![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালবাসি লেখালেখি লেখা আমার পেশা ও নেশা ঘৃনা করি হলুদ সাংবাদিকতা
============================================
গত প্রায় কয়েক বছর ধরে এই জিয়াউর রহমান সম্পর্কে অনাকাঙ্ক্ষিত, অশালীন বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে এবং সে বক্তৃতা, বিবৃতি ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন মন্ত্রীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সর্বশেষ এই অশালীন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম। তাদের একজন মন্তব্য করেছেন জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার ছিলেন না। তাহলে কে এই জিয়াউর রহমান? বাংলাদাশের সাবেক অদ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট
শহীদ জিয়াউর রাহমানের জীবনের ইতিহাস ১/১
=============================================
১০০% জিয়াই স্বাধীনতার ঘোষক ও কিছু মিথ্যাচারের জবাব-১/১
সীমিতসংখ্যক বিরোধীদের বাদ দিলে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু সব অংশগ্রহণের গৌরবগাথা অভিন্ন নয়, নয় ব্যক্তি অবস্থান সমান্তরাল। এই অবস্থানগত ভিন্নতা স্বাধীনতার পর যুদ্ধে ব্যক্তির ভূমিকার প্রশ্নে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এই বিতর্কের মূল কেন্দ্রে অবস্থান করছেন দুই ব্যক্তি, একজন রাজনীতিবিদ এবং অন্যজন সমরনায়ক ও রাজনীতিবিদ।
কে এই সমরনায়ক? এ প্রশ্নের জবাব জিয়াউর রহমান। কিন্তু এ জবাব যথেষ্ট নয়। গত প্রায় এক বছর ধরে এই জিয়াউর রহমান সম্পর্কে অনাকাঙ্ক্ষিত, অশালীন বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে এবং সে বক্তৃতা, বিবৃতি ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন মন্ত্রীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সর্বশেষ এই অশালীন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম। তাদের একজন মন্তব্য করেছেন জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার ছিলেন না। তাহলে কে এই জিয়াউর রহমান? বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমান কি কোনো ভৌতিক উপস্থিতি? কেনই বা তাঁকে নিয়ে এই মিথ্যাচার? শুধু রাজনৈতিক বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে অথবা আদালতের রায় ব্যবহার করে জিয়াউর রহমানকে এ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে?
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১১ এপ্রিল জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত বেতার ভাষণে প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী অঞ্চলের সমর পরিচালনার ভার পড়েছে মেজর জিয়াউর রহমানের ওপর। নৌ, স্থল ও বিমানবাহিনীর আক্রমণের মুখে চট্টগ্রাম শহরে যে প্রতিরোধ ব্যূহ গড়ে উঠেছে এবং আমাদের মুক্তিবাহিনী ও বীর চট্টলার ভাই-বোনেরা যে সাহসিকতার সঙ্গে শত্রুর মোকাবিলা করেছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এই প্রতিরোধ স্ট্যালিনগ্রাডের পাশে স্থান পাবে। এই সাহসিকতাপূর্ণ প্রতিরোধের জন্য চট্টগ্রাম আজও শত্রুর কবলমুক্ত রয়েছে।’ তাজউদ্দীন আহমদ নিশ্চয়ই দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করেননি এবং জিয়াউর রহমানের অযথা প্রশংসা করার মতো তাঁর কাছে এ ছাড়া অন্য কোনো কারণ ছিল না। বর্তমানের একজন প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক জিয়াকে পাকিস্তানের চর হিসেবে আখ্যায়িত করা আর তাজউদ্দীন আহমদের বক্তব্য, কোনটি সঠিক। তাজউদ্দিন আহমদ কি অসত্য ভাষণ করেছিলেন?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান বাহিনীর আগ্রাসনকে ঠেকানোর জন্য সোভিয়েত বাহিনী ১৯৪২ সালের ১৭ থেকে ১৮ নভেম্বর ভলগোগ্রাড শহরে এক অসম সাহসিকতায় প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এরপর ১৯ নভেম্বর সোভিয়েত নেতা মার্শাল স্টালিনের নেতৃত্বে মার্শাল জুকভ যে আক্রমণ পরিচালনা করেন, তার পরিণতিতে জার্মান বাহিনী ৮ লাখ ৫০ হাজার সৈন্য হারিয়ে ১৯৪৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আত্মসমর্পণ করে। সোভিয়েত পক্ষে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৭ লাখ ৫০ হাজার সৈন্য। এই যুদ্ধে বিজয়ের জন্য স্টালিনের রণনীতি ও রণকৌশলের সফল প্রয়োগকে কৃতিত্ব দেওয়া হয় এবং পরিণতিতে ভলগোগ্রাডের নামকরণ করা হয় স্টালিনগ্রাড। তাজউদ্দীন আহমদ এসব ইতিহাস জানতেন বলে তুলনা করার গুরুত্ব তিনি উপলব্ধি করতে এবং বুঝতে পারতেন।
যুদ্ধ শুরু করার দিনগুলোতে কে, কীভাবে ঘোষণা করেছেন সে সম্পর্কেও প্রচুর বিতর্ক হচ্ছে। ১৯৭১ সালের ৩১ মার্চ কলকাতা থেকে প্রকাশিত যুগান্তর মন্তব্য করেছে, ‘বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রধান মেজর জিয়া আজ ঘোষণা করেন যে পূর্ববঙ্গের অধিকাংশ স্থান এখন তাঁর মুক্তি ফৌজের দখলে রয়েছে। বিশ্বের রাষ্ট্রগুলো তথা বিশ্ববাসীকে তা দেখে যাওয়ার জন্য তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।’ ১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল কলকাতার আনন্দবাজার লিখেছে, ‘বাংলাদেশের তিন সেনাপতি : বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন এলাকা ও শহর ছাড়া প্রায় সবটাই এখন মুক্তি ফৌজের দখলে। এই প্রশাসনে তিনটি সেক্টরের নেতৃত্ব করছেন তিনজন সেনাপতি। তারাই মিলিতভাবে মুক্তি ফৌজের নিয়ন্ত্রণ করছেন। আওয়ামী লীগের অনুগত সামরিক অফিসার ও কর্মচারীরা তাদের সঙ্গে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করছেন। এই তিন সেনাপতিরা হলেন মেজর খালেদ মুশাররফ (শ্রীহট্ট সেক্টর), মেজর সফিউল্লা (ময়মনসিংহ) ও মেজর জিয়াউর রহমান (চট্টগ্রাম)। জিয়াউরই মেজর জিয়া নামে অস্থায়ী সরকারের প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করেছিলেন।’
কিন্তু ঘোষণাটা কেমন করে হয়েছিল? স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ইপিআরে কর্মরত মো. আশরাফ আলী সরদার বলেছেন, ঢাকায় অবস্থিত সিগনালের প্রধান বেতার কেন্দ্র রাত ১২টার সময় বন্ধ করে দেয়া হয়। বন্ধ করে দেয়ার আগে বাংলাদেশের সব ইপিআর বেতার কেন্দ্রে খবর পৌঁছে দেয়া হয় যে, উইং কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুর রহমান আওয়ান ‘আমাদের নির্দেশ দিচ্ছে সব বেতার যোগাযোগ বন্ধ রাখার জন্য।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘২৬ মার্চ সকাল ১০টা পর্যন্ত আমাদের এইচএফ চালু থাকে, যার মাধ্যমে ২৫ মার্চের ঘটনা নায়েক শহীদ বাশার বাইরের সবাইকে জানিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি তাঁর শেষ সংবাদে চট্টগ্রামকে বলেছিলেন যে, আমাদের সবাই বন্দি হয়ে গেছে। হয়তো কিছুক্ষণ পর আমিও বন্দি হয়ে যাব এবং আর নির্দেশ দেয়ার সময় পাব ন। তোমরা সব পশ্চিমাদের খতম কর। চট্টগ্রাম থেকে হাবিলদার বাহার ওই সংবাদ সীমান্তের চৌকি পর্যন্ত পৌঁছে দেয় এবং আমাদের লোকজনকে অনুপ্রাণিত করার জন্য সে বলেছে, ‘আমি ঢাকা থেকে বলছি। সম্পূর্ণ ঢাকা আমাদের নিয়ন্ত্রণাধীনে চলে এসেছে এবং ইপিআরের ডিরেক্টর জেনারেল ব্রিগেডিয়ার নেসার আহমদ বন্দি হয়েছেন। তোমরা স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড় এবং পশ্চিম পাকিস্তানিদের বন্দি করে আমাকে রিপোর্ট দাও।’ দেখা যাচ্ছে, এই বার্তার সঙ্গে অন্য কারও নাম যুক্ত নেই এবং ব্যক্তির আবেগেই বার্তার ভাষা পরিবর্তিত হয়েছে।
মেজর জিয়ার ঘোষণা সম্পর্কে বলতে গিয়ে ফরিদপুরের হেমায়েত বাহিনীর প্রধান হেমায়েত উদ্দিন বীরবিক্রম মাসিক গণমন পত্রিকায় ১৯৭৭ সালের ডিসেম্বরে একটি সাক্ষাত্কার দেন। সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ‘২৭ শে মার্চ রাত্রে সর্ব প্রথম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমানের (বর্তমানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি) কণ্ঠস্বর ঘোষিত হলো, আমরা স্বাধীনতা ঘোষণা করেছি।’
মার্চ মাসে বিশেষ করে ২৫ মার্চ ও তত্পরবর্তী সময়ে ঢাকা সেনানিবাস ও শহরে যা ঘটেছিল, সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগে ক্যাপ্টেন পদে ঢাকা সেনানিবাসে কর্মরত আবু তাহের সালাউদ্দীন বলেন, ‘ইতিপূর্বে সন্ধ্যা ৭টার সময় ক্যাপ্টেন এনামের কক্ষে রেডিওতে আমরা চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রে মেজর জিয়াউর রহমানের (বর্তমানে ব্রিগেডিয়ার) ভাষণ শুনতে পাই। বেতারে মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং সব বাঙালি সেনাবাহিনীর সদস্য, ইপিআর, বিমান বাহিনী, পুলিশ বাহিনী ও জনসাধারণকে পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদের চিরতরে এ দেশ থেকে নির্মূল ও খতম করার আহ্বান জানান।’
বেতারে স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে জিয়াউর রহমানের সাক্ষাত্কারের ভিত্তিতে ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় : ‘এই বিরাট শক্তির মোকাবিলায় বেশিক্ষণ টিকে থাকা সম্ভব হবে না—এ কথা বাঙালি সৈন্যরা বুঝেছিলেন। তাই শহর ছেড়ে যাওয়ার আগেই বিশ্ববাসীর কাছে কথা জানিয়ে যাওয়ার জন্য মেজর জিয়া ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রে যান। বেতার কেন্দ্রের কর্মীরা মেজর জিয়াকে পেয়ে উত্ফুল্ল হয়ে ওঠেন। কিন্তু কী বলবেন তিনি? একটি করে বিবৃতি লেখেন আবার তা ছিঁড়ে ফেলেন। কী জানাবেন তিনি বিশ্ববাসী এবং দেশবাসীকে বেতার মারফত? এদিকে বেতারকর্মীরা বারবার ঘোষণা করছিলেন—আর ১৫ মিনিটের মধ্যে মেজর জিয়া ভাষণ দেবেন। কিন্তু ১৫ মিনিট পার হয়ে গেল। মেজর জিয়া মাত্র তিন লাইন লিখতে পেরেছেন। তখন তাঁর মানসিক অবস্থা বুঝার নয়। লেখার ঝুঁকিও ছিল অনেক। ভাবতে হচ্ছিল শব্দ চয়ন, বক্তব্য পেশ প্রভৃতি নিয়ে। প্রায় দেড় ঘণ্টা মুসাবিদার পর তিনি তৈরি করেন তাঁর সেই ঐতিহাসিক ভাষণটি। নিজেই সেটা তিনি বাংলা এবং ইংরেজিতে পাঠ করেন।’
অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে, বেতারে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জিয়াউর রহমান নিষ্ক্রিয় বসে ছিলেন না। পুরো যুদ্ধের সময়, প্রথম দিকে তিনি ছিলেন সেক্টর কমান্ডার ও পরবর্তী সময়ে জেড ফোর্সের কমান্ডার। মুক্তিযুদ্ধের জাদুঘরের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম জেলা, পার্বত্য চট্টগ্রাম, নোয়াখালী জেলার পুরো পূর্বাঞ্চল নিয়ে গঠিত সেক্টর ১-এর কমান্ডার ছিলেন জিয়াউর রহমান, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ জুন পর্যন্ত। এরপর এ দায়িত্ব পান মেজর রফিকুল ইসলাম। খালেদ মোশাররফ এবং শফিউল্লাহ উভয়েই যুদ্ধের প্রথম কয়েক মাস সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরে এরা কে ফোর্স এবং এস ফোর্সের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অথচ অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল হারুন ৯ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখের দৈনিক কালের কণ্ঠে প্রকাশিত মন্তব্যে বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ শুরুর দিকে জিয়াউর রহমান ছিলেন এরিয়া কমান্ডার। পরে তিনি ফোর্স কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কখনও সেক্টর কমান্ডার ছিলেন না।’ সত্যের এক অদ্ভুত অপলাপ। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল হারুন মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সঙ্গেও জড়িত। তিনি কি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরকে ইতিহাস বিকৃতির দায়ে দায়ী করবেন, না তাদের ওয়েবসাইট সংশোধন করতে বলবেন? কেন তিনি এই সত্য অস্বীকার করলেন, তা স্পষ্ট নয়। ১৯৭২ সালের ৪ ডিসেম্বর দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত সাক্ষাত্কারে সব মুক্তিযোদ্ধার প্রধান জেনারেল ওসমানী বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে আমি ১১টি সেক্টরে ভাগ করেছিলাম। ১১টি সেক্টর একেকজন অধিনায়কের অধীনে ছিল এবং প্রত্যেক অধিনায়কের একটি সেক্টর হেড কোয়ার্টার ছিল। ... যখন বাংলাদেশ সরকার আমাকে সর্বাধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ করেন, তখন আমি তাদের অনুমোদনক্রমে লে. কর্নেল (বর্তমানে মেজর জেনারেল) এম এ রবকে চিফ অব স্টাফ নিয়োগ করি। তিনি আমার পরে সবচেয়ে সিনিয়র ছিলেন। তিনি গণপরিষদেরও সদস্য। বিভিন্ন সেক্টরের কমান্ডার নিয়োগ করি : এক নম্বর সেক্টরে প্রথম মেজর (বর্তমানে কর্নেল) জিয়াউর রহমান, পরে মেজর রফিক।’ জেনারেল ওসমানীর এই বক্তব্যের সমর্থন রয়েছে জেনারেল সফিউল্লাহর বক্তব্যে, যিনি ছিলেন তিন নং সেক্টরের কমান্ডার, এস ফোর্সের কমান্ডার এবং বর্তমানে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সদস্য মেজর রফিকুল ইসলাম বিষয়টি প্রকাশ্যে স্বীকার করতে চান না। ১৯৭১ সালের ১১ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত কলকাতায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনের বরাত দিয়ে তিনি তার লেখা লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে (১৯৮১) গ্রন্থে সভায় উপস্থিতদের যে নামের তালিকা দিয়েছেন, তাতে মেজর জিয়াউর রহমানের নাম আছে। কিন্তু পরের পৃষ্ঠায় বিভিন্ন জনের দায়িত্ব বণ্টনের যে তালিকা দিয়েছেন তাতে কোনো পদবি অনুযায়ীই জিয়াউর রহমানের নাম নেই। ইতিহাসের এত নগ্ন বিকৃতি বাংলাদেশেই সম্ভব...................../
এ লেখায় উল্লিখিত কিছু তথ্য নেওয়া হয়েছে ১৯৮৪ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র; তৃতীয়, নবম ও দশম খণ্ড ও নানান পত্রিকার ও ওয়েবসাইট থেকে । এসব দলিল সম্পর্কে এখন পর্যন্ত প্রশ্ন ওঠেনি । অবশ্য কিছু দিন আগে জিয়াকে গৌরবান্বিত করার কারণে সেনাবাহিনী প্রকাশিত সাত খণ্ডের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বইটি প্রত্যাহার করা হয়েছে । এ কারণেই প্রশ্ন জাগে; কে এই জিয়াউর রহমান......
ধারাবাহিক ভাবে চলবে /
২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:২০
বেঈমান আমি বলেছেন: বস মীর শওকাতের ড্রামতত্তের ব্যাপারে কিছু জানেন নাকি?
৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:২৫
নিরন্তর যাত্রী বলেছেন: ভাললাগল । সঠিক ইতিহাস যে কোনটা................
তিনি যে সেক্টর কমান্ডার ছিলেন এ কথা কেউ অস্বীকার করবেনা শুধু পাচাটা চাটুকরগুলো ছাড়া ।
৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:২৬
েআসাদুল ইসলাম বলেছেন: আলীগ নেতারা যেটা বলবে সেটাই ঠিক আপনার আমার বা অন্যের বলাটা ভূল। আলীগের সবাই সত্যবাদী আর অন্য সবাই মিথ্যবাদী। বুঝলেনতো
৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:২৮
ইসাকুল বলেছেন: হমমম
৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৪৪
সামদ বলেছেন: তথ্যপ্রমান ঘেটে আনুষ্ঠানিক ইতিহাস থেকে নিচের কালক্রমটি পাওয়া যায়:
► ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতের পর থেকে ২৬ মার্চ ভোরের কোনো এক সময়ের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার একটি ঘোষণাপত্র লিখেছিলেন।
► ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষণাপত্রটি সম্প্রচার করা হয়। তবে খুব কম মানুষই সম্প্রচারিত ঘোষণাটি শুনতে পেয়েছিল।
► ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ কালুরঘাট থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে একটি ঘোষণা পাঠ করেন। ওই ঘোষণা বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলো শুনতে পেয়েছিল এবং বিশ্ব বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার ব্যাপারে জানতে পারে।
৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৪৪
স্বাধীকার বলেছেন:
পোস্ট চলতে থাকুক।
কোনো জিয়াবিদ্বেষী পলায়নপর ভারতপ্রেমী হোটেলপ্রবাসী আম্লীগ দলীয় লোকের কথায় কিংবা কাম-রুল এর কথায় কি বাংলাদেশের মানুষ জিয়াকে ভুলে যাবে? আজকের আম্লীগ ভৃত্যরা ৭১ সালে কে কোথায় ছিলো সেটা তাদের আগে ক্লিয়ার করতে বলবেন, তারপর জিয়ারা কোথায় যুদ্ধ করেছে, কিভাবে করেছে-সেটা তার জানার অধিকার জন্মায়।
যুদ্ধের মাঠের সৈনিককে পৈতা দেখাতে হয়না, জনগণই জানে দেশে কারা ছিলো, কারা যুদ্ধ করেছে। এখন কত কত কমিটি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে, তখন কই আছিলো এই সব কমিটি ওয়ালারা?
জিয়ার ঘোষণাই অফিসিয়াল এবং বাংলাদেশ প্রথম শুনেছে। এর আগে কারো খবরই আছিলোনা, দেশে না বিদেশে আছে।
৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৪৬
shapnobilash_cu বলেছেন: স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া
লও লও লও সালাম
৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৪৮
শিক কাবাব বলেছেন: জাতীর পিতা শহীদ জিয়া।
১০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৫১
সামদ বলেছেন:
১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চে দেয়া বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে নিচের লিংকগুলো ভিজিট করতে পারেন -
ক. একটি অডিও সাক্ষাৎকার (বাংলা) - জার্মানীর ডয়েশ ভেলে
খ. এই ঘোষনার সাথে সরাসরি জড়িত কয়েকজন সাহসী মানুষের কথা নিয়ে একটি চমৎকার পোষ্ট -
স্বাধীনতার বিস্মৃত সেই ডাক-হরকরাদের কথা - অমি রহমান পিয়াল
গ. আমেরিকান বিভিন্ন সরকারী এজেন্সী/ বেসরকারী মিডিয়া বঙ্গবন্ধুর ঘোষনর কথা ১৯৭১ সালের মার্চ/এপ্রিল মাসেই উল্লেখ করেছিল। তাদের কয়েকটির নাম রিপোর্টিং ডেইটসহ উল্লেখ করা হল : সূত্র: এন ওয়াই বাংলা
১. আমেরিকান ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সী (২৬শে মার্চ, ১৯৭১)
২. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট টেলিগ্রাম (৩১শে মার্চ, ১৯৭১)
৩. আমেরিকান সিনেট রিপোর্ট (জুলাই ২৭, ১৯৭১)
৪. নিউ ইয়র্ক টাইমস (২৭শে মার্চ, ১৯৭১)
৫. ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল (২৯শে মার্চ, ১৯৭১)
৬. টাইম (৫ই এপ্রিল, ১৯৭১)
৭. নিউজউইক (৫ই এপ্রিল, ১৯৭১)
৮. বাল্টিমোর সান (৪ই এপ্রিল, ১৯৭১)
৯. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট- রিসার্চ স্টাডি (ফেব্রুয়ারী ২, ১৯৭২)
১০. গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ, ওয়াশিংটন সময় বিকাল ৩.০৩ - ৩.৩২ এ আমেরিকান সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত ওয়াশিংটন স্পেশাল গ্রুপের একটি মিটিং এ জানায় যে শেখ মুজিব অলরেডী বেতারে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে দিয়েছেন।
সূত্র: পৃষ্ঠা নং ২৫:
Foreign Relations of the United States, 1969-1976, Volume XI, South Asia Crisis, 1971.
ঘ. বর্তমান সরকার ১৯৮২ সালে সরকারী ভাবে প্রকাশিত স্বাধীনতার দলিলপত্রের উপর ভিত্তি করে বঙ্গবন্ধুর ২৬ তারিখের ঘোষনার কথা উল্লেখ করছে পাঠ্যবইগুলোতে। পাঠক সময়কালটা লক্ষ্য করবেন, ১৯৮২ সাল। তখন প্রকাশিত সরকারী দলিলেও ২৬শে মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষনের কথা আছে। স্ক্যান করা পাতাটি দেখা যাবে এখানে।
ঙ. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা
মাশুকুর রহমান ও মাহবুবুর রহমান জালাল
চ. স্বাধীনতার ঘোষনা: এক প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ননা - আদিল মাহমুদ
জনাব আবদুল শুক্কুর ছিলেন ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ থেকে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র চালু রাখার দায়িত্বে। তার পাশে বসেই ২৭ শে মার্চ জিয়া ঘোষনা পাঠ করেন।
ছ. ইউটিউব: ঘোষনা নিয়ে তৎকালীন (১৯৭১ সালে) মেজর জিয়াউর রহমানের বক্তব্য
জ. বিএনপি নেতা জেনারেল মীর শওকত আলীর বক্তব্য (কৃতজ্ঞতা: আদিল মাহমুদ)
ঝ. Swadhin Bangla Betar Kendro - The story of March 26,1971- By M. A. Yusuf
Bangladesh Observer_April 23_1972
ঞ. একটি অসাধারন স্মৃতিচারন করেছেন ঢাকা ইউনির অধ্যাপক, প্রতিথযশা পদার্থবিজ্ঞানী ড: অজয় রায়-
২৫শে মার্চের কাল রাত্রি এবং স্বাধীনতার ঘোষণা - ড: অজয় রায়
১১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৫১
শিক কাবাব বলেছেন: শাধীণতার ঘোশুনা দিচে। ৭১ এ দেচ শাধীণ হইচে। কিন্তু দেচ শাধীণ হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট হইবার পারে নাই ক্যান? শেখ মুজিব তারে গদীতে না বসায়া নিজে বইসা গেল ক্যান? উহুরে। শুরুতেই এত বড় ধাক্কা। বেচারা সামলাইতে পারে নাই।
১২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৫৪
সামদ বলেছেন: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের স্থপতি জনাব বেলাল মোহাম্মদের সাক্ষাৎকার, যিনি মেজর জিয়াকে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই বেতারকন্দ্রে ২৭ মার্চ, ১৯৭১ এ।
১.
২.
৩.
১৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৫৬
সামদ বলেছেন: নিউজউইক (৫ই এপ্রিল, ১৯৭১)
১৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৫৭
সামদ বলেছেন: বর্তমান সরকার ১৯৮২ সালে সরকারী ভাবে প্রকাশিত স্বাধীনতার দলিলপত্রের উপর ভিত্তি করে বঙ্গবন্ধুর ২৬ তারিখের ঘোষনার কথা উল্লেখ করছে পাঠ্যবইগুলোতে। এহহামিদা সময়কালটা লক্ষ্য করবেন, ১৯৮২ সাল। তখন প্রকাশিত সরকারী দলিলেও ২৬শে মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষনের কথা আছে। স্ক্যান করা পাতাটি দেখা যাবে নিচে -
১৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:০২
অজানা মানুষের কথা বলেছেন: আসলে বাংলাদেশের দুইটা দলের প্রধান সমস্যা হল আওয়ামীলীগ মনে করে মুজিব ছাড়া কিছু নাই,আর বিএনপি মনে করে জিয়া ছাড়া কিছু নাই ,
১৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:০২
সামদ বলেছেন:
New York Times - Mar 27, 1971
The Pakistan radio announced today that Sheik Mujibur Rahman, the nationalist leader of East Pakistan, had been arrested only hours after he had proclaimed his region independent and after open rebellion was reported in several cities in the East.
১৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:০৩
সামদ বলেছেন: সেগুনবাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে সংরক্ষিত (বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষরিত) হাতে লেখা ঘোষনার সেই ঐতিহাসিক কপি:
১৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:০৪
সামদ বলেছেন: বিশ্ববিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের ৫ই এপ্রিল, ১৯৭১ সংখ্যা:
The World: Pakistan: Toppling Over the BrinkMonday, Apr. 05, 1971
The army ordered a strict 24-hour curfew in Dacca, with violators shot on sight. But soon the Free Bengal Revolutionary Radio Center, probably somewhere in Chittagong, crackled into life. Over the clandestine station. Mujib proclaimed the creation of the "sovereign independent Bengali nation," and called on its people to "resist the enemy forces at all costs in every corner of Bangla Desh." ................ At 1:30 a.m. the following day, soldiers seized the sheik in his home. Meanwhile, scattered rioting broke out in West Pakistan to protest the prospect of prolonged military rule.
১৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:০৮
সামদ বলেছেন: আরেকটি প্রমান পাওয়া গেল এই স্বাধীনতার ঘোষনা বিষয়ে। ২০০৫ সালে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট অনেক পুরোনো মূল্যবান গোপন দলিল প্রকাশ করে। তার একটি হল-
Foreign Relations of the United States, 1969-1976, Volume XI, South Asia Crisis, 1971.
এই প্রকাশিত দলিল (পৃষ্ঠা ২৩ - ২৯) থেকে দেখা যায় যে, ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ, ওয়াশিংটন সময় বিকাল ৩.০৩ - ৩.৩২ এ আমেরিকান সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত ওয়াশিংটন স্পেশাল গ্রুপের একটি মিটিং হয়েছিল। এতে সভাপতিত্ব করেন তৎকালীন পররাস্ট্রমন্ত্রী হেনরী কিসিঞ্জার। অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এর প্রতিনিধি মি. রিচার্ড হেলমস (পৃষ্ঠা ২৫) জানান যে শেখ মুজিব অলরেডী বেতারে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে দিয়েছেন।
Mr. Helms: ................ A clandestine radio broadcast has Mujibur Rahman declaring the independence of Bangla Desh.......
--------------------------------------------------------
11. Minutes of Washington Special Actions Group Meeting1
Washington, March 26, 1971, 3:03–3:32 p.m.
SUBJECT: Pakistan
PARTICIPATION
Chairman—Henry A. Kissinger
State
Mr. U. Alexis Johnson
Mr. Christopher Van Hollen
Defense
Mr. David Packard
Mr. James H. Noyes
CIA
Mr. Richard Helms
Mr. David Blee
২০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:০৯
সামদ বলেছেন:
Declaration of Independence War by Major Zia on 27 March, 1971
...." The government of the Sovereign State of Bangladesh On behalf of our Great Leader, the Supreme Commander of Bangladesh, Sheikh Mujibur Rahman, we hereby proclaim the independence of Bangladesh and that the Government headed by Sheikh Mujibur Rahman has already been formed
It is further proclaimed that Sheikh Mujibur Rahman is the sole leader of the elected representatives of seventy five million people of Bangladesh and that the government headed by him is the only legitimate government of the people of Independent Sovereign State of Bangladesh, which is legally and constitutionally formed and is worthy of being recognized by all the governments of the world.
I, therefore, appeal on behalf of our Great Leader Sheikh Mujibur Rahman to the governments of all the democratic countries of the world, specially the big powers and the neighboring countries to recognize the legal Government of Bangladesh and take effective steps to stop immediately the awful genocide that has been carried on by the army of occupation from Pakistan.
To dub out the legally elected representatives of the majority of the people as secessionist is a crude joke and contradiction to truth which should befool none.
The guiding principle of a new state will be first neutrality, second peace and third friendship to all and enmity to none.
May Allah help us.
JOY BANGLA
২১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:১০
সামদ বলেছেন: প্রথম আলো (২৬শে মার্চ,২০১১): বিশাল বাংলা, পৃ ৫....
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ছাপানোর সেই সাইক্লোস্টাইল এখন!
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র ছাপানোর ঐতিহাসিক সাইক্লোস্টাইল মেশিনটি এখন চট্টগ্রামের আনোয়ারা কলেজে অযত্নে-অবহেলায় পড়ে আছে। এটি সংরক্ষণ করা না হলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ এই উপকরণটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে আটকের আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে পাঠান। সেটি ব্যাপক প্রচারের সিদ্ধান্ত নেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের নেতা আখতারুজ্জমান চৌধুরী বাবুর নগরের জুপিটার হাউসে বৈঠকে বসে একটি সাইক্লোস্টাইল মেশিন নিয়ে সারা রাত ঘোষণাপত্রের সে বার্তাটির অসংখ্য কপি ছাপিয়ে নগরের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়।
স্বাধীনতার পর সাইক্লোস্টাইল মেশিনটি আখতারুজ্জমান চৌধুরীর বাসা থেকে আনোয়ারা কলেজের জন্য চেয়ে নেন তৎকালীন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হোসেন খান। সেটি দিয়ে অনেক সময় কলেজের প্রশ্নপত্র ছাপানোসহ নানা কাজে ব্যবহার করা হয়।
মোহাম্মদ হোসেন খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৯৭২ সালে আমি আখতারুজ্জমান চৌধুরীর জুপিটার হাউসের এক কোণে মেশিনটি পড়ে থাকতে দেখে কলেজের জন্য চাই। মেশিনটি ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন বলে তিনি প্রথমে রাজি না হলেও পরে সেটি কলেজের জন্য দিতে রাজি হন। তখন থেকে এটি আনোয়ারা কলেজে।’
আনোয়ারা কলেজে গিয়ে দেখা যায়, পরিত্যক্ত একটি কক্ষে কাগজপত্রের আড়ালে পড়ে আছে মেশিনটি। ছবি তোলার জন্য বের করা হলে দেখা যায়, এর ওপর ধুলাবালির স্তর জমে আছে। অনেক কষ্টে কলেজের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায়তায় বের করে ছবি তোলা হয়।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. নাসির উদ্দিন জানান, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ছাপানোর কাজে ব্যবহূত সাইক্লোস্টাইল মেশিনটি আনোয়ারা কলেজের গর্ব। কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, কলেজে এটি আছে, এটা তাঁদের জন্য গর্বের।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রামের সহকারী কমান্ডার রশিদ আহমদ বলেন, মেশিনটি কলেজে নষ্ট হচ্ছে। তাই এটি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘরে পাঠানো উচিত। স্থানীয় সাংসদ এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আখতারুজ্জমান চৌধুরী জানান, মেশিনটি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘরে পাঠানোর চিন্তাভাবনা চলছে।
সাংবাদিক-গবেষক জামাল উদ্দিনের আনোয়ারায় একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বইয়ের ২০৩ ও ২০৪ পৃষ্ঠায় সাইক্লোস্টাইল মেশিনটি সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ আছে।
২২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:১৩
সামদ বলেছেন: ২০১১ এর ২৬শে মার্চ তারিখের দৈনিক প্রথম আলো'র পৃষ্ঠা ১১ তে জাতির জনকের স্বাধীনতা ঘোষনা নিয়ে ১৯৭১ এর অনেক তথ্যপ্রমান তুলে ধরা হয়েছে।
--
---
বঙ্গবন্ধু'র মেসেজ -
২৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:১৫
সামদ বলেছেন: জনাব মুসা সাদিক ১৯৭৪ সালে জিয়াউর রহমানের একটি সাক্ষাৎকার নেনে, সেখানে (পৃষ্ঠা ১৪৯) জিয়া কথা বলেছেন তার ২৭শে মার্চের ঘোষনা নিয়ে -
---
--
---
--
--
২৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:১৭
সামদ বলেছেন: উপরের যত লিংক দেয়া হল তার জন্য নিচের পোষ্টদাতার কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি -
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনার ইতিহাস
২৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:১৭
নেক্সাস বলেছেন: আজকের আম্লীগ ভৃত্যরা ৭১ সালে কে কোথায় ছিলো সেটা তাদের আগে ক্লিয়ার করতে বলবেন,
স্বাধীকার @ এই সত্যের দলিল সেলুলয়েডের ফিতায় ধরে রেখেছিলেন জহির রায়হান। আর এই জন্যই তাকে স্বাধীন বাংলার মাটিতে গুম খুন করা হয়.
২৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:২৪
গেদু চাচা বলেছেন: সামদ এসব আওয়ামী ছাপাখানা আর ইতিহাসে কি কারো কিছু যায় আসে যায়?
জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক দিবালোকের মত সত্য।
সামনে এরকম কত ইতিহাস রচিত হবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা
২৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:৩৮
স্বাধীকার বলেছেন: সামদ ভাই ঃ এ পোস্টটির রেফারেন্স গুলো সম্পর্কে একটু বলুন।
এই পোস্টটি সম্পর্কেও মন্তব্য চাচ্ছি।
কৃতজ্ঞতা ঃ ব্লগার দাসত্ব।
২৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:৪৪
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: স্বাধীকার ভাই যদিও দিছেন আমিও ধারাবাহিক ভাবে যোগ করলাম;
1st Part:
DOI : ২ টি টেলিফোন , রাত ১২-১.০০ টা , শেখ মুজিবের ট্রু লাইস : মার্চ ২৬
Click This Link
2nd Part:
DOI : ২ টি মেসেজ , নাম মুজিবের , ব্যক্তিটি কে ?
Click This Link
3rd Part and Final:
DOI : বলধা গার্ডেনের মেসেজ , কন্ঠ কি মুজিবের ছিলো ?
Click This Link
***********
তাজউদ্দিনের কন্যা রিমি তার পিতার ডাইরি যে ভাবে উদ্ধৃত করছে তাতে মুজিব কোন রেকর্ড দূরে থাকুক লিখিত স্বাধীনতারও ঘোষণা দেয় নি। তাজউদ্দিন নিজেই মুজিবের নাম দিয়ে বিভিন্ন স্থান হতে ঘোষণা করেন।
২৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:৪৭
স্বাধীকার বলেছেন:
শেখ মুজিব এবং আম্লীগ কোনো ভাবেই স্বাধীনতা ঘোষণা করার মতো পরিস্থিতি চিন্তাই করেনি। ৭-২৫ মার্চ পর্যন্ত তারা নির্বাচনের মাধ্যমে অর্জিত গণ রায়ের মাধ্যমেই দুই পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন হওয়ার দাবীতেই মিটিং, সিটিং এবং ইটিং নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন।
এমন কি আম্লীগ ২৭ মার্চ সারা দেশে হরতাল ডেকেছিলো। তাহলে তারা কিভাবে ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার দাবী করতে পারে? পরিস্থিতি আচঁ না করতে পারার ব্যর্থতার জন্য রাজারবাগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা চালাতে সক্ষম হয় হানাদার বাহিনী। অবশ্য বিপদ বুঝে পাকিস্তানে মুল নেতা এবং ভারতে সাব নেতাদের দৌড় শুরু হয়। কেবল যাদের বিদেশী কোনো জায়গায় যাওয়ার সুযোগ ছিলোনা তারাই দেশে থাকে এবং সরাসরি হয় মৃত্যু না হয় স্বাধীনতার জন্য লড়তে থাকে। স্বাধীনতার ঘোষণা আম্লীগের কাছ থেকে কখনোই আসেনি। আম্লীগ কি মিথ্যাচার দিয়ে ইতিহাস পরিবর্তন করতে পারবে? না সম্ভব নয়।
৩০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:৫৭
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: সামদ ভাইডি, দেহেন তো এই পত্রিকাডা কিডা কয় ????
৩১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:১০
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: @ছামদ ভাইডি, দেহেন তো ২৯ শে মার্চের "The Washinton Post /Times Herald" কি লিখেছে ???
৩২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:১৫
নেক্সাস বলেছেন:
View this link
৩৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:১৭
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: পূর্বের ছবিটা ভালা দেখা না যাওয়ায় আবার দিলাম
৩৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:৩৩
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: @ছামদ ভাইডি, এবার দেহেন ২৯ তারিখের Chogao Tributne কি লিখেছে । এবার আপনার জন্য লাল কালি দিয়ে মার্ক কইরা দিলাম
[img|http://media.somewhereinblog.net/images/thumbs/mostofa_kamal_1321486341_4-DOI_By_Zia1.PNG
৩৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:৩৯
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: @দার্শনিক ভাই, দয়া করে ৩৫ নং কমেন্ট মুছে দিবেন
৩৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৫১
জানপরী বলেছেন: জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনা শোনার পর দেশের মানুষ যুদ্ধ শুরু করেছে, এটাই পড় সত্য। তাই কে কি বলল তাতে কিছু আসে যায় না। ধন্যবাদ।
৩৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:০৮
Observer বলেছেন:
৩৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:১৬
ফয়সাল তূর্য বলেছেন: দারুন পোস্ট, চলুক।
প্রেসিডেন্ট থাকাকালে জিয়াউর রহমানের ভুমিকা যেমনই হোক, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, সাহস করে এগিয়ে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র পাঠ করেছিলেন, সেক্টর কমান্ডার ছিলেন, সবথেকে বড় কথা যুদ্ধের সময় উনি কাম্রুইল্লাদের মতো ইন্ডিয়া পালিয়ে যাননি, দেশে থেকে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
৩৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৩৯
লুকোচুরি বলেছেন: গুড পোস্ট। ধন্যবাদ এবং প্লাস।
৪০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪০
নীরব দর্শক বলেছেন: পোস্ট ও কমেন্ট মিলে অনেক তথ্য এসেছে।
৪১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫৪
চারু_চারবাক বলেছেন: ফয়সাল তূর্য বলেছেন:সবথেকে বড় কথা যুদ্ধের সময় উনি কাম্রুইল্লাদের মতো ইন্ডিয়া পালিয়ে যাননি, দেশে থেকে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন
প্রমান করুন জি্যা দেশে থেকে যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আরো জানতে চাই জিয়া কবে, কখন, কোথায় নিজে একটিও যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিল।একটি গুলিও ফুটিয়াছিলেন কিনা? অন্য সব সেক্টর কমান্ডাররা নিজে যুদ্ধ করেছেন। অনেকে যুদ্ধ ক্ষেত্রে আহত হয়েছিলন। আশা করি উত্তর পাব।
৪২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫৩
ভুলোমন বলেছেন: চাক সব গুলি মুজিব ফুঠাইফালাইছিলো তাই জিয়ার ভাগে পড়ে নাই ।
৪৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩৮
স্বাধীকার বলেছেন:
চা-চা>> সব গুলি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের মেহমানখানা থেকে ফুটাইছে। তাই জিয়ার ভাগেই পড়েনি, জিয়া গুলি করবে কেমনে? আর যারা বাকী আম্লীগ নেতারা ছিলো, তারা ভারত থেকে সোজা পাকিস্তানের দিকে গুলি করেছিলো। ভারতে অবস্থানকারীদের গুলির রেঞ্জ ছিলো ভয়াবহ-কয়েকশত কি।মি। কারণ গাজার নৌকা নাকি পাহাড় বাইয়া যায়।
তাই আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, যুদ্ধের মাঠ কোনো ফ্যাশন শো আর ফটোসেশনের জায়গা নয়, যদি আম্লীগ ভৃত্যদের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধ একটি ফ্যাশনশো আর ফটোসেশনের জায়গা ছিলো ছবি, তোলা, ভিডিও করা ছিলো তাদের মহান পরিকল্পনার অংশ। বহু রাজাকারের মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট অংশ করতে হয়েছিলো বেঁচে থাকার জন্য-তারাই এখন আম্লীগের মহান চেতনাধারী।
গবেষণা করে-জবাব দিন,
১। পৃথিবীর কোন দেশের কোন নেতা মুক্তিযুদ্ধ শুরু করার কোনো কথা নিজ দলের নেতাদের কাছে না বলে লাগেজ গুছিয়ে নিজ বাসায় অবস্থান করেন হানাদার বাহিনীর আগমন এবং রাজধানীতে যাওয়ার জন্য?
২। পৃথিবীর আর কোন নেতা এরকম কান্ড করে বিপ্লবী ও জাতির পিতা হয়েছেন?
৪৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:১০
নিষ্কর্মা বলেছেন:
বঙ্গবন্ধু "স্বাধীনতার ঘোষনা" না দিয়েই কি স্বাধীনতার ঘোষক হয়ে যাবেন? জিয়াউর রহমান কখোনোই বঙ্গবন্ধুকে আস্বীকার করেন নাই, এবং তাঁর সেই ঐতিহাসিক স্বাধীনতার ঘোষনা হয়েছিল বলেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ তাড়াতাড়ি শুরু হয়েছিল।
না হলে থিয়েটার রোডের বাংলো টাইপের বাড়িগুলোতে শুয়ে-বসে থেকে, গ্রুপিং-লবিং করে, দিনে এক দুইবার ভারত সরকারের কাছে ধর্ণা দিয়ে, আর রাতে মদ্য পান করলে এই দেশ নয় মাসে স্বাধীন করা যেত না। সবাই তো আর তাজউদ্দীন আহমেদ নয়।
এই দেশ স্বাধীন করতে যুদ্ধ করতে হয়েছে, রক্ত দিতে হয়েছে। রাজাকারদের টাকায় যারা বাড়ি বানায়, তাদের মুখেই জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা নয় এমন কথা মানায়। যারা এমন কথা বলে, তারাই সেই সময়ের মুসলিম লীগার।
১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ সাহেবের নামে যুদ্ধ হয়েছে, এবং সেই যুদ্ধের একজন সাহসী যোদ্ধা ছিলেন জিয়াউর রহমান। এখন যারা জিয়াউর রহমানকে ব্যঙ্গ করেন, তারা আসলে মুক্তিযুদ্ধকেই ব্যঙ্গ করেন।
৪৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩০
চারু_চারবাক বলেছেন: জানতাম , জিয়া ভক্তদের কাছ থেকে এই উত্তর পাবো। বলবে কোথা থেকে?জিয়া ৩০ শে মার্চ রামগড় দিয়ে ভারতের সাবরুম প্রবেশ করেন । পুরো যুদ্ধের সময় আর বাংলাদেশে প্রবেশ করেন নি। না ভুল বললাম, যুদ্ধের শেষের দিকে তিনি রৌমারিতে কিছুদিন ছিলেন। যে রৌমারিতে পাকিস্হান বাহিনী কখনো প্রবেশ করে নি । তাহের যুদ্ঢ করতে গিয়ে পা হারিহেছিল, খালেদ মোশারফের কপালে গুলি লাগে। শফিউল্লাহ সম্মুখ যুদ্ধ কোমরে গুলি লাগে। একই যুদ্ধে জেনারে নাসিমের নিতম্বে গুলি লাগে।জিয়া একমাত্র ব্যাতিক্রম, চট্টগ্রাম বেতারে একটি ঘোষনা পাঠ করে চট্টগ্রাম ত্যাগ করেন।যে ঘোষনা শুধু চট্টগ্রাম আর নোয়াখলীর লোক শুনতে পায়। ১০ কিলোওয়াট শক্তির বেতার এর চেয়ে বেশী দুর শোনা যায় না এখনও শোনা যায় না।।চট্টগ্রামে যুদ্ধ করে মীর শওকত, সুবিদ আলি ভুইয়া, মেজর রফিক, অলি,শমশের মুবিন চৌ প্রমুখ । জিয়া তখন ভারতে।
৪৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:০৯
নেক্সাস বলেছেন: চারু-চারবাক মানুষ এতটা অকৃতজ্ঞ হতে পারে জানা ছিলনা।
জিয়াউর রহমান প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলেন। দুঃখিত আমার বাবা বেঁচে নেই থাকলে আমি আপনাকে আমার বাবার কাছে নিয়ে যেতাম।
তবুও আমাদের বাড়িতে এক মহিলা বেঁচে আচে। উনি নিজের চোখে জিয়াউর রহমান কে দেখেছেন উনার নানার বাড়িতে মুহুরিগন্জ এলাকায় মুক্তিোযোদ্ধাদের সাথে আলুর ভর্তা দিয়ে ভাত খেতে। আপনি চাইলে আমি আপনাকে সে মহিলার কাছে নিয়ে যাব। ইচ্ছা থাকলে আওয়াজ দেন।
৪৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫০
সামদ বলেছেন:
ক.
উপরে আমাকে উদ্দেশ্য করে যারা কমেন্ট করেছেন, প্রথমেই তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। এই ঘোষনা নিয়ে একসময় বিতর্ক ছিল কিন্তু সেটার একটা সুষ্ঠু সমাধান হয়ে গেছে অনেক আগেই। এটা একটা মীমাংসিত বিষয়। এইখানে লক্ষনীয় বিষয়টা হল তারিখটা। জেনারেল জিয়া ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের নামে স্বাধীনতা ঘোষনা করেন এটা তো ঐতিহাসিক সত্য। এছাড়া (কমেন্ট ২৩) উনার স্বাক্ষাৎকারে জানা যায় যে উনি ২৯শে মার্চও আবার ঘোষনা দেন। এটা নিয়ে তো কোন দ্বিমত নেই। নিচে সেই বিখ্যাত ঘোষনার অডিও এবং স্ক্রিপ্ট দেয়া হল।
কিন্তু সমস্যা হয় যখন জিয়ার ভক্তরা ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ দিবাগত রাত্রে (অর্থাৎ ইংরেজী ২৬শে মার্চ) প্রচারিত জাতির জনকের স্বাধীনত ঘোষনার কথা বেমুলুম চেপে যেতে চান - যেটা জেনারেল জিয়া নিজে কোনদিন করেন নাই (কমেন্ট ১৪ ও ২৩)। সেই ঘোষনার প্রচুর তথ্যপ্রমার রয়েছে যা উপরে আমার নানা কমেন্টে দেয়া হয়েছে। তাই ২৬শে মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। বঙ্গবন্ধুর ২৬শে মার্চের এই ঘোষনার তথ্যপ্রমান যারা দিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন (লিংকগুলো আগেই দিয়েছি উপরে কমেন্টে ) -
১. আমেরিকান ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সী (২৬শে মার্চ, ১৯৭১)
২. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট টেলিগ্রাম (৩১শে মার্চ, ১৯৭১)
৩. আমেরিকান সিনেট রিপোর্ট (জুলাই ২৭, ১৯৭১)
৪. নিউ ইয়র্ক টাইমস (২৭শে মার্চ, ১৯৭১)
৫. ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল (২৯শে মার্চ, ১৯৭১)
৬. টাইম (৫ই এপ্রিল, ১৯৭১)
৭. নিউজউইক (৫ই এপ্রিল, ১৯৭১)
৮. বাল্টিমোর সান (৪ই এপ্রিল, ১৯৭১)
৯. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট- রিসার্চ স্টাডি (ফেব্রুয়ারী ২, ১৯৭২)
১০. জার্মানীর ডয়েশ ভেলে বেতার
১১. গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ, ওয়াশিংটন সময় বিকাল ৩.০৩ - ৩.৩২ এ আমেরিকান সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত ওয়াশিংটন স্পেশাল গ্রুপের একটি মিটিং এ জানায় যে শেখ মুজিব অলরেডী বেতারে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে দিয়েছেন।
১২. বিএনপি নেতা জেনারেল মীর শওকত আলীর বক্তব্য
১৩. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের স্থপতি বেলাল মোহাম্মদ
------------------------------------------------
খ
Declaration of Independence War by Major Zia on 27 March, 1971
...." The government of the Sovereign State of Bangladesh On behalf of our Great Leader, the Supreme Commander of Bangladesh, Sheikh Mujibur Rahman, we hereby proclaim the independence of Bangladesh and that the Government headed by Sheikh Mujibur Rahman has already been formed
It is further proclaimed that Sheikh Mujibur Rahman is the sole leader of the elected representatives of seventy five million people of Bangladesh and that the government headed by him is the only legitimate government of the people of Independent Sovereign State of Bangladesh, which is legally and constitutionally formed and is worthy of being recognized by all the governments of the world.
I, therefore, appeal on behalf of our Great Leader Sheikh Mujibur Rahman to the governments of all the democratic countries of the world, specially the big powers and the neighboring countries to recognize the legal Government of Bangladesh and take effective steps to stop immediately the awful genocide that has been carried on by the army of occupation from Pakistan.
To dub out the legally elected representatives of the majority of the people as secessionist is a crude joke and contradiction to truth which should befool none.
The guiding principle of a new state will be first neutrality, second peace and third friendship to all and enmity to none.
May Allah help us.
JOY BANGLA
----------------------------------------
গ
এখন কেউ কেউ যদি চান তাহলে সব তথ্যপ্রমান সামনে থাকার পরও নিজের কল্পনায় গড়া ইতিহাস প্রচার করার চেষ্টা করতে পারেন। ব্লগে বেনামী নিক নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন - যান। কিন্তু বাস্তবে আপনি যদি এটা করতে যান তাহলে কি হতে পারে সেটা বিশিষ্ট আইনজীবি জনাব ইশতিয়াক আহমেদের (মরহুম) এক মন্তব্যে পরিস্কার (প্রথম আলো ২৬/৩/১১ )-
[|imghttp://eprothomalo.com/contents/2011/2011_03_26/content_zoom/2011_03_26_11_5_b.jpg]
----------------------------------------
ঘ
উপরের যত লিংক দেয়া হল তার জন্য নিচের পোষ্টদাতার কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি -
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনার ইতিহাস
৪৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫১
সামদ বলেছেন: [|img|http://eprothomalo.com/contents/2011/2011_03_26/content_zoom/2011_03_26_11_5_b.jpg]
৪৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫২
সামদ বলেছেন: কমেন্ট ৪৭ (ইশতিয়াক সাহেবের উক্তি) >>
৫০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৮
নাভদ বলেছেন:
রিলেটেড এই পোষ্টে বর্নিত আছে ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চে শেখ মুজিবর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার সাথে সংশ্লিষ্ট বীরদের কথা -
স্বাধীনতার বিস্মৃত সেই ডাক-হরকরাদের কথা - অমি রহমান পিয়াল
স্বাধীনতার পর এ নিয়ে কোনো কথা ওঠেনি। রক্তাক্ত বাংলাদেশ কার ডাকে, কার নামে স্বাধীন হয়েছিলো এ নিয়ে প্রশ্ন করেনি কেউ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে হত্যা করার পরপরই শুরু হয়ে গেলো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বেআব্রু করার চক্রান্ত। বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের এবং হত্যাকাণ্ডের বেনিফিশিয়ারীদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ইচ্ছেমতো লেখা হতে লাগলো তা। আর পাঠ্যবই থেকে শুরু করে নানা সংবাদমাধ্যম ব্যবহার করে গেলানো হলো নতুন প্রজন্মকে। তবুও শেষ রক্ষা হয় না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ছাইচাপা আগুনটা ফের দাউদাউ জ্বলে ওঠে জ্বালিয়ে দেয় মিথ্যের যাবতীয় বেসাতি। স্বাধীনতার ঘোষণা কে দিয়েছেন এ নিয়ে এখন আর নতুন প্রজন্ম বিভ্রান্ত নয়। তাদের পূর্বসূরী যারা বিভ্রান্ত হয়েছিলেন, তারাও কাটিয়ে উঠেছে তা। এ পর্যায়ে এসে চলুন জানি কিছু অকুতোভয় স্বাধীনতা সংগ্রামীর কথা, যারা নিজের জীবন বাজী রেখে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাক ছড়িয়ে দিয়েছিলেন গোটা বাংলায়।
সুবেদার মেজর শহীদ শওকত আলী
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ সন্ধ্যার সময় ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস সিগনাল সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলো পাকিস্তানীরা। অপারেশন সার্চলাইট শুরু হওয়া মাত্র নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে পিলখানা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় তারা। সেই কালরাতে সোয়া বারোটার দিকে নাবিস্কো বিস্কিটের একটি টিন হাতে ধরা পড়েন সিগনাল কোরের সুবেদার মেজর শওকত আলী। সেই বিস্কিটের টিনটি ছিলো আসলে একটি ট্রান্সমিটার। তার কাছে আরো পাওয়া যায় বঙ্গবন্ধুর লিখিত একটি মেসেজ :
This may be my last message, from today Bangladesh is independent. I call upon the people of Bangladesh where ever you might be and with what ever you have to resist the army of occupation to the last. Your fight must go on until the last soldier of the Pakistan occupation army is expelled from the soil of Bangladesh and final victory is achieved. [Message embodying declaration of Independence sent by Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman to Chittagong shortly after midnight of 25th March, i.e. early hours of 26th March 1971 for transmission throughout Bangladesh over ex-EPR transmitter;
বঙ্গবন্ধু স্পিকস : বাংলাদেশ সরকার পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের বহির্বিশ্ব প্রচার বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত পুস্তিকা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, তৃতীয় খন্ড, পৃ.১] সেটি ট্রান্সমিটরত অবস্থাতেই গ্রেপ্তার হয়ে যান শওকত। রাত সাড়ে এগারোটা থেকেই মৃত্যুকে অবজ্ঞা করে কাজটা করে যাচ্ছিলেন তিনি।
উত্তাল সেই মার্চের শুরু থেকেই ইপিআর, মগবাজার ওয়ারলেসসহ বিভিন্ন জায়গায় গোপনে যোগাযোগ করেছিলেন মুজিব। একান্ত অনুগত কয়েকজনকে দিয়ে রেখেছিলেন নির্দেশনা। এর একটি ভাষ্য মিলে বুয়েটের অধ্যাপক নুরুলউল্লাহর (জগন্নাথ হলের গণহত্যার ভিডিওচিত্রটি ধারণ করেছিলেন যিনি) সাক্ষাতকারে : ...আমাকে বঙ্গবন্ধুর বাড়ীর একেবারে ভিতরের এক প্রকোষ্ঠে নিয়ে যাওয়া হলো। আমি প্রথমে ব্যাপারটার গুরুত্ব অতোটা উপলব্ধি করতে পারিনি। অনেক ভিতরের একটা কক্ষে নিয়ে যাওয়ার পর আমি দেখলাম সেখানে সোফার উপর তিনজন বসে রয়েছেন। মাঝখানে বঙ্গবন্ধু। তার ডান পাশে সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও বাঁপাশে তাজউদ্দিন সাহেব...তিনি সোফা থেকে উঠে এসে আমাকে ঘরের এককোণে নিয়ে গেলেন। আমার কাঁধে হাত রেখে অত্যন্ত সন্তর্পনে বললেন, নুরুল উল্লাহ, আমাকে একটা ট্রান্সমিটার তৈরি করে দিতে হবে। আমি যাবার বেলায় শুধু একবার আমার দেশবাসীর কাছে কিছু বলে যেতে চাই। তুমি আমাকে কথা দাও, যেভাবেই হোক একটা ট্রান্সমিটার আমার জন্য তৈরি রাখবে। আমি শেষবারের ভাষণ দিয়ে যাব।... ১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা শওকত আলী নিজের কোয়ার্টারেই গোপনে কয়েকটি ট্রান্সমিটার তৈরী করেছিলেন। বিশ্বস্ত কয়েকজন সঙ্গীকে তা দিয়ে নির্দেশ দেন সঠিক সময়ের জন্য প্রস্তুত থাকার। এদের মধ্যে দুয়েকজন পিলখানার বাইরে থেকে মেসেজ ট্রান্সমিট করতে সফল হন। তবে তাদের কারো নাম জানা যায়নি।
গ্রেপ্তারে পর ১১ নম্বর ব্যারাকে নিয়ে গিয়ে অমানুষিক অত্যাচার করা হয় শওকতকে। জেরা করে তথ্য আদায়ের জন্য বাঁচিয়ে রাখা কয়েকজন ইপিআর সদস্যের সঙ্গে তাকে এরপর নিয়ে যাওয়া হয় মোহাম্মদপুর শরীরচর্চা কলেজের (পরে আলবদর সদরদপ্তর) টর্চার সেন্টারে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে আরো ছিলেন সুবেদার মোল্লা ও সুবেদার জহুর মুন্সি। এ দুজন সপরিবারে পিলখানার বাইরে থাকতেন। তাদেরকে সন্দেহ করা হয় বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার সেই বার্তাটি গোপনে পিলখানায় আনার জন্য। এই অভিযোগে বর্বর নির্যাতনের শিকার হন তারা।
শওকতের স্ত্রী অধ্যাপিকা (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) ফিরোজা বেগম তার মেয়ে সেলিনা পারভীনকে (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপিকা) নিয়ে স্বামীর খোজ করতে গিয়ে জানতে পারেন দেশদ্রোহীতার অভিযোগে প্রাণদন্ড দেওয়া হয়েছে তাকে। সিগনাল কোরের কমান্ডার কর্ণেল আওয়ান সোজাসাপ্টা জানিয়ে দেন : আপনার স্বামীকে কিভাবে বাচাবো বলুন? তিনি ইপিআর কোয়ার্টার থেকে মুজিবের ঘোষণা ট্রান্সমিট করা অবস্থায় ট্রান্সমিটারসহ ধরা পড়েছেন। তার কাছে মুজিবের লিখিত মেসেজ পাওয়া গেছে। ফিরোজা বেগম এরপর তার দেবর মেজর সাখাওয়াত আলীর (তখন পাকিস্তানে বন্দী) দুই অবাঙালী বন্ধু মেজর এজাজ মাসুদ ও ক্যাপ্টেন আখতারের সঙ্গে ঢাকা সেনানিবাসে গিয়ে দেখা করেন। তাদের মুখেও শোনা যায় একই কথা।
অনেক পরে রাজশাহী ইপিআর সিগনাল কোরের সুবেদার নাসিম আলীর কাছ থেকে স্বামীর মৃত্যুর ঘটনা বিস্তারিত জানতে পারেন ফিরোজা। নাসিম তা জেনেছেন অলৌকিকভাবে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়া সুবেদার আইয়ুব আলীর কাছ থেকে। ২৮ এপ্রিল পাগলায় ২৫ জন ইপিআর সদস্যকে লাইন ধরে গুলি করা হয়, যার মধ্যে আইয়ুব আলীও ছিলেন। নদী থেকে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে গ্রামবাসী। পরে একই সাক্ষ্য দেন ইপিআর জিডি ব্রাঞ্চের স্টেনোগ্রাফার নুরুল ইসলাম ও ইপিআর সদস্য আবদুল মজিদ। ১৬ ডিসেম্বর মোহাম্মদপুর থেকে তাদের উদ্ধার করেছিলো মুক্তিবাহিনী। ইপিআরের অন্য সদস্যদের উপর নির্যাতন চালানোর সময় পাকিস্তানীরা টিটকিরি মেরে বলতো-...আর তেরা সুবেদার মেজর শওকত মুজিবকা ব্রিগেডিয়ার বন গ্যায়া...
জানা যায় শওকতের সামনেই সুবেদার আবদুল হাই ও সুবেদার জহুর মুন্সীর উপর লোমহর্ষক অত্যাচার চালানো হয়। দুজনকে পেরেক দিয়ে গাঁথা হয় দেয়ালে। সেই অবস্থাতেই মারা যান তারা। তাতেও মনোবল ভাঙ্গেনি শওকতের। কোনো তথ্যই তিনি প্রকাশ করেননি। জেরার সময় প্রতিটি নোখ তুলে ফেলা হয় তার। জ্বলন্ত সিগারেট আর তপ্ত লোহা দিয়ে ছ্যাকা দেওয়া হয় গোটা শরীরে। মাথার চুল টেনে ছেড়া হয়। এরপর লোহার শিক ঢুকিয়ে অন্ধ করে দেওয়া হয় শওকতকে। তাতেও মৃত্যু হয়নি এই বীরের, এবং তিনি মুখ খোলেননি। ২৮ এপ্রিল রাতে অবশেষে মৃতপ্রায় সুবেদার মেজর শওকত আলীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আর লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হয় নদীতে। আজ এতদিন পরেও তার কথা কেউ বলে না।
ওয়ারলেস অপারেটর মাহতাব উদ্দীন
২৫ মার্চের সে রাতে একটা দশের দিকে চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদী অফিসের টেলিপ্রিন্টারে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার টেলেক্সটি পান অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ। একই মেসেজ রাত সোয়া বারোটায় ফৌজদারহাট ওয়ারলেস অফিসে রিসিভ করেন সুপারভাইজার নুরুল আমিন। মেসেজটি পাঠানো হয়েছিলো মগবাজার ওয়ারলেস অফিস থেকে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে তা পাঠিয়ে দেন নন্দনকানন ওয়ারলেস অফিসে ডিউটিতে থাকা অপারেটর মাহতাব উদ্দীনের কাছে। তার কাছ থেকেই আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহমেদসহ বাকিরা মেসেজটির অনুলিপি সংগ্রহ করেন এবং শহরে মাইকিং করে ছড়িয়ে দেন। সেদিন রাত থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত মেসেজটি কপি করা ও দেশের বাকি জেলাগুলোর ওয়ারলেস অফিসগুলোতে পাঠানোর দায়িত্বটি পালন করেন মাহতাব। ১৯টি ডিস্ট্রিক্ট ওয়ারলেস অফিসে মেসেজটি পাঠানোর আগ পর্যন্ত এক গ্লাস পানি পর্যন্ত মুখে তুলেননি তিনি। স্বাধীনতার পর মূল্যায়িত হননি এমন লাখো স্বাধীনতা সংগ্রামীর মধ্যে মাহতাবও একজন। তার সঙ্গে স্যালুট সেই অনামা অপারেটরকে যিনি মগবাজার থেকে মূল মেসেজটি ট্রান্সমিট করেছিলেন। তিনি কে এবং তার ভাগ্য কি জানা যায়নি। কারণ রাত বারোটার সময় মগবাজার ওয়ারলেস অফিস দখলে নেয় পাকিস্তানী সেনাবাহিনী।
বলধা গার্ডেনের রহস্যময় রেডিও ট্রান্সমিটার
১৯৯০ সালের ২৬ মার্চ ‘দৈনিক দেশ’ নামের একটি অধুনালুপ্ত পত্রিকায় হাজী গোলাম মোরশেদ একটি স্মৃতিকথা লেখেন। ২৫ মার্চ রাতে দীর্ঘসময় বঙ্গবন্ধুর বাড়ীতে ছিলেন তিনি। মোরশেদ লিখেছেন : রাত ১১টার দিকে বলধা গার্ডেন থেকে একটা টেলিফোন এলো। আমি ধরলে অপর প্রান্ত থেকে জানালো : রেডিও মেসেজ প্রচার করা হয়ে গেছে। এখন মেশিন নিয়ে কি করবো? আমি দৌড়ে গিয়ে খবরটা জানাতে বঙ্গবন্ধু বললেন, মেশিন রেখে ওকে পালিয়ে যেতে বলো। মোরশেদের ভাষ্যেই আমরা জানি যে স্বাধীনতার পর ২৬ মার্চ মগবাজার টিএন্ডটি থেকে ওয়ারলেস ও টেলেক্সে চট্টগ্রামে পাঠানো মেসেজটি বাঁধিয়ে বঙ্গবন্ধুকে উপহার দিয়েছিলেন সেখানকার কর্মচারীরা। তবে বলধা গার্ডেনের ব্যাপারে বিস্তারিত তিনি বলতে পারেননি।
তবে এ ব্যাপারে বুয়েটের একজন অধ্যাপক ও শেষ বর্ষের একজন ছাত্রের সংশ্লিষ্ঠতা জানা যায়। যদিও অধ্যাপক নুরুলউল্লাহ তার সাক্ষাতকারে তার বিভাগ থেকে বানানো ট্রান্সমিটারটি পরে ব্যবহার করা হয়নি বলে উল্লেখ করেছেন। এ ব্যাপারটি সম্পর্কে কিছুটা জানেন মুজিব নগর সরকারের তথ্যসচিব আনোয়ারুল হক খান। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের কাছ থেকে। ২৩ মার্চ রাতেই বলধা গার্ডেনে লো ফ্রিকুয়েন্সি রেডিও ট্রান্সমিটারটি বসানো হয়। আর ২৫ মার্চ রাতে ব্যবহার করা হয়। মোরশেদ রাত ১১টার কথা যে স্মৃতিকথায় বলেছেন তা অবশ্য কোনো বিচারেই খাটে না। কারণ প্রতিটি মেসেজই ট্রান্সমিট হয়েছে রাত সাড়ে এগারোটার পর। পকিস্তানীরা প্রথম গুলিটি ছোড়ার সঙ্গে সঙ্গে। পিলখানায় থেকে শুরু করে মগবাজার ওয়ারলেস অফিসে রাত ১২টার মধ্যেই এসব মেসেজ পাঠানোর কাজ শেষ হয়ে যায়। আনোয়ারুল হক খান জানিয়েছেন বিশ্বস্ত কিছু লোকের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি সম্প্রচার করা হয় বলধা গার্ডেনের সেই রেডিও ট্রান্সমিটার থেকে। এটি ছিলো মুজিবের নিজের গলায় রেকর্ড করা।
এর সমর্থন মিলেছে টিক্কা খানের দেওয়া সাক্ষাতকারে : ...মেরে কোডনে দেড়াতে হুয়ে এক থ্রি ব্যান্ড রেডিও লাকার দিয়া আওর কাহা, স্যার সুনিয়ে, শেখ সাব আজাদীকা এলান কর রাহা হ্যায়, আওর ম্যায়নে খুদ শেখ সাবকো রেডিও পার এক ফ্রিকুয়েন্সিসে ইন্ডিপেন্ডেন্স কা এলান করতে হুয়া সুনা, জিসকো বাগাওয়াত কাহা যা সেকতা হ্যায়। চুকে ম্যায় শেখ সাবকি আওয়াজ আচ্ছি তারা পেহছান থা... আমার কো-অর্ডিনেশন অফিসার একটি থ্রি ব্যান্ড রেডিও এনে বলল, স্যার শুনুন, শেখ সাহেব স্বাধীনতার ঘোষণা করছেন। আমি নিজে রেডিওতে শেখ সাহেবকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে শুনলাম, কারণ তার কণ্ঠস্বর আমি ভালো করেই চিনতাম। সে ঘোষণা তখন দেশদ্রোহিতার সামিল ছিল.. (জেনারেল টিক্কা খানের সাক্ষাতকার : মুসা সাদিক ও এডভোকেট রেজাউর রহমান)। একই কথা লিখেছেন পাকিস্তানী মেজর সিদ্দিক সালিক তার উইটনেস টু সারেন্ডার বইয়ে (পৃ: ৭৫) :
When the first shot had been fired the voice of Sheikh Mujibur Rahman came faintly through and wave length close to that of official Pakistan Radio. In what must have been, and sounded like a pre-recorded message. The Shiekh proclaimed East Pakistan the Peoples Republic of Bangladesh.
মুজিব নিজেও একটি মেসেজ ট্রান্সমিট করেছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। ...একের পর এক দরজা খুলে কাউকে পাওয়া গেলো না। একটা রুম ভেতর থেকে আটকানো ছিলো। ওপরে ওঠার পর কে যেন আমাকে বললো বদ্ধ ঘর থেকে কেমন অদ্ভুত শব্দ আসছে, (সম্ভবত ওয়ারল্যাস ট্রান্সমিশন করছিলেন মুজিব)... (দ্য ওয়ে ইট ওয়াজ : বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা ব্রিগেডিয়ার (অব.) জহির আলম খান)। আর এটি ছিলো গ্রেপ্তারের আগে পাঠানো তার শেষ নিজের মেসেজ :
Pak army suddenly attacked EPR base at Pilkhana, Rajarbag Police line and killing citizens stop street battle are going on in every street of Dhaka-Chittagong stop I appeal to the nations of the world for help stop our freedom fighters are gallantly fighting with enemies to free the motherland stop I appeal and order you all in the name of almighty Allah to fight to the last drop of blood to liberate the country stop ask Police, EPR, Bengal regiment and Ansar to stand by you and to fight stop no compromise stop Victory is ours stop drive out the last enemy from the holy soil of motherland stop convey this message to all Awami League leaders, workers and other patriots and lovers of freedom stop may Allah bless you stop Joy Bangla stop Sheikh Mujibur Rahman stop
আর এই বার্তাটিই বিভিন্ন বিদেশী দুতাবাস ও আগরতলায় ইউনাইটেড প্রেস অব ইন্ডিয়ার টেলিপ্রিন্টারে টেলেক্স হিসাবে যায়।
সূত্র : বাংলাদেশ উইনস ফ্রিডম : মুসা সাদিক, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ: সিরাজউদ্দীন আহমেদ, শেখ মুজিব : মযহারুল ইসলাম।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা : মাহবুবুর রহমান জালাল ভাই
৫১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫৭
চারু_চারবাক বলেছেন: নেক্সাস বলেছেন:জিয়াউর রহমান প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলেন। দুঃখিত আমার বাবা বেঁচে নেই থাকলে আমি আপনাকে আমার বাবার কাছে নিয়ে যেতাম।
তাহলে কোন সেক্টরে কবে কোন যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলেন, তাও নিশ্চয় বলেছেন, তাইনা? তো আপনি বলে দেন না।
তবুও আমাদের বাড়িতে এক মহিলা বেঁচে আচে। উনি নিজের চোখে জিয়াউর রহমান কে দেখেছেন উনার নানার বাড়িতে মুহুরিগন্জ এলাকায় মুক্তিোযোদ্ধাদের সাথে আলুর ভর্তা দিয়ে ভাত খেতে।
ওহো !!! আলু ভর্তা দিয়া ভাত খাওয়া যে যু্দ্ধে অংশগ্রহন, তা আমার জানা ছিলনা। ধন্যবাদ আপনাকে। ঐ মহিলাকে তারিখটা জিজ্ঞাস করবেন।৩১ শে মার্চ পর্যন্ত জিয়া দেশের ভিতরেই ছিল ।
৫২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:০৭
স্বাধীকার বলেছেন:
চারু-বাক ভাই ঃ বেলাল চৌধুরী কহিলেই আমরা বিশ্বাস করবো এটা কি আপনি মানেন? তাহলে কাদের সিদ্দিকী কহিলেও আপনাকে মানতে হবে-তাই না? কাদের সিদ্দিকীর ভূমিকা স্বাধীনতা যুদ্ধে নিশ্চয় বেলাল চৌধুরীর চেয়ে সমরের মাঠে বেশী, ঠিক নয় কি? তাহলে তিনি বলেন আম্লীগ নেতারা মুক্তিযুদ্ধ করেননি এবং প্রমান দেওয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ করেছেন। কই আপনারা তো তার চ্যালেঞ্জকে জবাব দিতে পারলেন না? বলতে পারেন এটাতে রাজনীতি আছে। তাহলে আপনাদের কথাতে যে রাজনীতি নেই-সেটাকে কিভাবে নিবেন?
‘‘মুক্তিযোদ্ধা জিয়া চর, কাদের সিদ্দিকী যদ্ধাপরাধী,
আম্লীগের চেতনার সুরেশ তেলে পিছলায় বাংলার বুদ্ধিজীবী।”
সীমাহীন হীনমন্যতায় ভোগা তৎকালীন নেতৃত্বকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে জিয়া দেখিয়ে দিয়েছিলো স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করলে দেশ স্বাধীন না হলে তার মৃত্যু কোর্ট মার্শালে হবে-তারপরও তিনি তা করেন সাহসী সন্তান হিসাবে। আর আম্লীগের চামবাজ নেতারা জানতো দেশ স্বাধীন না হলে এর দায় তাদের নিতে হবেনা, ফাঁসিতো জিয়ার হবে-তারা মুক্তি পেয়ে পাকভূমি থেকে ফিরে এসে গলায় মালা নিয়ে গর্জন করতো উদ্যানে-আমরাতো স্বাধীনতার ঘোষণা দেইনি। এদেশের রাজনীতিবিদ বিশেষ করে আম্লীগকে ভাল করেই চেনা আছে। এসব বলে লাভ নেই, জিয়ার কৃতিত্বকে খাটো করতে গিয়ে নিজেদের উলংগতার এই হীনমন্যতাকে কোনো ভাবেই ঢাকা যাবেনা। এটা ঠিক, আপনি যদি আইন প্রণয়ন করেন- কাল থেকে ভোরবেলা উঠেই হাই তোলা যাবেনা-তাহলে সেটাতেই অপরাধ হবে। সেক্ষেত্রে এই ধরণের দলীয় আইনের দেশে জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বললে শাস্তির হুমকি থাকাটাই স্বাভাবিক। যখন দেশে লুঙ্গি পড়লেও দোষ, পায়জামা পড়লেও দোষ, বলুনতো এখন এত ধুতি কোথায় পাই!!!
ভালো থাকবেন।
৫৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:১৮
নেক্সাস বলেছেন: আলু ভর্তা দিয়ে ভাত খেয়েছেন ... শুভপুর ব্রিজ ধ্বংস করার প্লান নিয়ে জিয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে এসেছিলেন। এবং একজন গ্রামবাসীর বাড়িতে মধ্যাহ্ণ ভোজন করেছিলেন অন্য মুক্তিযোদ্ধারা সহ ।
আমরা আপনার মত হীনমন্যতায় ভুগিনা। ভুগিনা বলে একজন বৃদ্ধ মহিলা কে তারিখ জিজ্ঞেস করতে যাইনা। তার চোখে মুখের দ্যুতি বলে দেয় একজন জিয়ার কথা।
আপনার আম্মু যদি বৃদ্ধ হয়ে থাকে জিজ্ঞেস করে দেখবেন তিনি আপনার জন্ম তারিখ টা ঠিক করে বলতে পারবেন না। অন্য তারিখতো দুরে থাক।
৫৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:১৪
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ১৯৭২-৭৫ সময়েই ইতিহাস বেশী বিকৃত হয়। মুজিব ৭ই মার্চের ভাষণের শেষে জিয়ে পাকিস্তান বলে ছিল (নির্মল সেনঃ দৈনিক আমাদের সময় ৮ই মার্চ ২০০৯ইং)। বলধা গার্ডেন হতে মুজিবের টেলিফোনে স্বাধীনতা ঘোষণা ডাহা মিথ্যা কথা ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ মুজিব ইতিমধ্যে ২৭শে মার্চ হরতাল আহবান করেছিল। একই সাথে হরতাল ও স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা কিভাবে হয়?
৫৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪২
ফয়সাল তূর্য বলেছেন: চারু_চারবাক বলেছেন: ফয়সাল তূর্য বলেছেন:সবথেকে বড় কথা যুদ্ধের সময় উনি কাম্রুইল্লাদের মতো ইন্ডিয়া পালিয়ে যাননি, দেশে থেকে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন
প্রমান করুন জি্যা দেশে থেকে যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আরো জানতে চাই জিয়া কবে, কখন, কোথায় নিজে একটিও যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিল।একটি গুলিও ফুটিয়াছিলেন কিনা? অন্য সব সেক্টর কমান্ডাররা নিজে যুদ্ধ করেছেন। অনেকে যুদ্ধ ক্ষেত্রে আহত হয়েছিলন। আশা করি উত্তর পাব।
_______________
যে মনে করে কাদের সিদ্দিকী যুদ্ধাপরাধী, সেই আবাল যে আবালমার্কা দলে লোক, সেই দলের আবালমার্কা সমর্থকের মুক্তিযুদ্ধবিষিয়ক কোন প্রশ্নের জবাব দেয়ার প্রয়োজন মনে করছি না।
শুধু বলি,রাজা নিজে যুদ্ধ করে না, যুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়!
৫৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:১০
ফোন বলেছেন:
‘বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন’
স্বাধীনতা-৭১ গ্রন্থে কাদের সিদ্দিকী
কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমের লেখা ১৯৮৫ সালে দেজ পাবলিশিং, কলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রথম সংস্করণ ‘স্বাধীনতা-৭১ গ্রন্থের ১৮-১৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার কথা। অন্যদিকে ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের অনন্যা প্রকাশনী হতে চতুর্থ সংস্করণের ২৩ পৃষ্ঠায় কাদের সিদ্দিকী উল্লেখ করেছেন, কাগমারী বেতারে ২৫ মার্চ ’৭১ গভীর রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বাধীনতা ঘোষণার বার্তা ধরা পড়ে : যার ইংরেজি ও বাংলায় স্বাধীনতার ঘোষণার কথা রয়েছে।--
‘পাকিস্তানের সশস্ত্রবাহিনী ঢাকার পিলখানা ও রাজারবাগে পূর্ব-পাকিস্তান রাইফেলস্ ও পুলিশবাহিনীর উপর অকস্মাৎ আক্রমণ চালিয়েছে। বহু নাগরিক নিহত। ঢাকা-চট্টগ্রাম শহরের পথে-পথে প্রচণ্ড সংঘর্ষ চলেছে। আমি বিশ্ববাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছি। মাতৃভূমিকে মুক্ত করার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা বীরত্বের সাথে শত্র“র মোকাবেলা করছে। আমি সবাইকে আহ্বান করছি, নির্দেশ দিচ্ছি, সর্বশক্তিমান আল্লাহর নামে শপথ নিয়ে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে স্বাধীনতার যুদ্ধে শামিল হউন। পুলিশ, পূর্ব-পাকিস্তান রাইফেলস্, বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং আনসার বাহিনীকেও শত্র“র প্রতি রুখে দাঁড়াবার জন্য আপনারা আহ্বান জানান। শত্র“র সাথে কোন আপস নেই। আমাদের বিজয় অবশ্যম্ভাবী। পবিত্র মাতৃভূমি থেকে শেষ শত্র“কে উৎখাত করুন। আমার এই বার্তা সকল আওয়ামী লীগ, নেতা, কর্মী, অন্যান্য দেশপ্রেমিক ও স্বাধীনতাকামী মানুষের কাছে পৌঁছে দিন। জয় বাংলা।’
৫৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৫৬
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: @ ফোন, দয়া করে ২৮নং কমেন্ট দেখুন!
৫৮| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৩:০১
এম. মিজানুর রহমান সোহেল বলেছেন: স্বাধীনতার মূলতঃ ঘোষক তাজ উদ্দিন আহমেদ !
৫৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩
প্রবালরক বলেছেন: Venomnous নেতৃ গ্রাম্য মহিলাদের স্বভাবসুলভ হিংসার জ্বালায় শুরু করে। তারপর সভাসদ আর পাইক-পেয়াদা মিলে তুমুল শোরগোল তোলে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:১০
নেক্সাস বলেছেন: ভাল লাগল...
ভাই ইতিহাস ব্যাপারটা অধুনা একটা ইলুশন-এ রূপ নিয়েছে।
কাজেই ইতিহাসের কথা আর কি বলবো।
জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক।
এটা আমার বাবার মুখ থেকে শুনা ইতিহাস।
কাজেই কোন আদালত বা পুস্তকীয় ইতিহাস আমাকে আমার বিশ্বাস থেকে টলাতে পারবেনা।
উল্লেখ্য বাবা জিয়াউর রহমানের অধীনে যুদ্ধ করা একজন মুক্তিযোদ্ধা।