নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতোয়ানির রাজীম।

সোনালী কিরণ

কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

সোনালী কিরণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রশ্ন: শুধু ’আল্লাহু’ ’আল্লাহু’ বলে জিকির করা কি শরীয়ত সম্মত?

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:০৯

উত্তর: আল হামদুলিল্লাহ ওয়াস সালাতু ওয়া সালামু আলা রাসূলিল্লাহ। আম্মা বাদ:



রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে দুয়া ও জিকিরের ব্যাপারে যতগুলো হাদীস পাওয়া যায় সবগুলোই পূর্ণাঙ্গ বাক্য। যেমন, সুবাহান আল্লাহ, আল হামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লাইলাহা ইল্লাল্লাহ ইত্যাদি। কতবার পড়তে হবে সংখ্যা সহ হাদীসগুলোতে উল্লেখ আছে।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:



أفضل ما قلت أنا والنبيون قبلي: لا إله إلا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير.

“আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণের বলা শ্রেষ্ঠ জিকির হল, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর।”



তিনি আরও বলেন:



أفضل الذكر لا إله إلا الله

“শ্রেষ্ট জিকির হল, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।”



তিনি আরও বলেন:



أفضل الدعاء الحمد الله

“শ্রেষ্ঠ দুয়া হল, আল হমদুলিল্লাহ।” এভাবে বহু হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে জিকিরের শব্দাবলী শিক্ষা প্রদান করেছেন।

কিন্তু আল্লাহ তায়ালার একটি মাত্র নাম নিয়ে একক শব্দে, (যেমন, আল্লাহু আল্লাহু… বা আর রাহমানু আর রাহমানু… ইত্যাদি) জিকির করার ব্যাপারে একটি হাদীস পাওয়া যায় না। সাহাবী তাবেঈদের নিকট থেকেও এমন নজির খুঁজে পাওয়া যায় না।



একক শব্দে জিকির করা যদি শরীয়ত সম্মত হত তবে অবশ্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের জন্য উল্লেখ করতেন। সাহাবীগণও তা পালন করতে পিছুপা হতেন না।

ভ্রান্ত আকীদার পীর-ফকীর ও সূফীগণ এভাবে জিকির করে থাকেন। তাদের কেউ কেউ তো আল্লাহ শব্দ বাদ দিয়ে কেবল হু হু বলে জিকির করে থাকে। এভাবে তারা দীনের মধ্যে বিদআত আবিষ্কার করেছে। আর প্রতিটি বিদআতই গোমরাহী।



একটি হাদীস ও তার জবাব:



আল্লাহ আল্লাহ শব্দে জিকির করার ব্যাপারে নিম্নোক্ত হাদীসটি দ্বারা দলীল পেশ করা হয়:



« لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى لاَ يُقَالَ فِى الأَرْضِ اللَّهُ اللَّهُ »

“কিয়ামত ততদিন পর্যন্ত সংঘটিত হবে না যত দিন না ‘আল্লাহ’ ‘আল্লাহ’ বলা বন্ধ হয়। (সহীহ মুসলিম, অনুচ্ছেদ: শেষ যমানায় ঈমান চলে যাওয়া।)

এর উত্তরে বলব: উক্ত হাদীসটি অন্য শব্দে এভাবে বর্ণিত হয়েছে:



لا تقوم الساعة حتى لا يقال لا إله إلا الله

“কিয়ামত ততদিন পর্যন্ত সংঘটিত হবে না যত দিন না লা ‘ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা বন্ধ হয়।”

(দ্র: মাজমাঊয যাওয়ায়েদ ওয়া মামবাউল ফাওয়ায়েদ, অধ্যায়: কিতাবুল ফিতান, অনুচ্ছেদ: “কিয়ামত ততদিন পর্যন্ত সংঘটিত হবে না যত দিন না লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলা বন্ধ হয়।)



এ হাদীসেগুলো অর্থ অত্যন্ত স্পষ্ট যে, কিয়ামত এমন এক সময় সংঘটিত হবে যখন পৃথিবীর বুকে এমন একজন মানুষও বিদ্যমান থাকবে না যে ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বা ‘আল্লাহ’ শব্দটি মুখে উচ্চারণ করে। সব মানুষ যখন আল্লাহকে ভুলে শিরক, কুফুরী, নোংরামি, ও নানা পাপাচারে ডুবে যাবে তখন এ সকল নিকৃষ্ট মানুষদের উপর কিয়ামত সংঘটিত হবে।



উক্ত হাদীস থেকে ১০০, ২০০, ৫০০, ১০০০ বা এক লক্ষবার… আল্লাহু আল্লাহু জিকির করার বৈধতা আদৌ প্রমাণিত হয় না।

সুতরাং মুসলমানদের কর্তব্য, ইবাদত-বন্দেগী এখলাসের সাথে এমনভাবে করা যেভাবে দ্বীনের নবী শিখিয়ে দিয়ে গেছেন। তার দেখানো পন্থাই আমাদের জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ সবচেয়ে ভাল জানোন।



কতিপয় কথোপকথন/ প্রশ্নোত্তর:



উক্ত বিষয়ে আমার লেখাটা ফেসবুকে ছাড়ার পর কিছু ভায়ের সাথে কথোপকথন হয়েছে। এগুলোর মধ্য থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিচে তুলে দেয়া হল:



জনৈক প্রশ্নকারী:আল্লাহ তাআলা তাঁর কালামে ইরশাদ করেছেন:



وَلِلّهِ الأَسْمَاء الْحُسْنَى فَادْعُوهُ بِهَا

“নিশ্চয়ই আল্লাহর জন্য সুন্দর নামসমূহ রয়েছে। তোমরা আল্লাহকে ঐ সমস্ত নামে ডাক।” (সুরা আ’রাফ) সুতরাং, যেখানে আল্লাহ স্বয়ং তাঁর কালামে তাঁকে এ সমস্ত নামে ডাকতে আদেশ দিচ্ছেন, সেখানে এ সমস্ত নামে ডাকা কিংবা বারবার জপা বা উচ্চারণ করা (অর্থাৎ যিকির করা) কে আপনি বিদআত কিভাবে বলেন?



আমার উত্তর: উক্ত আয়াতে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আদেশ করছেন, আমরা যেন তার নামের ওসীলায় তাঁর নিকট দুয়া করি। কোন কিছু চাইতে হলে তার নাম ধরে যেন চাই। তাঁকে যেন তাঁর সুন্দর সুন্দর নাম ধরে তাকে ডাকি। যেমন, রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই ডাকার পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়েছেন এভাবে:



(১) কোন ব্যক্তির জীবনে যখন বিপদ-আপদ, দু:শ্চিন্তা বা পেরেশানী নেমে আসে তখন সে যেন বলে:



لا إله إلا الله العظيم الحليم ، لا إله إلا الله رب العرش العظيم ، لا إله إلا الله رب السماوات والأرض ورب العرش الكريم رواه الشيخان والترمذي والنسائي

(২) তিনি ফাতিমা রা.কে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, তুমি সকাল সন্ধায় এ দুয়াটি পাঠ করবে: : يا حي يا قيوم برحمتك أستغيث, হে চিরঞ্চিব, হে সব কিছুর সংরক্ষক, তোমার রহমতের ওসিলায় তোমার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করছি। (তিরমিযী, সহীহ)।



(৩) অনুরূপভাবে সূরা হাশরেরর ২২, ২৩ ও ২৪ নং আয়াতে আল্লাহ তায়াল অনেকগুলো নাম বর্ণিত হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত তিনটি আয়াত পাঠ করে আল্লাহর নিকট দুয়া করতে বলেছেন, (দারেমী, মাকাল ইবনে ইয়াসার রা. হতে বর্ণিত)



প্রশ্নকারী: আল্লাহ তাঁকে তাঁর সুন্দর নামে ডাকতে আদেশ দিয়েছেন। তাই আমি আল্লাহকে আল্লাহ, আর রাহমান, আর রাহিম নামে ডাকলাম এবং অনেক্ষণ ধরে ডাকলাম। এতে সমস্যাটা কোথায়? আপনার আলোচনা হতে পারে, নির্দিষ্ট সংখ্যাকে জরুরী মনে করা ঠিক না বেঠিক, আল্লাহ, আল্লাহ না বলে কেবল হু হু যিকির করা ঠিক না বেঠিক। কিন্তু একাধিকবার আল্লাহ আল্লাহ ডাকলেই সেটা বেদআত হবে কেন?



উত্তর: আল্লাহর নাম ধরে ডাকার ব্যাপারে তো আপত্তি করা হয় নি। ইয়া আল্লাহ, ইয়া রাহমান, ইয়া হাইউ, ইয়া কাইয়ুমু, অথবা আল্লাহুম্মা.. এভাবে ডাকলে তো তখন সেটা আর অপূর্ণ বাক্য থাকল না। তবে কথা হল, এভাবে ডাকার পর নিজের চাহিদা তুলে ধরতে হবে। যেমন, ইয়া গাফুর, ইগফির লী অর্থাৎ হে ক্ষমাশীল, আমাকে ক্ষমা করুন। ইয়া রাযযাক, উরযুক নী..হে রিজিক দাতা, আপনি আমাকে রিজিক দিন। ডাকার পর যদি কোন কিছু না চাওয়া হয় তবে এই ডাকার কোন অর্থই থাকল না। আপত্তি হল, শুধু আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু বলে অপুর্ণ বাক্য দ্বারা জিকির করার ব্যাপারে।



প্রশ্নকারী: রাসুল সাল্লা্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: إن لله تسعة وتسعين اسماً من حفظها دخل الجنة رواه البخاري লক্ষ্য করুন এখানে حفظها বলা হয়েছে। তো হিফয করার জন্য কি এক শব্দ বারবার পড়তে হয় না। বারবার পড়া বেদআত হলে এগুলোকে হিফয করতে কেন বললেন?



আমার উত্তর: আমাদের আলোচনা একক শব্দে জিকির করা প্রসঙ্গে। আল্লাহর নাম মুখস্ত করার উদ্দেশ্যে বার বার পড়া আর জিকির করা এক কথা নয়।



আরেক জন প্রশ্নকারী: বিলাল রা. কে যখন তার মনীব পাথর চাপা দিয়ে নির্যাতন করছিলো তখন তিনি কেবল ‘আহাদ’ ‘আহাদ’ বলেছিলেন? এ থেকে কি একক শব্দে আল্লাহর জিকির প্রমাণিত হয় না?



আমার উত্তর: খেয়াল করুন, বেলার রা. কে যখন উত্তপ্ত বালির উপর ফেলে বুকের উপর বিরাট পাথর চাপা দিয়ে এক আল্লাহর দাসত্ব পরিহার করার জন্য নির্যাতন করা হচ্ছিল তিনি তখন আল্লাহ আল্লাহ বলে জিকির করেন নি। তিনি আহাদ আহাদ বলেছেন। অর্থাৎ তিনি বুঝাতে চাচ্ছেন আহাদ মানে একক..আল্লাহ এককভাবে ইবাদতের যোগ্য। অন্য কেউ নয়। কারণ, তিনি জানতেন আরবের মুশরেকরা আল্লাহ অস্বীকার করত না। কিন্তু এককভাবে আল্লাহর ইবাদত করাকে অস্বীকার করত। তাই তিনি এই কঠিন পরিস্থিতিতেও তাদেরকে এই একত্তবাদের স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। তিনি সেখান থেকে মুক্তি পাওয়ার পর কোন দিন আহাদ আহাদ বা আল্লাহ আল্লাহ বলে জিকির করেছেন মর্মে কি কোন প্রমাণ পাওয়া যায়?

আল্লাহ আমাদের বোঝার তাউফিক দান করেন।

(সুত্র: আল কোরআনডট কম)

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৩৬

হানিফ খাঁন বলেছেন: সকাল বেলার এমন একটি পোস্ট পেয়ে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৪২

সোনালী কিরণ বলেছেন: jazakallah khayer

২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: সুরা মুযযাম্মিলের ৮ নং আয়াতে বলা হচ্ছে, তোমাদের "রবের নামের" জিকির কর । আর মুসলমান মাত্রই জানে তার রবের নাম "আল্লাহ" । আখেরাতের ঘাটিতে প্রথম প্রশ্ন : কবরে গেলে প্রথম যে প্রশ্ন করা হবে , তা হল : তোমার রব কে ? বিশ্বাসী বান্দারা বলবে " আল্লাহ "

আর পবিত্র কোরাণ শরীফে এই রবের নামের জিকির করতেই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে ।


وَاذْكُرِ اسْمَ رَبِّكَ وَتَبَتَّلْ إِلَيْهِ تَبْتِيلًا (73:8)
Waothkuri isma rabbika watabattal ilayhi tabteelan

•73:8 (Asad) But [whether by night or by day,] remember thy Sustainer's name, and devote thyself unto Him with utter devotion. -

সহিহ হাদীসে আল্লাহ শব্দের জিকির :

সহিহ হাদীসে বর্ণিত আছে কেয়ামত ঐ পর্যন্ত হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত একজন লোকও আল্লাহ - আল্লাহ বলার মত থাকবে ( হাত্তা ইয়াক্কুলু আল্লাহ - আল্লাহ ) অর্থাৎ শুধু আল্লাহ শব্দের উচ্চারণকারীর বরকতেই দুনিয়া বাকী থাকবে !

কিছু হতভাগা , কথিত আহলে হাদীস এই পবিত্র নামের মোবারক জিকিরের বিরোধীতা করে !

Click This Link

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৪১

সোনালী কিরণ বলেছেন: আমার মনে হচ্ছে আপনি এই পোস্টি ঠিকমত পড়েন নাই। পড়লে একই বাক্য বার বার উচ্চরন করতেন না। নাকি হু হু করতে করতে অভ্যাশ হয়ে গেছে। শুধু আল্লাহ আল্লাহ হু হু জিকর অসম্পূর্ণ বাক্য যার বিশুদ্ধ কোন প্রমান নেই।

৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৫২

রক্তভীতু ভ্যাম্পায়ার বলেছেন: এসব বেপারে মানে এটা বৈধ নাকি অবোইধ তা অনেক মুফতি এক সাথে বসে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন সে সিদ্ধান্ত মানা যায়। বাট কারো একার সিদ্ধান্ত মানা বোকামি।

৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: জনাব আপনার রবের নাম কি ?
দয়া করে বলবেন কি ?
পিছলাবেন না!

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫

সোনালী কিরণ বলেছেন: আল্লাহর নাম ধরে ডাকার ব্যাপারে তো আপত্তি করা হয় নি। ইয়া আল্লাহ, ইয়া রাহমান, ইয়া হাইউ, ইয়া কাইয়ুমু, অথবা আল্লাহুম্মা.. এভাবে ডাকলে তো তখন সেটা আর অপূর্ণ বাক্য থাকল না। তবে কথা হল, এভাবে ডাকার পর নিজের চাহিদা তুলে ধরতে হবে। যেমন, ইয়া গাফুর, ইগফির লী অর্থাৎ হে ক্ষমাশীল, আমাকে ক্ষমা করুন। ইয়া রাযযাক, উরযুক নী..হে রিজিক দাতা, আপনি আমাকে রিজিক দিন। ডাকার পর যদি কোন কিছু না চাওয়া হয় তবে এই ডাকার কোন অর্থই থাকল না। আপত্তি হল, শুধু আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু বলে অপুর্ণ বাক্য দ্বারা জিকির করার ব্যাপারে।

৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: আল্লাহর নাম কি " আল্লাহ" না ? এই হাদীস কৈ পাইলেন ?

হাত্তা ইয়াক্কুলু " আল্লাহ " আল্লাহ" মানে জানেন? হাদীস মানেন ? না নিজেই বানায় ফেলেন ?

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২

সোনালী কিরণ বলেছেন: আমি কখন আল্লাহকে না বললাম। আপনি তো আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন।

৬| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:২১

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: কবরে অবিশ্বাসীরা, ইহুদী -খ্রীষ্টানরা , তার রবের নাম বলতে পারবে না, আর আপনেরে জিগাইলাম আপনার রবের নাম কি , আপনেও বলতে পারলেন না!

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪১

সোনালী কিরণ বলেছেন: যিনি স্রষ্টা তিনি আল্লাহ, আমি আপনি বললেও তিনি আল্লাহ, রব, রাজ্জাক। না বললেও তিনি আল্লাহ। কথা হচ্ছে জিকির নিয়ে শুধু আল্লাহ আল্লাহ বলে জিকির করা যাবে কি না? আপনি যখন হাদিসকে উপেক্ষা করে এদিক ওদিক প্রশ্ন করছেন তাহলে আপনাকে উদাহরন দিলাম যেমন, আপনি শুধু আপনার বাবাকে ডাকতে থাকেন বাবা, বাবা, বাবা, বাবা, বা, বা, বা ...................তাহলে আপনার বাবা আপনাকে কি দেবে? নাকি প্রশংসা করবেন বা কিছু চাইবেন?

৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ভাই পিছলান কেন ?
আপনার রবের নাম কি ?
কোরাণে কি রবের নাম নিয়া জিকির করতে বলছে ?
না পিছলাইয়া জবাব দিবেন, আপনার প্লীজ লাগে ।

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:১৬

সোনালী কিরণ বলেছেন: আপনার প্রশ্নের উত্তর দিলে যদি আপনি হু হু করে জিকির করা ছেড়ে দেন তাহলে দিলাম। আমার রবের নাম "আল্লাহ" লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ।
কোরআনে রবের নামে জিকির করতে বলা হয়েছে, জিকির করা ইবাদাত, তবে কি ভাবে করতে হবে তা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম) আমাদেরকে শিখিয়ে গেছেন। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হেদায়াত কি ছিল তা আমাদের জানা দরকার। যেমনটি অন্যান্য ইবাদতের নিয়মও জানা দরকার। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নাতে যিকির ও দুয়ার ক্ষেত্রে শুধু ‘আল্লাহ’ শব্দ ব্যবহারের কোন প্রমাণ নেই। চাই আল্লাহ শব্দের ‘হা’ অক্ষরে পেশ দিয়ে হোক বা জযম দিয়ে হোক- কোন প্রমাণ নেই। অনুরূপভাবে শুধু আল্লাহর সুন্দর নামগুলো ধরে তাঁকে ডাকারও কোন দলীল নেই। যেমন মানুষ বলে থাকে, ইয়া লাতীফু ইয়া লাতীফু, অথবা ইয়া গারফূরু ইয়া গাফূরু.. ইত্যাদি।

তাছাড়া এ ধরণের যিকিরগুলোকে অর্থবোধক বাক্য বা কথা বলা হয় না। আর এতে উপকারী কোন অর্থও প্রকাশ পায় না। এটা একক শব্দ যাতে কোন উপকার পাওয়া যায় না। কেননা এই নামগুলো উল্লেখ করে ডেকে যদি কোন আবেদন বা প্রার্থনা পেশ না করা হয়, তবে এই ডাকটাই অনর্থক হয়ে যায়।

নামাযের পর বা বিশেষ কোন সময়ে আল্লাহর নাম সমূহ যিকির করা এবং তার অভ্যাস গড়ে তোলা বিদআত। যেমন হু হু ইল্লাল্লহ ইল্লাল্লাহ ইয়া লাতীফু,ইয়া লাতীফু, বা এরকম কোন নাম বিশেষ সংখ্যা ও বিশেষ পদ্ধতিতে যিকির করা। এগুলো ইসলামে সবই নতুন সৃষ্টি তথা বিদআত। উত্তম হেদায়াত হচ্ছে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর হেদায়াত। আর নিকৃষ্ট বিষয় হচ্ছে এই দ্বীনের মাঝে নতুন কিছু সৃষ্টি করা। প্রত্যেক বিদআতই হচ্ছে ভ্রষ্টতা।
(আল মুনতাকা মিন ফাতাওয়া ফাওযান ২/৮)

তাই যখন বলবে ‘ইয়া আল্লাহ ইরহামনী’ অর্থাৎ হে আল্লাহ আমাকে দয়া কর। ‘ইয়া গাফূরু ইগফির লী’ অর্থাৎ হে ক্ষমাশীল আমাকে ক্ষমা কর, ‘ইয়া রাজ্জাকু উরযুকনী’ হে রিযিকদাতা আমাকে রিযিকদান কর, তখন তা হবে অর্থবোধক বাক্য এবং সেটা বৈধ যিকির।
তাছাড়াও সহিহ বুখারী ও মুসলিমে রয়েছে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সাহাবাদেরকে শিক্ষা দিতেন যে, প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর জিকির কর সুবহান-আল্লাহ ৩৩ বার। আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার। আল্লাহু আকবার ৩৪ বার। তাও শর্ত আছে আস্তে আস্তে নম্র ভাবে, ভদ্র ভাবে। গরু, ছাগলের মত না।

৮| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০২

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: আমি কখন আল্লাহকে না বললাম। আপনি তো আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন।

আপনে তো "হা" -ও বলেন নি, সেখানেই তো আপত্তি!

মিথ্যা অপবাদ কৈ দিলাম ? আপনি স্বীকার করে ফেলেন আপনার রবের নাম " আল্লাহ " তাহলেই তো বিরোধ থেমে যায় !

শুধু একবার বলেন আপনার রবের নাম " আল্লাহ", আমি তাতেই খুশী।

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭

সোনালী কিরণ বলেছেন: উপরে জবাব দিয়ে দিলাম। আল্লাহ আমাদের বোঝার তাউফিক দান করুন।

৯| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৮

নবীউল করিম বলেছেন: অনেক ভাবি যে ধর্ম সংক্রান্ত লেখা গুলোতে প্রতিক্রিয়া দেখাবো না, কিন্তু সব সময় তা সম্ভব হয় না! এই যেমন এখন?

লেখকের কাছে দুটা প্রশ্নের উত্তর আশা করছি।

১-জিকীর মানে কি?কনও একটা নির্দিষ্ট বাক্য বা শব্দ বার বার উচ্চারণ করা?

২- আপনি কন দলীলের দ্বারা বলছেন যে “আল্লাহ” শব্দটা একটা পুরনাঙ্গ শব্দ না,আল্লাহর আভিধানিক অর্থ কি?

প্লিজ আপনার নিজস্ব লব্ধ জ্ঞান থেকে উত্তর দিবেন।আর যদি কনও লেখকের লেখা থেকে উল্লেখ করেন, তবে সেই বিষয়ের সম্পূর্ণ লেখাটাই উল্লেখ করবেন লেখকের নাম ও বইয়ের নাম সহ। আপনার মতামত থাকলে ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করবেন, লেখকের লেখার সাথে মিলিয়ে দিবেন না।
ধন্যবাদ।

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬

সোনালী কিরণ বলেছেন: আপনি কি পোস্ট পড়েছেন নাকি শুধু মন্তব্য? প্রশ্ন যা করলেন তার উত্তর ইতিমধ্যে পেশ করা হয়েছে। আপনি ভাল ভাবে লক্ষ্য করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.