![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের কাছে নিজেই অচেনা রয়ে গেছি আজো । চেনার চেষ্টা করছি । মানুষ হিসেবে কেমন তা অন্যরাই ভাল বলতে পারবে । আমার কাছে আমি আমার মতোই । আশাবাদী , স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি । সুন্দর এবং শুদ্ধ অনুভূতিময় স্বপ্ন ।
বুক রিভিউ: The Fault In Our Stars
লেখক: John Green
কেমন হতো যদি খুব অল্প বয়সেই আপনি জানেন যে আপনার শরীরে চুপটি করে আছে এমন কোন অপ্রতিরোধ্য এক রোগ, যে একদিন আপনার জীবন কে গ্রাস করে নেবেই ; আপনি সাময়িক ভাবে তাকে একটু দমিয়ে রেখে কিছুটা সময় ধার করে চলছেন কেবল?
শুরুটা এমন-
" Late in the spring of my seventeenth birthday, my mother decided I was depressed, presumably because I rarely left the house, spent quite a lot of time in bed, read the damn book over and over, ate infrequently, and devoted quite a bit of my abundant free time to thinking about death. "
লেখক জন গ্রিনের The Fault In Our Stars- দুই জন সতের বছর বয়সী ক্যান্সার আক্রান্ত একটু অন্যরকম কিশোর - কিশোরীর আর পরিবারসহ তাদের ঘিরে থাকা কিছু মানুষের মনকে গভীর ভাবে স্পর্শ করে যাওয়ার মতো এক গল্প ।
হ্যাজেল গ্রেস, ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত এক কিশোরী যার সময় কাটে টিভি দেখে, An Imperial Affliction নামের একটা বই বারবার পড়ে আর মৃত্যুকে ভেবে । তার ক্যান্সার নিরাময় যোগ্য নয়, ঔষধ দিয়ে তা সাময়িকভাবে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে কেবল । নিঃশ্বাস নেয়ার জন্যে সবসময় তাকে যন্ত্রের সাহায্য নিতে হয়। প্রতি বুধবার সে চার্চে আরও কিছু ক্যান্সার আক্রান্ত মৃত্যু পথযাত্রী মানুষের সাথে মিলিত হয় এবং একে অপরকে সুস্থ হয়ে ওঠার, অসুখের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার শক্তি যোগায়। সেই সাপোর্ট সেন্টারেই একদিন হ্যাজেল দেখলো সমবয়সী নীল চোখের এক ছেলে একদৃষ্টে তার দিকে তাকিয়ে আছে ।
ছেলেটার নাম অগাস্টাস, ক্যান্সারের কারণে যার অপারেশন করে একটা পা হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলতে হয়েছে ( হ্যাজেলের ভাষায় এখন তার পায়ের সংখ্যা ১.৪ টি ). ঐ অপারেশনের পর গত এক বছরে তার শরীরে আর ক্যান্সারের কোন উপস্থিতি ধরা পড়ে নি । অগাস্টাসের সবচেয়ে বড় ভয় - মৃত্যুর পর তার স্মৃতি কারো মনে থাকবে না।
হ্যাজেলের কাছে কোন সমাপ্তি ছাড়াই হঠাৎ করে শেষ হয়ে যাওয়া An Imperial Affliction বইটার সকল চরিত্র বাস্তবের রক্ত মাংসের মানুষের মতো সত্য । সে যতোবার বইটা পড়ে, তার ততোবার মনে হয় সে যেন আয়নায় নিজেকেই দেখছে, সে জানতে চায় বইটা শেষ হয়ে যাওয়ার পর চরিত্রগুলোর ভাগ্যে কি ঘটেছিল? তারা কোথায় আছে? কেমন আছে?? .......... এসব প্রশ্নের জবাব জানতে সে বহুবার ঐ বইয়ের লেখককে চিঠি লেখে, কখনোই জবাব পায় না । কিন্তু বইটা পড়ার পর অগাস্টাস যখন লেখক কে চিঠি লিখলো, তখন লেখক তাদের দুজনের চিঠিরই জবাব দিলেন এবং বললেন বইটার চরিত্রগুলোর কি হয়েছিল তা জানতে হলে তাদের দুজনকে আমস্টার্ডাম যেতে হবে, বহুদূরের যে শহরে লেখক বসবাস করছেন ।
জীবনের সবচেয়ে বড় ইচ্ছাটা পূরণে রওনা হয় তারা ; হ্যাজেল নিজের প্রশ্নগুলোর জবাব খুঁজতে আর অগাস্টাস হ্যাজেলের ইচ্ছা পূরণ করতে ।
তারপর?
........... মৃত্যুর দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলা দুজনের জীবনই যেন লেখা হলো নতুন ভাবে । কিন্তু ওমনভাবে কি তারা আদৌ কখনো চেয়েছিল??
নিউইয়র্ক টাইমস বেস্ট সেলার লিস্টের শীর্ষে থাকা এই বইটা নীলক্ষেতে খুঁজলেই পাবেন, দাম পড়বে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা মাত্র ।
আশা করি জন গ্রিনের সৃষ্টি বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় এই বইয়ের অদ্ভুত সারল্য মাখা কিছু মানুষের জীবনের গল্প আপনারও ভালো লাগবে । হয়তো জীবনকে নিয়ে ভাবাবে গতানুগতিকের বাইরে একটু অন্যরকম ভাবে ।
__________________________________________
কিছু প্রিয় বইয়ের রিভিউ ০১: The Kite Runner
Click This Link
কিছু প্রিয় বইয়ের রিভিউ ০২ : One Night @The Call Center
Click This Link
হ্যাপি রিডিং!
৩০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:১০
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । আশা করি ভালো আছেন ।
২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:০১
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
Have you watched the movie?
৩০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:১২
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: No, I haven’t watched that yet.…. hope that you are going well.
৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:২১
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: এই মুহূর্তে Orhan Pamuk এর The Silent House পড়ছি। রিভিউ ভালো লাগলো।
৩০ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫১
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: আমি পড়ছি Istanbul.
৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
রিভিউ ভাল লাগল।
৩০ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫১
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: Thank you !
৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫০
মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর পোস্টে ভালোলাগা ।
৩০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৭
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ
৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:২২
অপ্সরা বলেছেন: অনেক সুন্দর রিভিউ!!
৩০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৭
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপূ
৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এর ওপরে ছবি বের হয়েছে মনে হয়। ট্রেইলার দেখেছিলাম।
৩১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০৩
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: হ্যাঁ । মুভি বের হয়েছে এই বইয়ের ।
৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৩২
ধৃষ্টদ্যুম্ন বলেছেন:
আজ মুভিটা দেখলাম। রোম্যান্টিক সিনেমা সর্বদাই মাথার উপর দিয়ে যায় ... তবে সিম্পল, সাজানো গোছানো সিনেমাটা দেখতে খারাপ লাগবে না, এটা বলা যায়!
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩৩
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: মাথার উপর দিয়ে যাবে কেন ?? সন্ন্যাস ব্রত পালন করছেন নাকি ? .......... মুভিটা এখনও দেখা হয় নি ।
৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বই টার খবর কে দিয়েছে শুনি!! রিভিউ ভালো হয়েছে। আরেকটু বড় করে রিভিউ দিলে পাঠকের জন্য বেশি বেশি ভালো হতো।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১২
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: হা হা হা .... বইটার খবর আসলেই যিনি দিয়েছিলেন তাকে ধন্যবাদ !
১০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:১১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: লাল কার্ড দেয়া হল
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১২
শহুরে আগন্তুক বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:১৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বুক রিভিউ ভাল হয়েছে ।