![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের কাছে নিজেই অচেনা রয়ে গেছি আজো । চেনার চেষ্টা করছি । মানুষ হিসেবে কেমন তা অন্যরাই ভাল বলতে পারবে । আমার কাছে আমি আমার মতোই । আশাবাদী , স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি । সুন্দর এবং শুদ্ধ অনুভূতিময় স্বপ্ন ।
★ আচ্ছা, আমি কি আমার ধর্মকে ভালোবাসি না?
- অবশ্যই বাসি । আমার ধর্মই তো আমার স্বাতন্ত্র্যবোধ, ভালো - মন্দের বিভেদ করার মাপকাঠি । একে অস্বীকার করার মানে তো নিজের বিবেককেই অস্বীকার করা ।
★ আমি কি চাইনা আমার এই ধর্মকে নিয়ে জঘন্য মিথ্যাচার আর ভ্রান্তি ছড়ানো মানুষ গুলোর বিচার হোক?
- অতি অবশ্যই চাই ।
স্বাভাবিক ভাবেই এর পরে যে প্রশ্নটা চলে আসে আমি , আমরা তবে শাহবাগে গিয়েছিলাম কেন? আমরা তো জানতাম ওখানে ঐ নাস্তিক শ্রেনীর মানুষ আছে । এর পাশাপাশি এটাও যাওয়ার আগেই জানতাম আন্দোলনের পরিচালন মঞ্চে কট্টর আওয়ামী লীগ আর ছাত্রলীগের মতো কীটরাও সদর্পে স্থান করে নিয়েছে যাদের আমরা সঙ্গত কারণেই মন থেকে অপছন্দ করি । তারপরও এদের সাথে কেন স্লোগানে গলা মিলিয়েছিলাম? নিজের বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক এমন কাজ করার কারণ কি?
কারণ আমরা জানতাম ওখানে সাধারন মানুষের সংখ্যাই বেশী । নাস্তিক প্রজাতির পরিমান কম । পুরো দেশ থেকে মানুষ পিলপিল করে শাহবাগ গেছে, যারা শাহবাগ যেতে পারেনি তারা নিজের জেলার গনজাগরন মঞ্চে যোগ দিয়েছে । কে আস্তিক আর কে নাস্তিক তা দেখার মতো সময় তখন ছিলো না । নাস্তিকতা, আস্তিকতার না দেখে মানুষ তখন খুজেঁছে সমমনাদের যারা ঐ রাস্তাতেই ছিলো । লাখ - লাখ মানুষের ভীড়ে যদি একই দাবি নিয়ে আসা কিছু ভন্ড নাস্তিক থেকেও থাকে, তাদের প্রতি মনে ঘৃণা রেখে ঐ একই দাবির প্রেক্ষাপটের জন্যেই দাড়ানো যায় । সাধারন মানুষের সবার দাবি ছিলো একটাই । সব রাজাকারের ফাঁসি । তাহলে হাতে গোনা কয়েকজন নাস্তিকের উপস্থিতির জন্য পুরো আন্দোলনকে নাস্তিকদের আন্দোলন টাইটেল দেয়া হলো কোন যুক্তিতে? টাইটেলদানকারীরা কি সাধারণ মানুষদের এতোটাই বোকা ভাবেন যে তারা যা বোঝাবেন মানুষ তাই বুঝবে?
কে আস্তিক আর কে নাস্তিক তা তার নিজস্ব ব্যাপার । নাস্তিকদের উপর কোনরূপ হামলা বা নির্যাতন চালানোর অধিকার আস্তিকদের নেই যদি না সহবস্থান শান্তিপূর্ণ হয় । সমস্যাটা এখানেই নেটের নাস্তিকরা অতি ভায়োলেন্ট নাস্তিকতা প্রচারকারী । এদের বিচার অবশ্যই হওয়া উচিত মানুষের অনুভূতিতে দেদারছে আঘাত করে যাওয়ায় । কিন্তু এটা তো নতুন কোন ইস্যু না । রাজাকার বিরোধী আন্দোলন চলার সময় এই বিষয়টা তোলা হলো মানুষের মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নিয়ে আন্দোলনকে দুর্বল করে দেয়া, মানুষের মধ্যে দ্বিধার দেয়াল তৈরি করে দেয়া । কিছু মিডিয়া, মানুষ সারা দেশের লাখো সাধারণ মানুষের উপর ফোকাস না করে করলো রাজিব, আসিফদের মতো গুটিকয় জঘন্য মানুষের উপর । অথচ আন্দোলনে এরা তেমন গুরুত্বপূর্ণ কেউ ছিলো না । আমি আসিফ মহিউদ্দীনকে শুকনো মুখে ঘুরাঘুরি করতে দেখলেও রাজিবকে দেখিই নি । যারাই আন্দোলনের চেহারাটা পাল্টে দিয়ে ভিন্নরূপে , নেতিবাচকভাবে মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে চেয়েছিল তারা সফল । পুরো দেশ আজ স্পষ্ট দুইভাগে বিভক্ত । আন্দোলনকারীরাও জামায়াত কে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাতে গিয়ে গলা ফাটিয়ে মুখে তুলে দেওয়া বুলি ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার স্লোগান দিয়ে গেছে যেখানে জামাত কস্মিনকালেও ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি করে না এবং দেশে ভগ্নাংশেরও ভগ্নাংশ নাস্তিকরা ব্যাতিত বাকি সবার কাছে ধর্মই সবার আগে । প্রকৃত ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি না দেখেই আমাদের এই স্লোগান জামাতিদের শক্তি দিয়েছে মানুষকে বিভ্রান্ত করার ।
আরো খারাপ সময় আসছে । সামনে দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর মামলার রায় যিনি সারাদেশে পরিচিত মুখ এবং সত্য করে বললে আমরা স্বীকার করি বা না করি তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয় । তারপর গোলাম আযমের মামলার রায় । অ্যামেনেস্টি ইন্টার ন্যাশনাল সহ অনেক সংস্থা চলমান বিচার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে । দেশের তালিকায় আমাদের অন্যতম প্রধান দাতা দেশ সৌদি আরব সহ মধ্য প্রাচ্যের সব দেশ এবং আশ্চর্যজনকভাবে হলেও বৃটেনের মতো আরো কিছু দেশ । তাদের বিরোধিতার কারণ পুরো বিচার করার ব্যাপারটার মধ্যেই রাজনৈতিক দলকে শায়েস্তা করার প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত যেখানে নব্বইয়ের দশকে রসুনের কোয়া দুটো একসাথেই ছিলো । এতো গেলো শুধু যুদ্ধপরাধীর বিচারের ব্যাপার । আসছে জামাতকে নিষিদ্ধ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পূর্নবহালের মতো ভারী ইস্যু । এছাড়াও আরো হাজারটা ইস্যুতে সরকারের লেজে গোবরে অবস্থা । টেলিভিশনে টেনশনে তাদের চেহারার চিকমিক ভাব কমে গেছে । আগামী এক - দেড় বছর রাজপথ আর গাড়ি চলার জন্যে থাকছে বলে মনে হয় না । আমাদের সবার এখন উচিত কোন দলীয় নয়, সাধারন মানুষের ব্যানারে হাতে হাত ধরে এক থাকা ।
গতরাতে দেখা একটা স্বপ্নের কথা বলে শেষ করি । দেখলাম সারা দেশ থেকে মুক্তমনা মানুষদের ধরে খুন করা হচ্ছে । ঘুম ভেঙে গেলো । দেখি ফযরের আযান হচ্ছে । খুনি কি ছিলো ধর্মের নামে ভন্ডামি করে বেড়ানো জামাত, পরমুখাপেক্ষী মেরুদন্ডহীন বিএনপি নাকি ২০১৩ তেও বাকশালী মনোভাব নিয়ে মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিতে চাওয়া আওয়ামী লীগ তা ঠিক বুঝতে পারি নি ।
২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪
অজানাবন্ধু বলেছেন: কে আস্তিক আর কে নাস্তিক তা তার নিজস্ব ব্যাপার ।
সমস্যা তাদেরকে নিয়ে যারা অন্যের বিশ্বাস নিয়ে কুটুক্তি করে। সে আস্তিক না নাস্তিক সেটা বিবেচ্য নয়।
৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০০
ব্লগার ইমরান৪৭ বলেছেন: চিন্তা করার মত বিষয়।
৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১
নিম গাছ বলেছেন: ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্লগে যেভাবে পোষ্ট দেয়া হয়, সাধারণ মানুষ সেটা জানতো না। জেনে গেল। যতই বলা হোক উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠী কিন্তু গতকাল আমাদের এলাকায় সর্বস্তরের মানুষ মহানবী (সাঃ) অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে মিছিল করেছে। কোন পুলিশের বাপের ক্ষমতা ছিল না সেটা থামানোর।
সরকারের জন্য এই কৌশলটা মার খেয়ে গেছে। এখন হাজার চিল্লা পাল্লা করলেও শাহাবাগকে আগের অবস্থানে নিতে পারবেন না। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের সমর্থন পাবেন না।
৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১০
ইউসুুফ্ রিয়াদ বলেছেন: অজানা বন্ধু আপনি ঠিক বলেছেন , আস্তিক নাস্তিক আন্দোলনের কোন বষয় ছিলনা , গুটিকয়েক ইসলাম বিদ্বেষী জামাআত ইসলাম কে নিষিদ্ধ করার নাম নিয়ে ইসলাম কে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল । তাদের জন্যই জাতি আবার দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেল
৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: আজ রাতে বি জি বি নামছে ঢাকায় । এরপর হয়তো আর্মি নামান হবে।
৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: এরা নাস্তিক না । ইসলাম বিদ্বেষী । নাস্তিক হলে তো সব ধর্মের ব্যাপারেই কথা বলার কথা আর না হলে এই ব্যাপারে কিছুই না বলে একেবারে চুপ থাকতো । @অজানা বন্ধু
৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৭
নাজিম রেজা বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখলি। জামাতকে আমি কখনোই পছন্দ করিনি। আর জামাতের অনেক কিছুতেই আমার সন্দেহ আছে। তাই জামাতের নেতারা যদি অপরাধ করে থাকে তবে তাদের বিচার আমি অবশ্যই চাই।
এখন কথা হচ্ছে ব্লগারদের নিয়ে। যখন সব বড় বড় নাস্তিক ব্লগার গিয়া সেখানে জোট বাধলো তখন আমার মনে চিন্তা আসে যে এখন সেখানে কোন স্বার্থ আছে। এদের কারনেই আন্দোলানটার অনেক খারাপ পরিনতি হতে যাচ্ছে। আর সরকার এই আন্দোলনকে ব্যবহার করে রাজপথ দখল করতে চাইছে।
সর্বশেষ কথা হচ্ছে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করন। আমার কথা হচ্ছে মাথা ব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলতে হবে কেন। জামাত যদি খারাপ হয় তবে জামাতকে নিষিদ্ধ করুন, রাজনীতিকে নয়। ধর্ম হচ্ছে মানুষের জীবন চলার সবচেয়ে বড় গাইড। তাই ধর্ম ছাড়া কোন ভাবেই রাজনীতিকে চিন্তা করা যায় না।
৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৭
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: হার্ড লাইনে অহিংস আন্দোলনে যাওয়া উচিৎ ছিল আরও আগেই ।
১০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৫
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: আমার " ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করো " স্লোগানটা শুনেই কানে খট করে লেগেছিলো । এবং মনে হয়েছিলো এই ইস্যু বিতর্কিত হতে বাধ্য । @নাজিম
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯
ইউসুুফ্ রিয়াদ বলেছেন: খুবই চমৎকার লেখা , আপনি খুব সুন্দর ভাবে বাস্তবতা তুলে ধরেছেন , কিন্তু সত্য কথা হলো শাহবাগ আন্দোলন সাধারণ জনগণের আন্দোলন এতে কোন সন্দেহ নেই কিন্তু কিছু পক্ষ এখান থেকে ফায়দা তুলতে চেয়েছিল যার ফলে আজ শাহবাগের আন্দোলন বিতর্কের মুখে