![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার হাতই আমার হাতিয়ার হয়ে ওঠে,এবার আর মৃত জঞ্জাল নয়,আমার চেতনা নরকের অগ্নিতল থেকে ফিরিয়ে আনে আমার কবিতা...... কবির চেতনা,কবির বিবেক,কবির অস্তিত্ব থামানো যায়না, আবার ফিরে আসে কবিতা কবির কলমে...........
‘মুন’ থেকে ‘সুপারমুন’ হয়ে উঠার পেছনে রয়েছে নানা ঘটনা । আর জ্যোতিষীদের এই বিশ্বাস নিয়েই যত আপত্তি জ্যোতির্বিদদের !
চন্দ্র উপবৃত্তাকার পথে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে । এই ভাবে প্রদক্ষিণ করতে করতে একটা সময় আসে যখন সে পৃথিবীর সব থেকে দূরে চলে যায় । তখন তাকে ‘অপভূ’ অবস্থান বলা হয় । এই দূরত্ব প্রায় চার লক্ষ ছয় হাজার তিনশো কিলোমিটার হয় । আর যখন চন্দ্র সব থেকে কাছে চলে আসে তখন তাকে ‘অনুভূ’ অবস্থান বলা হয় । তখন পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব হয় মাত্র তিন লক্ষ ছাপ্পান্ন হাজার ছয়শো কিলোমিটার । আর সে সময় চন্দ্রের আকৃতিও রোজকার আকার থেকে প্রায় বারো শতাংশ বড় হয় । ‘সুপারমুন’ - চাঁদের বড় আকৃতির জন্য ১৯৭৯ সালে চন্দ্রের এই জম্পেশ নাম দিয়ে ছিলেন রিচার্ড নলে নামক এক জ্যোতিষী । তবে ‘বেডমুন’ নামকরণ থেকে রিচার্ডের বিরত থাকার কারণটা অবশ্য অজ্ঞাত । তার বিশ্বাসমতে ‘সুপারমুন’ পৃথিবীতে প্রলয়ঙ্করের বার্তা নিয়ে আসে ।
সুপারমুন-এ চাঁদ বড় দেখা গেলেও ক্রমান্বয়ে তা ছোট হতে থাকবে । কারণ প্রতিবছর চাঁদ পূর্বের বছর থেকে ৩.৮ সেন্টিমিটার দূরে চলে যায় । বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন পৃথিবী শুরুর দিকে চাঁদ পৃথিবী থেকে মাত্র ১৪ হাজার মাইল বা ২২ হাজার ৫৩০ কিলোমিটার দূরে ছিলো কিন্তু এখন ক্রমান্বয়ে তা সরে গিয়ে ২ লক্ষ ৩৮ হাজার ৯০০ মাইল বা ৩,৮৪,৪০২ মাইল দূরে অবস্থান করছে ।
প্রতি ১৪টি চান্দ্র মাস সম্পন্ন হওয়ার পর একটি সুপারমুন ঘটে থাকে। অর্থাৎ একটি সুপারমুন সংঘটিত হওয়ার পরে ১৫তম পূর্ণিমাটি হচ্ছে সুপারমুন। সময়ের হিসেবে এটি ১ বছর ১মাস ১৮ দিন।
একুশ শতকের মধ্যে ২৫ নভেম্বর, ২০৩৪ এবং ৬ ডিসেম্বর, ২০৫২ সালে চাঁদ পৃথিবীর বেশি নিকটে থাকবে। এর আগে ১৯৩০ সালের ১৪ জানুয়ারি চাঁদ সবচেয়ে কাছে এসেছিল, এরকম আবার ঘটবে ২২৫৭ সালের ১ জানুয়ারি। এছাড়া পরবর্তী কয়েক বছরের সুপারমুনের তারিখ হচ্ছে: ১০ আগস্ট, ২০১৪; ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫; ১৪ নভেম্বর, ২০১৬।
লড়াইটা জ্যোতিষী বনাম জ্যোতির্বিদ-দের । চন্দ্র যখন পৃথিবীর খুব কাছে আসে তখন নাকি ভূমিকম্প, সুনামি, অনাবৃষ্টি, সাইক্লোন, আগ্নেয়গিরি উদ্গীরণ ইত্যাদি নানা বিপর্যয় এসে পৃথিবীকে গ্রাস করে ।
অনেকেই ২৩ তারিখের চাঁদকে ‘সুপারমুন’ হিসেবে আখ্যায়িত করলেও গবেষকরা সাধারণত ‘সুপারমুন’ শব্দটি ব্যবহার করেননা। তাঁরা এটাকে বলেন অনুভূ পূর্ণচন্দ্র বা পেরিজি ফুলমুন। প্রতি বছরই কোন না কোন সময়ে অনুভূ ও পূর্ণচন্দ্র প্রায় একই সময়ে সংঘটিত হয়, তাই এটি একটি নিয়মিত ঘটনা।
‘সুপারমুন’ নিয়ে গুজব কল্পনার জগতে আলোড়ন তুলতে পারে, কিন্তু বাস্তবে ‘মুন’-এর প্রত্যক্ষ প্রভাব কোনভাবেই পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকারক নয় । ‘সুপারমুন’ এর ‘সুপারম্যান’ ইমেজ অক্ষত থাকবে তা যতই ওকে কালিমালিপ্ত করা হোক না কেন !
(তথ্যসুত্রঃ গুগল ও বল্গ)
©somewhere in net ltd.