নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তবু আজও স্বপ্ন দেখার নেই মানা ........

শহুরে আগন্তুক

নিজের কাছে নিজেই অচেনা রয়ে গেছি আজো । চেনার চেষ্টা করছি । মানুষ হিসেবে কেমন তা অন্যরাই ভাল বলতে পারবে । আমার কাছে আমি আমার মতোই । আশাবাদী , স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি । সুন্দর এবং শুদ্ধ অনুভূতিময় স্বপ্ন ।

শহুরে আগন্তুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে হিজাব নিষিদ্ধ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বলছি

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৫

( এখানে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির কোন ছাত্র - ছাত্রীকে কটাক্ষ করা বা কষ্ট দেয়া আমার উদ্দেশ্য নয়। সেই যোগ্যতা আমি রাখি বলেও ভাবি না । আমি কেবল বাস্তব অবস্থা এবং কর্তৃপক্ষের অন্যায় আচরণকে লিখতে চেয়েছি। কাজেই ভুল বোঝা যাবে না এবং আমার কথায় কেউ কষ্ট পেলে আমি আগে থেকেই ক্ষমাপ্রার্থনা করে রাখছি । অতি প্রগতিশীলদের না পড়াই শ্রেয় । কারণ অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে এরা একটা কাজই ভালো পারে ; “ ত্যানা প্যাঁচানো” ,আমি এই বিরক্তিকর কাজে আগ্রহী নই । )



ধানমন্ডির এক মার্কেটে আমি আর এক বান্ধবী বসে আছি। উদ্দেশ্য এক বড় আপুর সাথে দেখা করবো। আমরা দুজনই একটা পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে ( চতুর্থ বর্ষে ) পড়ি এবং মার্কেটে আশেপাশের ক্যাম্পাসের প্রচুর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র - ছাত্রী । অর্থাৎ এখানে প্রাইভেট আর পাবলিক ইউনিভার্সিটি দুইটা দল করে এদের মধ্যে তুলনা করা যায়।



যেহেতু দুই দলই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া, এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মিল থাকা উচিত। কিন্তু আশ্চর্যজনক ব্যাপার মিল নেই । আমাদের দুইজনকে যদি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের মাঝখানে ছেড়ে দেয়া হয় যে কেউ পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে আমাদের আলাদা করে ফেলতে পারবে । কারণ তাদের আচার আচরণ " অতি সাবলীল ", ছেলে মেয়ের ভেদাভেদের দেয়ালের পুরুত্বও বোধকরি কম; কারণ " দোস্ত দোস্ত " বলেও আশেপাশে অনেক ছেলেকে দেখছি মেয়েদের কাঁধে হাত দিয়ে বসে আছে বা হাঁটছে, যাতে মেয়েরাও নির্বিকার । অন্যদিকে আমার দুইজনের একজনও পাবলিক প্লেসে সাবলীল নই, ম্রিয়মাণ, অন্তর্মুখী এবং বান্ধবী আমার থেকে বসে আছে কমপক্ষে এক হাত দূরে । আসলে বান্ধবী গোত্রীয় কারো কাঁধে যে হাত রাখা যায় এটা আমরা দু'জনের একজনও জানতাম না।



ছেলেরা বেশীরভাগ পরনে সুন্দর দামী টি - শার্ট, ভুস-ভুসা বড় কোমরের ঢিলা জিন্স, অনেকেরই হাতে ব্রেসলেট, মাথার চুল স্পাইক বা অন্য কোন একটা কারিগরি করা । আমি গায়ে দিয়ে আছি কনুই পর্যন্ত গুটানো এক কালার একটা শার্ট আর অ্যাশ কালার একটা সাধারণ গ্যাবাডিন প্যান্ট । আশেপাশের মেয়েরা যে কিছুটা নাক শিটকে আমার দিকে চোখ ফেলেই আবার ফিরিয়ে নিচ্ছে তার জন্য আমি তাদের দোষ দিতে পারি না। কারণ তাদের সঙ্গীদের তুলনায় আমি সোজা বাংলায় খ্যাত, ঘণ্টা খানেক আগে সদরঘাটে লঞ্চ থেকে নেমে ওখানে চলে এসেছি। চেক করলে দেখা যাবে এখনো পায়ে কাঁদা লেগে আছে । ....... ছেলে হয়ে মেয়েদের পোশাকের বর্ণনা দেওয়া অস্বস্তিকর । তবুও বিষয়বস্তুর পূর্ণতা আনার জন্যেই বলছি; মেয়েদের অধিকাংশের পড়নে ফতুয়া, উড়নাতে তাদের চরম এ্যালার্জি । সাজগোজ বেশ, বিশাল সানগ্লাসও আছে অনেকের, পায়জামার বদলে অধিকাংশরা যা পরনের গেঞ্জির কাপড়ের ল্যাঙ্গিস পায়ে এমন আঁটসাঁট হয়ে বসে যে সোজা বাংলায় সবই বোঝা যায়। ( এখানে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন আসতে পারে দেখলাম কেন? জবাব হলো যেসব ছেলে বলবে তাদের এসবে নজর যায় না তারা হয় ভণ্ড অথবা মহামানব কিংবা এদের কোন শারীরিক সমস্যা আছে । আমি সহ প্রায় সবাই-ই এসবের আওতা বাইরের ) ....অন্যদিকে চোখে চশমা, সাজ সজ্জা-বিহীন আর ঢিলেঢালা বাংলাদেশের মেয়েদের সালোয়ারে আমার বান্ধবী এদের তুলনায় নিতান্তই প্রাগৈতিহাসিক যুগের অনুজ্জ্বল কেউ । ......... আমাদের পাবলিকে পড়ুয়াদের যে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির অনেকে সরাসরি খ্যাত বলে; ভুল তো বলে না । যদিও পার্থক্যের কারণটা এখানে মোটেও আর্থিক নয়, মানসিক ।



আমি কিন্তু পুরো দৃশ্যপটটা এখানে আনি নি। কারণ আমি পাবলিক সব ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টদের দেখিয়েছি অতি ভদ্র, শালীন হিসেবে আর প্রাইভেটের অধিকাংশকে দেখিয়েছি অধিকাংশ অতি আধুনিক এবং অশালীন আচরণ ও দৃষ্টিকটু সাজে অভ্যস্ত । বাস্তবে পাবলিকেও ইদানীং প্রগতিশীল বদ ছেলে - মেয়ে বাড়ছে এবং প্রাইভেটের বেশীরভাগকেই আমি দেখেছি শালীন পোশাক ও আচরণে চলাফেরা করছে । ....... পাবলিকে বদের সংখ্যা বাড়তে আরও সময় লাগবে, কোন অঘটন ঘটলে বন্ধও হয়ে যাবে হয়তো, কিন্তু আমি যৌক্তিক কারণেই সন্দিহান প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আর কিছুদিন পর শালীন পোশাক ও আচার আচরণে যারা অভ্যস্ত তারা আদৌ সেখানে টিকতে পারবে কি না । হয়তে সংখ্যায় এখনো শালীনরাই বেশী, কিন্তু এদের দিনদিন নানা ভাবে অপদস্থ করে কোণঠাসা করে ফেলা হচ্ছে, আধুনিক রঙ্গিলাদের উৎসাহ দেয়া হচ্ছে আরও খোলামেলা হতে । এই উৎসাহ এতদিন কর্তৃপক্ষ দিয়েছেন উগ্র পোশাকের প্রতি উদাসীনতা দেখিয়ে আর এখন দিচ্ছেন সরাসরি শালীন পোশাককে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করে । অথচ হওয়া উচিত সম্পূর্ণ উল্টোটা। বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও ধনীদের বিশ্ববিদ্যালয়কে ওটার অনেক শিক্ষার্থীই বলেন বাংলাদেশ থেকে দোযখে যাওয়ার প্রধান দরোজা । ইদানীং দেখছি অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোও নিজেদের ক্যাম্পাসে দোজখে যাওয়ার দরোজা খুলতে আগ্রহী হয়ে উঠছে । এরই অংশ হিসেবে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ তাদের ক্যাম্পাসে হিজাব নিষিদ্ধ করেছেন এবং হিজাব পরার "অপরাধে" " অভিযুক্ত " ছাত্রী হাফসা ইসলামকে বহিষ্কার করেছেন, যেখানে ইউরোপেও হিজাব নিষিদ্ধ নয় । অভিযুক্ত ছাত্রীর ভাষ্যমতে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে আরও অনেককেই হিজাব পড়ার কারণে অপদস্থ করা হচ্ছে।



হিজাব যদিও ইসলামী পোশাক, কিন্তু অন্যসব ধর্মাবলম্বীরাও এটা ব্যবহার করতে পারেন। কারণ হিজাব শালীনতার প্রতীক । কেউ কেউ বলতে পারেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে নেকাব । কিন্তু নেকাব কি হিজাবের বাইরের কিছু? এটা কি ইসলামে হিজাব হিসেবে অনুমোদিত নয়? কেউ যদি তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক মূল্যবোধের কারণে নেকাব পড়তে চায়, তা জোর করে খোলানোর আমি, আপনি কে? হিজাব পরা আল্লাহর আদেশ। আল্লাহর অনেক আদেশই আমরা মানি না । কিন্তু যারা মানে তাদের কে তা মানতে নিষেধ করা বা বাধা দেয়া হবে কেন? সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিক তার পছন্দ মতো যে কোন শালীন পোশাক পরার অধিকার রাখেন। তাকে এ ব্যাপারে হেনস্তা করার মানে হচ্ছে তার সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করা । কর্তৃপক্ষ কিন্তু তাই করছে এবং সরকার নিশ্চুপ, নিশ্চুপ আমাদের যত দিগ্বিজয়ী মানবাধিকার ও নারী অধিকার বিষয়ক সংস্থাগুলো । এবং আরও আশ্চর্যের বিষয়, আসল প্রতিবাদ যাদের করার কথা সেই ব্র্যাকের ছাত্র ছাত্রীরাও কর্তৃপক্ষের এমন অনৈতিক, অন্যায় সিদ্ধান্তের কোন প্রতিবাদ করেছে এমন কোন খবর এখনো কোথাও নেই । কর্তৃপক্ষের মতো শিক্ষার্থীরাও কি বিবেকশূণ্য হয়ে গেছে? নাকি এরা মেরুদণ্ডহীন? অভিভাবকরাই বা কোথায়?? হিন্দি সিরিয়াল দেখতে দেখতে তাদের কাছেও কি সন্তানদের শালীনতার আর কোন প্রয়োজনীয়তা অবশিষ্ট নেই?



বিবেকশূণ্য হয়েছেন হোন, ইচ্ছা হলে ড্রেস ছাড়াই ক্যাম্পাসে ক্লাস করার বাধ্যতামূলক নিয়ম চালু করুন। কিন্তু যখন নতুন কোন পরিমল, অরাজনৈতিক মানিক বের হবে, অবিবাহিত মা'য়ের সংখ্যা, আত্মহত্যা, এবোরশন বাড়বে তখন আবার বলবেন না যেন আধুনিক প্রজন্মের মধ্যে চরম নৈতিক অবক্ষয় ঘটেছে । কারণ নৈতিক অবক্ষয়কে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়ে চলেছে কর্তৃপক্ষ এবং এই ব্যাপারে অভিভাবক, শিক্ষার্থীরাও একজোট ( মৌনতাই সম্মতির লক্ষণ) ।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০২

মেহেদী হাসান মানিক বলেছেন: বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও ধনীদের বিশ্ববিদ্যালয়কে ওটার অনেক শিক্ষার্থীই বলেন বাংলাদেশ থেকে দোযখে যাওয়ার প্রধান রাস্তা ।

কথাটি যদিও সত্য তবু একতরফা ভাবে এই কথাটি বলতে পারেন না। দেশের বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে দুই যাবার সুযোগ দুই একবার হয়েছিল । তাতে যা দেখেছি সেগুলোকেও দোযখের রাস্তাই মনেহয়েছে।তার থেকে আসেন নিজের শুদ্ধ হই সবআর জন্যই ভাল হবে। দিন শেষে কিন্তু সেই "আমরা আমরাই ত " ।
:)

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ব্র্যাক হিজাব বা বোর্খা নিসেধ করেনি। শুধু মুখ ঢাকাকে নিষেধ করেছে। যা সিকুরিটি হ্যাজার্ড।

আমার এই লেখাটি পড়ুন
Click This Link

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৫

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: আপনি যে ছবি দিয়েছেন সেরকম খুব কমই দেখা যায় । আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নেকাব নিয়ে কোন সমস্যা হচ্ছে না । ব্র্যাককে আমার কাছে দেশের এমন কোন সংবেদনশীল জায়গা মনে হয় না যে তাদের ঐ সিদ্ধান্ত নিতে হবে ।

৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩০

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: খোলামেলা পোশাক পড়া যেমন নারীর অধিকার ঠিক তেমনি বোরখা পড়াও নারীর অধিকারের মধ্যেই পড়ে।

নারীরা কোন ধরনের পোশাক পরিধান করবেন সেটা তারা নিজেরাই নির্বাচন করুক, এ ব্যাপারে জোর করা অথবা বিশেষ ধরনের পোশাক পড়তে বাধ্য করানো অনুচিৎ। তবে সমালোচনা করা যেতে পারে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২০

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: সহমত ভাই ।

৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: ছেলেরা বেশীরভাগ পরনে সুন্দর দামী টি - শার্ট, ভুস-ভুসা বড় কোমরের ঢিলা জিন্স, অনেকেরই হাতে ব্রেসলেট, মাথার চুল স্পাইক বা অন্য কোন একটা কারিগরি করা । হাহাশে। হাহাশে। হাহাশে।

৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: আধুনিক রঙ্গিলাদের উৎসাহ দেয়া হচ্ছে আরও খোলামেলা হতে। হাহাহাহাহহাহাহাহাহাহা

৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৪৪

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
কে কি পড়বে তার ব্যাপার। আমি আজকে দেখেছি আমার ইউনিভার্সিটিতে একটা মেয়ে পা থেকে মাথা পর্যন্ত ঢাকা শুধু চোখ দেখা যায়।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: ভাবতে ভালোই লাগে দেশ অতি প্রগতিশীল হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ।

৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৯

সাউন্ডবক্স বলেছেন: ঠিক ই আছে, কিছু কিছু কালচার আপনাকে মেনে চলতে হবে। স্কুলের পিটির সময় সবাই যখন সাদাজুতাপরে তখন একজন তাদের মাঝে কালো জুতা পরলে মোটেই ভাল দেখায় না। আপনার ধর্ম নিয়া এত চুল্কানি থাকলে ইসলামিক কোনো ইউনিভার্সিটি অথবা ইডেনে ভরতি হইলেই পারেন। ওইখানে গেছেন কেন??

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: দ্য রেড ব্যারন বলেছেন: এই পোস্টে দুই মুত্রমনার জ্ঞানগর্ভ মন্তব্য দেখে বুঝলাম আল্লার সৃষ্টি কত পারফেক্ট। এমনকি নির্বোধকেও অত্যন্ত পারফেক্ট নির্বোধ করেই তৈরি করেছেন তিনি। নারীকে জোর করে বোরখা পরানোর চেষ্টা করা হলে এরা দাবি করে পোশাক যার যা ইচ্ছেমত পরাটা অধিকার, এখানে হস্তক্ষেপ করা যাবে না। আর কেউ নিজের ইচ্ছায় বোরখা পরলে সেটা হয়ে যায় মৌলবাদ। এক ছাগল এই সম্পর্কিত সবগুলা পোস্টে গিয়ে বলতেসে ব্র্যাক তাদের অবস্থান থেকে সরে এসে নাকি মৌলবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। আরেকটা আইসা ভ্যা ভ্যা করতেসে, যার সহজ মিনিং বোরখা পরলে নাকি ব্র্যাকে পড়া যাবে না। আরে গাধা কে কই পড়বে এইটা বলার তুই কে?

৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬

দ্য রেড ব্যারন বলেছেন: এই পোস্টে দুই মুত্রমনার জ্ঞানগর্ভ মন্তব্য দেখে বুঝলাম আল্লার সৃষ্টি কত পারফেক্ট। এমনকি নির্বোধকেও অত্যন্ত পারফেক্ট নির্বোধ করেই তৈরি করেছেন তিনি। নারীকে জোর করে বোরখা পরানোর চেষ্টা করা হলে এরা দাবি করে পোশাক যার যা ইচ্ছেমত পরাটা অধিকার, এখানে হস্তক্ষেপ করা যাবে না। আর কেউ নিজের ইচ্ছায় বোরখা পরলে সেটা হয়ে যায় মৌলবাদ। এক ছাগল এই সম্পর্কিত সবগুলা পোস্টে গিয়ে বলতেসে ব্র্যাক তাদের অবস্থান থেকে সরে এসে নাকি মৌলবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। আরেকটা আইসা ভ্যা ভ্যা করতেসে, যার সহজ মিনিং বোরখা পরলে নাকি ব্র্যাকে পড়া যাবে না। আরে গাধা কে কই পড়বে এইটা বলার তুই কে?

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: দ্য রেড ব্যারন বলেছেন: এই পোস্টে দুই মুত্রমনার জ্ঞানগর্ভ মন্তব্য দেখে বুঝলাম আল্লার সৃষ্টি কত পারফেক্ট। এমনকি নির্বোধকেও অত্যন্ত পারফেক্ট নির্বোধ করেই তৈরি করেছেন তিনি। নারীকে জোর করে বোরখা পরানোর চেষ্টা করা হলে এরা দাবি করে পোশাক যার যা ইচ্ছেমত পরাটা অধিকার, এখানে হস্তক্ষেপ করা যাবে না। আর কেউ নিজের ইচ্ছায় বোরখা পরলে সেটা হয়ে যায় মৌলবাদ। এক ছাগল এই সম্পর্কিত সবগুলা পোস্টে গিয়ে বলতেসে ব্র্যাক তাদের অবস্থান থেকে সরে এসে নাকি মৌলবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। আরেকটা আইসা ভ্যা ভ্যা করতেসে, যার সহজ মিনিং বোরখা পরলে নাকি ব্র্যাকে পড়া যাবে না। আরে গাধা কে কই পড়বে এইটা বলার তুই কে?

৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০০

সবুজ ভীমরুল বলেছেন: সাউন্ডবক্স বলেছেন: ঠিক ই আছে, কিছু কিছু কালচার আপনাকে মেনে চলতে হবে। স্কুলের পিটির সময় সবাই যখন সাদাজুতাপরে তখন একজন তাদের মাঝে কালো জুতা পরলে মোটেই ভাল দেখায় না।

যেই কালচার আমাকে ইসলামিক রীতি নীতি পালনে বাধা দেয়, সেই কালচার, নিয়ম কানুন রীতি নীতি আমি ডাস্টবিনে ফালাই দেই। বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ, এখানে হিজাব নেকাব করার জন্য কাউকে বহিস্কার করা হলে অবশ্যই তীব্র প্রতিবাদ জানানো উচিৎ। এবং সেটা সরকার থেকেই করা উচিৎ। ঢাবিতে আমার ডিপার্টমেন্টে এক মেয়ে নেকাব পরিধান করে আসত। কখনও তাকে নেকাব ছাড়া দেখিনি। কই আমাদের তো কখনও তাকে অস্বাভাবিক মনে হয়নি!!

আসলে এটা হচ্ছে মানষিকতার ব্যাপার। আজকে নেকাব নিষিদ্ধ করেছে, এর পরে হেডস্কার্ফ নিষিদ্ধ করবে। আমাদের বিশিষ্ট নাগরিক জাফর ইকবাল তো বলেই দিয়েছেন তরুনীদের স্বাভাবিক পোশাক হচ্ছে টি-শার্ট জিন্স!!!

ঐসব নিম্ন মানষিকতার লোকদের আম জনতা কেউ পুছে না।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: কিছু মানুষ আসলে এমন যুক্তি দেয় যে হাসবো না, কাঁদব ঠিক করা যায় না ।

১০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

ধানের চাষী বলেছেন: একজন পুরা ব্লগ জুড়ে লিখে যাচ্ছেন , "ব্র্যাক হিজাব বা বোর্খা নিসেধ করেনি। শুধু মুখ ঢাকাকে নিষেধ করেছে" .......

আমি বুঝলাম না! মুখ ঢাকা কি পর্দা করার একটা শর্ত না ? নাকি মানুষের চেহারা তার সৌন্দর্যের কোন অংশ না ?

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: তিনিই ভালো জানেন ।

১১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫

ইমরান হক সজীব বলেছেন: ভাই এইসব লেখা লিখে আমাদের দেশটাকে তালেবান হতে উৎসাহিত করবেন না প্লিজ ।

নেকাব মানবতার জন্য অত্যান্ত অপমানজনক, এবং এটা সমাজ মানুষের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর ।
যে পারিবারিক, সামাজিক, ধর্মীয় মূল্যবোধ আপনাকে মন থেকে নেকাবের প্রতি সাপোর্ট দিচ্ছে তাকে সন্দেহ করতে শিখুন । ভিন্ন চিন্তা, দৃষ্টিকোণ, মূল্যবোধ সম্পর্কে জানার চেস্টা করুন । সম্পূর্ণ নতুন দৃষ্টিকোণ আপনার সামনে উপস্থিত হতে পারে যা এই মুহূর্তে অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে ।

...জানি কারো কমেন্ট কপি করবেন তাও না বলে পারলাম না

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৩

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: মন মানসিকতা ঠিক করুন এবং দয়া করে সন্ত্রাসী তালেবান আর ইসলামের পার্থক্য জেনে তারপর কথা বলুন । আপনাদের মতো চিন্তা ভাবনার কিছু মানুষদের জন্যই ব্লগার শব্দটা গালি হয়ে গেছে বাংলাদেশে , বুদ্ধিজীবীও যেমন গালি ।

আর কিছু বললাম না । ভালো থাকবেন । আল্লাহ্‌ আপনাকে হেদায়েত দান করুক । আমিন ।

১২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৩

দ্য রেড ব্যারন বলেছেন: নেকাব মানবতার জন্য অত্যান্ত অপমানজনক, এবং এটা সমাজ মানুষের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর ।

=p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

আগে কইত সিক্যুরিটির জন্য হুমকি, সেইটা তাও খানিকটা রিলেভেন্ট ছিল। এইডা আমি কি শুনলাম। জাস্ট মাইরালা। নেকাব নাকি মানবতার জন্য অত্যান্ত অপমানজনক আর ক্ষতিকর ।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫১

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: একটা কথাই মনে আসতেছে । আমার বলার কিছু ছিল না !!!!!! :-P

১৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩

ভাল্লুক আকবর বলেছেন: ইমরান হক সজীব হইতাসে পাতি নাস্তিক। নতুন তো কথা বার্তা এখনও লাইনে কইতে শিখে নাই।
তা সজীব বাই আপনে নয়া দৃষ্টিকোণ কয়া ফাল পারতাসেন আপনের এই নয়া দৃষ্টিকোণ একটু খোলসা কইরা কন আমাগো আমরা শুইনা মজা লই আর হাসতে হাসতে মইরা যাই।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫২

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: অপেক্ষায় আছি আমিও ।

১৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১১

আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন: কতযে বেকুব ফুলাপাইন দেখুম..............
স্কুলের লগে ইউনিভার্সিটি গিট্টু দিয়া দিছে........
আরেকটা নেকাবের লগে সমাজ, মানবতা নিয়া হাজির হইছে.............

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫২

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: আরও দেখবেন । অপেক্ষা করেন ।

১৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮

পালের গোদা বলেছেন: "কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: খোলামেলা পোশাক পড়া যেমন নারীর অধিকার ঠিক তেমনি বোরখা পড়াও নারীর অধিকারের মধ্যেই পড়ে।

নারীরা কোন ধরনের পোশাক পরিধান করবেন সেটা তারা নিজেরাই নির্বাচন করুক, এ ব্যাপারে জোর করা অথবা বিশেষ ধরনের পোশাক পড়তে বাধ্য করানো অনুচিৎ। তবে সমালোচনা করা যেতে পারে।"

অবশ্যই নেকাব পরা নারীর অধিকার। নিজের বাসায় বা রাস্তা ঘাটে যত খুশি নেকাব পড়ুন, কে মানা করেছে? কিন্তু ব্রাক ইউনিভার্সিটি একটা প্রতিষ্ঠান এবং কোনো প্রতিষ্ঠানের অংশ হতে হলে সেই প্রতিষ্ঠানের আলাদা নিয়মকানুন বা শর্তাবলী থাকতে পারে যা মেনে চলতে হয়। যেমন স্বাধীন দেশে লুঙ্গি পরাটা আমার অধিকার। কিন্তু তাই বলে আমি লুঙ্গি পরে অফিস করতে চলে আসলে তা নিশ্চই গ্রহণযোগ্য হবে না, কারণ অফিস এর আলাদা ডেকোরাম আছে যা অফিস এর সবাইকে মেনে চলতে হয়। আর অফিস এর নিয়মকানুন কি হবে তা ঠিক করার অধিকার অফিস এর মালিকের রয়েছে। সেটা আমার পছন্দ না হলে আমারও অধিকার রয়েছে চাকরি ছেড়ে দেবার। কিন্তু অমুক করা আমার অধিকার এইসব হাস্যকর যুক্তি দিয়ে সেখানকার আইন পরিবর্তন করার চেষ্টা করা তো আর আমার অধিকার হতে পারে না।

হাফসা কে তো ব্রাক এর কর্তৃপক্ষ জোর করে নেকাবহীন করছে না। তাকে কেবল বলা হয়েছে মুখ ঢেকে রাখা এই ইউনিভার্সিটি এর নীতিমালা এর মধ্যে পড়ে না। কাজেই এটা করতে হলে অন্য কোনো ইউনিভার্সিটিতে যেখানের নীতিমালাতে মুখ ঢাকলে সমস্যা নেই, সেখানে গিয়ে পরুক। এটা বলাটা তাদের অধিকার। অযথা ধর্মের নাম দেশের সবকিছু প্রভাবিত করার তো কোনো মানে দেখি না। যাদের নেকাব পছন্দ তাদের জন্য দেশে ইউনিভার্সিটি এর তো অভাব নাই। সেখানে গেলেই তো হয়। যেই প্রতিষ্টানের নীতিমালার সাথে আপনি একমত না, যেই প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা মেনে চলা আপনার পক্ষে সম্ভব না, সেই প্রতিষ্ঠানে জোর করে বসে থেকে উল্টো তাদের উপর জোর করার তো কোনো মানে হয় না। এটা তো আপনার প্রতিষ্ঠান না, তাদের প্রতিষ্ঠান। তারা আপনার চাহিদা অনুযায়ী তাদের নীতিমালা পরিবর্তন করবে এমনটা কোন অধিকারে আশা করেন? আমার অফিসে যদি কাল থেকে নিয়ম করে যে এখন থেকে সকাল ৭টার মধ্যে অফিসে আসতে হবে সেটা আমার পছন্দ হবে না। তখন আমি যদি বলি এই নিয়ম পরিবর্তন করতে হবে তাহলে কি সেটা করা হবে? আমার ভালো না লাগলে আমার চাকরি ছেড়ে দিতে হবে এটাই স্বাভাবিক। এবং তাদের অফিসের নিয়ম তাদের পছন্দ মত করবার অধিকার তাদের আছে। সেরকম ইউনিভার্সিটি এর নীতিমালা করার অধিকার কর্তৃপক্ষের রয়েছে। সেখানে পড়তে হলে সেই নীতিমালা মেনে চলতে হবে এটাই স্বাভাবিক। আর সেটা করা সম্ভব না হলে সেখানে আপনি পড়তে পারবেন না এটাই স্বাভাবিক। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হবার সময়ই এসব শর্তাবলী আগেই জানিয়ে দেয়া হবার কথা, এবং শর্তাবলী মেনেই ভর্তি হবার কথা। এখন মাঝপথে এসে যদি কেউ বলে আমার পক্ষে শর্ত মানা সম্ভব নয়, তাহলে তো বলতেই হয় শুরুতে শর্ত মেনে এখানে ভর্তি হওয়া ঠিক হয়নি। সব জায়গা সবার জন্য নয়। আমি যদি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে কয়েকদিন পরে বলি আমার হাফপ্যান্ট ভালো লাগে, তাহলে কি আমাকে হাফপ্যান্ট পরে ক্লাস করতে দেয়া হবে? তখন আমি যদি হাফপ্যান্ট পরা আমার অধিকার বলে চেচামেচি শুরু করি, তাহলে কি আপনারা বলবেন না যে হাফপ্যান্ট পরে থাকতে হলে মাদ্রাসা ছেড়ে দিলেই তো হয়?

"দ্য রেড ব্যারন বলেছেন: এই পোস্টে দুই মুত্রমনার জ্ঞানগর্ভ মন্তব্য দেখে বুঝলাম আল্লার সৃষ্টি কত পারফেক্ট। এমনকি নির্বোধকেও অত্যন্ত পারফেক্ট নির্বোধ করেই তৈরি করেছেন তিনি। নারীকে জোর করে বোরখা পরানোর চেষ্টা করা হলে এরা দাবি করে পোশাক যার যা ইচ্ছেমত পরাটা অধিকার, এখানে হস্তক্ষেপ করা যাবে না। আর কেউ নিজের ইচ্ছায় বোরখা পরলে সেটা হয়ে যায় মৌলবাদ। এক ছাগল এই সম্পর্কিত সবগুলা পোস্টে গিয়ে বলতেসে ব্র্যাক তাদের অবস্থান থেকে সরে এসে নাকি মৌলবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। আরেকটা আইসা ভ্যা ভ্যা করতেসে, যার সহজ মিনিং বোরখা পরলে নাকি ব্র্যাকে পড়া যাবে না। আরে গাধা কে কই পড়বে এইটা বলার তুই কে? "

আমাদেরও তো একই প্রশ্ন। এটা বলার আমরা যেমন কেউ না, আপনারাও এটা বলার কেউ না। হাফসার অবশ্যই অধিকার আছে হিজাব নেকাব যা খুশি পরার। একই সাথে ব্র্যাক কর্তৃপক্ষেরও অধিকার আছে তাদের ইউনিভার্সিটি তে তারা কোনটা এলাও করবে আর কোনটা করবে না সেই পলিসি ঠিক করার। তাদের ইউনিভার্সিটিতে তারা কি পলিসি করবে সেটা বলার আপনারাই বা কে?

আর নারীকে জোর করে হিজাব পড়ানোর সাথে এটার কেমনে তুলনা করা হলো তাও বুঝলাম না। আগেই বলেছি হাফসা কে তো কেউ জোর করে নেকাবছাড়া করছে না। কেবল বলা হয়েছে ওখানে পড়তে হলে মুখ ঢাকা যাবে না এটাই ওদের নিয়ম। বাংলাদেশে অনেক মাদ্রাসা আছে যেখানের নিয়ম হলো সেখানে মেয়েরা পড়তে হলে হিজাব পড়তে হবে। হিজাব না পড়লে ওখানে পড়তে পারবে না, সহজ হিসাব। সেইসব মাদ্রাসাকে কিন্তু কেউ বলছে না যে ওখানে জোর করে হিজাব পরানো হচ্ছে। যদি বলত, তাহলে আপনাদের এই তুলনাটা যৌক্তিক হত। অথবা যদি দেখা যেত কোনো পরিবার থেকে কোনো মেয়েকে বাধ্য করা হচ্ছে ঘরে বাইরে কথাও হিজাব করা যাবে না, তখনও আপনাদের এই তুলনা যৌক্তিক হত। কোনো মেয়ে যদি ঐসব মাদ্রাসাগুলোর একটাতে ভর্তি হয়ে তারপরে বলে আমার হিজাব ভালো লাগে না। হিজাব না পরা আমার অধিকার, তাহলে কি তাকে ওখানে পড়তে দেয়া হবে? নাকি তাকে ওখানে পড়তে না দিলে আপনারা কেউ আপত্তি করবেন?

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫০

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: প্রতিষ্ঠান মানুষের জন্য , মানুষ প্রতিষ্ঠানের জন্য না । এজন্য প্রতিষ্ঠানের নিয়ম কানুন ওই প্রতিষ্ঠানটি কোন জায়গায় আছে , ওখানকার মানুষজন কেমন , তাদের জীবনযাত্রা , মূল্যবোধ এসবের উপর নির্ভর করে গড়ে উঠা আবশ্যক । আপনি বোধহয় ভুলে গেছেন বাংলাদেশ শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ এবং এখানে কিছু উঠতি বয়সী অতি পণ্ডিত ব্যক্তি ছাড়া বাকিরা ধর্মের নিয়ম কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল । কাজেই এখানে এমন কোন নিয়ম কোন প্রতিষ্ঠান জোর করে মানুষের উপর আরোপ করতে পারে না যা মানুষের নিজস্ব ইচ্ছা , মূল্যবোধের প্রতি আক্রমণ স্বরূপ । । নেকাব হিজাবেরই অংশ । সারা বিশ্বে এটা প্রচলিত । কোন প্রতিষ্ঠান এটা বন্ধ করার ধৃষ্টতা দেখায় কিভাবে ? কিছুদিন পর তো তারা বলতে পারে শর্ট টপস ছাড়া আসা যাবে না ...তখন?

আর দেশের কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে, যেগুলো বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে অগ্রগণ্য, হিজাব, নেকাব নিষিদ্ধ নয় । সেখানে আমার মনে হয় না ব্র্যাক এমন কোন জাতে উঠে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় যারা এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে । ইউরোপ, আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতেও তো মুসলিমরা নিজের পছন্দ মতো পোশাক পরতে পারে । সেখানে আমাদের দেশে এমন নিয়ম চালু হয় কিভাবে ? ....... দয়া করে একটু খেয়াল রাখবেন যেন প্রগতিশীল , যুক্তিবাদী আর ভণ্ডামির প্রভেদটা আপনাদের কাছে ঝাপসা হয়ে না যায় ।

কেউ যদি হিজাব করতে না চায় সেটা যেমন তার ব্যক্তিগত ব্যাপার , কেউ করতে চাইলে সেটাও কারো ব্যক্তিগত ব্যাপার । এখানে ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করলে সেই ধৃষ্টতার জন্য যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত ।

ভালো থাকবেন ।

১৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

পালের গোদা বলেছেন: প্রথমেই কোনো অশোভন বাক্য ব্যবহার না করে আপনার যুক্তি উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ জানাই। এখন আপনার কথাগুলোর কিছু কাউন্টার যুক্তি দিচ্ছি, আশা করছি সিরিয়াসলি ভেবে দেখবেন।

"লেখক বলেছেন: প্রতিষ্ঠান মানুষের জন্য, মানুষ প্রতিষ্ঠানের জন্য না । এজন্য প্রতিষ্ঠানের নিয়ম কানুন ওই প্রতিষ্ঠানটি কোন জায়গায় আছে , ওখানকার মানুষজন কেমন , তাদের জীবনযাত্রা , মূল্যবোধ এসবের উপর নির্ভর করে গড়ে উঠা আবশ্যক।"

কথা তো সত্য। কিন্তু মানুষের জন্য প্রতিষ্ঠান মানে এই না যে প্রতিটা মানুষের জন্য প্রতিটা প্রতিষ্টান হবে। প্রতিটা প্রতিষ্ঠানের কিছু টার্গেট অডিয়েন্স থাকে যাদের সুবিধা মূল্যবোধ কে গুরুত্ব না দিলে ওই প্রতিষ্ঠানেরই ক্ষতি। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থেই সাধারণত তার নীতিনির্ধারকরা তাদের টার্গেট অডিয়েন্স এর সুবিধা অসুবিধা আমলে নিয়েই তার নীতিমালা ঠিক করেন। এখন কথা হচ্ছে সমাজের সব মানুষের মূল্যবোধ তো এক না। কাজেই কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সম্ভব না সমাজের প্রত্যেকের মূল্যবোধ কে আমলে নিয়ে নীতিমালা তৈরী করার (এমনকি আপনার প্রিয় পাবলিক ইউনিভার্সিটিগুলোর পক্ষেও না; আমি নিজে এমন পরিবার চিনি যারা তাদের মেয়েকে পাবলিক ইউনিভার্সিটিতেও পরাতে রাজি না কারণ ওখানে অনেক মেয়ে বরখা পরে না; পাবলিক ইউনিভার্সিটিগুলোতে বরখা বাধ্যতামূলক হলে হয়ত তারা খুশি হতেন)। এবং তার কোনো দরকার আছে বলেও আমি মনে করি না। এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো সমাজের নির্দিষ্ট কিছু মানুষকে উদ্দেশ্য করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যেমন ধরুন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল গুলোর অনেকগুলোতেই নিয়ম রয়েছে যে শুধুমাত্র বাংলা ক্লাস বাদে অন্য কোনো ক্লাসএ বাংলায় কথা বলা যাবে না, ইংলিশ এ কথা বলতে হবে। ইংলিশ এ কথা বলা এদেশের অধিকাংশ মানুষের জীবনযাত্রার মধ্যে পরে না। তাহলে কি এখন এইসব নিয়ম তুলে দিতে হবে? একটা দেশের বিভন্ন স্তরের মানুষ রয়েছে এবং বিভিন্ন স্তরের মানুষের বিভিন্ন মূল্যবোধ রয়েছে। আপনার মূল্যবোধ তো আপনি আরেকজনের ওপর চাপিয়ে দিতে পারেন না, সেই মূল্যবোধ যতই সংখ্যালঘিষ্ট হোক না কেন। সেরকম কোনো একটা প্রতিষ্ঠানেরও আলাদা মূল্যবোধ থাকতে পারে, এবং তারা তাদের সমমনা মানুষকেই তাদের সদস্য হিসেবে চাইতে পারে। এবং সেই অনুযায়ী তারা তাদের নীতিমালা ঠিক করতে পারে। যাদের মূল্যবোধ তার সাথে কমপ্যাটিবল হবে না, তারা সেখানে যাবে না, সহজ ব্যাপার।

"আপনি বোধহয় ভুলে গেছেন বাংলাদেশ শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ এবং এখানে কিছু উঠতি বয়সী অতি পণ্ডিত ব্যক্তি ছাড়া বাকিরা ধর্মের নিয়ম কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল । কাজেই এখানে এমন কোন নিয়ম কোন প্রতিষ্ঠান জোর করে মানুষের উপর আরোপ করতে পারে না যা মানুষের নিজস্ব ইচ্ছা , মূল্যবোধের প্রতি আক্রমণ স্বরূপ।"

আমার ভালো করেই সেটা মনে আছে। আর কেউ জোর বা আক্রমন কিছুই করছে না। ভর্তির সময় শর্ত দেয়া ছিল যা মেনেই সবাই ভর্তি হয়েছে। কেউ শর্ত মানতে অপারগ হলে এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী যা হবার কথা তাইই হচ্ছে। আমি যদি হোটেলের মালিক হয়ে আপনাকে শর্ত দেই আমার হোটেলে লুঙ্গি পরা যাবে না আর আপনি যদি শর্ত মেনেই হোটেলে উঠে তারপরে লুঙ্গি পরে ঘোরাঘুরি করেন, তাহলে আমার আপনাকে বলার অধিকার আছে যে আপনি শর্ত না মানতে পারলে হোটেল ছেড়ে দেন। কারণ এটা আমার হোটেল, আর আপনি শর্ত মেনেই উঠেছেন। তারমানে এই না যে আমি আপনার লুঙ্গি পরার ইচ্ছা বা মূল্যবোধের প্রতি আক্রমন করলাম।

"নেকাব হিজাবেরই অংশ । সারা বিশ্বে এটা প্রচলিত"

নেকাব হিজাবের অংশ এটা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে, আর সারা বিশ্বে প্রচলিত বলতে কি বোঝাচ্ছেন? সারা বিশ্বে সব দেশেই নেকাব পড়ুয়া খুঁজে পাওয়া যাবে সেটা? নাকি সারা বিশ্বে যারা হিজাব পরেন তারা অধিকাংশই নেকাব পরেন সেটা? যদি দিতীয়টি বুঝিয়ে থাকেন তাহলে বলব তথ্যটা ঠিক না। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে অধিকাংশ দেশেই, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশ গুলোতে যারা হিজাব করেন তাদের অধিকাংশই নেকাব পরেন না অর্থাত মুখ ঢাকেন না। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে অধিকাংশ হিজাবধারী নেকাব পরেন না। আর যদি প্রথমটা বুঝিয়ে থাকেন, তাহলে বলব সারা বিশ্বের সব দেশে খুনিও খুঁজে পাওয়া যাবে, তারমানে কি খুন সারা বিশ্বে প্রচলিত ধরতে হবে?

"কোন প্রতিষ্ঠান এটা বন্ধ করার ধৃষ্টতা দেখায় কিভাবে ?"

ধৃষ্টতা দেখায় কারণ ওরা ওই প্রতিষ্ঠানের নীতি নির্ধারক এবং ওদের সেই অধিকার রয়েছে। দেশে আইনেও তাদের সেই অধিকার রয়েছে। বরং প্রশ্নটা হওয়া উচিত আপনারা তো ঐখানের কিছুই না। এমনকি শেয়ারহোল্ডার পর্যন্ত না। তাহলে আপনারা ঐখানে কি নিয়ম হওয়া উচিত সেটা ঠিক করার এবং দাবি করার ধৃষ্টতা কোন অধিকারে দেখান?

"কিছুদিন পর তো তারা বলতে পারে শর্ট টপস ছাড়া আসা যাবে না ...তখন?"

এমন যদি সত্যই হয় তাহলে কি এমন হবে? সেরকম পোশাক প্রেফার করে এমন মানুষ যে দেশে নেই তাতো না। তারা তখন ওখানে পড়বে বাকিরা পড়বে না। সেটা হলে সেই ইউনিভার্সিটি এর ছাত্রী কমে গিয়ে ইউনিভার্সিটি এর ক্ষতি হতে পারে কিন্তু দেশের কি ক্ষতি হবে? ইউনিভার্সিটি তে যারা পড়ে তারা প্রাপ্তবয়স্ক এবং তারা তাদের ব্যক্তিগত ভালোমন্দ বুঝতে সক্ষম। যাদের মনে হবে এমন পোশাক পরা ঠিক না তারা অন্য ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হবে। তাই বলে আপনি তো ইউনিভার্সিটি এর নীতিনির্ধারক বা মালিক নীতিনির্ধারণের এর অধিকার ছিনিয়ে নিতে পারেন না।

"আর দেশের কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে, যেগুলো বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে অগ্রগণ্য, হিজাব, নেকাব নিষিদ্ধ নয় ।"

আপনার মূল্যবোধের সাথে পাবলিক ইউনিভার্সিটি এর নীতি মেলে দেখে তার পক্ষে বলছেন। দেশে অনেক হুজুর আছে যারা মনে করেন পাবলিক ইউনিভার্সিটি গুলোতে হিজাব বাধ্যতামূলক হব উচিত। তাদের সাথে আপনার মূল্যবোধের পার্থক্য ছাড়া আর তেমন পার্থক্য নেই। আপনারা দুই দলই আপনাদের মূল্যবোধ দেশের সব প্রতিষ্ঠানের উপরে চাপিয়ে দিতে চান।

" সেখানে আমার মনে হয় না ব্র্যাক এমন কোন জাতে উঠে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় যারা এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে ।"

জাতে উঠার সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এটা তাদের ইউনিভার্সিটি কাজেই তারা যেটা উচিত মনে করবে সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার রাখে। সেটা পছন্দ না হলে ছাত্ররাও সেখানে না যাওয়ার বা ত্যাগ করার অধিকার রাখে।

"ইউরোপ, আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতেও তো মুসলিমরা নিজের পছন্দ মতো পোশাক পরতে পারে । সেখানে আমাদের দেশে এমন নিয়ম চালু হয় কিভাবে ?"

অবশ্যই পারে। কারণ এখানকার (অস্ট্রেলিয়া) ইউনিভার্সিটি গুলোর নীতিনির্ধারকরা সেটা এলাও করছেন তাদের নিজেদের স্বার্থে। কিন্তু ড্রেসকোড ঠিক করার পুরো অধিকার তাদের আছে এটা এখানে সবাই রেকগনাইজ করে। আর আমি এখানের কোনো ইউনিভার্সিটিতে কাউকে নেকাব পড়তে দেখিনি। সিকিউরিটি এর দিক থেকে ভাবলে নেকাব নিষিদ্ধ করার যথেষ্ট যৌক্তিক কারণ আছে। কারণ একটা মানুষকে চেনার প্রধান উপায় তার চেহারা। এখানে ছাত্রীরা নেকাব পরা শুরু করলে আমার মনে হয় এখানেও ওটা নিষিদ্ধ করবে। এসব দেশে তারা মানুষের ব্যক্তিস্বাধীনতার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়, কিন্তু এখানে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে নেকাব তো দুরের কথা পশ্চিমা মেয়েদের মত ফর্মাল ড্রেস পড়াটা মেয়েদের জন্য নিয়ম। তাদের কথা হলো তোমার ব্যক্তিগত জীবনে তুমি যা খুশি পর সেখানে কিছু বলার আমার কোনো অধিকার নেই কিন্তু আমার প্রতিষ্ঠান চলবে আমার নিয়মে এবং এখানে থাকতে হলে আমার নিয়মে চলতে হবে, আর এই নিয়ম করাটা আমার অধিকার। এটাকে ওরা বলে সিভিল রাইটস এন্ড সিভিল লিবার্টি। এই সিভিল রাইটস কনসেপ্টটাই আমাদের দেশে অনুপস্থিত যে কারণে কেউ তার প্রতিষ্ঠানে কি নিয়ম করবে সেটা আপনারা ডিকটেট করছেন, কারণ আপনারা সংখ্যাগরিষ্ট।

"দয়া করে একটু খেয়াল রাখবেন যেন প্রগতিশীল, যুক্তিবাদী আর ভণ্ডামির প্রভেদটা আপনাদের কাছে ঝাপসা হয়ে না যায়"

এখানে ভন্ডামির সন্দেহ কিভাবে আসছে? ব্রাক এর কর্তৃপক্ষের জায়গা থেকে চিন্তা করে দেখুন। নেকাব তারা কি পাবার লোভে নিষিদ্ধ করছে বলে আপনি মনে করছেন? ওখানে তো এমনিতেই হিজাবহীন মেয়েদের কোনো অভাব নেই। ২/১ টা মেয়ে এর নেকাব সরিয়ে তারা কি লাভ করবে? বরং কিছু ছাত্রী হয়ত তারা হারাবে, এবং কিছু টাকা লস করবে। ভন্ড হচ্ছে তারা যারা সবকিছুর মধ্যে ধর্ম টেনে এনে সাধারণ মানুষের ধর্মের প্রতি দুবলতার সুযোগ নিয়ে সুবিধা নিতে চায়। আর এখানে প্রগতিশিলতারও কিছু নাই। তাদের প্রয়োজনে তারা নীতি নির্ধারণ করেছে। আর যদি বলেন তারা হিজাব ছেড়ে দিতে ছাত্রীদেরকে উত্সাহিত করে তাহলে বলব তারা চায় তাদের প্রতিষ্ঠানে যারা সদস্য তারা তাদের সমমনারা হোক। কারণ তাদের একটা ভিশন থাকতে পারে তাদের স্টুডেন্টদেরকে নিয়ে। তার সাথে আমি আপনি একমত না হতে পারি, কিন্তু সেটা ডিকটেট করা তো আমাদের স্থান নয়। আমি বাংলাদেশে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (IUT ) তে পরেছি। ওখানে আরবি শেখা বাধ্যতামূলক। আমি ওখানে গিয়েছি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে, তাহলে আরবি কেন পড়তে বাধ্য হলাম? কারণ এটা তাদের ইউনিভার্সিটি এবং তাদের স্টুডেন্টদেরকে নিয়ে তাদের একটা ভিশন আছে, এবং তাদের ইউনিভার্সিটি এর নীতিনির্ধারণের অধিকার তাদের আছে। এক্ষেত্রে আমার অপসন কেবল দুটি, হয় আমি ইউনিভার্সিটি ছেড়ে দিতে পারতাম অথবা তাদের নিয়ম মেনে আরবি শিখতে পারতাম। আমি দিতীয়টি বেছে নিয়েছিলাম। খেয়াল করে দেখুন আরবি শেখাটাও কিন্তু এদেশের অধিকাংশ মানুষের জীবনযাত্রার মধ্যে পড়ে না।

"কেউ যদি হিজাব করতে না চায় সেটা যেমন তার ব্যক্তিগত ব্যাপার , কেউ করতে চাইলে সেটাও কারো ব্যক্তিগত ব্যাপার । এখানে ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করলে সেই ধৃষ্টতার জন্য যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত ।"

আপনি ভুল করছেন। ব্যাক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ মানে হচ্ছে কারো ব্যক্তিজীবনে তাদের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করা। যেমন আমি যদি আমার স্ত্রী কে বলি হিজাব পড়তে পারবে না, তাহলে সেটা হবে ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। কিনবা ফেসবুকের ওড়না পেজগুলোকে বলা যেতে পারে ব্যাক্তিশাধিনতায় হস্তক্ষেপ। আমি যদি আপনাকে বলি এখন থেকে আপনি জুতো পড়তে পারবেন না, সেটা আপনার ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হবে। কিন্তু যদি আপনাকে বলি আমার বাসায় জুতো পরে প্রবেশ করা যাবে না, তাহলে সেটা আপনার ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না, সেটা আমার বাসার নিয়ম নির্ধারণ করার অধিকার চর্চা মাত্র। তখন আপনার এই শর্ত পছন্দ না হলে আমার বাসায় আপনি ঢুকবেন না। সহজ হিসাব। ব্রাক যদি বলত কোনো মেয়ে নেকাব পড়তে পারবে না, তাহলে তা হত ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। এমনকি তারা যদি বলত তাদের কোনো ছাত্রী ইউনিভার্সিটি এর বাইরেও নেকাব পড়তে পারবে না তাহলে তাও হত ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। তারা কেবল বলছে নেকাব পরে তাদের প্রতিষ্ঠানে ঢোকা যাবে না। সেটার পেছনে তারা কৈফিয়ত পর্যন্ত দিয়েছে (সিকিউরিটি) যেটা দিতে তারা বাধ্য ছিল না। যেহেতু তারা কারো ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে না কাজেই সরকারের এখানে ব্যবস্থা গ্রহনের প্রশ্নই আসে না। এখন তাদের নীতিমালা আপনাদের মূল্যবোধের সাথে মিলছে না বলে আপনারা চাচ্ছেন তাদেরকে বাধ্য করতে যে তারা তাদের নীতিমালা এমন করুক যেটা আপনাদের মূল্যবোধের সাথে মেলে। অর্থাত আপনারা আপনাদের মূল্যবোধ তাদের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছেন যেহেতু আপনারা সংখ্যাগরিষ্ট। সেটা বরং তাদের প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ নয় কি? আর আপনার যুক্তি অনুযায়ী তো দেশের যত স্কুল এর ইউনিফর্ম আছে সবগুলোর বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছাত্রছাত্রীদের ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের কারণে।

আসলে আপনারা চান একটা টোটালিটারিয়ান সমাজ এবং রাষ্ট্রব্যবস্থা যেখানে সংখ্যাগরিষ্টদের মূল্যবোধ বাকি সবার উপর, বিশেষ করে সব প্রতিষ্ঠানের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়। কোনো উন্নত দেশে মানুষের এরকম মানসিকতা নয়। তারা পরের মত এবং পরের মূল্যবোধ এ সহিষ্ণুতায় বিশ্বাসী। জাতি হিসাবে উন্নতি করতে হলে আমাদের সেখান থেকে শেখার অনেককিছু রয়েছে।

আপনিও ভালো থাকবেন।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩০

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ নিজের বক্তব্য সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য । আপনার কথার পরিপ্রেক্ষিতে অনেককিছুই বলা যায় । বলছি না । যুক্তি – পাল্টা যুক্তি , আবার যুক্তি এবং পুনরায় পাল্টা যুক্তি খুব ক্লান্তিকর ব্যাপার; বিশেষ করে যেখানে দুই পক্ষই নিশ্চিত সে নিজে ভুল বলছে না ......... আমার ধারনা আপনাকে আমি কিছুই বুঝাতে পারবো না । কারণ দুজনের Way of Thinking আলাদা ।

ভালো থাকবেন ।

১৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: বিবেকশূণ্য হয়েছেন হোন, ইচ্ছা হলে ড্রেস ছাড়াই ক্যাম্পাসে ক্লাস করার বাধ্যতামূলক নিয়ম চালু করুন। কিন্তু যখন নতুন কোন পরিমল, অরাজনৈতিক মানিক বের হবে, অবিবাহিত মা'য়ের সংখ্যা, আত্মহত্যা, এবোরশন বাড়বে তখন আবার বলবেন না যেন আধুনিক প্রজন্মের মধ্যে চরম নৈতিক অবক্ষয় ঘটেছে । কারণ নৈতিক অবক্ষয়কে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়ে চলেছে কর্তৃপক্ষ এবং এই ব্যাপারে অভিভাবক, শিক্ষার্থীরাও একজোট ( মৌনতাই সম্মতির লক্ষণ) ।

১৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১১

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: হিজাব পরার অপরাধে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত ছাত্রী হাফসা ইসলামকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কর্তৃপক্ষ। - See more at: Click This Link

Click This Link

১৯| ২৪ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮

চড়ুই বলেছেন: খারাপ ভালো সব জাইগাই থাকে। টি এস সি তেও অনেক সময়ই বাজে জিনিস দেখা জাই এখন হইত বলবেন অই সব কাজ বেসরকারি ভার্সিটির ছেলে-মেয়েরা করে?

১৮ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: বাইরের মানুষ আর আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের মানুষ মিলেমিশে করে :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.