নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন সোশ্যাল ওয়ার্কার, লেখা লেখি করতে ভালো লাগে। আমি লাইফ স্টাইল এবং ঘড় বাড়ির ডিজাইন নিয়ে লিখতে পছন্দ করি। ইন্টরিয়র ডিজাইন বিষয়ে সব কিছু আমার মধ্যে পাবেন।

মো: ইমরান হোসেন

আজ না অন্য দিন লিখব ....

মো: ইমরান হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে কোন উদ্যোগ আছে কি?

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৩৭

গত কালকে আমি আমার ১৪ তম বার ব্লাড ডোনেটে গিয়েছিলাম বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনে,

এর ব্লাড দিয়েও কখনো এত মন খারাপ হয়নি এবার ব্লাড দিয়ে গিয়ে আমার যতটা মন খারাপ হয়েছিলো। এর আগে অনেক রোগীকেই ব্লাড দিয়ছিলাম যারা হয়ত খুব মুমূর্ষ অবস্থায় ছিলো বা কিছুদিন পরে মারাই গেছে অথবা সুস্থ্য হয়ে এখন সুন্দর জীবন যাপন করছে। কিন্তু এবারই প্রথম আমি এমন এক রোগীকে ব্লাড দিয়েছি সে জানেইনা তার জীবনটা এমন কেন? তার দোষ কি কেন সে এমন রোগ নিয়ে পৃথিবীতে এসেছে। সে আদৌ কোনদিন সুস্থ হবে কিনা। এর আগে আমি কখনো থ্যালাসেমিয়া রোগীকে ব্লাড দেই নাই অন্য ডোনার ম্যানেজ করে দিয়েছি।
আমার নানার বাড়ির এক মামা ছিলো যাকে চিনতাম এভাবেই যে এই লোককে প্রতি মাসে ব্লাড নিতে হয়। উনি কখনো সাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারতেন না। আমাদের মত স্বাভাবিক জীবন ছিলো না তার। আমি তখন ছোট। জানতাম ঢাকায় এসে উনাকে ব্লাড নিতে হত। প্রাপ্ত বয়স্ক হবার পরেও উনি বিয়ে করননি ধীরে ধীরে জানতে পারলাম উনি এমন এক রোগ নিয়ে বেঁচে আছেন উনি নিজেও জানেন উনি কিছুদিন পর হয়ত মারা যাবেন, এবং মারা গিয়েছেন। ধীরে ধীরে জানতে পারলাম আমার আশে আশে এমন অনেক লোক আছে, এর পর নতুন প্রজন্মের মধ্যে শুরু হলো, অমুক ভাইয়ের ছেলের, অমুক চাচার দুই ছেলের, অমুক আন্টির এক মাত্র ছেলে এই থ্যালাসেমিয়ারোগ নিয়ে বেঁচে আছেন। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ ভাগ অর্থাৎ প্রায় দেড় কোটি নারী-পুরুষ নিজের অজান্তে থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। আমাদের দেশে প্রতি বছর প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে জন্মায়



আমি ভলান্টিয়ার জগতে আসার পর সব চাইতে বেশি ডোনার ম্যানেজ করছি থ্যালাসেমিয়া আর ব্লাড ক্যান্সারের রোগীদের। থ্যালাসেমিয়া রোগীদের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ওষুধ এবং অন্যের কাছ থেকে রক্ত নিয়ে বাঁচতে হয়। এমন অনেক মানুষ আছেন যারা চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে নিজের বাড়ি ঘর জমি জামা হারিয়েছেন কারন প্রতিমাসে একজন রোগীর পিছনে অনেক টাকা খরচ করতে হয়। তারপরেও অভিভাবকরা জানেন না আসলে তার আদরের সন্তানের ভবিষ্যত কি। সত্যিকার অর্থে থ্যালাসেমিয়া রোগের স্থায়ী চিকিৎসা নেই। তাহলে কেন এই মরণব্যাধি রোগ ঠেকাতে কোণ উদ্যোগ নেই? নেই তেমন কোন প্রচারনা, চিকিৎসকদের মধ্যেও নেই কোন উদ্যোগ ইদানিং স্বেচ্চাসেবী সংগঠন গুলো অনলাইনে প্রচার চালানোর কারনে ব্লাড ডোনারদের সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু রোগ প্রতিরোধে নেই সরকারি কোন উদ্যোগ। এভাবেই কতদিন আমাদেরকে শুধু ব্লাড ডোনার ম্যানেজ নিয়েই পড়ে থাকতে হবে! আমরা কেন রোগ প্রতিরোধে এগিয়ে আসছি না??? এইডস সহ অন্য রোগ গুলোকে যেভাবে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে এই রোগ নিয়ে তেমন কোণ সামাজিক উদ্যোগ নিয়ে কেনো?

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০৭

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: এখন অনেকেই ব্লাড ডোনার করছেন ।
১৪ বার অনেক কিন্তু । খুব ভালো ।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০৩

মো: ইমরান হোসেন বলেছেন: দোয় করবেন যেন সব সময় শরির সুস্থ থাকে। ধন্যবাদ।

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:২১

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: মহৎ উদ্যোগ

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০৩

মো: ইমরান হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৩১

ইনাম আহমদ বলেছেন: জিনেটিক ডিফেক্ট সারানোর মতো উন্নত মনে হয় চিকিৎসাবিজ্ঞান এখনো হয়ে ওঠেনি।
আশা করি একদিন এই রোগের চিকিৎসা আবিষ্কার হোক। অপরের আশায় বেঁচে থাকাটা খুবই যন্ত্রণাদায়ক হওয়ার কথা। :(

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০৫

মো: ইমরান হোসেন বলেছেন: সচেতন হলে রোগট কমে যাবে। আমি কয়েকজন রোগীকে পেয়েছি যাদের মা-বা খুব নিকট আত্মীয়।

৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৩৯

প্রতিভাবান অলস বলেছেন: অন্যের রক্তে বেঁচে থাকা যে কি কষ্টের তা কেবল ভুক্তভুগী ই জানে !
এভাবেই রক্ত দান করে যান । শুভকামনা রইলো ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০৩

মো: ইমরান হোসেন বলেছেন: যতদিন সুস্থভাবে বাঁচবো ব্লাড দিয়ে যাব কিন্তু থ্যালেসেমিয়া রোগ প্রতিরোধ না করা গেলে এটা ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়বে।

৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:০০

কাতিআশা বলেছেন: আপনার লেখাটি পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল..আমার অতি প্রিয় ভাগ্নেটার জীবন শেষ হয়ে গিয়েছে এই রোগের কবলে পরে!

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০৪

মো: ইমরান হোসেন বলেছেন: থ্যালাসেমিয়া রোগের কথা মনে পড়লেই আমার মন খারাপ হয়ে যায়, মানুষটা জীবন্ত লাশ হয়ে বেঁচে থাকে।

৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:০৩

কল্পদ্রুম বলেছেন: বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগী বোধহয় চট্টগ্রামে।ব্যাপারটা জেনেটিক।প্রতিরোধের একটাই উপায় বিস্তার রোধ করা।আপনাকে সাধুবাদ এই ভালো কাজের জন্য।অন্যকেও প্রতি তিন মাস পর পর রক্ত দানের জন্য উৎসাহ দিয়ে যান।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

মো: ইমরান হোসেন বলেছেন: জ্বি আমি অবশ্যই সেটা করছি। রোগের বিস্তর রোধ করার জন্য প্রচার প্রচারনা চালাতে হবে তাই সবাইকে এর ভয়াবহতা নিয়ে প্রচার করে জনসচেতনতা করতে হবে।

৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৪২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো। ব্লাড ডোনেট অনেক মহৎ একটা কাজ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০৬

মো: ইমরান হোসেন বলেছেন: দোয়া করবেন যেন সুস্থ থাকি সব সময়। ধন্যবাদ।

৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: শুধু মাত্র থ্যালাসমিয়া আক্রান্ত বাচ্চাদের জন্যে আমি আমার রক্ত দান করতে চাই নিয়মিত। এখন আমি কিভাবে এটা করতে পারি বলবেন ভাই? আমি একজন স্মোকার, এক্ষেত্রে আমি কি ওদের রক্তদিতে পারবো?

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪

মো: ইমরান হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ভাই। স্মোকিং ব্লাড ডোনেটে সমস্যা করে না। আপনি সুস্থ থাকলেই হবে, আপনি https://www.facebook.com/groups/DHTBangladesh/ এ যুক্ত হতে পারেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.