নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মনে প্রানে বাংলাদেশী

চন্দন

আমার বুকে অনেক ক্ষত তবুও আমি বিক্ষত নই ভর দুপুরে একলা কত খুঁজে বেড়াই হৃদয়টা কই। জন্ম এবং বেড়ে উঠা চট্টগ্রামে এখন একটি কর্পোরেট হাউসে কামলা দেই ভালবাসি ঘুরে বেড়াতে

চন্দন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেম করায় বেত্রাঘাতে নিজের মেয়েকে মেরে ফেললেন মা !!!!!

২৭ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:৩০

প্রেম করার কারণে মা তার নিজের মেয়েকে দোররা মেরে মেরে ফেলেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা এবং মানবাধিকার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক পাহাড়তলী থানায় দায়ের করা একটি জিডির সূত্র ধরে অভিযোগের সত্যতা খুঁজতে গিয়ে হুঁশ উড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা র‌্যাব ও পুলিশের। ফুফাতো ভাইয়ের সাথে প্রেম করার কারণে এক মেয়েকে দোররা মেরে মেরে ফেলার অভিযোগ ছাড়াও একই কারণে আরও দুই মেয়েকে বেত্রাঘাত করার কথা জানা গেছে। এই দুই জনের মধ্যে রুমানাকে মুরগীর ফার্ম এলাকার একটি ঘরে পাওয়া গেলেও অপরজন আয়েশার কোন হদিস পায়নি র‌্যাব, পুলিশ ও মানবাধিকার সংস্থার কর্মীরা। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আয়েশাকেও দোররা মেরে আহত করার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু গতকাল বুধবার ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে আয়েশাকে চমেক হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনসহ সংশ্লিষ্টরা সেখানে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও তার হদিস পায়নি। পুরো ঘটনা ও ওই পরিবারটিকে আজব বলে বলেছেন আইন প্রয়োগকারি সংস্থা, মানবাধিকারকর্মী ও স'ানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে পাহাড়তলী গ্রীনভিউ আবাসিক এলাকায়। প্রেমের ঘটনা ঃ গ্রীন ভিউ আবাসিক এলাকার ২ নম্বর বাড়ির ভাড়াটিয়া বৃদ্ধ আবদুল মতিনের মেয়ে হাফসার (২০) সাথে তার ফুফাতো ভাই রজিনের প্রেমের সম্পর্ক হয় কয়েক মাস আগে। রজিন একই সাথে সম্পর্ক গড়ে হাফসার বড় বোন হাবিবার সাথে। এই প্রেমের টানে গত ১৫ আগস্ট রজিনের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে হাবিবা। বিয়ের তিনদিন পর হাফসা ঘটনাটি তার মা রওশান আরাকে (৫৫) জানায়। এখান থেকেই মূলত ঘটনার শুরু। হাফসাকে দোররা : মা রওশান আরার ভাষ্য মতে, গত ১৮ আগস্ট হাফসা তার সম্পর্কের কথা তাকে জানায়। এ সময় হাফসা তাকে আরও বলে মা আমি প্রেম করে অপরাধ করে ফেলেছি। আমাকে মেরে ফেলো। আমি আর বাঁচতে চাই না। রওশন আরা বলেন, এটার পর আমি তাকে বেত্রাঘাত করেছি। সে এই বেত্রাঘাত আমার কাছ থেকে খুঁজে নিয়েছে। এসময় মা রওশন আরা মেয়েকে একবার ১২ ঘা ও একবার ৫০ ঘা মারার কথা জানান। তবে বেত্রাঘাতে তার মেয়ের মারা যাওয়ার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, মেয়ে ডায়রিয়ায় মারা গেছে। আজব পরিবারঃ ভোলা জেলার লালমোহন এলাকা থেকে গত তিনবছর আগে চট্টগ্রামে এসে উল্লেখিত বিল্ডিংয়ের ২য় তলায় বসবাস শুরু করেন হাফসার পরিবার। বাবা আবদুল মতিনের বয়স প্রায় ৮০ বছর। চার স্ত্রী তার। ছেলেমেয়ের সংখ্যা ২৪ জন। বড় বউ রওশন আরার ৩ ছেলে ৭ মেয়ে। আরেক স্ত্রী ডাঃ জাহানারার ১ ছেলে ২ মেয়ে। অন্য স্ত্রী ডাঃ শাহিদার ৪ ছেলে ১ মেয়ে ও জেসমিনের ৪ মেয়ে ২ ছেলে। সবার সন্দেহঃ সন্তানদের মধ্যে প্রায় ৮ জনকে পাওয়া গেছে একই বয়সের। তাছাড়া ২৪ সন্তানের মধ্যে কাউকে দেশের কোন স্কুল কলেজে পড়ালেখার সুযোগ দেন নি তাদের পরিবার। এমনকি স্ত্রীদের মধ্যে দুইজন এমবিবিএস ডাক্তার থাকলেও তাদের সন্তানদেরও পড়ালেখা করানোর প্রয়োজনবোধ করেন নি তারা। মতিন দম্পতি ও তাদের ছেলেমেয়েদের একটাই বক্তব্য আমরা সবাই ঘরে বসে আল্লাহর রাস্তায় মেহনত করি বাইরে যাওয়ার দরকার হয় না। এ ধরনের বক্তব্যে উপসি'ত সবাই হতচকিত হয়ে যায়। সবারই একই সন্দেহ এটা কিভাবে সম্ভব। যেভাবে অভিযানের শুরুঃ গতকাল বুধবার সকালে ঢাকা থেকে মানবাধিকার নেত্রী এডভোকেট এলিনা খানের ফোন আসে এডভোকেট জিয়া হাবিবের কাছে। প্রস'তি শেষে দুপুর পৌনে ৪টায় পাহাড়তলী থানায় মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে জিডি করা হয়। জিডিতে উল্লেখ করা হয় আমরা (মানবাধিকার সংস্থা) জানতে পেরেছি, পাহাড়তলী এলাকার একটি পরিবার দোররা মেরে একজনকে মেরে ফেলা হয়েছে। আর দুইজন রুমানা ও আয়েশাকে দোররা মেরে আহত করার পর আটকে রাখা হয়েছে। আটককৃতদের উদ্ধারে পুলিশের সহযোগিতা চাই। সেই বাড়িটিঃ বাড়িটির মালিক শফি কোম্পানি। তার ২য় তলায় থাকেন মতিন ও তার পরিবার। তিনরুমের এই বাসায় কোন আসবাবপত্র নেই। আছে শুধু ফ্লোরে পাটি, রেক্সিন ও বেডসিট বিছানো। বড় কয়েকটি ট্রাঙ্ক। এই বাসায় ওই পরিবারের ১১ সদস্যকে পাওয়া যায়। ছোট বড় সবাই ওই সময় সীমের বিচি গুণে তসবিহ পড়ছিল। বাসায় ঢুকে হাফসা, রুমানা ও আয়েশার কথা জিজ্ঞেস করলে একেকজন একেক কথা বলেন। আবদুল মতিন স্ট্রোকের রোগী হওয়ায় কথা বলতে পারেন না। কিভাবে দোররা মারা হলো হাফসাকে ১৮ আগস্ট হাফসাকে দোররা মারার পর পরের দিন বুধবার সকালে সে মারা যায়। এরপর মোটামুটি গোপনীয়তায় তার জানাজা হয়। স্থানীয়রা জানেন হাফসা ডায়রিয়ায় মারা গেছে। বাড়ির মালিক শফি জানান-আমি তাকে দাফনের ব্যবস্থা করেছি। স্থানীয় মালখাঁ মসজিদ কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তবে তিনিও জানেন ডায়রিয়া মারা গেছে হাফসা। দোররা মারার ব্যাপারে রওশন আরা বলেন রজিন নাস্তিক, হাফসা ও হাবিবা একই ছেলের সাথে প্রেম করেছে এবং হাফসা রজিনের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছে এসব কারণে তাকে মেরেছি। হাফসা শহীদ : হাফসার মায়ের সাথে সাথে ছোটভাই আবু হুরায়রা (১৭) ও বলেছেন হাফসা শহীদ হয়েছে। কারণ আমরা সবাই আল্লাহর রাস্তায় মেহনত করি। রুমানা ও আয়েশা : প্রেমের দায়ে দোররা মারার দুই ডিকটিম রুমানা ও আয়েশাও। দুইজনকে হাফসা মারা যাওয়ার পর ওই বাসা থেকে সরিয়ে রাখা হয়। সর্বশেষ আইন শৃংখলা বাহিনী রুমানার খোঁজ পায় মুরগীর ফার্ম এলাকার সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার নুরুর রহমান মজুমদারের বাড়িতে। সেখানে রুমা জানায়, আমাকে ৫০ ঘা বেত্রাঘাত করা হয়েছে। প্রেম করে পাপ করেছি। তাই মেরেছে। মারলে মারা যায় নাকি। আয়েশাকে চমেকে ভর্তি করা হলেও তাকে সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এদিকে স্থানীয়রা জানান, বাড়িওয়ারা ও আবদুল মতিন আত্মীয়। একারণে তার থেকে বাসা ভাড়া নিতনা বাড়িওয়ালা শফি। এ ব্যাপারে শফি বলেন, তারা আল্লাহর কাজ করেন তাই তাদের কাছ থেকে ভাড়া নেই না। কিভাবে আল্লাহর কাজ করে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এখানে তালিম নিতে ছেলে মেয়েরা আসে। পাসের বাসার বাসিন্দা সিএন্ডএফ কর্মী ইকবাল বাহার ভূইয়া জানান, তিন মাস আগে এসেছি এখানে। মতিন সাহেবের বাসায় অনেকগুলো সেন্ডেল দেখি। পাহাড়তলী থানার ওসি কামরুল জানান, পরিবারটি সাংঘাতিক ধর্মান্ধ। অভূত তাদের আচরণ। কোন অভিযোগ এখনো পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেব। তবে এ ঘটনায় জঙ্গি সম্পৃক্ততার আশংকা করছি। এডভোকেট এলিনা খান ও জিয়া হাবিব জানান, আমরা বাদী হয়ে এ ঘটনায় মামলা করবো। হাফসাদের আমরা ধর্মান্ধতার বলি হতে দেব না



সুত্র : দৈনিক আজাদী

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৬/-১

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:৪৬

আকাশ_পাগলা বলেছেন: ভয়ংকর ব্যাপার।

শিউরে উঠলাম।

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:০১

ধীবর বলেছেন: ঘটনা দেখি ব্যাপক। এমন দজ্জাল মহিলা যে ব্যাটার শাশুড়ি হইবো, তার খবরই আছে।

২৭ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:১৬

চন্দন বলেছেন: জামাইরেও বেত্রাঘাত করতে ছাড়বোনা। ;)

৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:০৮

সাহোশি৬ বলেছেন: আমি এই ঘটনায় মোটেও আশ্চর্য হই নি। ধর্ম-কর্মে যারা মন-প্রান ঢেলে দেয় তারা এমনই হয়। '৮০ এবং '৯০ এর দশকে যারা ইন্টারমিডিয়েটে সাইন্সের ছাত্র ছিলেন তারা ঢাকা কলেজের কেমিস্ট্রির শিক্ষক নুরুল হকের নাম অবশ্যই শুনে থাকবেন (কারন নুরুল হক মহিউদ্দিনের রসায়ন ১ম এবং ২য় খন্ড ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ্য ছিল)। নুরুল হক নিজে ইন্টারমিডিয়েটের বই লিখলেও তার মেয়েদেরকে ক্লাস এইটের পর আর পড়া-শুনা করতে দেন নি। নুরুল হক স্যার তবলীগ করতেন।

কিছুদিন আগে পত্রিকায় মিরপুরবাসী দুই বিদূষি বোনের খবর বেরিয়েছিল, তাঁরাও ধর্ম-কর্মের কারনে সিজোফ্রেনিয়ায় ভূগছিলেন।

এ ধরনের ঘটনা কিন্তু শুধু উপমহাদেশেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং আমরিকাতেও অনেক ডক্টরেট তাদের সন্তানদের শর্মীয় লাইনে পরা=শুনা করাচ্ছেন - আল্লাহর রাস্তা, নবীজীর দেখানো পথে তাদের ছেলে-মেয়েরা চলবে এই তাদের আশা।

২৭ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:০৩

চন্দন বলেছেন: ধর্মপ্রান আর ধর্মান্ধতা সম্পুর্ন বিপরীত জিনিস...

৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:১২

গুপী গায়েন বলেছেন: কিছু বলার নাই। আসলেই আজব !!!!

৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:২০

তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: দজ্জাল শাশুড়ি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

২৭ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:২০

চন্দন বলেছেন: মুন্না ওর আর একটা মেয়ে তোমার জন্য সিলেক্ট করছি ... ;)

৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:৪১

বাহারুল ইসলাম বাহার বলেছেন: কিছুদিন আগে পত্রিকায় মিরপুরবাসী দুই বিদূষি বোনের খবর বেরিয়েছিল, তাঁরাও ধর্ম-কর্মের কারনে সিজোফ্রেনিয়ায় ভূগছিলেন।

এ ধরনের ঘটনা কিন্তু শুধু উপমহাদেশেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং আমরিকাতেও অনেক ডক্টরেট তাদের সন্তানদের শর্মীয় লাইনে পরা=শুনা করাচ্ছেন - আল্লাহর রাস্তা, নবীজীর দেখানো পথে তাদের ছেলে-মেয়েরা চলবে এই তাদের আশা।

২৭ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:০৩

চন্দন বলেছেন: ধর্মপ্রান আর ধর্মান্ধতা সম্পুর্ন বিপরীত জিনিস...

৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:৪৬

ইন্ঞ্জিনিয়ার বলেছেন: পিটাইতে ইচ্ছা করে....ফাজিল পরিবার।

৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৫১

কুয়াশায় ডাকা বলেছেন: ভয়ংকর বর্বরতা...

২৭ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:০৬

চন্দন বলেছেন: আসলেই বর্বর।

৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:২৪

জেরী বলেছেন: আহা

১০| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৭

তাজা কলম বলেছেন: নৃশংস, বর্বর।

১১| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৯

দ্রোহি বলেছেন: আজব এবং নৃশংস।

১২| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৫

মামুন বিদ্রোহী বলেছেন: তাজা কলম বলেছেন: নৃশংস, বর্বর।

১৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৩

কিরিটি রায় বলেছেন: আপনার শিরোনামের সাথে একমত হতে পারলাম না বলে দুখিত।

প্রেম আর কাম (যৌনতা) ভিন্ন জিনিস। আর তারা যা করেছে একটা সুস্থ সুন্দর সামাজিক ব্যবস্থায়ও এটা অশালীন। একই ছৈলের সাথে দু বোনের অবৈধ শারিরীক সম্পর্ক!!! খুবই আপত্তিকর নয়!

প্রেম পবিত্র। প্রেম নিষ্কাম। সেক্স বা যৌনতা কেবলই শরীর বৃত্তিয় এবং তা যদি বল্গাহীন হয় তা কোন সভ্য সমাজই পছন্দ করবে না।

তবে তাদের ধর্মন্ধতা কূপমন্ডুকতা বিরক্তকর পর্যায়ের । এদের যতদ্রুত সুস্থ করা যায় তত সমাজের মঙ্গল।

২৯ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:০৩

চন্দন বলেছেন: এখানে যদি অপরাধী যদি কেও হয় তাহলে ছেলেটি ...

মধ্য যুগীয় কায়দায় কাউকে যৌনকামের অপরাধে দোররা মারাটা কতটা ধর্ম সঙ্গত ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.