নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডাক_পিয়ন

তেমন কিছু বলার নেই.........

জাহাঙ্গীর শুভ

তেমন কিছু বলার নেই..............

জাহাঙ্গীর শুভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাগ্য

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

মানুষ ভাগ্যের উপর নির্ভরশীল হয় তখনই, যখন তার করবার মত কোন উপায় থাকে না কিংবা চিন্তা স্থির হয়ে পরে। ব্যার্থতা বা খারাপ পরিনতি কখনই দুর্ভাগ্য নয়, আবার সফলতাকেও সৌভাগ্য বলার কিছুই নেই। দু’ই কেবল চিন্তা, সিদ্ধান্ত এবং কিছু ক্ষেত্রে চেষ্টার ফল মত্র।



আমাদের জীবনে আকস্মিক এমন অনেক ঘটনাই ঘটে থাকে যা আমরা কখনও আশা করি না কিন্তু ঘটে যাবার পর উপলব্ধি করি। ব্যক্তি জীবনে এর প্রভাব যদি ভাল হয় তবে তা সৌভাগ্য মনে করে পরবর্তী কিছুর জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। খারাপ কিছু হলে তা দূর্ভাগ্য ভেবে নিজেকে শান্তনা দেবার চেষ্টা করি, আবার কখনও ভাগ্য বিধাতাকে দোষ দিতে থাকি। অথচ কখনও এর কারন খোঁজার চেষ্টাটুকু করি না।



আমার বর্তমান ভাবনামতে ভাগ্য বলে একটা শব্দ প্রচলিত থাকলেও এর বাস্তবতা কখনও মেলাতে পারিনি। কারণ এখনও পর্যন্ত ভাগ্যগুণে বা দূর্ভাগ্যবসত কোন কিছু আমার জীবনে ঘটেনি। যা কিছু ঘটেছে তা শুধু আমার চিন্তা, সিদ্ধান্ত এবং কাজের ফলাফল মাত্র। বোধকরি একটু খতিয়ে দেখলে সবার ক্ষেত্রেই এমনটিই লক্ষনিয়।



ভাগ্যকে আরেক ভাবে কর্মফলও বলা যেতে পারে। আমার এই কথাগুলো অনেকের কাছেই অযৌক্তিক কিংবা মনগরা কিছু একটা মনে হতে পারে। তাই একটি রেখা চিত্রের মাধ্যমে এর বাস্তবতা খোঁজার চেষ্টা করেছি





এখানে ক যদি যাত্রা পথ হয় এবং গন্তব্য যদি গ হয় তবে খ এ এসে সিন্ধান্ত নিতে হবে কোন দিকে যেতে হবে। এখানে এসে সব চাইতে বেশি প্রয়জন কিছু সঠিক তথ্য এবং বিচক্ষনতার। যেই তথ্য, যাত্রা শুরু করবার পূর্বেই নিয়ে নেওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু এ স্থানে এসে কোন তথ্য যানা না থাকলে ভূল পথে পা বাড়ানোটাই সাভাবিক। এক্ষেত্রে সবাই ভাগ্যের উপরই নির্ভরশীল হয়ে থাকেন। আসলে ওই মুহুর্তে সিদ্ধান্তহীনতা এবং সঠিক তথ্য না জানা থাকার কারনেই ঘ এ চলে যেতে পারে এটা কেবল কর্মফলই বলা যায়, ভাগ্যের কোন প্রভাব এখানে পরেনি কিন্তু ভুল যায়গায় গিয়ে সবাই ভাগ্যকেই দোষ দিতে থাকি





বেশিরভাগ মানুষেরই মৃত্যু হয় ব্যার্থতা নিয়ে। কারণ কোন মানুষই তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌছাতে পারে না। এর কারণ হচ্ছে সময়ের স্বল্পতা, পরিবেশ পাশাপাশি পারিবারিক এবং সামাজিক অবস্থা। ধরাযাক একজন মানুষের গড় আয়ু ৬০ বৎসর। বেশিরবাগ মানুষই প্রায় ২০ বৎসর পর্যন্ত তার পরিবারের উপর নির্ভশিল হয়ে থাকে। সুতরাং পারিবারিক অবস্থা ভাল হলে তার জন্য মূল লক্ষ্যে পৌছানো অনেকটা সহজ হবার কথা। কিন্তু সে ক্ষেত্রে অনেক কিছুই সময় এবং তার বিচক্ষনতার উপর নির্ভর করে। যেমন পারিবারিক অবস্থান যদি ভাল হয় তবে তার বিচক্ষনতার ফলে ২০ বছরের পরবর্তী সময়গুলো একই গতিতে এগোনোর কথা তাহলে বয়স অনুযায়ী তার সঠিক গন্তব্য হওয়া উচিৎ লক্ষ্য-৩, কিন্তু এর ব্যতিক্রম হলেই সে স্থানে যাওয়া অনেক কষ্টকর হয়ে পরে। এবং তখনই ব্যার্থতা নিয়ে পৃথিবী থেকে চলে যেতে হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.