![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেহরানুস এখন মেহরান নাম নিয়ে সবার কাছে ছেলে হিসেবে পরিচিত
বিবিসি
...................................................................................................
আফগানিস্তানের রাস্তাঘাট-বিপণিবিতানে যত ছেলেশিশু দেখা যায়, তাদের অনেকেই আসলে ‘ছেলে’ নয়। রাজপথে, বাজারে পানি ও চুইংগামের মতো বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সী ‘ছেলেদের’ অনেকেই আসলে মেয়ে। চুল কাটার ধরন, পোশাক-আশাকে ছেলে মনে হলেও তারা মেয়ে। বাহ্যিক এ পরিবর্তনের কারণে ছেলেদের সমান স্বাধীনতা ও চলাফেরার সুযোগ পায় মেয়েরা।
শুধু আফগান রীতি বা ঐতিহ্যের কারণেই নয়, অনেক পরিবার মেয়েদের ছেলে পরিচয়ে বড় করে অর্থনৈতিক সচ্ছলতার আশায়। তবে সারা জীবন তারা ‘ছেলে’ পরিচয়ে কাজ করে না।
সাধারণত ১৭-১৮ বছর পর্যন্ত ‘ছেলে’ পরিচয়ে থাকার পর তারা আবার ‘মেয়ে’ হয়ে যায়। ছেলে হিসেবে কাজ করার পর অনেক মেয়ের ভেতরেই তখন আর ‘মেয়েলি’ স্বভাব থাকে না। এ কারণে অনেকে শেষ পর্যন্ত আর বিয়ে করতে আগ্রহী হন না।
শৈশবে পরিবারের ইচ্ছার বলি হয়ে মেয়ে হয়েও এভাবে ছেলেদের মতো বড় হওয়ার বিষয়টিকে অমানবিক বলছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।
আফগানিস্তানের পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য আজিতা রাফাত তাঁর চতুর্থ মেয়েকে বড় করছেন ছেলে হিসেবে। মেয়েটি স্কুলে যায় ছেলেদের পোশাক পরে। চুল কাটা হয়েছে ছেলেদের মতো। তার প্রকৃত নাম মেহেরুন্নেসা। যদিও স্কুলের বন্ধুরা তাকে জানবে মেহেরান হিসেবে।
বিস্ময়কর হচ্ছে সাবেক এই নারী সাংসদ আজিতা রাফাত নিজেও বড় হয়েছেন ছেলে হিসেবে। তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় ছেলে পরিচয়ে বড় হয়েছি আমি এবং বাবার সঙ্গে মাঠে কাজ করেছি।’
আফগানিস্তানে মেয়েদের ছেলে পরিচয়ে বড় হওয়া মোটেও অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। একটি নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত অনেক মেয়ে ছেলে-পরিচয়ে শুধু বড়ই হয় না, পরিবারের অর্থনৈতিক সহায়তায়ও ভূমিকা রাখে। কিন্তু বিপত্তিটা বাধে শুধু বিয়ের আগে। তখন হঠাৎ করেই ‘ছেলে’ থেকে আবার ‘মেয়ে’ হতে হয়।
আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফের বিখ্যাত কেন্দ্রীয় নীল মসজিদের ইমাম আতিকুল্লাহ আনসারি জানান, যেসব পরিবারে ছেলে-সন্তান নেই, মা-বাবারা তাঁদের মেয়েদের ‘ছেলের’ ছদ্মবেশ ধারণ করান সৌভাগ্যের আশায়, যাতে স্রষ্টা তাঁদের ছেলে-সন্তান দান করেন।
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ বাখের নারী অধিকার বিভাগের প্রধান ফারিবা মজিদ বড় হয়েছেন ‘ছেলে’ পরিচয়ে। স্কুলে তাঁর নাম ছিল ওয়াহিদ। তিনি বলেন, ‘আমি ছিলাম আমাদের পরিবারের তৃতীয় মেয়ে। জন্মের পর মা-বাবা সিদ্ধান্ত নেন, আমাকে ছেলে হিসেবে বড় করবেন। এরপর আমি বাবার সঙ্গে দোকানে কাজ করেছি। পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য একাকী কাবুল পর্যন্ত গিয়েছি।’ বিবিসি
প্রথম আলো থেকে নেয়া-
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:০০
এস এম শাখওয়াত আহমেদ বলেছেন:

দুনিয়ার সবাই পোলা চায়.....................।
খালি পোলা হইলে মানুষেরতো বিলুপ্তি ঘটবে......................