নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকের দিনই শেষ দিন মনে করতে হবে..কারন হঠাৎ করেই একদিন মরতে হবে.. কেয়ামত পর্যন্ত কবরে থাকতে হবে.. হাশরের মাঠে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হতে হবে.. জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত কর্মকান্ডের হিসাব দিতে হবে.. পুলসিরাত পার হতে হবে.. তারপর....... জান্নাত অথবা জাহান্নামই হবে আসল ঠিকানা....
মা-বাবার কাছে সন্তান হচ্ছে শ্রেষ্ট ধন। কলিজার টুকরা। সন্তান জন্মের পূর্ব থেকেই মা-বাবাকে কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে হয়। নয় মাস দশ দিন সন্তানকে পেটে ধারন করে মাকে সংসারের যাবতীয় কাজ করতে হয়। সন্তানের ফুটফুটে মুখ দেখার জন্য বাবা অপেক্ষায় থাকে। আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে সন্তান দুনিয়ায় আগমন করলে মা-বাবা ও পরিবারে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। মায়ের সেবায় সন্তান আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। আর বাবা সন্তানদের জন্য যা যা দরকার তার ব্যবস্থা করতে প্রস্তুত থাকে। তারপর সন্তান চার/পাঁচ বছর বয়সে স্কুলে যায়। মা-বাবা সন্তানকে সুশিক্ষিত করার জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করে থাকে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যায়ল শেষ করে কর্ম জীবনে সন্তানকে প্রবেশ করিয়ে বা মেয়ে হলে যোগ্য পাত্রের হাতে তুলে দিয়ে মা-বাবা একটু বিশ্রাম নিতে চায়।
একটি সন্তানকে তৈরী করতে মা-বাবাকে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়। অনেক অর্থকড়ি খরচ করতে হয়। অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। আর সেই সন্তান একসময় বিয়ে করে বউ নিয়ে আলাদা থাকে। মা-বাবাকে বোঝা মনে করে গ্রামের বাড়ীতে রেখে বউ নিয়ে শহরে পাড়ি দেয়। প্রতি মাসে মা-বাবার জন্য কিছু টাকা পাঠিয়েই দিয়ে দায়িত্ব শেষ মনে করেছে মনে করে থাকে। অনেকে মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেয়। এই রকম দৃশ্য আমাদের সমাজে দেখতে পাচ্ছি। এ ছাড়া আধুনিক সমাজে মা-বাবার সাথে সন্তানের দুরত্ব বাড়ছে। যৌথ পরিবার ব্যবস্থা ভেঙ্গে যাচ্ছে।
শিক্ষিত সন্তানেরা মা-বাবাকে গ্রামের বাড়ীতে বা বৃদ্ধাশ্রমে রেখে রেখে কিভাবে বউ নিয়ে শহরের বসবাস করছে? তাদের কি একবারও মা-বাবার পরিশ্রমের কথা, ছোট বেলায় তাদের লালন পালনের কথা মনে পড়ে না? আমরা এখন কোন সমাজে বসবাস করছি? যাদের উছিলায় আজ আমরা দুনিয়াতে বীরদর্পে হেটে বেড়াচ্ছি তাদেরকে এত অবহেলা করছি কেন? একবারও কি ভেবে দেখেছেন এই অবহেলার চিত্র একসময় আমাদের জীবনেও আসতে পারে। এক সময় আমাদের সন্তানেরাও আমাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে অথবা গ্রামের বাড়ীতে রেখে আসবে। তখন কেমন লাগবে? মনে রাখবেন, মাতা-পিতাকে কষ্ট দেবার ফল মৃত্যুর পূর্বেই ভোগ করতে হবে।
হে ভাই ও বোনেরা! আসুন, যেখানেই থাকি না কেন মা-বাবাকে সাথে নিয়ে থাকার চেষ্টা করি। ছেলে হলে অবশ্যই মা-বাবা-স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে এক সাথে বসবাস করব। আর মেয়ে হলে বিবাহিত জীবন থেকেও মা-বাবার সেবা করা যায়। নিয়মিত মা-বাবার সাথে যোগাযোগ রাখি। প্রবাসী হলে অবশ্যই প্রতি সপ্তাহে মা-বাবার সাথে ফোনে কথা বলি। হে আল্লাহ আমাদেরকে মা-বাবার সেবার করা তওফিক দান করুন। আমিন
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৭
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
হে আল্লাহ আমাদেরকে মা-বাবার সেবার করা তওফিক দান করুন। আমীন!