নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডাক_পিয়ন

তেমন কিছু বলার নেই.........

জাহাঙ্গীর শুভ

তেমন কিছু বলার নেই..............

জাহাঙ্গীর শুভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

Avenger

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩

৭/৮/১৩

কাঁঠাল তলা, মিরপুর, ঢাকা

ভোর ৪.০১ মি:



প্রযুক্তির বেশ উন্নতিই হচ্ছে দিন দিন? সব কিছুই খুব সহজ হয়ে যাচ্ছে। ভেবো না প্রযুক্তির গুনগান গাচ্ছি। এসব করার জন্য আলাদা মানুষ রয়েছে। আমার কাজতো শুধু উপোভোগ করা। একটা সিনেমা দেখব ভাবছিলাম The.Avengers কিন্তু BluRay হওয়ায় সাধারন প্লেয়ারে চলছে না। কনভার্ট দিয়েছি। মনে হচ্ছে বেশ কিছু সময় লাগবে। সেই কখন দিয়েছি মাত্র ৫.৩% হয়েছে।



সময় কাঠছে না, সবকিছু কেমন যেন মূল্যহীন মনে হচ্ছে। আচ্ছা এমন মনে হয় কেন, যান? হয়ত যান, হয়ত যাননা। যাইহোক এ নিয়ে আমার কোন জিজ্ঞাসা নেই। কাল হয়ত চলে যাব। সবকিছুই কেমন যেন অসম্পন্ন মনে হচ্ছে। এখনও রান্না করিনি। সারাদিন খুব ক্ষুধা অনুভব করেছিলাম। রান্না করার মত সবকিছুই ছিল, টাকাও । কিন্তু ইচ্ছে করেই কিছু খাইনি। ওভাবে বলতে চাইলে অনেকটা অলসতাই বলতে পার। যাইহোক খুব ক্ষুধা লেগেছে রান্নাটা চরিয়ে দেই। একটু পরে এসে আবার লিখব। অনেক কথা বলতে ইচ্ছে হচ্ছে....



কলা দিয়ে লইট্টা মাছের সুটকি ভুনা করেছিলাম। “লইট্টা”, কি বিদঘুটে একটা নাম তাই না! অথচ কি দারুন স্বাদ হয়েছিল। খেলে তুমি অনেক প্রসংশা করতে। মনে মনে খুব হাসছো, তাই না? নিজের রান্নার খুব প্রসংশা করছি বলে! এ ‘ক’ বছরে রান্নাটা আমি বেশ ভালই শিখে ফেলেছি। চলচ্চিত্র শিল্প নিয়ে গবেশষনা না করে রন্ধন শিল্প নিয়ে গবেষনা করলে বেশ ভালই হতো কি বল? আর যাই হোক, অন্তত না খেয়ে থাকতে হতোনা কখনও। ক্ষুধা আর ভাল লাগে না বন্ধু। চারপাশ থেকে ক্ষুধা আমাকে ঘিরে ধরেছে। পরিবার, প্রিয়জন এবং পেটের ক্ষুধা। অনেক কষ্ট নিয়ে বেচে আছি। বোধ হয় বিবেগ এবং আবেগ না থাকলে অনেক সুখি হওয়া যেত তাই না বন্ধু?



“লাইম লাইট” একটি স্বপ্নের নাম। অনেক স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম। ভেবেছিলাম এখানথেকে জীবনের সব স্বপ্নগুলোই পুরন হবে। তোমার মনে পরে বন্ধু শেষ কয়েকটি মাস এমন কোন দিন নেই যে তোমার সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। শেষ বার যখন বাড়ি থেকে এসেছিলাম কিছুদিন বেশ ভালই কেটেছিল। গত দের বছর আগে বাড়ি থেকে এসেছিলাম কিছু একটা করব বলে। হচ্ছে হবে বলে অনেক দিন পার হয়ে গেল কিন্তু কিছুই হয়ে উঠছিল না। যখন আর কোন কিছুতে উপায় খুজে পেলাম না তখনই মাথায় এলো লাইমলাইট। তোমার সঙ্গে আলোচনাও করলাম, তুমি রাজি হলে। আমার সব পরিকল্পনার কথা তোমাকে বল্লাম তখন তোমার কাছেও কোন টাকা ছিল না আমার কাছেও ছিল না। তখন রাজু ভাই এবং রাশেদ ভাই সেখানে অনুপস্থিত ছিল। কিন্তু একটা চিন্তাই ছিল আমরা দাড়াব এবং সেটা লাইম লাইট দিয়েই। তোমার মনে পরে বন্ধু আমি বার বারই তোমাকে একটা কথা বলেছিলাম দেয়ালে আমার পিঠ ঠেকে গিয়েছে এটা ছাড়া আমার আর কিছুই করার নেই। তখনও কিন্তু আমি বাড়িতে যাবার কথা একবারের জন্যও ভাবি নি। যেতে হয়নি। বাড়ি গেলে হয়তো অর্থনৈতিক কোন অভাব থাকবে না আমার। কিন্তু সবচেয়ে যে বড় অভাব সেটা কিভাবে পুরন করব।



এইতো কিছুদিন আগেও তুমি তোমার অন্যান্য কাজ নিয়ে খুব বেশি ব্যাস্ত ছিলে। তখন আমিই কেবল তোমাকে লাইমলাইট নিয়ে অনেক জ্বালিয়েছি। সবসময় মাথার মধ্যে শুধু লাইমলাইট। অনেক রাত পার করেছি আমরা। প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে আবার কখনও ভাললাগা থেকে। ইচ্ছে করলেই সারা ঢাকা শহর আমরা ঘুরে বেরিয়েছি রাতের বেলায়। আজ তোমার কাছে কাজ টা অনেক গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠেছে। কাজ ছাড়া তুমি আর কিছু চিন্তাই করতে পারো না তাই না বন্ধু? আসলে জীবনে কাজকে কখনও অবহেলা করতে নেই সে যেই কাজই হোক না কেন। তবে কাজ করতে গিয়ে যদি নিজের ভাললাগা কিংবা বিবেগ কে বিস্বর্জন দিতে হয় তবে সে কাজ কখনই করা উচিৎ নয়।



এখন আমাকে খুব বেখেয়ালী মনে হয় তোমার তাই না বন্ধু? কাজের প্রতি আমার কোন মনযোগ নেই। অথচ এই কথাগুলো কিছুদিন আগে আমিই তোমাকে বলেছি, বন্ধু একটু সিরিয়াস হও। তোমাকে সিরিয়াস করে তুলতে আমার বেশ শ্রম দিতে হয়েছিল। কিন্তু একবারের জন্যও আমি ভেঙ্গে পরিনি।



হঠাৎ বুকটা ধরফর করছে, বোধ হয় হৃদকম্পন বেড়ে উঠেছে। সব কিছু কেমন যেন কৃতিম মনে হচ্ছে।



ফিরে আসা হবে কিনা যানি না। যদি না আসি তবে ধরে নিও আমার সকল ভাললাগাকে বিস্বর্জন দিয়েই চলে গেলাম। ঢাকায় এসেছিলাম অনেক স্বপ্ন নিয়ে। চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করব। অনেক বড় পরিচালক হবো। সেতো আর হলো না। তাতে কি তুমিতো আছো, তুমি কিছু করলে সেটাকি আমার বলে মনে করতে পারব না? নাকি সেটুকুও আশা করতে নেই। তুমি একদিন অনেক বড় হবে। সাড়াদেশের মানুষ তোমাকে এক নামেই চিনবে। তোমার অটোগ্রাফ নেবার জন্য মানুষ লাইন ধরে দাড়িয়ে থাকবে। তখন হয়তো আমাকে মনে নাও থাকতে পারে তোমার। আমি শুধু দুর থেকে তোমাকে দেখিয়ে বলব ওই দেখ আমার বন্ধু। আমরা একসাথে অনেক রাত কাটিয়েছি।



আমার জীবনটা অনেক এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। একটু গোছানো উচিৎ। প্রয়োজন বোধ করছি কিন্তু কিছুতেই গুছিয়ে উঠতে পারছি নে। ব্যক্তি আমি খুব সৌখিন একজন মানুষ। ছোটবেলা থেকেই কোন কিছুর অভাব বোধ করিনি। কিন্তু নিজের ভাললাগাকে প্রশ্রয় দিতে গিয়ে আমার সব কিছু কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেল। এমন কেন হয়?



ভালবেসে বিয়ে করেছিলাম আমরা। সংসার হলো না আমাদের, একটা বড় অতৃপ্ততা রেখে ও আমাকে ছেড়ে চলে গেল। একি সবাই এমন কেন বলতো বন্ধু? অর্থ কিংবা স্বার্থের নিকট মানুষের ভালবাসা, স্নেহ, মমতা সব কিছুই কি মূল্যহীন? নাকি আমাদের ভাবনার ত্রুটি?



কোথায় গিয়ে একটু সুখ পাব বলতে পার? একটু সুখের আশায় কত কিছুই না করেছি, নাকি সব কিছু বেঠিক ছিল, হয়ত তাই, নইলে জীবনে এ পর্যায়ে এসেও হিসেব মিলবে না কেন?



মনে হচ্ছে জীবনের একটা বড় অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে। কিন্তু ছোট গল্পের মতই যেন অতৃপ্ততা রয়ে গেল। যাই হোক শুরু হলে সেটারতো শেষ কোনভাবে করতেই হয়। আমারটা না হয় একটু তারাতারিই হল।



ভালো থেকো বন্ধু

তোমার জন্য শুভ কামনা...................

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.