নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চন্দ্রবিন্দুর জন্য

আমি চন্দ্রবিন্দুর জন্য লিখি।

চন্দ্রবিন্দুর জন্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনূকুল

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৯

কেউ যদি অনন্ত কালের জন্য চলে যায় তাকে ছাড়াই আমরা বাচতে পারি। তা আবার প্রমানিত হল।



অনূকুল আরো এক মাস আগে আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছে অনন্ত কালের জন্য।

আর আমরা কত নিষ্ঠুর হয়ে অনূকুলকে ছাড়াই এই পৃথীবিতে আছি।

আর পৃথীবিটা কত নিষ্ঠুর অনূকুলকে ছাড়াই আগের মতই চলছে।



প্রসঙ্গত:-

আমার ছোট বোনের প্রাইভেট টিচার অনূকুল তিতিুমির কলেজ থেকে অনার্স পাস করেন এবং তিনি বি সি এস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরে তার মাস্টার্স এ ভর্তি হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা আর সম্ভব হল না। গত ২রা জানুয়ারি গ্রামের বাড়িতে যায়। গ্রামের বাড়িতে তার মা আর বোন ছাড়া আর কেউ থাকত না আসলে তার মা আর বোন ছাড়া তার ফ্যামিলিতে আর কেউ ছিলওনা।

শহরে থেকে টিউশনি করে তার সংসার চলত। বছরের শেষের দিকে তার টিউশনির চাপটা বেড়ে যায়। আয় রোজগারও ভাল হতে থাকে। এমতা অবস্থায় ছেলেটা ভাবতে থাকে তার মা আর বোন কে শহরে নিয়ে আসবে। যেই ভাবা সেই কাজ জানুয়ারি মাস থেকে একটা ফ্যামিলি বাসাও ঠিক করে। তারপর ২ই জানুয়ারি গ্রামে যায় মা আর বোনকে নিয়ে আসার জন্য। ফেরার কথা থাকে ৫ই জানুয়ারি সকালে এর মধ্যে শুরু হয়ে যায় চলমান রাজনৈতিক আন্দোলন সেদিন আর আসতে পারে না। এর মাঝে তার ছুটিও শেষ আর একটা দিন থাকা মানে অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে ম্যানেজ করা। সে তার পর দিনও আসার চেষ্টা করল আমরা জানি আন্দোলন একটুও কমেনি বরং আরো বেড়েছে। কিন্তু তার পক্ষে আর থাকা সম্বব ছিল না। তাই সে সেদিন রাতেই তার মা আর বোনকে নিয়ে আসতে চেষ্টা করে। সব মালামাল নিয়ে একটা পিকআপ এ আসতে থাকে।



কিছু দুর আসার পরেই পিছন থেকে একটা ঘাতক ট্রাক পিকআপ এর পিছন থেকে ধাক্কা দেয় একটি ধাক্কাতেই সব শেষ হয়ে যায় আমাদের অনূকুলের বুকের উপর ট্রাকের চাক্কা উঠে যায় এবং অনূকুলের বুকটা চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয় আর সেখানেই অনূকুলের জীবন সংগ্রাম শেষ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই অনূকুলের মৃত্যু হয়।



তার বোন ভালো থাকলেও তার মা আহত হয়।

আর ধর্মের রিতিনিতি অনুযায়ী অনূকুলের মৃত দেহ পুরিয়ে দেওয়া হয়।



আমি জানি প্রতিটা মানুষেরই মৃত্যু হবে আর যার মৃত্যু হবে তাকে আমাদের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।

ঠিক তেমন করেই বারে বারে অনূকুলকে ভুলতে চাই কিন্তু পারি না। কেন পারি না? না পারার কারন অনূকুল হিন্দু ছিল মৃত্যুর পরেই পুঁড়িয়ে দিয়েছে। আর আমরা এই খবর পাই ছয় দিন পরে যখন আমাদের প্রিয় ছোট বোনের প্রিয় শিক্ষক বাঁতাশের সাথে মিশে গেছে।





আজ এক মাস হল অনূকুলের মৃত্যু হয়েছে।

আর আমার আদরের ছোট বোনটির এস এস সি পরিক্ষা শুরু হয়েছে।

আমরা আজও অনূকুলকে অনেক মিস করি।

আজও মনে হয় অনূকুল আবার ফিরে আসবে।

আজ এক মাস পরেও অনূকুলের কথা মনে পরলেই বুকের ভিতর একটা ছুরিকাঘাত অনুভব করি।

আসলে আমরা অনূকুলকে কোনদিনও ভুলতে পারব না।





আমি জানি না অনূকুলের মা আর বোন কেমন আছে।

তারা কেমন করে অনূকুলকে ভুলে থাকে।

আল্লাহ্ যেন তাদের কে অনূকুলকে ছাড়া বাঁচার তৈাফিক দান করেন আমিন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫

আমি সৈকত বলছি বলেছেন: এভাবেই কত মা তার বেচে সম্বল আর কত বোন ভাইকে হারাচ্ছে তা বলে শেষ করা যাবে না।

হায়রে দেশ!!!!!!

অনেক ভালো লেগেছে লিখে যাবেন আশা রাখি।
আরো অনেক লিখা পাওয়ার প্রত্যাশায় শুভ কামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.