![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের কাছে নিজেই অচেনা রয়ে গেছি আজো । চেনার চেষ্টা করছি । মানুষ হিসেবে কেমন তা অন্যরাই ভাল বলতে পারবে । আমার কাছে আমি আমার মতোই । আশাবাদী , স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি । সুন্দর এবং শুদ্ধ অনুভূতিময় স্বপ্ন ।
তথ্যটা খুব কম ছেলেই জানে । আর কথাটা মেয়েদের ছোট বা কটাক্ষ করার জন্যেও বলছি না। আমি আমার সংক্ষিপ্ত জীবনে যা দেখেছি তাতে মনে হয়েছে এ যুগের অধিকাংশ মেয়েই পৃথিবীতে কেবল পাঁচটা জিনিসকেই মন থেকে ভালোবেসে বাঁচে : পোশাক -পরিচ্ছদ, খাবার, ক্যামেরা, বিড়াল এবং নিজেকে । পৃথিবীতে অন্য কিছুর দিকে এরা সম্ভবত মনোযোগ খুব কমই দেয় বা দিতে পারে ।
আমার দুর্দান্ত সুন্দরী নতুন বান্ধবীও কি আদৌ এদের থেকে আলাদা?
একটা বয়সের পর মানুষের আসলে বন্ধুত্ব হয় না, হয় কৃত্রিম আন্তরিকতার প্রয়োজনের সম্পর্ক । আমার মতো চেহারা থেকে মানসিকতা পর্যন্ত সবকিছুতে আপাদমস্তক মধ্যবিত্ততায় ভোগা মানুষের কাছে আক্ষরিক অর্থেই দেবী ভেনাসের মতো সুন্দরী এ মেয়ের কি প্রয়োজন? যে মেয়ে কোন ছেলের সাথে কয়েকটা শব্দ বললেই সেই ছেলে অবধারিতভাবে পরপর কয়েক রাত তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে ফেলবে, সেই মেয়ের তো হুট করে প্রায় গায়ে পড়ে আমার সাথে মেশার, আমার বই, শার্ট, জিন্সের প্যান্ট কেনার সময়ের সঙ্গীনি হবার জন্য ব্যাকুল হওয়ার কোন দরকার নেই । যেখানে এ চাইলেই বহু দেবদূত এর জন্যে যে কোন সময় সাত সমুদ্র তের নদী পাড়ি দেওয়ার জন্য বের হয়ে যাবে, সেখানে আমার কাছে এ কি চায়? এ যুগের মেয়েরা বেড়াল যেমন পছন্দ করে, তেমন অধিকাংশ মেয়ের মধ্যেও তো বেড়াল সুলভ স্বার্থ সচেতনতার প্রবনতা প্রকট । বেড়ালকে মানুষ নিজের পাত থেকে খাবার তুলে খাওয়ায়, পরম আদরে বড় করে। কিন্তু কখনো যদি ভুলেও লেজে একটু পা দিয়ে ব্যথা দিয়ে ফেলে, বেড়াল আগের সব আদর ভুলে গিয়ে সাথেসাথে সর্বশক্তিতে খামচি বসিয়ে দেয় । এতোটাই স্বার্থ সচেতনতা বা স্বার্থপরতা! ..... এই যদি হয় বিড়াল আর মানবীদের অবস্থা, তাহলে এই মেয়ের আমার কাছে স্বার্থটা কি? আমি চিন্তা করি, খুঁজে পাই না ।
...... রাস্তার আইলেনগুলো রিকশায় পাশে কেউ থাকলে আকর্ষনীয় হয়ে যায়। প্রতিটা আইলেনে রিকশাওয়ালা রকেট গতিতে রিকশা তুলে দেবে আর পাশের সঙ্গনী ভয় পেয়ে আপনার হাত আঁকড়ে ধরবে - ছা'পোষা মাথা মোটা ছেলেদের কাছে এতোটুকুই জীবনের চরম ও পরম সার্থকতার কারণ হয়ে যেতে পারে । কিন্তু বান্ধবী দেখা গেলো হাত পুরোপুরি ধরার সাহস পাচ্ছে না, কখনো ধরে শার্টের এক কোনা, কখনো বা না ধরার মতো করে ধরা । একদম ধরি মাছ না ছুঁই পানি অবস্থা..... কি যন্ত্রনা!
মুখ পাশে ফিরিয়ে ডাক দিলাম ।
- বান্ধবী!
- কি?
- আমার সাথে সমুদ্রের আশেপাশে গেলে হয় সমুদ্রে নেমে গোসল করতে হবে, নয়তো শুকনো বালিতে দাড়িয়ে থাকতে হবে । এমন পায়ের পাতা ভিজিয়ে পানি ছিটাছিটি করা যাবে না । আধ ভেজা হওয়ার পানি ছিটাছিটি খেলা আমার খুবই অপছন্দ ।
- মানে? কি বলো এইসব উল্টা - পাল্টা!
- হাত ধরলে ভালো মতো ধরো । সামনের আইলেন বেশী উঁচু মনে হলে চাইলে ভয় পাওয়ার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে জড়ায়েও ধরতে পারো .... কিন্তু এমন বরফ - পানি টাইপ সুড়সুড়ি দেওয়া ছোঁয়াছুঁয়ি করবা না । বুঝছো?
সে জবাব দিলো না । কিন্তু নিঃশ্বাস দ্রুত হয়ে আসা আর শঙ্খের মতো ফর্সা নাকের উপর ঘামের আভাসে বোঝা গেলো সে বুঝেছে, ভালো মতোই বুঝেছে । রিকশা তখন কাঁটাবন মার্কেটের সামনে.... পরের আইলেনেই সম্ভবত কিছু একটা ঘটবে .... ভয়াবহ কিছু!
আমি নীলক্ষেত মোড়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে রিকশা থেকে নেমে গেলাম ।
কারণ একটু সামনেই মহসীন হলের মাঠের পাশের আইলেনটা সম্ভবত ঢাকা শহরের অন্যতম উঁচু আইলেন ।
নেমে গেলাম কেন? ভয়ে?
পৃথিবীতে ছেলে মানুষ আমার দেখা অনুসারে চার প্রকার - একদল ঘুরে কেবল চাহিদা নিয়ে । এদের মানিব্যাগে কনডম সহজলভ্য । আরেকদল সাথে করে ঘুরে নিজের হৃদয়টাকে নিয়ে, যাদের মানিব্যাগের গোপন কোন ভাজে পাওয়া যেতে পারে বিবর্ণ হয়ে আসা কিছু স্মৃতির টুকরো, ভগ্নাবশেষ । তৃতীয়দল নির্বোধ এবং জড়পদার্থ । আর সর্বশেষে যারা আছে তারা আবেগ অনুভূতির বদলে নিজেদের বুকের ভেতরটা দখল করিয়ে রাখে একটা অদৃশ্য ক্যালকুলেটর দিয়ে, যাতে প্রতিনিয়ত স্বয়ংক্রিয়ভাবে হিসাব হয়ে চলে প্রতিটা পদক্ষেপের লাভ - ক্ষতি ।
..... নগরীতে ইদানীং সৃষ্টিকর্তার সুন্দরতম সৃষ্টি মানবদের মাঝে নিজের সত্যিকারের দল পরিবর্তন করে চতুর্থ দলে ঢোকার কাতারে দাড়ানোর প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে । এই তথ্যটাও অনেকেরই অজানা ।
তবে আমি জানি ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: নারীদের শ্রেণীকরণটা মজা লাগসে।