুতই সমাধান করা সম্ভব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.