![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের কাছে নিজেই অচেনা রয়ে গেছি আজো । চেনার চেষ্টা করছি । মানুষ হিসেবে কেমন তা অন্যরাই ভাল বলতে পারবে । আমার কাছে আমি আমার মতোই । আশাবাদী , স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি । সুন্দর এবং শুদ্ধ অনুভূতিময় স্বপ্ন ।
চাকরের বৃত্তিই চাকরি। ন্যায্য হলেও চাকরিতে থেকে নিয়োগকর্তার বিপক্ষে গিয়ে কিছু করা প্রায়শই সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। নিজের ইচ্ছা ও বিবেকের বিরুদ্ধে গিয়ে হলেও নিয়োগকর্তার স্বার্থে কাজ করে যেতে হওয়াটা চাকরির প্যাকেজের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত - এই কথাটা নিজে চাকরীজীবী না হলে বোঝা সম্ভব নয়। আবার যত দক্ষ কর্মচারী-ই আপনি হোন না কেন, প্রতিষ্ঠানে যতো শ্রম-ই আপনি দিয়ে থাকুন না কেন, প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে নিয়োগকর্তা আপনার কথা অবলীলায় ভুলে যাবেন - এই ধ্রুব সত্যটা সবসময় মনে রাখা জরুরী।
Work Place Memoir ধরণের লেখা খুব বেশী পাওয়া যায় না। কারণ আমাদের অনেকের মধ্যেই নিজের কাজের জায়গাটার প্রতি কেমন যেন এক ধরণের বিবমিষা কাজ করে। এর প্রতি আমরা অধিকাংশই বিরূপ, কিংবা বিরূপ না হলেও সদয় কদাচিৎ-ই হয়ে থাকি। সেজন্যে কর্মক্ষেত্রের স্মৃতিচারণের প্রবণতা খুবই কম (অভিযোগ, অনুযোগ বাদে)। অথচ জীবনের একটা উল্লেখযোগ্য সময় আমাদের কিন্তু কাটাতে হয় কাজ নিয়ে কর্মক্ষেত্রেই.....
সদ্যপ্রয়াত প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারকে একজন সৎ ও সাহসী মানুষ বলেই আমার সবসময়ে মনে হয়েছে। তবে প্রজাতন্ত্রের উচ্চপদস্থ কর্মকতার বাইরে তিনি যে একজন চমৎকার লেখক-ও, তা আমার জানা ছিলো না। বোধকরি তার লেখক পরিচয় আমলা পরিচয়ের নিচে চাপা পড়ে যাওয়ায় আরও অনেকের বেলায়ই কথাটা প্রযোজ্য।
বইটা দেশের ক্ষমতার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু বঙ্গভবনে চারজন রাষ্ট্রপতির অধীনে বিভিন্ন পদে লেখকের কাজ করার অভিজ্ঞতার বয়ান। সময়কাল স্বাধীনতার পরপর - ১৯৭২ থেকে শুরু। লেখক তৎকালীন রাজনৈতিক পটভূমির মতোই এই পাঁচ বছরের কর্মজীবনে তার উত্থান এবং পতনের কথা দুই-ই প্রাঞ্জল ভাষায় গ্রন্থিত করে গেছেন। সদ্যজাত বাংলাদেশের অদ্ভুত ঘোরলাগা সে সময়ে নাগরদোলায় চেপে থাকা বঙ্গভবনের তৎকালীন আবহ বুঝতে বইটা প্রাসঙ্গিক।
সুখপাঠ্য এ বইটাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনকালের পরিসর সংক্ষিপ্ত এবং এর পরের দুই রাষ্ট্রপতির কার্যকালের পরিসর সংক্ষিপ্ততর হওয়ায় মনে কিছুটা অপূর্ণতা রয়ে গেলো। তবে বইটা দেশের প্রথম রাষ্ট্রপ্রধাণ এবং ব্যক্তি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর ব্যাপারে জানার আগ্রহ মিটিয়েছে ভালো মতোই। রাষ্ট্রপ্রধান আবু সাঈদ চৌধুরীর ব্যাক্তিত্ব অনুকরণীয়। প্রজ্ঞা, ধৈর্য্য, আত্মসম্মানবোধ আর নিষ্ঠায় তিনি আমাকে মুগ্ধ করেছেন।
UPL প্রকাশনী থেকে প্রকাশনী বইটা আপনারাও পড়তে পারেন। ইতিহাস বিষয়ে যদি আগ্রহ না-ও থাকে, বইটা ইমোশনাল ইন্টিলিজেন্স, অফিস কালচার ও পলিটিক্স এসব ব্যাপারে বুঝতে সাহায্য করবে।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৮
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: রকমারি-তে পাবেন।
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: শ্রদ্ধাভাজন একজন - নিজের কর্মে সৎ ছিলেন।
রিভিউ পড়ে ভাবছি বই সংগ্রহ করতে পারবো।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৫
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: পড়ে ফেলুন। ভালো লাগবে আশা করি।
৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আলোকপাতের মূল্যায়ন ভালো লেগেছে।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০১
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বইয়ের রিভিউ পড়ার পর বইটা পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। বইটার নাম আগে শুনেছি মনে হচ্ছে।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৪
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: পড়ে ফেলুন দ্রুত।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২০
অক্পটে বলেছেন: বইটা পড়ার ইচ্ছা করছে খুব। কারণ এই উত্তাল সময়ে একজন সৎ এবং সাহসীর পক্ষেই সম্ভব সত্য কথা অকপটে বলা। আর নিঃসন্দেহে তেমন একজন ব্যাক্তিত্ব। অনলাইনে পাবার কোন সম্ভাবনা থাকলে জানাবেন।