![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অজানা গন্তব্যহীন পথে হঠাৎ নানা ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ উদ্দ্যেশ্যের জন্ম হয় নিজের মাঝে, । সেই গন্তব্যহীন পথে নানা নতুন নতুন উদ্দ্যেশ্যের পিছনে আমার ছুটে চলা, আমার বিরামহীন পথ চলা।
জামায়ত এবং জামায়াতের ছাত্র সংগঠন শিবিরের নানান জায়গায় হামলা চারদিক থেকে শুনা যায়। গতকাল দেখলাম, রামপুরায় জামাতের হামলা। আজ আবার দেখলাম রাজশাহীতে পুলিশের উপর শিবিরের হামলা। চারদিক থেকে এত হামলা, জামাত সারা দেশে তান্ডব দেখাতে চায়। তার প্রমান সরুপ তারা কিছু দেখাচ্ছে বলে মনে হয়। জামাযাত ভিত্তিক কিছু মিডিয়া নানান ভাবে মানুষকে ভিব্রান্তিমূলক নানা তথ্য প্রচার করছে। তাদেরকে বলতে শুনি, জামায়েত নেতা যুদ্ধাপরাধিদের বিচার হলে সারা দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হবে। ইদানীং প্রায়ই মানুষকেও বলতে শুনি, জামায়েতের নেতাদের উপর হামলা ঞলে সারাদেশে তান্ডব সৃষ্টি করবে জামায়াত।
এত ঘটনা শুনার পর দেখার পর জানতে ইচ্ছে করে এসব হামলার উ্যসটা কি। জামায়েতর কি আসলেই এত শক্তি আছে যে তারা একটা দেশ অচল করে দিবে। দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। বুঝতে পারছিনা জামায়তের ভয়ে আমরা কি ভিত হয়ে যাচ্ছি নাকি জামাত আমাদের ভীত বানানোর চেষ্ঠা করছে ।
আমি সব সময় বলি যারা শিবির বা জামাত করে তাদের সবাই এক না। তারা সবাই খারাপও না। তারা আমাদের বন্ধুবান্ধব, আমাদের ভাই। অনেকে আছে তারা না জেনে শিবির করে। না বুঝে আমি নিজও এক সময় শিবির করতাম>। আল্লাহর কাছে লাখ শুকরিয়া, আমি জামাযতের ভন্ডামী সব দেখেছি। তারা সব ভদ্রতার আড়ালে ভন্ড। তারা কেন ভন্ড বা তাদের মাঝে যে ইসলাম নেই তার সে সব যুক্তি আজ আর দিব না।
দয়াল নবী বলেন, শেষ জামানায় কিছু আলেম থাকবে যাদের কন্ঠ হবে সুমধুর, কিন্তু তাদের ইমান থাকবে না। যারা কোরানের তাফসির করেন তাদের চোখে মুখে নুরের সৃষ্টি হয়। অথচ জামাতের আলেমদের চেহারা দেখেন, দিনদিন সাইদির চোখ ভিতরের দিকে যাচ্ছে।
কিছুদিন আগে সাইদির সেক্র স্কেণ্ডালও আমরা দেখলাম। আমাদের অনেকে হয়তো বিশ্বাস করবে না। এক্ষেত্র শুধু একটা কথা বলি প্রিয়ার চোখে প্রিয় সব সময় অদ্বিতীয়। যারা সাইদিকে ভালবাসে তারা বিশ্বাস করতে কষ্ঠ হবে। কিন্তু আমাদের সত্য জানার মানষিকতা থাকা দরকার। আমাাদের এলাকায় প্রতি বছর জনাব সাইদি মাহফিল করতেন। আমি নিজও গিয়েছি। প্রতি বছর দেখতাম তিনি হিন্দুকে মুসলমান করতরছেন। অথচ একজনকেও আজও দেখলাম না যে সাইদির কাছে গিয়ে মুসলমান হয়েছেন। এরা সব ভন্ডামী করে। এরা শিবিরের কিছু কর্মীদের হিন্দু সাজিয়ে মুসলমান করান। এটাই পিছনের সত্য।
যুদ্ধাপরাধ নিয়ে আমরা অনেক কথা শুনি. অনেকে বলেন এটা এত পরে কেন? কেন ৪১ বছর পার হয়ে গেল? এ প্রশ্ন আমারও। তবে এটা বুঝি, বিচার যে কোন সময় হতে পারে। ২য় বিশ্বযু্দ্ধের বিচার এখনো হচ্ছে।
বর্তমান সময়ে এখনো নিয়মিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অপরাধীদের পাওয়া মাত্র আপিল-বিহীন বিচারের সম্মুখীন করে দেওয়া হচ্ছে কারাদণ্ড। অনেককে বলতে শুনি, গোলাম আজব একজন বৃদ্ধ, তার বিচার না কললে হয় না। তাদের বলি, ২য বিশ্বযুদ্ধের , ৯১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে কারাদণ্ড দেওয়া খবর আমরা জানি ।
একজন মুক্তিযু্দ্ধার ছেলে. আমার প্রিয় বন্ধু, মিশন, সেদিন আমাকে বলেছিল, সে এ বিচার চায়না, কারন যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের ছেলে মেয়েরা এখন প্রতিষ্ঠিত। এদের বিচার হলে তাদের ছেলে মেয়েরা দেশের জন্য কাজ করবে না। জবাবে আমি বলেছিলাম , আপনার বাবাকে কেউ যদি খুন করে, আপনি কি করবেন। যতদিন আপনি বেচে থাকবেন, তাদের ধ্বংস কামনা করবেন। এটাই স্বাবাভিক। আমাদের সবকিছুতে নিজের করে ভাবা দরকার তবেই উত্তর পাওয়া যাবে।
ইসলামের দোহাই দিয়ে তারা রাজণীতি করে,তাছাড়া আমাদের ৯০ ভাগ লোক মুসলমান। তাই ইসলাম এই অপরাদকে সমর্থস করে কি না আমাদের জানা দরকার। পবিত্র কুরআনের সূরা মায়িদার ৪৫ নং আয়াতে এবং সূরা বাক্বারা আয়াত নম্বর ১৭৮, ১৭৯ বলা হয় , যতক্ষণ পর্যন্ত না ক্ষতিগ্রস্থের পরিবার অপরাধকারীকে ক্ষমা না করে ততক্ষণ পর্যন্ত অপরাধীর গুনাহ মাফ হচ্ছে না এবং অপরাধীর বিচার করতে হবে ক্ষতিগ্রস্থনের উপর কৃত অপরাধের ভিত্তিতেই। আর যারা এই বিচার মানবে না তারা গণ্য হবে জালিম হিসেবে।
আরেকটা উদাহরন দেই, ভুল হাদিস বলা বড় গুনাহের কাজ। আমার এ মূহর্তে মনে নাই কোন যু্দ্ধ, শুধু ঘটনাটা বলি, যুদ্ধে অনেককে আটক করা হল, দয়াল নবীর উপস্থিতিতে তাদের কাউকে মুক্তিপন দিয়ে ছেড়ে দেয়া হল। আর যারা মুক্তিপন দিতে পারেনি, তাদের আটক রেখে , তাদের দিয়ে কাজ করিয়ে, তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। দেখলাম, দয়াল নবীর যুগেও এ অপরাধের বিচার হয়েছে। বলি ইসলামের দোহাই দিয়ে আনারা পার পাবেন না।
জামায়াত নানা ভাবে আামাদের ভয় দেখাচ্ছে, বলি ভয়ের কিছুই নাই। এরা বারবার বহুরূপে এসেছে। কথনো জেএমভি, হরকাতুল মুজাহিদ, নানা নাম তাদের। তারা নাকি দেশ ধ্বংস করবে। কিছুই হয় নাই আমাদের। এদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিতে সহায়তা করা আমাদের অবশ্য কর্তব্য।। জামাযাতের এত হুমকীর উংস আমাদের জানা দরকার, এর বিরু্দধে এখনি ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৯
দাদুভাই বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৫
নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: ভাল লাগছে । সুন্দর বলছেন । প্লাছ দিচ্ছি এবং শুভ কামনা রেখে যাচ্ছি ।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৯
দাদুভাই বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২২
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: এরা বারবার বহুরূপে এসেছে। কথনো জেএমভি, হরকাতুল মুজাহিদ, নানা নাম তাদের। তারা নাকি দেশ ধ্বংস করবে। কিছুই হয় নাই আমাদের। এদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিতে সহায়তা করা আমাদের অবশ্য কর্তব্য।
ভালো লাগলো অনেক।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৯
দাদুভাই বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৫২
নিষ্কর্মা বলেছেন:
আগামীতে এরা ক্ষমতায় গেলে কি কি বলবে তার একটা ধারনা পেতে নীচে লিংকে যান।
Click This Link
আমি কয়েকজন শিবিরকে পড়ার জন্য দিলাম, তাদের একজন বলল যে এই লেখকের মন মানসিকতা অনেক নীচের, তিনি সত্যকে গ্রহন করতে চান না, পারেন না। তিনি সত্য হাদিস বলতে পারেন নাই!
আমি একটু আশ্চর্য হলাম! কেননা প্রতিটি হাদিস যথার্থ বলেই আমি জানি, আর এর স্বপক্ষে অনেক দলি আছে। সমস্যা হচ্ছে জামাতিদের। তারা তাদের ইচ্ছা মত এতকাল ধর্মকে ব্যবহার করে এসেছে, ব্যাখ্যা করেছে। কিন্তু ধর্মের ভেতরেই যে তাদের শাস্তির বিধান আছে, সেইটা তাদের চোখে পড়ে নাই।
তার উপরে সামান্য একটা কথোপকথন ফাঁস হয়ে তারা আছে ভীষণ বিপদে। তাদের আগেরবারে হ্যাক করে প্রচার করা বিচারপতিদের সংলাপের প্রতিক্রিয়া এই টেপ ফাঁস হয়ার পরে চাপা পড়ে গেছে। যারা অন-লাইনে আছেন বা থাকেন, এবং যারা একটু সংবাদ প্রবাহ অনুসরন করেন, তাঁদের কাছে জামাতিদের গোমর আরেকটু বেশী ফাঁস হয়ে গেল।
ধর্মকে সাহাবীরা বা তাবে-তাবেঈনগণ ব্যবসার হাতিয়ার করেন নাই। কিন্তু গুয়াজম-সাঈদি-নিজামিরা তাই করেছে। তাই আজ আমাদের দেশে ইসলামের এই দূর্দশা। কিন্তু জামাতের কথা হচ্ছে, তারাই ইসলাম, তারাই ঈমান! বুলবুলে বাগিচা ভন্ড আল্লামারা আর কত আমাদের অন্ধকারে রাখবে? আর কতবার বোকা বনতে হবে এই সব নর-পিশাচদের কারনে?
পৃথিবীর ইতিহাসে পাপীকে তার শাস্তি পাবার জন্য বয়েসের ধুয়া তুলে মাফ করা হয় নাই। আমার প্রশ্ন হল একাত্তরে কি এই সব তথাকথিত আল্লামারা-কাঠ মওলানারা কি কোন বৃদ্ধকে স্বাধীণতার পক্ষে থাকার কারনে হত্যা করতে পিছপা হয়েছিল? ইতিহাস বলে যে হয় নাই।
আজ তারা যতই আস্ফালন করুক না কেন, তাদের আল্লামারা যতই অভিনয়ের মাধ্যমে হিন্দু থেকে মুসলমান বানাবার কাজ করে থাকুন না কেন, বিচার তাদের হবেই। শাস্তি তাদের পেতেই হবে।
গুয়াজম বাংলাদেশ স্বধীনের পরে পালিয়েছি কেন? বুলবুলে বাগিচা পচাত্তর পর্যন্ত কোথায় লুকিয়ে ছিল? নিজামি-মুজাহিদ কোথায় ছিল? দালাল আইনে কারা কারা জেলে ছিল?
একটা রেফারেন্স বইয়ের নাম বলি, পড়ে দেখবেন। মুক্তিযুদ্ধের ঘাতক-দালালরা কে কোথায়? পড়লে এদের সমন্ধে আরো জানতে পারবেন। এই বইটা নতুন করে আবার সবাইকে দেওয়া দরকার। এই বইটা নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার।
গুরুত্বপূর্ণ এই লেখা লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৩
দাদুভাই বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, আমি কতটুকুইবা জানি এটাই সত্য। লেখার কারনটা ছিল, দেখলাম জামাতরা নানা জায়গায় হামলা করছে। আসলে না লিখে পারলাম না। আর এখন তেমন লিখি না বা লেখার পরিবেশ আমার অনুকুলে না। ভালো থাকবেন
৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:১৭
রাফা বলেছেন: অনেকেই এদের আজকের চেহারা দএখে বিভ্রান্তিতে পরে যায়।
বুঝতে পারেনা এরা যখন অপরাধ করেছিলো তখন এরা কেউ যুবক কেউ কিশোর আবার কেউবা পুর্ণ বয়স্ক ছিলো।
এরা পাপিস্ঠা এদের বিচার না কর পর্যন্ত আমরা অসভ্য জাতী হিসেবে বিবেচিত হবো।
ধন্যবাদ
৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৩
দাদুভাই বলেছেন: আপনার সাথে পূর্ন সহমত, আপনাকে ধন্যবাদ
৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৩
ভিটামিন এ বলেছেন:
৯| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪০
দাদুভাই বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৬
লোনলিফাইটার বলেছেন: এই পোস্ট কেউ পড়ে নাই?
সোজা প্রিয়তে গেলো +++