নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতোয়ানির রাজীম।

সোনালী কিরণ

কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

সোনালী কিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্বিতীয় মৌল নীতি

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৩২

আসসালামু আলাইকুম.............. আমরা এর আগে প্রথম মৌল নীতি আলোচনা পেশ করেছিলাম এখানে Click This Link



দ্বিতীয় মৌল নীতি



প্রমানপঞ্জীসহ ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে পরিচয় ও জ্ঞান লাভ। আর তা হচ্ছেঃ এক অদ্বিতীয় আল্লাহর নিকট পূর্ণ আত্ম-সমর্পণ এবং অকুণ্ঠ নিষ্ঠার সংগে তাঁর আনুগত্য বরণঃ

আর সেই সংগে শির্কের কলূষ-কালিমা হতে মুক্ত ও বিশুদ্ধ থাকা। উহার তিনটি পর্যায় রয়েছেঃ

(ক) ইসলাম, (খ) ঈমান ও (গ) ইহসান।

المرتبة الأولى

প্রথম পর্যায়ঃ ইসলাম



ইসলামের স্তম্ভ হচ্ছে পাঁচটিঃ-

১) ‘আল্লাহ ব্যতীত নেই কোন মা’বুদ এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর রাসূল’- একথার সাক্ষ্য প্রদান করা।

২) নামায সুপ্রতিষ্ঠিত করা।

৩) যাকাত সঠিকভাবে প্রদান করা।

৪) রামাযান মাসে রোযাব্রত পালন করা।

৫) আল্লাহর ঘর যিয়ারত (হজ্জ) করা।

তাওহীদ সম্পর্কিত সাক্ষ্যদানের দলীল প্রমাণঃ

কুরআন হতেঃ

شَهِدَ اللهُ أنَّهُ لاَ إلَهَ إلاَّ هُوَ وَالْمَلاَئِكَةُ وَأُولُوا الْعِلْمِ قَائِماً بِالْقِسْطِ لاَ إلَهَ إلاَّ هُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ.

আয়াতের অর্থঃ

“আল্লাহ ঘোষণা করেন, যে একমাত্র তিনি ব্যতীত সত্যিকার কোন উপাস্য নেই। আর ফিরিশতাবৃন্দ এবং ন্যায়নিষ্ঠ জ্ঞানবান ব্যত্তিগণ ঘোষণা করেন যে, মহাপরাক্রান্ত ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহ ব্যতীত সত্যিকার কোন উপাস্য নেই।।”(সূরা আলে-ইমরানঃ১৮)

এর তাৎপর্যঃ- প্রকৃতপক্ষে তিনিই একমাত্র ইবাদতের যোগ্য। এর দু’টি দিক রয়েছেঃ একটি নেতিবাচক, অপরটি ইতিবাচক। ইকবাচক দিকটি এই যে, সেই একক প্রভু ছাড়া কোনই মা’বুদ নেই এর দ্বারা আল্লাহ ছাড়া অন্য সব কিছুর ইবাদত করা সম্পূর্ণরূপে নাকচ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ইতিবাচক, এর দ্বারা ইবাদত দৃঢ়তার সংগে একমাত্র আল্লাহ’র জন্যই সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাঁর রাজত্বে যেমন কোন অংশীদার নেই, তেমনি তাঁর ইবাদত ক্ষেত্রেও কোন অংর্শদার থাকতে পারে না। পবিত্র কুরআন হতে এর জলন্ত প্রমাণ ও ব্যাখ্যা নিুরূপঃ

وإذْ قَالَ إبْراهِيْمُ لِأبِيْهِ وَقَوْمَهِ إِنَّنِي بَرَاءٌ مِمَّا تَعْبُدُوْنَ إِلاَّ الَّذِيْ فَطَرَنِي فَإنَّهُ سَيَهْدَيْنَ. وَجَعَلَها كَلَمَةً بَاقِيَةً فِي عَقِبِهِ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُوْنَ.

আয়াতের অর্থঃ

“এবং যখন ইব্রাহীম (আলায়হিস্ সালাম) নিজ পিতা ও নিজ সমপ্রদায়কে বলেনঃ তোমরা যে সব মূর্তির পূজা অর্চনা করছঃ আমি তা হতে সম্পূর্ণ মুক্ত আমি তাঁরই ইবাদত করি যিনি আমাকে পয়দা করেছেন আর তিনিই আমাকে সৎপথে পরিচালিত করবেন এবং ইবরাহীম এক চিরন্তন কলেমারূপে রেখে গেছেন তাঁর পরবর্তীদের জন্যে, যাতে তারা সেই বাণীর পানে ফিরে যেতে পারে।(সূরা আয্-যুখরুফঃ ২৬-২৮)

قُلْ يَأهْلَ الْكِتَابِ تَعَالَوْا إِلَى كَلِمَةٍ سَوَاءٍ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُم أَلاَّ نَعْبُدَ إَلاَّ اللهَ وَلاَ نُشْرِكُ بِهِ شَيْئاً وَلاَ يَتَّخِذْ بَعْضُنَا بَعْضاً أَرْبَاباً مِنْ دُوْنِ اللهِ. فإنْ تَوَلَّوْا فَقُوْلُوا اشْهَدُوا بِأنَّا مُسْلِمُوْنَ.

আয়াতের অর্থঃ

“বল হে আহলে কিতাব! তোমরা এমন এক বানীর প্রতি আস যা আমাদের ও তোমাদের সমনীতি সরূপ। আমরা সকলে কদনুসারে অংগীকার করি যে, আমরা আল্লাহ ব্যতীত আর কারো ইবাদত করবো না, আমরা কোন কিছুই তাঁর শরীক করব না। আর আমরা একে অপরকে আল্লাহ ছাড়া কস্মিনকালে প্রভু বলে গ্রহন করব না, কিত্তু তারা যদি এতে পরাম্মুখ হয়, তাহলে তোমরা (আহলে কিতাবদের) বলে দাও,- জেনে রাখো, আমরা হচ্ছি আল্লাহতে আত্মসমর্পিত মুসলিম ।”(সূরা আলে-ইমরানঃ ৬৪)

মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ ‘আলায়হি ওয়া সাল্লাম যে আল্লাহর একজন (প্রেরিত) রাসূল তাঁর সাক্ষ্যদান সম্পর্কে কুরআন হতে অকাট্য প্রমাণঃ

لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُوْلٌ مِنْ أنْفُسِكُمْ عَزِيْزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُمْ حَرِيْصٌ عَلَيْكُمْ بِالْمُؤمِنِيْنَ رَءُوْفٌ رَّحِيْمٌ.

আয়াতের অর্থঃ

“নিশ্চয় তোমাদের সমীপে সমাগত হয়েছেন তোমদেরই মধ্যহতে একজন রাসূল যাঁর পক্ষে দূর্বহ ও অসহনীয় হয়ে থাকে তোমাদের দুঃখকষ্টগুলি, যিনি তোমাদের জন্য সদা আগ্রহী ও উৎসুক। মু’মিনদের প্রতি যিনি চীর স্নেহশীল ও সদা করুণাপরায়ণ।”(সূরা আত্-তাওবাঃ ১২৮)

মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল এ কথার তাৎপর্য এই যে তিনি যা আদেশ করেন তা অনূসরণ করা, তিনি যে বিষয়ে সংবাদ প্রদান করেন তা সত্য বলে স্বীকার করা, আর যা নিষেধ করেন তা বর্জন করা এবং তাঁর আদেশ অনুযায়ী আল্লাহর ইবাদত করা।

আল্লাহর একত্ববাদ, নামায ও যাকাত সম্পর্কে ব্যাখ্যাঃ

এ সম্পর্কে কুরআনের জ্বলন্ত প্রমাণ ও ব্যাখ্যা নিুরূপেঃ-

وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللهَ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ حُنَفَاءَ وَيُقِيْمُو الصَّلاَةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَواةَ وَذَلِكَ دِيْنُ الْقَيِّمَةِ.

আয়াতের অর্থঃ

“এবং তাদের তো কেবল এ আদেশই দেওয়া হয়েছিল যে, তারা একনিষ্ঠ ভাবে আল্লাহর ইবাদত করে দ্বীন ইসলামকে খালেস করে নিবে কেবল আল্লাহর জন্য। আর নামায প্রতিষ্ঠিত করবে, যাকাত প্রদান করতে থাকবে। বস্তুতঃ এটাই হচ্ছে সুদৃঢ় ধর্ম।”(সূরা আল-বাইয়্যেনাহঃ ৫)

রোযাব্রত সম্পর্কে কুরআনের ঘোষণাঃ

يآيُّهًا الَّذِيْنَ أَمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الذين من قبلكم لعلكم تتقون.

আয়াতের অর্থঃ

“হে মুমিনগণ, সিয়াম সাধনা তোমাদের উপর ফরয করা হয়েছে যেমনভাবে ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যেন তোমরা সংযমশীল হয়ে থাকতে পার।”(সূরা আল-বাকারাঃ১৮৩)



হজ্জের প্রমাণ সম্পর্কে কুরআনের ঘোষণাঃ

ولله على الناس حج البيت من استطاع إليه سبيلا ومن كفر فإن الله غني عن العالمين.

আয়াতের অর্থঃ

“এবং হজ্বের উদ্দেশ্যে সফরের সামর্থ রাখে যে ব্যক্তি তার জন্য আল্লাহর উদ্দেশ্যে কা’বাগৃহের হজ্ব করা অবশ্য কর্তব্য, কিত্তু যদি কোন ব্যক্তি এ আদেশ অমান্য করে তা হলে (যেনে রেখ) আল্লাহ (শুধু সে কেন বরং) সমস্ত বিশ্বজগত হতেই বেনিয়ায বা অমুখাপেক্ষী।”(সূরা আলে-ইমরানঃ ৯৭)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৬

যান্ত্রিক বলেছেন: copy paste from below link

Click This Link

কপি পেসট করলে লেখকের নাম দেয়া উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.