নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখাটি নিয়ম/নীতিমালা বর্হিরভূত হলে ক্ষমা প্রার্থী-
গত ১৮ই জানুয়ারীএস. আর. ও নং ১৫-আইন/২০২০ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন এর ৫৪ ধারার সহিত পোষা পাখি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২০ নামে নতুন একটি বিধিমালা জারি করেন। একজন সৌখিন পাখি পালক হিসেবে আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং এ বিধিমালা সৌখিন পালক ও খামারি সম্পর্কে যাদের নূন্যতম জ্ঞান তো দুরে থাক ধারনাও নেই তাদের দ্বারাই এমন একটি বিধিমালা জারি করা সম্ভব। এদেশে নতুন করে যখনই কোন সেক্টর গড়ে ওঠে সরকারের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সরকার বিরোধী কিছু মাথামোটা নীতি নির্ধারকেরা সে সেক্টরটাকে কিভাবে ধ্বংশ করা যায় তার পেছনে উঠে পড়ে লাগে। এ সেক্টর সবে মাত্র হাটিহাটি পা পা করে এগিয়ে চলেছে এবং বেকারত্বের দেশে নূন্যতম হলেও কর্ম সংস্থানের সৃষ্টি করে চলেছে। বাংলাদেশে একসময় চিনা কাউন ১০/১৫ টাকায় পাওয়া যেত যা বর্তমানে পাখি পালক তথা পাখালদের কারনে ৪০ থেকে ৮০টাকায় বিক্রি হচ্ছে যার ফলে এদেশের কৃষকেরা উপকৃত হচ্ছে। আজ প্রতিটি শহরেই ১/২টি পেট শপ চোখে পরে এবং সেখানে সর্বদা খরিদ্দারে উপস্থিতি লক্ষ্যনীয় যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থান। পাখালদের কারনে চাহিদা বাড়ছে ভেটিনারী চিকিৎসকদের, গড়ে উঠেছে খাঁচা তৈরীর কারখানা সহ অসংখ্য ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান। ঠিক তখনই এ নীতিটি প্রকাশ করে সেটাকে বন্ধ করে দেয়ার পায়তারা করা হচ্ছে। এ সেক্টরটি যখন ক্ষুদ্রপরিসরে হলেও কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে চলেছে ঠিক তখনই কি উদ্দেশ্যে এ বিধিমালা প্রকাশ করা হল সেটা মোটেও বোধগম্য নয়।
দেশে সৌখিন পাখি পালক বৃদ্ধির সাথে সাথে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি একজন মানুষ শিশুকাল থেকেই তার পরিবারের মাধ্যমে পশুদের প্রতি ভালোবাসায় আকৃষ্ট হচ্ছে, সেই সাথে কিশোর/তরুন/যুবকদের মাদকের ভয়াল থাবা থেকে বাচিয়ে রাখছে। তারা তাদের সময়কে পাখি লালন পালনের মধ্য দিয়ে ভালো কাজে ব্যয় করছে, এই পাখি পালনের মধ্য দিয়ে একে অপরের সাথে সম্প্রীতির সম্পর্ক গড়ে তুলছেন। আমার মনে হয় মাননীয় প্রথামন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকাকে সমালোচনার মধ্যে ফেলার জন্য বা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এটা একটা চক্রান্ত তাই যারা এ বিধিমালা প্রকাশ করেছেন তারে আসল পরিচয় খুজে দেখা দরকার।
বিধিমালায় বলা হয়েছে একইপ্রজাতির ১০টি পাখি রাখা যাবে তার থেকে বেশি রাখলে সে খামারি হসেবে বিবেচিত হবেন। যারা বিধিমালা প্রনয়ন করেছেন তাদের পাখি সম্পর্কে নূণ্যতম জ্ঞান থাকলে সৌখিন পাখাল হিসেবে একই প্রজাতির ১০টি পাখির কথা বলতেন না কেননা একই প্রজাতির নূণ্যতম ১০টির অধিক মিউটেশন বা রংয়ের বৈচিত্রতা থাকে। এখানে যদি কোন সৌখিন পালক মনে করে যে সে সবগুলি মিউটেশনের পাখি সংগ্রহ করবেন সেখানেও তার ৩০-৫০টি পাখি হবে, সেখানে কিভাবে ১০টির মধ্যে সীমাবন্ধ রাখা হল সেটি মোটেও বোধগম্য নয়। একজন সাধারণ সৌখিন পালকেরও নূণ্যতম ১০০জোড়া পাখি থাকে যা কিনা ছোট্টএকটা রুমেই সু্ন্দরভাবে লালন/পালন ও পরিচালনা করা সম্ভব। আবার বলা হচ্ছে সৌখিন পালকদের পাখির বাচ্চা হলে পায়ে রিং পড়াতে হবে। আমার প্রশ্ন একটা রিং এর দাম কত আর রিং এদেশে সহজেই পাওয়া যায় কিনা সে সম্পর্কে কি নূণ্যতম ধারণা আছে এদের?
এবার আসি লাইসেন্সিং এর ব্যপারে। খামারিকে ১০,০০০/= (দশ হাজার টাকা) দিয়ে লাইসেন্স নিতে হবে, তার সাথে প্রসেস ফি ২হাজার, পজেশন ফি ২হাজার বাৎসরিক, প্রতিলিপি ফি ১হাজার, পজেশন সার্টিফিকেট ১হাজার। প্রতিবৎসর লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্র নবায়ন ফি পরিশোধ করতে হবে লাইসেন্স ফি'র ২৫% বা ৪হাজার, পজেশন ফি'র ২৫% অর্থাৎ ৫শত টাকা। একজন খামারিকে বাৎসরিক ফি প্রধান করতে হবে প্রথম বৎসর ১০+২+২+১+১=১৬ হাজা টাকা অফিসিয়ালি, আর আন্ডার টেবিল মানি বা বকশিস কত টাকা দিতে হবে সেটার হিসেব নাই। যদি ২৫হাজার টাকাও ধরি আর সে যদি বাজরিগার খামারি হয় তা হলে তার সেই টাকা তুলতে নূণ্যতম ১২৫টি পাখি বিক্রয় করতে হবে। আর যদি ফিন্স পাখি হয় তা হলে তো নূণ্যতম ১৫০টি পাখি। বর্তমান খাদ্যের যে দাম সেখানে লাভবার্ড বা প্যারোট জাতীয় খামার এমনিতেই বন্ধের উপরক্রম তার উপর যদি আইনের খর্গ চলে তাহলে অচিরেই তাদের বন্ধ করতে হবে। তাই আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই, আহবার করি সকল পাখাল সমাজকে এ নীতি প্রতিবাদ করতে অন্যথায় অচিরেই হারিয়ে যাবে পাখাল এদেশ থেকে।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৮
চোরাবালি- বলেছেন: অবসরে সৌখিনতায় কিছু পাখি পালি তারও উপায় নেই, জেল-জরিমানার ভয়। কি অদ্ভুদ নিয়ম আমাদের। যদি রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে সিগারেট খেয়ে নিজের, সমাজের ও পরিবেশের ক্ষতি করতাম সেটাই ভালো ছিল সমাজের জন্য।
২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৪
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সঠিক নীতি মালার জন্য দরকার
আলোচনা, এজন্য আমাদের পাখী বিশেষজ্ঞ আছেন
এবং সমাজের আরও প্রতিনিধি আছেন , সকলে
মতবিনিময় করে আইন ঠিক করতে পারেন ।
................................................................................
আমাদের সেই সুযোগ তো আছে ।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৬
চোরাবালি- বলেছেন: সব কিছুর জন্য সঠিক নীতিমালার দরকার। যখন কোন কিছু করা হয় তখন সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করা হয় না, আলোচনা করা হয় তাদের মধ্যে বা তাদের স্টাফদের মধ্যে। আর এ দেশে বস যা বলে তার সাথে তাল মেলায় অন্যরা। অন্যদিকে কখনও কখনও অধস্তরা লিখে আনে বস শুধু স্বাক্ষর করেন। এদেশের আইন তৈরী করাই যখ শাসন করার জন্য এবং আন্ডার টেবিল সেটেল করার জন্য
৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯
ফয়সাল রকি বলেছেন: নীতি মালার বিষয়ে কিছু জানতাম না। জানলাম। আপনার মতো যারা সৌখিন পাখাল আছেন, তারা একটা এসোসিয়েশন করে ফেলুন। একা বলে খুব একটা কাজ হয় না সাধারণত।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৭
চোরাবালি- বলেছেন: বাংলাদেশে এসোসিয়েশন আছে, তাদের মাধ্যমেও প্রতিবাদ হচ্ছে।
৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের পাশের বাসায় ছাদে পাখি পালে। সবই বিদেশী পাখি। প্রতিদিন আমার ঘুম ভাঙ্গে পাখির কিচিরমিচিরে।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৮
চোরাবালি- বলেছেন: পাখি আমার লাইফ স্টাইলকে পরিবর্তন করে দিয়েছে। তাদের জন্যই ভোরে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস হয়েছে, বাসায় ফিরি বাইরে সময় না কাটিয়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: ্নিয়ম কানুন তো শুধু দরিদ্র লোকদের জন্য।
পাখিরা ভালো থাকুক। এদেশের মাঊষেরা যেমন ভালো নেই। পশু পাখিরাও ভালো নেই।