![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার বয়স তখন ১৮ কিম্বা ১৯ হবে।
তখন একটি মেয়ের সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল। সে সময় মাঝে মাঝে মেয়েটার সাথে আমার মোবাইলে অল্প কিছু কথা হত। এভাবে কিছু দিন চলছিল আমাদের।
কিন্তু হটাত!!!
একদিন মেয়েটা আমাকে বলে সে আমাকে ভালবেসে ফেলেছে। আমি তখন তার কথাটা ততোটা গুরুত্ত দিতে পারিনাই। ফাইজলামি মনে করে উড়িয়ে দিয়েছিলাম। আসলে মেয়েটা আমার থেকে বয়সে একটু বড়ও ছিল বটে। আর একটা কারন হল তখন আমি প্রেম ভালোবাসাটা ঠিক বুজতাম না।(তখন আমার কাছে ভালোবাসার মানে ছিল বাংলা সিনেমার মুল দুটি চরিত্র) আমি তখন এতোটাই বোকা ছিলাম যে আমার কোন বন্ধুও ছিল না। আমার আমি শুধু একাই ছিলাম। প্রেম ভালোবাসা যে কি, তা কারো কাছ থেকে জানতেও পারি নাই। এই ব্যাপারের বোধগম্যতা আমাকে অনেক পরে স্পর্শ করে।
একদিন মেয়েটা আমাকে তার বাসায় নিমন্ত্রন করে। প্রথমে আমি যেতে না চাইলেও সে আমাকে বারে বারে বলার পর একটা সময় আমি আর রাজি না হয়ে পারি নাই। সে তার চাচার বাসায় থাকত। আর তার চাচীকে সে মা বলে ডাকত। আমি যখন তার বাসায় গেলাম, সে সময় দেখি বাসায় তার চাচী আর সে ছাড়া অন্য কেউ নেই। আমি তাদের বাসায় যাওয়ার কিছুক্ষন পরেই তার চাচী মা বাজার করার কথা বলে বাসা থেকে চলে যান। ঐ মুহূর্তে তাদের বাসায় আমি আর সে ছাড়া আর কেউ ছিলনা। তারপর আমরা দুজন টিভি দেখছিলাম আর প্রাসঙ্গিক কথা বলছিলাম।
কিন্তু কিছুক্ষন পরেই আমি বুজতে পারলাম যে, সে আমার কাছে এমন কিছু একটা চাইছিল যা আমার প্রতাশার একে বারেই বাহিরে। হ্যা আমি যা ভেবেছিলাম তাই হল। সে শুধু চাইছিল না বরং জোর করে হলেও চাইছিল।
আমি তাকে শুধু বাধাই দিলাম না বরং ঐ মুহূর্তেই তাকে রেখে চলে এসেছিলাম।
সে দিনের পর থেকে আমি তার সাথে কোন দিন কথা বলি নাই আর দেখাও করি নাই। আমার প্রতাশার বাহিরে যে বা যারা কিছু করে তাদের সাথে আমি আর সম্পর্ক রাখি না। জানিনা এত বছর পরে সে কেমন আছে। সে ভালো থাকুক এটাই আমি কামনা করি।
ফুটবল বিশ্বকাপ খেলায় আমি আর্জেনটিনার সাপোর্ট করি।
গেল বিশ্বকাপ ফুটবলে আর্জেনটিনা ফাইনাল খেলায় হেরে যায়, যা আমার জন্যে সত্যি অত্তন্ত দুঃখ জনক ছিল। তার পরের দিন আমার অনেক মন খারাপ ছিল। এদিক ওদিক হাটছিলাম আনমনে। সেদিন আমার একটি মেয়ের সাথে আবার পরিচয় হয়। মেয়েটা অনেক সুন্দরি ছিল। সে যাই হোকনা কেন। আমি কখনই সুন্দরের পূজারি নই, আবার কারো রূপ দেখে পাগল হয়েও যাই না।
যার যার রুপ সুন্দরজ্জ নিয়ে সে সে বাচে। আমার এই গুলো দেখার কখনোই সময় ছিল না।
যাইহোক, ঠিক এর এক সপ্তাহ পরেই আমার বাম হাতের একটা আঙ্গুল কেটে যায়। বেশখানিক টাই কেটেছিল আর অনেক টা তারই দোষেই আমার আঙুলটা কেটেছিল।
যখন আমার হাত থেকে রক্ত ঝরছিল তখন সে আমার হাতটা ধরে পরম মমতায় রক্ত মুছে দিচ্ছিল আর বলেছিল আপনি এতো অসাবধান কিভাবে হতে পারেন? অনেকটা শাসনের সুরেই যে আমাকে কথাগুলো বলেছিল। আমি তখন হাতের ব্যাথা ভুলে তার দিকে তাকালাম, দেখলাম তার চোখে আমার জন্য কতটা ব্যাকুলতা। মনে হচ্ছিল আমার আঙুলের ব্যাথা থেকেও তার মনে ব্যাথাটা আরো অনেক বেশি লেগেছে।
আমি ঠিক করে বলতে পারব না!! তবে সত্যি মনে হয় আমি হয়ত তখনি তার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম।
আমি ভাবতে লাগলাম এই মেয়েটাকে তো আল্লাহ কারো না কারো জন্যই পাঠিয়েছেন। আর ও যদি আমার হয় তবে ক্ষতি কি? যে আমার কেউ না তার আবার আমার জন্য কিসের এত মায়া থাকতে পারে ?
যাই হোক আমি তাকে চাই।
তার পর থেকে আমাদের মাঝে মাঝে কথা হত, দেখা হত, আমি অনেক বার বলতে চেয়েছিলাম আমি যে তাকে ভালোবাসি বা তার প্রেম পড়ে গেছি। আমি তার একটা নামও দিয়েছিলাম “চন্দ্রবিন্দু”।
কয়েক দিন আগেও মনে করতাম আমি চন্দ্রবিন্দুকে অনেক ভালোবাসি। আর এই কথাটা বলাই আমার জীবনের সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ।
কিন্তু !!!!!!!!!!! তার আর প্রোয়জন হলো না।
দুই দিন আগে চন্দ্রবিন্দু আমাকে এমন একটা কথা বলেছে যা আমার প্রাতাশার বাহিরে ছিল। আমি আর কোন দিনও চন্দ্রবিন্দুর সাথে কথা বলব না। আর কথাটা এতোটাই লজ্জা জনক যা আমি আর কাউকেও বলতেও পারব না।
এখন বসে বসে ভাবছি, শুধুই ভাবছি............। মানুষ এত নিলজ্জ কি করে হয়?
নিন্মতম লজ্জাবোধটা কি সবারই থাকা উচিত নয়?
হয়তো ডিজিটাল নামক এই পৃথিবীর মানুষ গুলো আবেগ, ভালবাসা, আনুভুতি, আর হ্যাঁ নিন্মতম লজ্জাবোধ টুকু হারিয়ে একটু বেশিই আধুনিক হবার প্রয়াসে বাস্ত হয়ে পরেছে। তাই অন্যের বোধ বোঝার বিন্দু মাত্র রেশ তাদের হয়ে ওঠে না।
আর সত্যি বলতে আমি বিশ্বাস করি অন্য দশটা মানুষের চাইতে আমার লজ্জাবোধটা একটু নয় বরং সত্যি বেশি। আমার খুব পাশের মানুষ গুলো এটা ভাল করেই অনুভব করে।
আমারই হয়তো ভুল হয়েছিল। আমার উচিত ছিল আরো একশত বৎসর আগে এই পৃথিবীতে আসা।
সবাই কেমন করে জানি বর্তমান পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেয় খুব সহজেই।
আমি কেন পারি না?
নিজেকে কিছুতেই পরিবর্তন করতে পারি না।
কিন্তু হ্যাঁ আমি আমার মতই থাকব কখনো পরিবর্তন হবো না।
তবে যদি কখন এর জন্য কিছু নাই বা পাই তাতেও আমার কোন দুঃখ থাকবে না।
আমি আমাকে নিয়েই বাচব।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:০৫
মো: সাব্বির আহম্মেদ বলেছেন: সহমত...।