![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অজানা গন্তব্যহীন পথে হঠাৎ নানা ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ উদ্দ্যেশ্যের জন্ম হয় নিজের মাঝে, । সেই গন্তব্যহীন পথে নানা নতুন নতুন উদ্দ্যেশ্যের পিছনে আমার ছুটে চলা, আমার বিরামহীন পথ চলা।
এক সময় পাকিস্থান ক্রিকেট টিমের সাপোর্টার ছিলাম। তাও যেন তেন সাপোর্টার না। পাকিদের খেলা নিয়ে বন্ধুদের সাথে ক্যাচাল লেগে থাকত আমার। উচ্চ মাধ্যমিকের ঘটনা, একবার পাকিরা জয়ী হওয়ায় রেষ্টুরেন্টে সবাইকে খাওয়ালাম। সবই জানতাম পাকি হানাদারের ইতিহাস । পাকিদের জুয়া খেলা। তারপরও আমার আবেগে আমাকে পাকি ক্রিকেট সাপোর্টার থেকে সরার চিন্তাও করতে দিল না। আমার মত এমন অনেক ছোট বড় ছেলে মেয়েদের দেখি যারা পাকিদের সাপোর্টার। তাদের দোষ দেবার কোন উপায়ও পাচ্ছি না। তাদের বেড়ে উঠাটা হয়ত আমার মতই হচ্ছে। যখন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলাম। ইতিহাস জানলাম এবং উপলব্দি করলাম। যে দেশ আমার দেশের সাথে এত জুলুম করল। যে দেশ আমার নিরপরাদ মানুষকে খুন করল। যে দেশ আমার মা বোনের ইজ্বত লুন্ঠন করল, তাদের খেলার প্রতি আমার এ কেমন ভালো লাগা। অনেকে বলবেন, খেলা হল শুধু খেলা। এখানে দেশ বড় কথা না খেলা বড়। আমার যেকোন দেশের খেলা ভালো লাগতে পারে। এটা সত্য তবে যখন একটা দল একটা দেশের প্রতাকা, সন্মান বহন করে, তখন আর সে দেশকে বা পাকি টিমকে সাপোর্ট করা যায় কিনা আপনারা চিন্তা করেন। আমাদের দেশে কিছুদিন আগে দেখলাম, ভার্সিটির ছেলে গালে পাকি ট্যাটো লাগাল। এর কারন আমাদের তরুন প্রযন্মের অনেকে এখনো জানেনা আমাদের ইতিহাস, যারা জানে তারা হয়তো উপলব্দি করতে পারে না। আমাদের এ প্রযন্মের অনেকে এখনো অনেক কিছু না বুঝে করে। শাহবাগের ঘটনা নিয়ে আমরা বলি তরুন প্রযন্ম আজ জেগেছে্ আজ আর জামাতের রক্ষা নাই। বলি সারা বাংলার সচেতন তরুনরা জেগেছে কিন্তু অনেক তরুন এখনো বুঝতেই পারছে না আমাদের আন্দোলনের প্রয়োজনীতা। তারা না বুঝে নানা কথা বলছে। এখনো অনেক তরুন অন্ধকারে। আমাদের সারা বাংলার তরুন যদি জাগে তবে ভন্ড প্রতারক পাকি প্রেমিক রাজাকারদের পাকিস্থান যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। আমাদের তরুনদের অনেকে বিকৃত ইতিহাস আর বিকৃত চিন্তা নিয়েই বড় হচ্ছে। এমনও দেখেছি মুক্তিযুদ্ধার ছেলে শিবির করে। তারা সবাই লোভে পড়ে যায় নাই বরং তাদের ব্রেন ওয়াশ করার মাধ্যমে শিবিরের দলে ভিড়ানো হয়। ইতিহাস বিকৃত হওয়ার কারন নতুন করে বলার দরকার নাই। ইতিহাস সব সময় জয়ীরাই লেখে। ২য় বিশ্ব যুদ্ধে যদি হিটরার জিততো তবে নস্যিদের নিয়ে এত সমালাচনা আর বিচার করার সাহস কারো থাকত না। আমেরিকায় ভিসার জন্য জার্মানীর জন্য ভিসা ফর্মে লিখা থাকে আপনি কি কখনো নৎসি বাহিনীতে প্রত্যক্ষ্য বা পরক্ষ্য ভাবে জড়িত ছিলেন। যদি থাকেন, তবে ভিসা পাবেন না। মানে কি হিটলারকে কোথায় নিয়ে গেল। হিটলার বিশ্বে একটা গালি হিসাবে ধরা হয়। ইরাক যুদ্ধে আমেরিকা বীর আর সাদ্দামকে ইতিহাসের ভিলেন বানানো হল। আমাদের দেশে আমাদের দেশের ৯ মাস যু্দ্ধ, রক্ত আর মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে যে স্বাধিনতা আমরা অর্জন করলাম, তাকে দূষিত করা হল ৭৫ পরবর্তি পরাজিত শক্তিদের বারবার ক্ষমতায় যাওয়ার মধ্য দিয়ে। আমরা আজ যে ইতিহাস পড়ছি তা প্রতি ৫ বছর পরপর পরিবর্তন হয়। এটা কেউ স্বীকার করেন বা না করেন, এক বঙ্গবন্ধুই আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। আজ তাকেও বিতর্কিত করা হচ্ছে। সব দোষ নন্দ ঘোষ, এই রকমই বলার চেষ্টা করা হয়। অথচ এই ইতিহাস বিকৃতকরনে আওয়ামীলীগও কম দায়ী নয়। এরা শুধু বঙ্গবন্ধু নিয়েই পড়ে আছে। বাকি ইতিহাস গায়েব করার চেষ্টা। এখনো দেখি বঙ্গবন্ধুর সাথে মেজর জিয়ার তুলনা করা হয়। অনেকে ভারসাম্য রক্ষার্থে দুদিকে বলেন। এরকম অনেক ঘটনা দেকে শুধু লজ্জা পাওয়া ছাড়া আর কিছু করার নাই। এসব নিয়ে আলোচনা করারা চিন্তা ছিল না তার পরেও না বলে পারলাম না। এখনো আমরা না জেনে না বুঝে চিল্রানি দেই। তরুনদের বলতে শুনি বঙ্গবন্ধু সব যুদ্দাপরাধিদের মাপ করে দেন এখন আবার কিসের বিচার। এখন আর জবাব দেয়ার ইচ্চা করেনা। এদের যেভাবে শিখানো হয়েছে সেভাবেইতো তারা চিল্রানী দিবে। বিকৃত ইতিহাস আর এক ধরনের অন্ধত্ব অনেক তরুনের মাঝে দেখা যায়। আমর দেখা এমন বহুজনকে পেয়েছি , যারা শুধু আমার দেশ, সংগ্রাম আর নয়াদিগন্ত পড়ে আর চিল্লানি দেয়। এদের কিছু বলার নাই। এসব ঘটনার নানা কারণ আছে, নানা দিক আছে্ আজ সামান্য কিছুটা আলোচনা করলাম। আজকের একটা ঘটনা, বেশ কিছুদিনের পরিচিত আমজাদ ভাই। নানা আলোচনা সমালোচনা হয় আমার সাথে। তিনি দেশ-বিদেশ, সমাজনীতি-রাজনীতি সবদিক থেকে পরিপক্কই মনেকরি । আমাকে প্রায়ই তিনি বলেন আমি নাকি এক তরফা লিখি। আমি নাকি শুধু জামাত বিএনপির যু্দ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে লিখি। আমি কেন আওয়ামী রাজাকারের বিরুদ্ধে বলিনা। আজ আবার কথা উঠায়, তাকে জিজ্ঞাস করলাম, আপনি যে আওয়ামী রাজাকারের নামে বলতেছেন, মখা আলমগীর বা হাসিনার বিয়াই। বলেনতো তাদের অপরাদ কী? তারা কেন যুদ্ধাপরাধী। তিনি জানেন না, জনাব মখা যুদ্ধের সময় কি ভূমিকায় ছিল। তিনি কি আল সামস না আল বদর, নাকি কোন সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন। হাসিনার বিয়াই কি আমেরিকায় ছিল না বাবা জমিদার মসাইয়ের শান্তি রক্ষা বাহিনীতে সাহায্য করে বাংলার মানুষকে খুন করে। সমস্যা আমাদের এ জায়গায় একটু বেশী মনে হয়। আমরা আসল না জানার আগেই চিল্লাই। অনেকটা চিলে কান নেয়ার মত ঘটনা বা আমাদের ছোট থেকে যে পরিবেশ বা মানষিকতায় আমরা বড় হয়েছি তাতেই আমরা থাকতে চাই। বেশি কিছু বলার বা জিজ্ঞসা আমর নাই। শুধু সবা্র প্রতি এতটুকু অনুরোধ, সত্য ইতিহাস জানার চেষ্টা করুন। আমাদের ইতিহাসের উপর জুলুম করা হযেছে বা হচ্ছে। তাতে কি অন্তত আমরা তরুনরা অন্তত সত্য জানার চেষ্টা করি, সত্য উপস্থাপন করি। কারো প্ররোচনায় না পড়ে বুঝে শুনে এগিয়ে যাই। এ প্রত্যাশায়
দাদুভাই
এখানে সময় রাত ১.২৭
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫৭
কলাবাগান১ বলেছেন: বলেনতো তাদের অপরাদ কী? তারা কেন যুদ্ধাপরাধী। তিনি জানেন না, জনাব মখা যুদ্ধের সময় কি ভূমিকায় ছিল। তিনি কি আল সামস না আল বদর, নাকি কোন সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন। হাসিনার বিয়াই কি আমেরিকায় ছিল না বাবা জমিদার মসাইয়ের শান্তি রক্ষা বাহিনীতে সাহায্য করে বাংলার মানুষকে খুন করে। সমস্যা আমাদের এ জায়গায় একটু বেশী মনে হয়। আমরা আসল না জানার আগেই চিল্লাই।