![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রত্যেকটা মানুষই তার মনের ভেতর তার ভবিষ্যৎটাকে যল্পনা কল্পনার মাঝে বাঁচিয়ে
রাখে।
মানুষ স্বপ্ন দেখে, স্বপ্ন কুড়োয়। আর এই স্বপ্ন কুড়োনোর ভঙ্গিমাটা একেকজনের একেক রকম হয়ে থাকে।
কবি স্বপ্ন কুড়োয় তার কবিতার চরণে ছন্দে,
শিল্পী তার রংতুলির মাধ্যমে তার স্বপ্ন গুলো
ফুটিয়ে তোলে, তেমনিভাবে নানা পেশার মানুষগুলো কোনো না কোনো স্বপ্নে বিভোর থেকে তা বাস্তবায়িত করার প্রাণপণ চেষ্টায় মজে থাকে।
এই নানান পেশার মানুষগুলোর মাঝেই স্বপ্নকুড়োনোর একটা ব্যতিক্রম চিত্রের কথা বলছি।...
৩১শে ডিসেম্বর ২০১৫।
সময় প্রায় সকাল ১১টা বেজে বেজে।
অফিসের কাজে একটু বাইরে যেতে হচ্ছে।
পথিমধ্যে টোকাই চোখে পড়াটা ইদানিং বললে বোধহয় ভূল হবে, আরো অনেক আগে থেকেই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।
জীর্ণশীর্ণ দেহ, হাত পা মুখের চামড়াগুলো খসখসে হয়ে পড়েছে! মাথার চুলগুলো শীতের মিষ্টি রোদের পরশে খানিক্টা লালচে হয়ে পড়েছে। কাঁধে একটা প্লাস্টিকের বস্তা।
ময়লার স্তুপে বসে ময়লাগুলো নাড়ছে।
আমি ডাক দিতেই একটু মৃদু হেসে দৌড়ে ছুটে আসে।
- ভাই ১০ টা টেহা দিবেন?
কি করবি?
- কিস্তা খাইতাম, ফেডবুক লাগজে, সহালে কিচ্ছু কাইছিনা।
আচ্ছা চল নাস্তা করে আসি।
নাস্তার ফাকে ওকে জিজ্ঞেস করলাম।
নাম কি?
-কালাচাঁন। সবাই কালাইয়া ডাহে।
বাসায় কে কে আছে?
- আমি আর একটা ছুট্টু বৈন!
বাবা-মা?
- আমার বাফ থাইক্যাও নাই।আরেকটা বে (বিয়ে) কৈরালছে! আর মা তো সেই আমার বৈনের জনমের ফরে দুইন্নাইত্তে (দুনিয়া থেকে) চৈলা গেছে!
ডাস্টবিনে কি টোকাইতেছিলি?
-মাল টোকাইতাছিলাম। মাল বেইচ্ছে ছুট্টু বৈনের লাগিন অসুদ(ঔষধ) কিনবাম।
মনে মনে ভাবছি... কতটা জাহেল হলে স্বয়ং নিজের বাবাগুলো এমন পিশাচ হতে পারে!
এরকম একটা সিচুয়েশনে একবার নিজেকে কল্পনা করুন না! দিশাহারা হয়ে পড়বেন!
আর ও তো একটা বাচ্চা ছেলে মাত্র!
ছেলেটার বয়সই বা কত হয়েছে! পরিস্থিতি তাকে দাড় করিয়েছে এমন একটি অবস্থানে।
তারপরও হাল ছেড়ে দেয় নি সে। এটুকু একটা বাচ্ছা ছেলে জীবন যুদ্ধে লড়ে চলেছেন দুনিয়ার এই পার্থিব মিছে মায়ার মোহে! এই দিক দিয়ে ওর প্রতি আমার কেনো যেন সম্মানটা একটু বেড়েই গিয়েছিলো।
যেই ময়লার স্তুপ দেখে আপনি আমি নাক ছিটকে তাড়াহুড়ো করে জায়গা প্রস্থান করি, কালা চাঁনের মতো এমন হাজারো কিউটেরা স্বপ্ন কুড়িয়ে দিনাতিপাত কাটিয়ে বেড়ায় এই আবর্জনার স্তুপেই।
সমাজের বিত্তশালী মহৎ ব্যক্তিদের একটু সাহায্য সহানুভূতির দৃষ্টিই পারে এই লাল চাঁন, কালাচানদের মুখে একটু হাসির ঝিলিক ফুটিয়ে দিতে।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৯
বোরহাান বলেছেন: হুম
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
সমাজের বিত্তশালী মহৎ ব্যক্তিদের একটু সাহায্য সহানুভূতির দৃষ্টিই পারে এই লাল চাঁন, কালাচানদের মুখে একটু হাসির ঝিলিক ফুটিয়ে দিতে।
এটা সমাজের ব্যাধি। বিত্তবানরা একদুইজনকে দেখবে হয়তো। কিন্তু সমস্যা তো থেকেই যাবে। এইসমস্যা সৃষ্টির পথ দূর করতে হবে।
এদের বাবারা নিশ্চয় কর্মজীবী না, তাই এরকম মানসিকতা। কাজকর্ম ভালমত করলে সন্তানদের লালন-পালনের পূর্ণ মানসিকতা থাকতো।
চিকিৎসা সেবা ভাল করা উচিৎ। ভাল চিকিৎসা পেলে সন্তান জন্মের সময় মা মৃত্যুর পরিমাণও কমবে।
নাহলে তো যতই বিত্তবানরা এগিয়ে আসুক - এদের মত বাচ্চারা থাকবেই।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০
বোরহাান বলেছেন: মানলাম এটা সমাজের ব্যাধি এ ও মানলাম যে ভালো চিকিৎসা পেলে হয়তো মাতৃ মৃত্যুর হার কমে আসবে! কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে এটা বাংলাদেশ,এ দেশ যদিও নামে মাত্র মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে আমাদের দেশ এখনো উন্নত চিকিৎসা দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত নয়! যদিও তা হয়ে উঠে পরোক্ষণেই তাই অর্থের কাছে মাথা নত! খাদ্য,বস্ত্র,চিকিৎসা, শিক্ষা যদিও মৌলিক অধিকার হয়ে থাকে তথাপিও সেগুলো আমরা পরিপূর্ণ ভাবে পেয়ে উঠছি না! আমরা ১০ টাকা কেজি চালের আশার বাণী শুনেই যাচ্ছি আর চল্লিশ টাকা কেজি প্রতি কেজি কেউ খাচ্ছি তো কেউ উপোসেই কাতরাচ্ছি! যাই হোক কথা সেটা না,কথা হচ্ছে এমনটা না হয়ে যদি এমন টা হত তাহলে আর এই সমস্যা হতো না! কিছুই করার নেই! বর্তমান পরিস্থিতি যেমন রূপ নিয়েছে তা বর্তমানেই মোকাবিলা করতে হবে! আমি আপনি আমরা যে যার জায়গা থেকে অন্তত দু একজন কালা চাঁনদের একটু সহানুভূতির নজরে দেখুন! দেখবেন একদিন হয়তো পরিবর্তন ঘটবে! ভালো থাকবেন ধন্যবাদ দাদা! ♥
৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
এ বাচ্ছাগুলো জাতির, এদের টাকাগুলো শেখ হাসিনা বাজে কাজে ব্যবহার করছেন, মহিলা কম বুঝেন।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৪৩
বোরহাান বলেছেন: কথাটা যদিও বাস্তব বলেছেন! লেকিন মন্তব্য পড়ে খানিকটা মৃদু হাসি পেয়েছে!
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি মন্তব্য করার জন্য ♥
৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৩৩
Ahsan mir বলেছেন: আমরা যদি এই দরনের শিশুদের প্রতিদান সহানুভূতির হাত বারাই তাহলে
আমাদের দেশটা সুন্দর হয়ে উঠবে..
আসুন অসহায়দের প্রতি শাদ্ধআনুযায়ী সহযোগিতার হাত বারিয়ে দেই.।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:০৩
বোরহাান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে শুভ বুদ্ধির উদয় হওয়ার জন্যে!
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:২৯
পবন সরকার বলেছেন: কষ্টের কথা।