![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিরোনাম শুনে অনেকে কপালে চোখ তুলে প্রশ্ন তুলবেন 'নাস্তিক হওয়ার জন্য যোগ্যতা লাগে নাকি? ধর্ম নিয়ে গালাগালি, ব্যাঙ্গ কিংবা লাঞ্ছিত করে কিছু ছবক লিখে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করলে তো নাস্তিকতার সার্টিফিকেট অর্জন করা যায়, এর চাইতে বড় যোগ্যতা কি হতে পারে'?
অনেক নামধারী নাস্তিক ভাই হইতো ভাবতে বিন্দু মাত্র সময় অপচয় করেন নি।।
আসলে নাস্তিকতা কি??
নবম শ্রেণীর নব্য বিজ্ঞান ছাত্রের মত বেগ,সময় কিংবা মাত্রার সংজ্ঞার মত মুখস্ত বলে দেওয়া যায়
Atheism is the rejection of belief in the
existence of deities.
ইংরেজি ‘এইথিজম’(Atheism) শব্দের অর্থ হল
নাস্তিকক্য বা নিরীশ্বরবাদ। এইথিজম শব্দটির
উৎপত্তি হয়েছে গ্রিক ‘এথোস’ শব্দটি থেকে।
শব্দটি সেই সকল মানুষকে নির্দেশ করে যারা ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই বলে মনে করে এবং প্রচলিত ধর্মগুলোর প্রতি অন্ধবিশ্বাস কে যুক্তি দ্বারা ভ্রান্ত বলে প্রমাণ করে।
এখন নব্য নবম শ্রেণীর সেই ছাত্রের কাছে আসা যাক।যখন সে পদার্থ বিজ্ঞানের ক্লাসে যাবে নতুন নতুন সব পদার্থবিদ্যার সংজ্ঞা সে জানতে পারবে। এই সব তার কাছে অনেকটি অবাস্তবতার মত সায় দিবে। সে স্যারকে প্রশ্ন করবে "স্যার কিভাবে দ্রুতি কে সময় দিয়ে ভাগ করলে বেগ পাওয়া যায়? দ্রুতি ও বেগ তো একি জিনিস না, তাহলে কিভাবে ভাগ দেওয়া সম্ভব? আম দিয়ে আমকে ভাগ দেওয়া সম্ভব কুমড়া দিয়ে নই" তখন স্যার এই অবুঝ ছাত্রকে বলবে" যখন উচ্চ ক্লাসে গিয়ে গবেষণা করবে তখন বুঝবে, কিন্তু এগুলো সব সত্য"। সে ছাত্র তোতা পাখির মত তখন বিজ্ঞান বিশ্বাস করতে শিখবে তবে এই নই যে সে বৈজ্ঞানিক।
এখন নাস্তিক বিষয় আসা যাক।আজীবন জ্ঞান সাধনা করে বিজ্ঞান চর্চা করার পর যারা
সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব খুজে না পেয়ে নাস্তিক
হতে বাধ্য হন তাদের মুখে ‘আমি নাস্তিক’
কথাটি কিছুটা মানায় বটে, কারণ তিনি অনেক
খুজেও তাকে পাননি। কিন্তু আমাদের দেশে
বিশেষত ভারতে কিছু কিছু জ্ঞানী
নামধারী ব্যক্তি আছেন যারা নিজেদেরকে
নাস্তিক বলে পরিচয় দেন এবং মুক্ত
চিন্তার মানুষ বলে ভাবেন। তারা কেবল
অতীতের কিছু ব্যর্থ মনিষীর এবং দার্শনিকের
উচ্চারিত অভিযোগগুলিকে আবারও তুলে ধরেন এবং নিজেদেরকে নাস্তিক ব’লে পরিচয় দিয়ে
আত্বতৃপ্তি লাভ করেন। ভাবখানা বর্তমানে
এমন হয়ে যে এরূপ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে
নিজেকে নাস্তিক বলে চিহ্নিত করাটা একটা
ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। ফলে এখন
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলে, চিন্তাশীল কবি-
সাহিত্যিক লেখক ‘চিন্তাবিদ’ হলে নিজেকে
আস্তিক বলে চিহ্নিত করাটা যেন তাদের
কাছে এটি একটি বিরাট লজ্জাকর কাজ বলে
মনে হয়। ধর্মের ‘গাজাখুরি গল্প এবং পৌরানিক
কাহিনীগাথা’ তাদেরকে রীতিমত ‘মন- গড়া
বানোয়াট কাহিনী পুরনো প্রত্নতাত্বিক গন্ধ
দেয়’। ধর্মের নামধারী কিছু কিছু পৌরানিক
গাথা কাল্পনিক ভিত্তি বিশ্লেষন করে তারা
যে- সিদ্ধান্তে উপনিত হন, তার সালে
প্রত্নতাত্বিক অনুষঙ্গ টেনে তারা সব ধর্মের
ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করতে সচেষ্ট হয়ে উঠেন।
তাহলে তাদের কি নাস্তিক বলা যায়?? তাদের আচরণ ওই নব্য নবম শ্রেণীর ছাত্রের মত যে বিজ্ঞানের কয়েকটিমাত্র সংজ্ঞা মুখস্ত করছে তার মানি এই নই সে বৈজ্ঞানিক। কিছু ব্যর্থ মনিষীর এবং দার্শনিকের বই কিংবা অভিযোগগুলো মুখস্ত করে কি নাস্তিক হওয়া যায়??
বলব আগে নাস্তিক হয়ে আসুন তারপর আমরা আস্তিকের সাথে তর্কে বসেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০
কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: ভালো বলেছেন