![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
… বাঙালী! একজন গর্বিত বাঙালি।
মৌলবাদীরা ইসলাম কে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে যে, নিজের ধর্ম ইসলাম বলতেও সংকোচ হয়। জিহাদের লক্ষ্য আসলে কি? জিহাদের লক্ষ্য কি এটা নয় যে, ইসলাম কে সর্বত্র এমন ভাবে ছড়িয়ে দেয়া যাতে বিধর্মীরা নিজে থেকে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহন করে? বর্তমানে আইএস এবং দেশিয় মৌলবাদির তথাকথিত জিহাদের মূল লক্ষ্য যে এটা নয় তা বলাই বাহুল্য। বিভিন্ন ব্লগ ও সামাজিক যোগাযোগ সাইট গুলোতে ব্লগার ও লেখক অভিজিত রায়ের হত্যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। আমি আমার এই লেখায় বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে শিরোনাম উল্লিখিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।
প্রথমে আলোচনা করা যাক, আসলে নাস্তিকতা কি?
নাস্তিকতা হচ্ছে সত্য ঈশ্বরের খোজ করা। পৃথিবীতে যেসকল ধর্ম প্রচলিত আছে তাদের মধ্যে কোনটি সত্য অর্থাৎ ঈশ্বর কর্তৃক প্রদত্ত সত্য ধর্মের খোজ করাই নাস্তিকতার মূল উদ্দেশ্য। যারা নাস্তিক তাদের যদি আমরা যেকোন ধর্মাবলম্বীর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখি তবে তাদের কাজ অতি ঘৃণ্য মনে হবে কারণ আমরা যেসকল ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছি তাদের অস্তিত নিয়ে নাস্তিকরা প্রশ্ন তোলে।
ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী সবাই জানেন যে, আমাদের নবি-রাসূল গণ যখন আল্লাহ প্রদত্ত ধর্ম প্রচার শুরু করেছিলে্, তখন তারা প্রচুর বাধাপ্রাপ্ত হন এমনকি তাদের হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছিল। তাদের প্রত্যেকের জন্মস্থলে বিভিন্ন বিকৃত ধর্ম প্রচলিত ছিল। ফলে নবী রাসূরগণ সত্য ধর্ম প্রচার শুরু করলে কাফেররা তাদের নাস্তিক মনে করা শুরু করে কারণ তাদের ধর্মের কথা কাফের দের মধ্যে প্রচলিত ধর্মের বিরোধী ছিল। কাফেরদের দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের নাস্তিক মনে হলেও, নবী-রাসুল গণ সত্যের সন্ধানী ছিলেন বলেই সত্য ধর্মের সন্ধান পেয়েছিলেন। তাহলে বর্তমান সময়ে কেউ যদি সত্যের সন্ধানী হয় এবং আমরা তাদের খুন করি তবে আমরা কি কাফেরদের অনুসরণ করব না?
*আমি নাস্তিক দের অবশ্যই নবী-রাসুল বলছি না। কারণ আমার বিশ্বাস অনুযায়ী ইসলাম পরিপূর্ণ ধর্ম এবং নতুন নবী বা রাসুল আসার কোন সম্ভাবনা নেই। আমি শুধু বলছি নাস্তিকরা যদি সত্য সন্ধানী হয় তাতে আমি দোষের কিছু দেখি না।
এখন অভিজিত রায় কতটুকু নাস্তিক ছিলেন এবং কতটুকু ইসলাম বিদ্বেষী ছিলেন তা তার বিভিন্ন লেখা পড়লেই বোঝা যায়। যা হোক আমি আর মৃত মানুষ নিয়ে কথা বাড়াবো না। একটা ঘটনা মনে পড়ল। আমার সাথে এক নাস্তিকের আলোচনার কোন এক পর্যায়ে আমি তাকে বলেছিলাম যে, সে তো পরকালে বিশ্বাস করে না। এখন যদি আসলেই পরকাল বলে কিছু না থাকে তবে আমিও বেচে যাব, সেও বেচে যাবে। কিন্তু যদি পরকাল থাকে তবে আমি বেচে গেলেও তার অবস্থা যে কি হবে তার উত্তর আমি নাস্তিক ভাইয়ের কাছে পাই নি। তো অভিজিতের মৃত্যুর পর তার অনেক অনুসারী দেখলাম বলছে যে, “অভিজিত ভাই, যেখানেই থাক সুখে থাক”। এটা কি অতি হাস্যকর না? নাস্তিকদের তো কোন পরকাল নেই। তাহলে অভিজিত ভাইয়ের কোন জায়গায় থাকার তো প্রশ্নই আসে না।
যাই হোক, আমি আমার লেখার শেষ অংশে আলোচনা করব নাস্তিক হত্যা সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?
And it has already come
down to you in the Book
that when you hear the
verses of Allah [recited],
they are denied [by them]
and ridiculed; so do not
sit
with them until they
enter
into another conversation.
Indeed, you would then
be like them. Indeed Allah
will gather the hypocrites
and disbelievers in Hell all
together -
Surat An-Nisā'
-
(The
Women) ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ
And be patient over what
they say and avoid them
with gracious avoidance.
Surat Al-Muzzammil
-
(The
Enshrouded One) ﺳﻮﺭﺓ
ﺍﻟﻤﺰﻣﻞ
::
"The Messenger of Allah and his Companions used to forgive the idolaters and the followers of the book (Jews and Christians), as Allah had commanded them, and they used to show patience on hearing hurtful words." (Report in Bukhari.)
অনুবাদঃ
Sura Muzammel ( 73--10 )
কাফেররা যা বলে,
তজ্জন্যে আপনি সবর
করুন
এবং সুন্দরভাবে তাদেরকে পরিহার করে চলুন।
Surah Nisa verse 140
আর
কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই
হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ
না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন।
অর্থাৎ ইসলামে নাস্তিক হত্যার নির্দেশ দেয়ার কথা তো বলা নেই, বরং তাদের এড়িয়ে চলার কথা বলা হয়েছে। যারা মনে করে ইসলামে নাস্তিক হত্যার কথা বলা হয়েছে তারা সাধারণত নিচে উল্লিখিত আয়াতের উল্লেখ করবে –
Surah Ahzab:
And [mention, O
Muhammad], when We
took from the prophets
their covenant and from
you and from Noah and
Abraham and Moses and
Jesus, the son of Mary; and
We took from them a
solemn covenant.
33:8
That He may question the
truthful about their truth.
And He has prepared for
the disbelievers a painful
punishment.
33:9
সমস্যা হল উক্ত আয়াত গুলো সুরা আহযাব এর। এবং সূরা আহযাব মূলত আহযাব যুদ্ধের ঘটনার উপর প্রবর্তিত। এখানে মোহাম্মদ সা. কে খাইবার এর নাস্তিক দের প্রতি কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ তা’আলা। কিন্তু তবুও হত্যার কথা কোথাও পাই নি।
ইসলাম শান্তির ধর্ম। হ্যা ইসলাম শান্তির ধর্ম। দয়া করে অহেতুক রক্তপাতে ইসলাম কে দূষিত করবেন না। আল্লাহ আমাদের উপর শান্তি বর্ষিত করুন। আমীন
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২২
এবং অভ্র বলেছেন:
২| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১:০০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: বর্তমানে আইএস এবং দেশিয় মৌলবাদির তথাকথিত জিহাদের মূল লক্ষ্য যে এটা নয় তা বলাই বাহুল্য।
০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:১১
এবং অভ্র বলেছেন:
৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩৭
কিটক্যট বলেছেন: ভালো লিখছেন যাযাকাল্লাহু খাইর
১৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৪৩
এবং অভ্র বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৪
শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: এখন অভিজিত রায় কতটুকু নাস্তিক ছিলেন এবং কতটুকু ইসলাম বিদ্বেষী ছিলেন তা তার বিভিন্ন লেখা পড়লেই বোঝা যায়।
ওনার ব্লগটা একটু খুলে দিন না? তার আগের লেখাগুলি কাটাছেড়া না করে।