![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বলোক সৃষ্টি সম্পর্কে তিনিটি ব্যাখ্যা বিজ্ঞান
আমাদেরকে প্রদান করেছে। এ
তিনটি ব্যাখ্যা যথাক্রমে “লাপ্লাসের নীহারিকাবাদ”,
“জীনসের আকস্মিক নৈকট্যবাদ” এবং “কার্যকরণ মতবাদ”
নামে পরিচিত।
“লাপ্লাসের নীহারিকা মতবাদ” অনুযায়ী আজ থেকে ২লক্ষ
কোটি বছর আগে সূক্ষ্ম বিন্দু ‘অনু’র একটি পূঞ্জীভূত
মেঘমালা ছিল। এ মেঘমালায় একটা কম্পন সৃষ্টির
ফলে মেঘমালা (উষ্ণ গ্যাসীয় বস্তুপুঞ্জ) ক্রমাশঃ সঙ্কুচিত
হয় এবং ঘণীভূত হয়ে গ্রহ, নক্ষত্র, নীহারিকা (Nebula)
ইত্যাদির সৃষ্টি হয়। এ নীহারিকা ক্রমশঃ পাক
খেতে থাকে এবং ক্রমান্বয়ে ঘনপিন্ডে রূপান্তরিত হয়
যাকে আমরা সূর্য বলি। সূর্যের চারপাশের অবস্থিত
বস্তুপুঞ্জ ক্রমশঃ ঠান্ড হয়ে আকারে ছোট হয়ে আসে।
ফলে এ সকল বস্তুপুঞ্জের পাক খাওয়ার গতি বেড়ে যায়
এবং ক্রমাশঃ পৃথম হয়ে জমাট বাঁধতে থাকে। ফলশ্রুতিতে গ্রহ
ও উপগ্রহের সৃষ্টি হয়।
“জীনসের আকস্মিক নৈকট্যবাদ” অনুসারে একটি বিশাল
নক্ষত্র সূর্যের নিকট দিয়ে ছুটে যাওয়ার সময় উহার
আকর্ষণে সূর্যের বুক থেকে গ্যাসীয় বস্তুপুঞ্জ পটলের মত
টুকরা টুকরা হয়ে যায় এবং এ টুকরাগুলো সূর্যের
চারপাশে চাকার মত ঘুরতে ঘুরতে বিভিন্ন গ্রহ-
উপগ্রহে পরিণত হয়।
“কার্য-কারণ” মতবাদ অনুযায়ী শীতল কনিকাপুঞ্জের
নিরন্তর গতিশীলতার ফলে অসংখ্য ছোট-বড় পাকের
সৃষ্টি হয়। অপেক্ষাকৃত বড় একটি বস্তুকণা ঘনীভূত
হয়ে সূর্যের কেন্দ্রবস্তু সৃষ্টি হয়। এর চারপাশে বস্তুকণার
সমন্বয়ে বিভিন্ন আকারের গ্রহ, কণিক, পিন্ড সৃষ্টি করে।
ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন সংঘাত ও তেজষ্ক্রিয় বিকিরণের
ফলে সূর্যতাপের সৃষ্টি হয় এবং সূর্যের প্রচন্ড
তাপে পরবর্তীকালে ধুমকেতু, উল্কা প্রভৃতির সৃষ্টি হয়
এবং সূর্যের প্রচন্ড তাপে পরবর্তিকালে ধুমকেতু,
উল্কা প্রভৃতির সৃষ্টি হয় এবং বিশ্বলোকের উদ্ভব ঘটে। এ
প্রক্রিয়ার প্রাথমিক স্তর হচ্ছে (Series Accident)
এবং দ্বিতীয় স্তর হচ্ছে কার্যকারণ বিধি (Law of
Causation)। প্রাথমিক স্তরে দুর্ঘটনাবশতঃ কম্পনের
সৃষ্টি হয় এবং দ্বিতীয় স্তরে কার্যকারণ বিধি (অর্থাৎ
প্রত্যেক কারণের ফলাফল আছে) অনুসারে স্বাভাবিক
নিয়মে অন্যান্য বিবর্তন সংঘটিত হয়। এখন প্রশ্ন হল,
বস্তুপুঞ্জ পাক খেতে খেতে জমে উঠলো কেন? ঘন পিন্ড
হলে কেন? সূর্যের সাথে সৌরজগতের আকর্ষণে সৌরজগৎ
সৃষ্টি না হয়ে অন্য কিছু সৃষ্টি হল না কেন? বিশাল
নক্ষত্রটি সূর্যের দিকে ছুটে গেল না কেন? আকর্ষনে গ্যাসীয়
বস্তুপুঞ্জ ছিটকে পড়ল এন? ধুমকেতু বা উল্কার
সৃষ্টি না হয়ে অন্য কিছু সৃষ্টি হলনা কেন?
নিয়মশৃঙ্খলা মাফিক চলছে কেন? বৈজ্ঞানিকেরা বলতে চান
কারণের সাথেই ফলাফলের সৃষ্টি হয়েছে। এ ‘কারণ-
ফলাফল’ (Law of Causation) এর দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই
যান্ত্রিক দর্শন বা (mechanical philosophy)-এর
সৃষ্টি হয়েছে যে দর্শন অনুযায়ী নিউটন, বাখ (Bach)
এবং মাইকেল এঙ্গলো (Michael Anglo) –এর মত
বৈজ্ঞানিকও একটি ‘সুক্ষ্ম মস্তিষ্ক মূদ্রণ যন্ত্র’
ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু বিজ্ঞানের আধুনিক আবিষ্কার
এ ‘কার্য-কারণ’ তত্ত্ব পরিত্যঅগ
করেছে এবং আপেক্ষিকতা তত্ত্বের (Theory Of
Relativity) জন্ম দিয়েছে। ‘কার্য-কারণ’ তত্ত্ব
দ্বারা মধ্যাকর্ষন বিধি ও আলোর বিধি এখন আর
ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে না। কারণ নিউটনের
সামনে আপেলটি নীচে পড়ে গেলেও সবার
সামনে ওভাবে কিন্তু আপেল গাছ থেকে আপেল
সর্বদা পড়ে না। নিউটনের আগেও গাছ থেকে আপেল পড়ত,
কিন্তু সেটা যে মধ্যাকর্ষন শক্তির ফল এটা কেউ বলেনি।
সুতরাং উপরোক্ত সব ‘কেন’ যে আল্লাহতালার আদেশেই
হয়েছে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই
সাম্প্রতিককালে অযান্ত্রিক বাস্তবতা তত্ত্বের (Theory
of non mechanical reality) উদ্ভব হয়েছে যাতে স্রষ্টার
চুড়ান্ত ক্ষমতাকে স্বীকার করে নেয়া হয়েছে। খোদার
অস্তিত্বকে দু’টো কারণে অবশ্যই স্বীকার করতে হবেঃ
১) আল্লাহ সব সৃষ্টি আশ্চর্যজনক এবং মানুষের
সাধারণ জ্ঞানের বাইরে। আল্লাহর এ মহান ক্ষমতার জন্য
তাঁর প্রতি অবশ্যই কৃতজ্ঞতা জানাতে হবে।
২) মানুষ সত্যি বড় অসহায় এবং সর্বময় ক্ষমতার
অধিকারী একমাত্র আল্লাহর কাছেই মিলবে চূড়ান্ত আশ্রয়।
২| ৩০ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:৩০
তাহাসিন বলেছেন: বাজে কথা,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
৩| ৩০ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
চতুর্মুখী ধী বলেছেন: ভালোই ফাংকু মারেন নিজেকে তো খুব জ্ঞানী ভাবেন তাই না
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:০৮
পংবাড়ী বলেছেন: আপনার ছোট মগজে যা এসেছে সেভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন, ভালো।